কোন কাজ ধারাবাহিক ভাবে করা আল্লাহ তা'য়ালার সুন্নাহ
মহান আল্লাহ যখন কোন কিছু করতে চান তখন কুন বলার সাথে সাথে তা হয়ে যায়। কিন্তু তিনি চাইলে মুহূর্তে সবকিছু সৃষ্টি করতে পারেন। অথচ তিনি তা না করে ছয়দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন।
আল্লাহ বলেনঃ
‘আমরা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এ দু’য়ের মধ্যেকার সবকিছুকে সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে। অথচ এতে আমাদের কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি’ (ক্বা-ফ ৫০/৩৮)।
আর এই ছয়দিন হ’ল রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। শুক্রবারে আছরের পূর্বেই সবকিছু শেষ করেন। অতঃপর আছর থেকে দিনের শেষ মুহূর্তে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেন (মুসলিম হা/২৭৮৯; মিশকাত হা/৫৭৩৪)।
এভাবে তিনি পবিত্র কুরআন সুদীর্ঘ ২৩ বছরে নাযিল করেছেন। তিনি চাইলে একত্র নাযিল করতে পারতেন। কিন্তু আস্তে আস্তে নাযিল করলেন। এমনকি একই বিষয়ের আয়াত সমুহও একত্রে নাযিল করেন নি, বরং আস্তে আস্তে নাযিল করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ لَا نُزِّلَ عَلَیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ جُمۡلَۃً وَّاحِدَۃً ۚۛ کَذٰلِکَ ۚۛ لِنُثَبِّتَ بِہٖ فُؤَادَکَ وَ رَتَّلۡنٰہُ تَرۡتِیۡلًا ﴿۳۲﴾
অবিশ্বাসীরা বলে, ‘সমগ্র কুরআন তার নিকট একেবারে অবতীর্ণ করা হল না কেন?’ এ আমি তোমার নিকট এভাবেই (কিছু কিছু করে) অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করেছি তোমার হৃদয়কে শক্ত ও দৃঢ় করার জন্য। ( সুরা ফুরকান ৩২)
তিনি যখন সর্বশেষ জান্নাতিকে জান্নাত দিবেন তখনও তিনি হঠাৎ করেই দিবেন না, বরং তাকে পর্যায়ে ক্রমেই তাকে জান্নাত দিবেন।
মহান আল্লাহ যখন মায়ের পেটে সন্তান পাঠান তখনও তিনি ধারাবাহিক ভাবে তার আকার আকৃতি তৈরী করেন। হঠাৎ করেই সন্তান পূর্নতা লাভ করে না।
মহান আল্লাহ যখন পূর্ববর্তী জাতিদের উপর আযাব পাঠিয়েছেন তখন সেই আযাব ধারাবাহিক ভাবে পাঠিয়েছেন। যেমনঃসামুদ জাতি হযরত সালেহ আঃ এর উষ্টী হত্যার পর চূড়ান্ত আযাব নাযিলের পূর্বে তিন অবকাশ দিয়েছেন এবং এই তিনদিনে তাদের চেহারাকে একেক দিন একেক রং করেছেন।
আদ জাতির উপর চুড়ান্ত আযাব নাযিলের পূর্বে তিন বছর একটানা বৃষ্টি বন্ধ ছিলো।
মাদিয়ান জাতির উপরেও চূড়ান্ত আযাব নাযিলের পূর্বে পছন্ড গরমের আযাব ছিলো কয়েকদিন।
দেখুন আমলের ক্ষেত্রেও যে আমল নিয়মিত করা হয় সে আমল আল্লাহর নিকট পছন্দনীয়।
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে নিষ্ঠাসহ কাজ করে নৈকট্য লাভ কর। জেনে রেখ, তোমাদের কাউকে তার ‘আমাল জান্নাতে প্রবেশ করাবে না এবং আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক প্রিয় ‘আমাল হলো, যা সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। [৬৪৬৭; মুসলিম ৫০/১৭, হাঃ ২৮১৮, আহমাদ ২৪৯৯৫]
যা আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় তার মধ্যেই কল্যান ও বরকত আছে।
তাই মহান আল্লাহর এই সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা যেকোন কাজ করলে আমরাও তাতে অনেক বরকত পাবো ইনশাআল্লাহ।
অনেকে মনে করেন, একমাসে বা একবছরেই বিশাল কিছু করে ফেলবেন।
কিন্তু এটা সম্ভব হয় না।বরং ক্ষেত্র বিশেষ ক্ষতি হয় যেমন আপনি একটি গাছ দ্রুত বড় হওয়ার জন্য যদি সার বেশি দেন তাহলে গাছ মরেই যাবে।আপনি নিজের উপর মারাত্মক কোন চাপ যদি নিয়ে নেন তাহলে একসময় দেখা যায় কোন কিছুই হয় না।
কোন কিছু সুন্দর ভাবে করাও মহান আল্লাহর এক সুন্নাহ।
আল্লাহ নিকট এই পৃথিবী মাছির ডানার সমতুল্যও নয়।হাদিসে এসেছেঃ
সাহাল ইবন সা‘দ আস-সা‘য়েদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “দুনিয়া যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান হতো, তাহলে তিনি কোনো কাফেরকে তার এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।”
সহীহ - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
যেই পৃথিবী মহান আল্লাহ নিকট কোন মুল্য নেই সেই পৃথিবীও তিনি সুন্দর ও নিখুঁত করে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেনঃ
الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَ ۙ ہَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না,আবার তাকিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?(সুরা মুলক ৩)
মহান আল্লাহ বলেনঃ
الَّذِیۡۤ اَحۡسَنَ کُلَّ شَیۡءٍ خَلَقَہٗ وَ بَدَاَ خَلۡقَ الۡاِنۡسَانِ مِنۡ طِیۡنٍ ۚ﴿۷﴾
যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে উত্তমরূপে সৃজন করেছেন[1] এবং মাটি হতে মানব-সৃষ্টির সূচনা করেছেন।( সুরা সাজদাহ ৭)
মহান আল্লাহ সকল সৃষ্টিই সুন্দর ভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে কোন ত্রুটি নেই। আর তার সব সৃষ্টির মাঝে সবচেয়ে সুন্দর করে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
তাই আমরাও যদি মহান রবের এই সুন্নাহ অনুযায়ী সবকিছু করি তাহলে আমরা সকল কাজে মহান রবের বরকত ও রহমত লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।
কাজ যত ছোট হোক বা কম হোক সেটা যেন ধারাবাহিক হয় ও সুন্দর হয়।
মহান আল্লাহ যখন কোন কিছু করতে চান তখন কুন বলার সাথে সাথে তা হয়ে যায়। কিন্তু তিনি চাইলে মুহূর্তে সবকিছু সৃষ্টি করতে পারেন। অথচ তিনি তা না করে ছয়দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করলেন।
আল্লাহ বলেনঃ
‘আমরা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল এবং এ দু’য়ের মধ্যেকার সবকিছুকে সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে। অথচ এতে আমাদের কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি’ (ক্বা-ফ ৫০/৩৮)।
আর এই ছয়দিন হ’ল রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার। শুক্রবারে আছরের পূর্বেই সবকিছু শেষ করেন। অতঃপর আছর থেকে দিনের শেষ মুহূর্তে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেন (মুসলিম হা/২৭৮৯; মিশকাত হা/৫৭৩৪)।
এভাবে তিনি পবিত্র কুরআন সুদীর্ঘ ২৩ বছরে নাযিল করেছেন। তিনি চাইলে একত্র নাযিল করতে পারতেন। কিন্তু আস্তে আস্তে নাযিল করলেন। এমনকি একই বিষয়ের আয়াত সমুহও একত্রে নাযিল করেন নি, বরং আস্তে আস্তে নাযিল করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
وَ قَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ لَا نُزِّلَ عَلَیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ جُمۡلَۃً وَّاحِدَۃً ۚۛ کَذٰلِکَ ۚۛ لِنُثَبِّتَ بِہٖ فُؤَادَکَ وَ رَتَّلۡنٰہُ تَرۡتِیۡلًا ﴿۳۲﴾
অবিশ্বাসীরা বলে, ‘সমগ্র কুরআন তার নিকট একেবারে অবতীর্ণ করা হল না কেন?’ এ আমি তোমার নিকট এভাবেই (কিছু কিছু করে) অবতীর্ণ করেছি এবং ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করেছি তোমার হৃদয়কে শক্ত ও দৃঢ় করার জন্য। ( সুরা ফুরকান ৩২)
তিনি যখন সর্বশেষ জান্নাতিকে জান্নাত দিবেন তখনও তিনি হঠাৎ করেই দিবেন না, বরং তাকে পর্যায়ে ক্রমেই তাকে জান্নাত দিবেন।
মহান আল্লাহ যখন মায়ের পেটে সন্তান পাঠান তখনও তিনি ধারাবাহিক ভাবে তার আকার আকৃতি তৈরী করেন। হঠাৎ করেই সন্তান পূর্নতা লাভ করে না।
মহান আল্লাহ যখন পূর্ববর্তী জাতিদের উপর আযাব পাঠিয়েছেন তখন সেই আযাব ধারাবাহিক ভাবে পাঠিয়েছেন। যেমনঃসামুদ জাতি হযরত সালেহ আঃ এর উষ্টী হত্যার পর চূড়ান্ত আযাব নাযিলের পূর্বে তিন অবকাশ দিয়েছেন এবং এই তিনদিনে তাদের চেহারাকে একেক দিন একেক রং করেছেন।
আদ জাতির উপর চুড়ান্ত আযাব নাযিলের পূর্বে তিন বছর একটানা বৃষ্টি বন্ধ ছিলো।
মাদিয়ান জাতির উপরেও চূড়ান্ত আযাব নাযিলের পূর্বে পছন্ড গরমের আযাব ছিলো কয়েকদিন।
দেখুন আমলের ক্ষেত্রেও যে আমল নিয়মিত করা হয় সে আমল আল্লাহর নিকট পছন্দনীয়।
আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা ঠিকভাবে নিষ্ঠাসহ কাজ করে নৈকট্য লাভ কর। জেনে রেখ, তোমাদের কাউকে তার ‘আমাল জান্নাতে প্রবেশ করাবে না এবং আল্লাহ্র কাছে সর্বাধিক প্রিয় ‘আমাল হলো, যা সদাসর্বদা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। [৬৪৬৭; মুসলিম ৫০/১৭, হাঃ ২৮১৮, আহমাদ ২৪৯৯৫]
যা আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় তার মধ্যেই কল্যান ও বরকত আছে।
তাই মহান আল্লাহর এই সুন্নাহ অনুযায়ী আমরা যেকোন কাজ করলে আমরাও তাতে অনেক বরকত পাবো ইনশাআল্লাহ।
অনেকে মনে করেন, একমাসে বা একবছরেই বিশাল কিছু করে ফেলবেন।
কিন্তু এটা সম্ভব হয় না।বরং ক্ষেত্র বিশেষ ক্ষতি হয় যেমন আপনি একটি গাছ দ্রুত বড় হওয়ার জন্য যদি সার বেশি দেন তাহলে গাছ মরেই যাবে।আপনি নিজের উপর মারাত্মক কোন চাপ যদি নিয়ে নেন তাহলে একসময় দেখা যায় কোন কিছুই হয় না।
কোন কিছু সুন্দর ভাবে করাও মহান আল্লাহর এক সুন্নাহ।
আল্লাহ নিকট এই পৃথিবী মাছির ডানার সমতুল্যও নয়।হাদিসে এসেছেঃ
সাহাল ইবন সা‘দ আস-সা‘য়েদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণিত, “দুনিয়া যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান হতো, তাহলে তিনি কোনো কাফেরকে তার এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।”
সহীহ - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
যেই পৃথিবী মহান আল্লাহ নিকট কোন মুল্য নেই সেই পৃথিবীও তিনি সুন্দর ও নিখুঁত করে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেনঃ
الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ الۡبَصَرَ ۙ ہَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ ﴿۳﴾
তিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না,আবার তাকিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?(সুরা মুলক ৩)
মহান আল্লাহ বলেনঃ
الَّذِیۡۤ اَحۡسَنَ کُلَّ شَیۡءٍ خَلَقَہٗ وَ بَدَاَ خَلۡقَ الۡاِنۡسَانِ مِنۡ طِیۡنٍ ۚ﴿۷﴾
যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে উত্তমরূপে সৃজন করেছেন[1] এবং মাটি হতে মানব-সৃষ্টির সূচনা করেছেন।( সুরা সাজদাহ ৭)
মহান আল্লাহ সকল সৃষ্টিই সুন্দর ভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে কোন ত্রুটি নেই। আর তার সব সৃষ্টির মাঝে সবচেয়ে সুন্দর করে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
তাই আমরাও যদি মহান রবের এই সুন্নাহ অনুযায়ী সবকিছু করি তাহলে আমরা সকল কাজে মহান রবের বরকত ও রহমত লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।
কাজ যত ছোট হোক বা কম হোক সেটা যেন ধারাবাহিক হয় ও সুন্দর হয়।
Comment