Announcement

Collapse
No announcement yet.

সূরা মায়েদার ৫৪ নং আয়াত নিয়ে সামান্য একটু তাদাব্বুর।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সূরা মায়েদার ৫৪ নং আয়াত নিয়ে সামান্য একটু তাদাব্বুর।

    পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ



    یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِہٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰہُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّہُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَہٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاہِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰہِ یُؤۡتِیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰہُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۵۴﴾

    অনুবাদঃ
    হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সূরা মায়েদা ৫৪)


    অত্র আয়াতে প্রথমে মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি দীন থেকে সরে যাবে অচিরেই আল্লাহ আরেকটা কওম নিয়ে আসবেন।
    একটু চিন্তা করে দেখুন এক সময় কুরআনের শাসন ও খিলাফাহ ছিলো তুরস্কে। যখন তারা আস্তে আস্তে এই দ্বীন থেকে দূরে সরে গেলো তারপর কুরআনের শাসন চলে আসলো সৌদি আরবে। সৌদি আরব ছিলো শান্তি ও সুখের দেশ, ধন সম্পদ ছিলো অটেল, যারা একসময় ব্যবসা বানিজ্য করার জন্য এশিয়াতে আসতো,যাদের ধন সম্পদের অভাব ছিলো তারাই উঁচু উঁচু ভবন বানালো, মানুষ নিজ দেশ থেকে শ্রমিক হয়ে তাদের চাকরি করতো। মানুষ সৌদিকে খুব ভালোবাসতো, আর আজকের শাসকের মত পূর্বের সৌদি শাসকরা ছিলেন না।

    যদিও রাজতন্ত্র ছিলো কিন্তু সমাজে পাপাচার, অশ্লিলতা ছিলো না। বর্তমানের মত পূর্বে আলিমদের উপর তেমন জুলুমও ছিলো না। কিন্তু দেখুন মাত্র তিনচার বছরের ব্যবধানে সৌদি কত ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বিগত ৪০/৫০ বছরেও এতো পরিবর্তন হয় নি যতটা তিন চার বছরে হয়েছে। অপরদিকে দেখুন আফগানে গত তিন চার বছরে যত দ্রুত বিজয় এসেছে পূর্বে এতো দ্রুত বিজয় আসে নি। এক সময় সামান্য সামান্য বিজয় হতো কিন্তু গত তিনচার বছরে কয়েক জ্বেলা একত্রে বিজয় হয়েছে। শুধু তাই না তাদের বিজয় দেখে আমরিকা একটা জরিপে বলেছে যে,যেভাবে বিজয় হচ্ছে তাতে কাবুলে পৌছাতে নব্বই দিন লাগবে, কিন্তু দেখা গেলো মাত্র নয় দশ দিনে কাবুল বিজয় হয়ে গেলো।

    এবার পাঠক বিষয়টা খেয়াল করে দেখুন, একদিকে সৌদির জনগন থেকে দ্বীন ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে অপরদিকে আফগানের জনগন দলে দলে দ্বীনের দিকে ফিরছে। শুধু তাই না আস্তে আস্তে আফগান অর্থনীতিতে চাঙ্গা হচ্ছে আর অপরদিকে সৌদির অর্থনীতি দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    এখানে আরেকটা বিষয় খেয়াল করুন, এখানে আল্লাহ এক বিজয় বার্তা দিলেন। তিনি এখানে বলেন নি যে,কোন কওম দ্বীন থেকে ফিরে গেলে আরেকটা কওম নিয়ে আসেন। বরং তিনি বলেছেন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ দ্বীন থেকে ফিরে গেলে আল্লাহ আরেকটা জাতি দ্বীনের পথে নিয়ে আসেন। শয়তান ও বাহিনী কাউকে দ্বীনের পথ সরিয়ে দিলে আল্লাহ গোটা কওম নিয়ে আসেন। তাতারীদের সময় মুসলিমরা যখন দ্বীন থেকে দুরে সরে গেলো তখন তাতারীদের ভিতর থেকে মুসলিম হওয়া শুরু হলো।

    আজ মুসলিম দেশ সমুহের মানুষ গুলো দ্বীন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, কিন্তু অচিরেই এমন সময় আসতেছে যখন প্রত্যেক মাটির ও পশমের ঘরে ইসলাম প্রবেশ করবে। এমন কোন ঘর বাকি থাকবে না যেখানে ইসলাম প্রবেশ করবে না।

    আরো একটি বিষয় হলো আমরা ইতিহাসে দেখেছি, যারা দ্বীনের পথ থেকে দূরে সরে যায় তারা আবার দ্বীনে ফিরে আসে না, আসলেও খুব কম,তারা ধ্বংসের দিকেই ধাবিত হয় । কেননা যারা দ্বীনের পথ থেকে ফিরে যায় তারা হঠাৎ করেই সরে যায় না। বরং খুব ভয়ংকর সব দূষিত চিন্তা তাদের ভিতরে প্রবেশ করে, একেকটা চিন্তা দূর করা খুব কঠিন হয়।বিভিন্ন মতবাদ তাদের ভিতরে গেড়ে বসে। অপরদিকে যারা নতুন দ্বীন কবুল করে তাদের অবস্থা থাকে এমন যে,শুনলাম এবং মানলাম। তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে জান্নাত লাভ করা। আর এর জন্য যা ছাড়তে হয় তা ছেড়ে দেয় আর যা মানতে হবে তা মেনে নেয়।

  • #2
    আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু শিখার রয়েছে,
    আল্লাহ তায়ালা আপনার কলমের হাতকে আরও শক্তিশালী করুন।
    তবে ভাইসাব, কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবেন আশাকরি, উসমানীয় খেলফাত ধ্বংসের মূল হোতা ছিলো কারা? সেটা তো অবশ্যই জানেন আশাকরি,?
    আরবরাই তো সবচেয়ে বড় গাদ্দার আরবরাই তো ইসলামী খিলাফত অফ তুর্কি অর উসমানী সাম্রাজ্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে,,।
    তো উদাহরণ স্বরুপ ধরুন তালিবানের কাছে বায়াতবদ্ধ বাংলাদেশ, এখন ইংরেজ বা যুক্ত রাস্ট্র বলছে তালিবানকে শেষ করতে হবে, এক কথায় সাথে গাদ্দারী করতে হবে,, তাহলে তোমরা ক্ষমতা পাবে,
    বাংলাদেশ যদি এটা করে এবং ক্ষমতায় যায় আর ইসলামের কিছু আইন বাস্তবায়ন করে তাহলে সেটা কি বৈধ শাসন বা শারিয়াহ ভিত্তিক শাসন মনে করবেন?
    আর গাদ্দারী করার পরিনাম তো হত্যা, করা।
    সৌদি শাসনকে কিভাবে বৈধতা দিলেন? এবং ইসলামি শাসন বললেন? আরবরা প্রথমে যেটা করছে সেটাই তো সবচেয়ে বড় হারাম কাজ করছে,,। উসমানীয় খিলাফতের বিরোধীতা করে।।
    Last edited by Munshi Abdur Rahman; 02-26-2023, 10:01 AM.
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

    Comment


    • #3
      প্রিয় ভাই,আমার মুল উদ্দেশ্য ছিলো যে,সৌদিতে ইতিপূর্বে দ্বীন ছিলো, খোদ প্রবাসীরা পর্যন্ত স্বীকার করে যে,দুই তিন বছরে যেভাবে নারীরা বেপর্দা হচ্ছে, তা ইতিপূর্বে কল্পনাও করা যেত না। আর সৌদিতে কুরআনের শাসন ছিলো যদি পরিপূর্ণ ছিলো না।
      আর আপনি যেটা বলেছেন সেটাতো শাসকের সমস্যা। তুর্কীরা আসলে শেষের দিকে যেভাবে দূর্বল হয়ে গেছে এমনিতে হয়ত সৌদি হাতছাড়া হয়ে যেত। সুলতান সুলেমানের মৃত্যু পর থেকে ক্ষমতা নিয়ে হেরেমের নানা সমস্যা তাদের জর্জরিত করেছে। এরপর নিজ দেশেই তারা খিলাফাহ হারায়। যাই হোক স্বপ্ল জ্ঞানে যা আছে তা বলেছি।

      আর আপনি সব কমেন্টে ভাইসাব বলেন।সত্যি বলতে এই শব্দটা আমাকে খুব আনন্দিত করে।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন এবং কেউ দ্বীন থেকে দূরে স্মরে না যাক। আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment

        Working...
        X