Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে আমাদের অনেক বড় একটি শিক্ষা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসহাবে কাহাফের ঘটনা থেকে আমাদের অনেক বড় একটি শিক্ষা।

    অনেক সময় দেখা যায় ইসলামের জন্য কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে অনেকে শিরক ও কুফরের সাথে আপোষ করেন ।যদি শিরক, কুফরের সাথে আপোষ করে দ্বীনের জন্য কিছু করা যায় সেটাকে অনেক ভালো মনে করে।একেবারে দ্বীনের কাজ বন্ধ হওয়া, মাদরাসা মসজিদ বন্ধ হওয়া কিংবা ওয়াজ মাহফিল বন্ধ হওয়ার চেয়ে একটু আপোষ করে বা শিথিলতা করে দ্বীনের কাজ যদি করা যায় সেটাকে ভালো মনে করেন।


    অথচ ইসলামের ইতিহাস আমাদের এমনটি শিক্ষা দেয়া না, বরং ইতিহাসে দেখা যায়, শিরক ও কুফরের সাথে আপোষ না করে দ্বীনের উপর অটল থাকতে পারলে কোন না কোন সময় তাদের দ্বারা দ্বীনের বিশাল কাজ হয়।

    আসহাবে কাহাফের যুবকেরা শিরক, কুফরের সাথে কোন আপোষ না করে তারা শহর ছেড়ে গুহায় আশ্রয় নেন। তারা এমনটি ভাবেন নি যে, আমরা গুহায় চলে গেলে শহরে ইসলামের কথা কে বলবে, ওয়াজ মাহফিল কিংবা মাদরাসা কে চালাবে? আমরা কতটুকুই আমল করেছি, শহর ছেড়ে গুহায় গেলে কতটুকুই বা আমল হবে? শহরে থাকলেতো অনেক দাওয়াতি কাজ করতে পারবো৷
    বরং তারা গিয়ে গুহায় আশ্রয় নিয়ে ইমান বাঁচালেন । ফলে আল্লাহ তাদের তিনশো বছর ঘুমিয়ে রাখলেন।

    এরপর দেখুন,মহান আল্লাহ তাদের দ্বারা দ্বীনের বিশাল এক কাজ করালেন।
    তা হলো যখন তারা ঘুম থেকে উঠলো তখন সেই জনপদে তাওহীদ বাদী শাসক ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু তাদের মাঝে কিয়ামত নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলো, কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে গেলো। কেউ বললো মানুষ মরে, পঁচে অনু পরমানু হওয়ার পর আবার কিভাবে জীবিত হবে৷ তখন তাওহীদ বাদী শাসক খুব দোয়া করতেন যেন, আল্লাহ এই বিতর্কের মিমাংসা করে দেন। ফিতনা যেন নির্মূল হয়ে যায়।


    কিন্তু যখন শহরে জানাজানি হয়ে গেলে এই যুবকেরা প্রায় তিনশো বছর ঘুমানোর পরে আবার ঘুম থেকে উঠলেন, এতদিন না খেয়ে তারা জীবিত ছিলেন, তখন শহর থেকে এই ফিতনা দূর হয়ে গেলো৷ মানুষের আকীদা ঠিক হয়ে গেলো। দেখুন এই যুবকরা যদি প্রথমে গুহায় আশ্রয় না নিয়ে শহরে শিরক কুফরের সাথে নমনীয়তা করে দ্বীনের কাজ করতে চাইতেন তাহলে তারাই একসময় হয়ত দ্বীন থেকে দূরে সরে পড়তো।কিন্তু তারা এমন এক আমল করলেন যেই আমলটাই দাওয়াত হয়ে গেলো। শহর থেকে ফিতনা নিমূর্ল হলো। শুধু তাই না শত শত বছর তাদের ঘটনা মানুষ কুরআনে পড়তেছেন ও ইমান বৃদ্ধি হচ্ছে ।শ্রেষ্ঠ কিতাবে তাদের নামে একটা সূরাই নাযিল করে দিলেন।অথচ উনারা নবী কিংবা রাসূল নন, মাত্র কয়েকজন যুবক। মুমিনদের ত্যাগ স্বীকার করার মনমানসিকতা তৈরী হচ্ছে ।

    এরপর দেখুন রাসূল সাঃ কেও মক্কার কাফেররা ক্ষমতার লোভ দেখিয়েছিলো। তিনি চাইলে আগে ক্ষমতা গ্রহন করে, ক্ষমতার পরিধি বাড়িয়ে এরপরে তাওহীদের দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে পারতেন।কিন্তু তিনি তা করেন নি, কোন প্রকার আপোষ করেন নি, কোন সন্ধি করেন নি। ফলে একসময় মহান আল্লাহ ইসলামের বিজয় দিলেন। মক্কার ক্ষমতাও পেলেন মানুষ দলে দলে ইসলাম গ্রহন করলেন।

    শিরক, কুফরের সাথে আপোষ করে কখনও সফলতা লাভ করা যায় না। আজ অনেকেই গনতন্ত্রকে কুফরী মনে করলেও সেটাকে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন। দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যম হিসেবে নিয়েছেন। অথচ শিরক কুফুরীর মাধ্যম দিয়ে সমাজে তাওহীদ প্রতিষ্ঠা ইতিপূর্বেও হয় নি, সামনেও হবে না ইনশাআল্লাহ।







  • #2
    পৃথিবীতে ভালো মন্দ উভয় জিনিস বিদ্যমান রয়েছে তাই ভালো থাকতে হলে সর্বদা মন্দ থেকে পৃথক থাকতে হয় । সুতরাং পৃথিবীতে যেমনি ভাবে ঈমানী আকিদ্বার বিদ্যমান রয়েছে তেমনি ভাবে কুফরী আক্বিদারও বিদ্যমান রয়েছে । এবং উভয় আকিদা কখনো একত্রিত হতে পারে না। এবং আক্বিদার ভিত্তি যেহেতু অন্তর দিয়ে ভালোবাসার উপর স্থগিত তাই তার বিপরীত আক্বিদার উপর অন্তর দিয়ে ঘৃনা রাখতে হবে তাই তার আক্বিদা যত বেশি মজবুত হবে তার বিপরীত আক্বিদার উপর তত বেশী ঘৃনা তৈরি হবে । সুতরাং কুফরের সাথে আপোষ বা ভালোবাসার কারনে এর প্রতি ঘৃনা চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সুতরাং যদি কুফরের প্রতি ঘৃনা চলে যায় তখন ঈমানের প্রতি আর কোন ভালোবাসা থাকবে না । আর ঈমানের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে তার ঈমান থাকবে না অর্থাৎ সে কাফের হয়ে যাবে। দলিল عَن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِهِ وَوَالِدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ
    আনাস বিন মালিক কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি তার নিকট তার পিতা, সন্তান এবং সকল মানুষ অপেক্ষা প্রিয়তম হয়েছি।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      গণতন্ত্র দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা, আর ছিদ্র নৌকায় করে নদী পার হওয়া একই কথা।

      রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর পদ্ধতি ত্যাগ করা এক অভিশাপ তাদের উপরে,

      অপরদিকে বিজাতীয় শির্কী তরিকা অবলম্বন করে "মুসলিম উম্মাহকে ধোকা দেওয়া,। আরেক অভিশাপ "

      আল্লাহ এদের হেদায়েত দান করুন, যারা গণতন্ত্রের রাজনীতি করে তারাও জানে, কখনো এভাবে ইসলাম কায়েম হবেনা তবুও তারা, সে পথ ছাড়বে না।। কারণ এতে মজা পেয়ে গেছে,, ভেরতগত কথা, আর নাইবা উল্লেখ করলাম।।
      সর্বোত্তম আমল হলো
      আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
      আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

      Comment

      Working...
      X