[/b][/b]বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
প্রথমেই বলে নিই, আমার লেখায় কোন ভুল-শাব্দিক বা চিন্তাগত- হলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন। জাঝাকুমুল্লাহ।
আমাদের বর্তমান যুগের মুসলিমদের অবস্থা হচ্ছে , সে মুসলিম কিন্তু সে জানেনা যে, কেন সে মুসলিম। কেন সে ইসলাম ধর্ম পালন করছে। অন্যান্য মতবাদ ও মাজহাবকে কেন সে গ্রহন করে নিচ্ছেনা। তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কেন মুসলিম হয়েছ? ইসলাম ধর্ম কেন পালন করছ? সে ঠিক কি জবাব দেবে আমার জানা নেই। হয়ত বলবে আমার বাবা মুসলিম ছিল, তাই আমি মুসলিম; বা চুপ থাকবে। বা এমন কিছু বলবে যা তেমন ষ্ট্যান্ডার্ড হবেনা !
অথচ সাহাবায়ে কেরাম মুসলিম হতেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতেন পরিপূর্ণ ভাবে বুঝে শুনে, জাহিলিয়্যাতের ভুল-বাটপারি এবং খাবাছাত ও নোংরামি আর ইসলামের শোভা-সৌন্দর্য এবং বিশুদ্ধতা ও পবিত্রতার মাঝে তারা পার্থক্য করতে পারতেন। পার্থক্য বুঝতে পারতেন। এভাবে যখন তাদের সামনে সত্য স্পষ্ট হয়ে উঠত তখন তারা অবলীলায় দ্বীনকে গ্রহন করে নিতেন। ফলে জাহিলিয়্যাতের নানা জুলুম তাকে টলাতে পারতনা সত্য থেকে। যেহেতু ভালো ও মন্দের বুঝ-জ্ঞান তাঁর হয়ে গেছে।
একজন কলেজ পড়ুয়া বা আধুনিক ছেলে যখন ইসলাম পালন শুরু করে, তখন দেখা যায় নামাজে তার খুশু খুজু অনেক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের চেয়ে বেশী। তার তাকওয়া পরহেজগারীতাও অনেক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী থেকে বেশী।(আমি বলছিনা সবার থেকে বেশী) কিন্তু কেন ? এমনটা কেন হয় ? আমার মনে হয় কারণ টা হচ্ছে, আধুনিক এই ছেলেটি-যে ইসলাম পালন শুরু করেছে-সে যেহেতু আগে জাহিলিয়্যাতে ছিল আর এখন ইসলামে এসেছে তাই তার সামনে ভালো মন্দ ক্লিয়ার। আর বিপরীতে মাদ্রাসার ছাত্রটি যে শুরু থেকেই রক্ষণশীল পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, কিন্তু তার ভিতরে সেই রক্ষণশীলতার মূল্যবোধ জায়গা পায়নি। ভালো ও মন্দ তার সামনে তেমন ভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেনি। সে নামাজ পড়েছে হয়ত ছোট কাল থেকেই, কিন্তু তা পড়েছে বাধ্য হয়ে বা পরিবেশের চাপে। তার ভিতরটা ঠিক করা হয়নি পরিপূর্ণ ভাবে। রবের সাথে বান্দার সম্পর্কের গুরুত্ব তার কচি মনে গেঁথে দেয়া হয়নি ভালো ভাবে। অথচ আমরা আল্লাহর রসূলের সেই হাদীস জানি, যেটা তিনি বলেছিলেন ক্বলবের গুরুত্ব নিয়ে। ক্বলব হচ্ছে রাজা আর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সব প্রজা। ফলে মূলটাই যখন ঠিক করা হয়নি, তখন একটা সময় যাওয়ার পর শাখা-প্রশাখা গুলো মূলের অনুসরণ করা শুরু করে। ফলাফল, তার তাকওয়া-পরহেজগারীতাও হুমকির মুখে পড়ে। অর্থাৎ মাদ্রাসার ছাত্রটির শুধু বাহ্যিক অবয়ব ইসলাহ হয়েছে, কিন্তু অন্তরটা সেভাবে ইসলাহ হয়নি। কিন্তু এর বিপরীত কলেজ পড়ুয়া ছাত্রটি, যে ইসলামকে অন্তর থেকে ধারণ করেছে, ইসলামের সৌন্দর্য তার অন্তরের কাছে ধরা দিয়েছে। ফলে গান্দেগী ও সুগন্ধি তার সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই তার তাকওয়া পরহেজগারীতাতে অটলতা এসেছে।
(তবে মাদ্রাসার ছাত্রটির বাহ্যিক অবয়বকে ইসলাহ করার পাশাপাশি যদি তার অন্তরটা ইসলাহ করা যেতো, তাহলে সে নিঃসন্দহে বহু আগেই ফুল হয়ে উঠত, যার থেকে সুভাষ নেয়ার জন্যে, যাকে এক নজর দেখার জন্যে আদম সন্তানের ভীড় লাগত। ভবিষ্যতে সে হয়ে উঠত আলোকিত এক সূর্য, যা কুয়াশার চাদরকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়ে আলোয় আলোকিত করে তুলত ভূবনকে।)
তো এখানে মূল বিষয় হচ্ছে মন মানস ও স্বভাব পরিবর্তন করা। যেমনটা আল্লাহর নবী করেছেন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তাই আমাদেরকেও ইসলাম গ্রহন করতে হবে মূল অনুসন্ধান করে। তাওহীদের হাকীকত বুঝে। বা মুসলিম হওয়ার পর এখনই আমাদের উচিত তাওহীদের হাকীকত বুঝা, চিন্তা ফিকির করা। ক্বলবকে পরিশুদ্ধ করা। শুধু বংশ সূত্রে আমরা মুসলিম হয়েই ক্ষ্যান্ত হবনা। যাতে ভালো ও মন্দ আমাদের সামনে মধ্যাহ্নের সুর্যটির মতই স্পষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আশা করি আমরা আমাদের আদর্শে অটল-অবিচল থাকতে পারব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাঝে সুবুদ্ধি উদয় করুন। আমাদেরকে তার সাথে উত্তম সম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফীক দান করুন। আমীন।
প্রথমেই বলে নিই, আমার লেখায় কোন ভুল-শাব্দিক বা চিন্তাগত- হলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন। জাঝাকুমুল্লাহ।
আমাদের বর্তমান যুগের মুসলিমদের অবস্থা হচ্ছে , সে মুসলিম কিন্তু সে জানেনা যে, কেন সে মুসলিম। কেন সে ইসলাম ধর্ম পালন করছে। অন্যান্য মতবাদ ও মাজহাবকে কেন সে গ্রহন করে নিচ্ছেনা। তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি কেন মুসলিম হয়েছ? ইসলাম ধর্ম কেন পালন করছ? সে ঠিক কি জবাব দেবে আমার জানা নেই। হয়ত বলবে আমার বাবা মুসলিম ছিল, তাই আমি মুসলিম; বা চুপ থাকবে। বা এমন কিছু বলবে যা তেমন ষ্ট্যান্ডার্ড হবেনা !
অথচ সাহাবায়ে কেরাম মুসলিম হতেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতেন পরিপূর্ণ ভাবে বুঝে শুনে, জাহিলিয়্যাতের ভুল-বাটপারি এবং খাবাছাত ও নোংরামি আর ইসলামের শোভা-সৌন্দর্য এবং বিশুদ্ধতা ও পবিত্রতার মাঝে তারা পার্থক্য করতে পারতেন। পার্থক্য বুঝতে পারতেন। এভাবে যখন তাদের সামনে সত্য স্পষ্ট হয়ে উঠত তখন তারা অবলীলায় দ্বীনকে গ্রহন করে নিতেন। ফলে জাহিলিয়্যাতের নানা জুলুম তাকে টলাতে পারতনা সত্য থেকে। যেহেতু ভালো ও মন্দের বুঝ-জ্ঞান তাঁর হয়ে গেছে।
একজন কলেজ পড়ুয়া বা আধুনিক ছেলে যখন ইসলাম পালন শুরু করে, তখন দেখা যায় নামাজে তার খুশু খুজু অনেক মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রের চেয়ে বেশী। তার তাকওয়া পরহেজগারীতাও অনেক মাদ্রাসার শিক্ষার্থী থেকে বেশী।(আমি বলছিনা সবার থেকে বেশী) কিন্তু কেন ? এমনটা কেন হয় ? আমার মনে হয় কারণ টা হচ্ছে, আধুনিক এই ছেলেটি-যে ইসলাম পালন শুরু করেছে-সে যেহেতু আগে জাহিলিয়্যাতে ছিল আর এখন ইসলামে এসেছে তাই তার সামনে ভালো মন্দ ক্লিয়ার। আর বিপরীতে মাদ্রাসার ছাত্রটি যে শুরু থেকেই রক্ষণশীল পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, কিন্তু তার ভিতরে সেই রক্ষণশীলতার মূল্যবোধ জায়গা পায়নি। ভালো ও মন্দ তার সামনে তেমন ভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেনি। সে নামাজ পড়েছে হয়ত ছোট কাল থেকেই, কিন্তু তা পড়েছে বাধ্য হয়ে বা পরিবেশের চাপে। তার ভিতরটা ঠিক করা হয়নি পরিপূর্ণ ভাবে। রবের সাথে বান্দার সম্পর্কের গুরুত্ব তার কচি মনে গেঁথে দেয়া হয়নি ভালো ভাবে। অথচ আমরা আল্লাহর রসূলের সেই হাদীস জানি, যেটা তিনি বলেছিলেন ক্বলবের গুরুত্ব নিয়ে। ক্বলব হচ্ছে রাজা আর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সব প্রজা। ফলে মূলটাই যখন ঠিক করা হয়নি, তখন একটা সময় যাওয়ার পর শাখা-প্রশাখা গুলো মূলের অনুসরণ করা শুরু করে। ফলাফল, তার তাকওয়া-পরহেজগারীতাও হুমকির মুখে পড়ে। অর্থাৎ মাদ্রাসার ছাত্রটির শুধু বাহ্যিক অবয়ব ইসলাহ হয়েছে, কিন্তু অন্তরটা সেভাবে ইসলাহ হয়নি। কিন্তু এর বিপরীত কলেজ পড়ুয়া ছাত্রটি, যে ইসলামকে অন্তর থেকে ধারণ করেছে, ইসলামের সৌন্দর্য তার অন্তরের কাছে ধরা দিয়েছে। ফলে গান্দেগী ও সুগন্ধি তার সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই তার তাকওয়া পরহেজগারীতাতে অটলতা এসেছে।
(তবে মাদ্রাসার ছাত্রটির বাহ্যিক অবয়বকে ইসলাহ করার পাশাপাশি যদি তার অন্তরটা ইসলাহ করা যেতো, তাহলে সে নিঃসন্দহে বহু আগেই ফুল হয়ে উঠত, যার থেকে সুভাষ নেয়ার জন্যে, যাকে এক নজর দেখার জন্যে আদম সন্তানের ভীড় লাগত। ভবিষ্যতে সে হয়ে উঠত আলোকিত এক সূর্য, যা কুয়াশার চাদরকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়ে আলোয় আলোকিত করে তুলত ভূবনকে।)
তো এখানে মূল বিষয় হচ্ছে মন মানস ও স্বভাব পরিবর্তন করা। যেমনটা আল্লাহর নবী করেছেন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তাই আমাদেরকেও ইসলাম গ্রহন করতে হবে মূল অনুসন্ধান করে। তাওহীদের হাকীকত বুঝে। বা মুসলিম হওয়ার পর এখনই আমাদের উচিত তাওহীদের হাকীকত বুঝা, চিন্তা ফিকির করা। ক্বলবকে পরিশুদ্ধ করা। শুধু বংশ সূত্রে আমরা মুসলিম হয়েই ক্ষ্যান্ত হবনা। যাতে ভালো ও মন্দ আমাদের সামনে মধ্যাহ্নের সুর্যটির মতই স্পষ্ট হয়ে যায়। তাহলে আশা করি আমরা আমাদের আদর্শে অটল-অবিচল থাকতে পারব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মাঝে সুবুদ্ধি উদয় করুন। আমাদেরকে তার সাথে উত্তম সম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফীক দান করুন। আমীন।
Comment