যারা কিছুদিন ভালোভাবে দ্বীন পালন করার পর দ্বীনি কাজে গাফিলতি করেন তাদের জন্য সতর্কবার্তাঃ
{{{যার ভিতরেই দ্বীন ভালোভাবে পালনের ব্যাপারে গাফিলতিই পরিলক্ষিত হয় তার জন্য লিখাটা খুবই উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। লিখাটা যতবার পড়া হবে ততবারই অন্তর কেঁপে উঠবে ইনশাআল্লাহ }}}
এই পৃথিবীতে দেখা যায় কাফেররা দিনের পর দিন অনেক পাপ করার পরেও দীর্ঘ একটা সময় তাদের উপর আল্লাহর আযাব আসে না। কিন্তু দেখা যায় যে ব্যক্তি এক সময় ভালো দ্বীন পালন করতো, ভালো ইমান দ্বার ছিলো তার আযাব খুব দ্রুত চলে আসে। কিন্তু কেন?
একটু চিন্তা করুন, আপনি যখন কারো প্রতি সবচেয়ে বেশি দয়া দেখাবেন, তাকে খুব ভালোবাসবেন, তার থেকে যখন কোন কষ্ট দায়ক কিছু আসবে তখন সেটা একটু বেশিই আঘাত দেয়।
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হলো ইমান। যা পূর্বের বহু উম্মত পেয়েছে, কিন্তু মহান আল্লাহর আরো একটি বড় নেয়ামত হলো উম্মতে মুহাম্মদ হওয়া, যা আমাদেরকে তিনি দিয়েছেন,আমাদেরকে তিনি অমুসলিম বানান নি, রাফেজি,খারেজি, জাবরিয়া, কাদরিয়া ইত্যাদি বানান নি। তিনি চাইলে আমাদের অনেক মুসলিমের মত দ্বীন কায়েমের জ্ঞান অর্জন থেকে মাহরুম করতে পারতেন।
কিন্তু তিনি দয়া করে কত বড় বড় নেয়ামত দিলেন। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় এই নেয়ামতগুলো পাওয়ার পর যখন মহান আল্লাহ দ্বীনের অনেক জ্ঞান ও সৎলোকের সঙ্গ দেওয়ার পরেও যখন আপনি দ্বীন থেকে দূরে যান বা শীতিলতা দেখান তখন বিষয়টা অনেক বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়ায়।
এজন্য দেখা যায় মুসলিমদের মাঝে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে আল্লাহ তাড়াতাড়ি বিপদ দিয়ে দেন।
মূসা আঃ এর সময় বালআম বাউর নামক এক মুসতাযাবুদ দাওয়া ছিলেন, যে দোয়া করার সাথে সাথে কবুল হতো। কিন্তু দুনিয়ার মোহে যখন সে আল্লাহর এতো বড় নেয়ামতের কথা ভুলে গেলো, সাথে সাথে আল্লাহ আযাব দিয়ে দিলেন। তার জিহ্বাকে কুকুরের মত বের করে দিলেন,ফলে সে কুকুরের মত জিহবা বের করে হাঁপাতে হাঁপাতে মারা গেলো ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বৃত্তান্ত পড়ে শুনাও, যাকে আমি দিয়েছিলাম নিদর্শন। অতঃপর সে উহাকে বর্জন করে, পরে শয়তান তার পেছনে লাগে, আর সে বিপথগামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়। আমি ইচ্ছা করলে এ দ্বারা তাকে উচ্চ মর্যাদা দান করতাম, কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ে ও তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। তার অবস্থা কুকুরের ন্যায়, উহার ওপর তুমি বোঝা চাপালে সে হাঁপাতে থাকে এবং তুমি বোঝা না চাপালেও হাঁপায়। যে সম্প্রদায় আমার নিদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে তাদের অবস্থাও এই রূপ, তুমি বৃত্তান্ত বিবৃত কর যাতে তারা চিন্তা করে’ (সূরা আরাফ ১৭৫-১৭৬)।
চিন্তা করে দেখুন, যারা বালআম বাউরকে মূসা আঃ এর বিরুদ্ধে দোয়া করার জন্য দুনিয়ার লোভ দেখিয়েছিলো তাদের বিপদও এতো দ্রুত আসে নি যত দ্রুত বালআম বাউরের এসেছে।এবার চিন্তা করুন আল্লাহ আমাকে আপনাকে বালআম বাউরের চেয়ে আরো বড় নেয়ামত দিয়েছেন। তিনি ইমানের দৌলত দিয়েছেন, না চাইতে শেষ নবীর উম্মত বানিয়েছেন, যে নবীর উম্মত হওয়ার জন্য সকল নবী চেয়েছেন।সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাবের কিছু ইলম দান করেছে, কিছুদিন দ্বীনের পথে চলার তাওফিক দিয়েছেন, এত কিছুর পরেও আপনি দ্বীন থেকে দূরে সরে গেলে তার পরিনতি কতটা ভয়ংকর হবে তা কি ভেবেছেন?
কাফের মুশরিকরা কত যিনা ব্যভিচার করে অথচ আল্লাহ খুব দ্রুত সাধারনত আযাব দেন না।এমনকি হাদিসেতো বলা হয়েছে এই দুনিয়া কাফিরদের জন্য জান্নাত। কিন্তু বনী ইসরায়েলের মাঝে এক ব্যক্তি যিনায় লিপ্ত হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহ এমন আযাব দিলেন যে, সত্তর হাজার লোক প্লেগ রোগে মারা গেলো। আল্লাহ আযাব দিতে দেরি করেন নি। কিন্তু এই সত্তর হাজার মারা যাওয়ার পিছনে কার ভুমিকা ছিলো জানেন? বালয়াম বাউরের ভুমিকা ছিলো, কেননা সে কাফেরদের পরামর্শ দিল যেন মূসা আঃ এর বাহিনীকে নারীর ফেতনা পেলা যায়। কেননা এটা এমন এক তীর যা খুুব কমই মিছ হয়।আজও যারা একসময় ভালো দ্বীন পালন করতো তারা দ্বীন থেকে দূরে সরে গেলে বড় নিকৃষ্ট হয়ে যায়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি তারা পরিবার, সমাজ ও ইসলামের জন্য বিষধর সাপ হয়।দেখা যায় কাফেরদের দ্বারাও ইসলামের এতো বড় ক্ষতি হয় না যত ক্ষতি হয় তাদের দ্বারা। তারই প্রমান হলো বালআম বাউর কাফেরদের যুদ্বে নামানোর আগেই মুসলিমদের সত্তর হাজার কাবু হয়ে গেছে।
আবার দেখুন মূসা আঃ এর সময়ে শুধু মাত্র এক ব্যক্তির পাপের কারনে বৃষ্টি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি মূসা আঃ এর দোয়া পর্যন্ত কবুল হয় নি।
এরপরে মূসা আঃ এর সময় বনী ইসরায়েলের উপর যখন জিহাদের আদেশ আসার পর তারা তা পালন করে নি, সাথে সাথে তাদের উপর শাস্তি চলে আসছে। তাদের কাছ থেকে প্রথমত নবী মূসা আঃ ও উনার ভাই হারুন (আঃ) কে তুলে নেওয়া হয়েছে।(মনে রাখবেন, সমাজে পাপ বেড়ে গেলে আল্লাহ নেককার লোকদের সে সমাজ থেকে তুলে নেন, মাত্র এক/ দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে বহু আলিম বিদায় নিয়েছেন, যাদের সমান আলেম আর হয়ত আসবে না। সবচেয়ে বেশি হক্কানি আলিমরা আজ জ্বেলে আছেন।যে ব্যক্তি হঠাৎ দ্বীন থেকে দুরে সরে যায় তার জন্য প্রথম শাস্তি হিসেবে দ্বীনদ্বার ও আলেম ওলামাদের সোহবত থেকে বন্ছিত হয়।)
এরপর চল্লিশ বছর আল্লাহ তা'য়ালা বনী ইসরাইলকে " তীহ" নামক প্রান্তরে ঘুরিয়েছেন। তারা সকালে সেই প্রান্ত থেকে বের হতো সারাদিন হাঁটার পর তারা দেখতো তারা সেই জায়গায় আছে যেই জায়গায় থেকে বের হয়েছে।
এভাবে আরো একটি ঘটনা রয়েছে।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেনঃ
اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ خَرَجُوۡا مِنۡ دِیَارِہِمۡ وَ ہُمۡ اُلُوۡفٌ حَذَرَ الۡمَوۡتِ ۪ فَقَالَ لَہُمُ اللّٰہُ مُوۡتُوۡا ۟ ثُمَّ اَحۡیَاہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَشۡکُرُوۡنَ ﴿۲۴۳﴾
তুমি কি তাদের দেখনি, যারা মৃত্যু-ভয়ে হাজারে হাজারে আপন ঘর-বাড়ি পরিত্যাগ করেছিল? অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে বলেছিলেন, ‘তোমাদের মৃত্যু হোক।’ পরে তাদেরকে জীবিত করলেন।[1] নিশ্চয়, আল্লাহ মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল; কিন্তু অধিকাংশ লোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।
এ আয়াত সম্পর্কে তাফসীরে একটা ঘটনা উল্লেখ করা হলো। ঘটনাটি হলো বনী ইসরায়েলের মাঝে একবার মহামারী দেখা দিয়েছিলো। মহামারী হলে নিয়ম হলো সেখান থেকে বের না হওয়া, কিন্তু তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক মৃত্যু ভয়ে দুই পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থান নিলো। আল্লাহ তাদের সাথে সাথে মৃত্যু দিলেন, দুই পাহাড়ের দুই দিক থেকে দুইজন ফেরেশতা জোরে চিৎকার দিলেন ফলে তারা সবাই মারা গেলো। এখান থেকে সবার জন্য বড় শিক্ষা হলো যে ভয়ে তারা মৃত্যু থেকে পালালো সেই আযাবই তাদের উপর এসে পড়লো।
যারা বিভিন্ন কিছুর ভয়ে আল্লাহর হুকুম অমান্য করে তাদের উপরেই দেখা যায় সে বিপদ কিংবা তার চেয়ে কঠিন বিপদ আসে।অথচ তারা যদি মহামারির এলাকায় থেকে মৃত্যু বরনও করতো তাহলে শহীদের মার্যাদা পেত।
বারসীসার ঘটনা অনেকেই জানেন, যে কিনা নেক সুরতে শয়তানের ধৌকায় পড়ে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে যিনা করে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত হয়েছিলো এরপর ইমান হারা হয়ে দুনিয়া থেকে গেলো।
একটু চিন্তা করুন,এই পৃথিবীতে কুরআনের চেয়ে দামী আর কিছু নাই এমনকি সকল নবী রাসূলের চেয়েও দামী হলো কুরআন। সেই কুরআনের জ্ঞান পাওয়ার পর যদি দ্বীন থেকে দূর সরে যান তার পরিনতি কত ভয়াবহ হতে পারে চিন্তা করেছেন কি কখনও?
দ্বীন কায়েমের সঠিক ইলম পেয়েও যদি আপনি তা থেকে দূরে সরে পড়েন তার পরিনতি কত কঠিন হবে তা কি চিন্তা করেছেন কখনও?
সকল নবী রাসূল সাঃ এর উম্মত হতে চেয়েছিলো, কিন্তু আল্লাহ আপনাকে দয়া করে উনার উম্মত বানিয়েছেন। আপনি যদি সেই দয়ার সঠিক শোকর আদায় না করেন তার পরিনতি কতটা ভয়াবহ হবে চিন্তা করেছেন কি কখনও?
ইহুদীদের অবস্থা দেখুন তারা আজ ৬০/৭০ বছর একটু মাথা তুলে দাড়িয়েছে।কিন্তু এর আগে তারা হাজার হাজার বছর লাঞ্ছিত অবস্থায় ছিলো। কোথাও তারা একটু ঠাঁই পেত না। বন জঙ্গলে কিংবা সমুদ্র পথে পথে ঘুরে বেড়াতো। তাদের ইতিহাস পড়ুন।তাদের জীবন এক বিভিষিকা ময় জীবন। কিন্তু কেন তারা এতো লাঞ্ছিত? তাদের উপর আল্লাহর বিশাল নেয়ামত ছিলো,তাদের জন্য আসমান থেকে খাদ্য আসতো, হাজার হাজার নবী আল্লাহ তাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তারা এসম নেয়ামতের মুল্যায়ন করে, ফলে তাদের উপর চলে আসে প্রছন্ড লাঞ্ছনা। অনেকেই হিটলার তাদের সাথে কেমন আচরন করেছে সেটা কমবেশি জানেন। কিন্তু ইতিপূর্বে বহু বার তাদের চরম দূর্দিন গেছে। আসুন জেনে নিয় ইতিহাসের পাতা থেকে তাদের এক চরম লাঞ্ছনার ইতিহাস,যা বর্নিত হয়েছে আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া।
"ওহাব ইবনে মুনাব্বিহ বলেনঃ
বনী ইসরাইলের মধ্যে যখন অনাচার ও পাপাচারের সর্বগ্রাসীরুপে লাভ করে তখন তাদের নবী আরমিয়ার নিকট আল্লাহ এই মর্মে ওহী প্রেরন করেন, তুমি তোমার সম্প্রদায়ের লোকদের জানাও যে, তাদের হৃদয় আছে কিন্তু তারা উপলদ্বি করে না, চক্ষু আছে কিন্তু দেখে না।কান আছে শুনে না। আমি তাদের পূর্বপুরুষদের উত্তম কর্মসমুহের স্মরন করছি ফলে তাদের সন্তানদের উপর আমার করুনাধারা বর্ষিত হয়েছে। ওদের জিজ্ঞেস করে দেখো, আমার আনুগত্যের সুফল তারা কিভাবে লাভ করেছে,আমার অবাধ্য হয়ে কেউ কি সৌভাগ্যবান হয়েছে কিংবা আমার আনুগত্য করে কেউ কি দূর্ভাগা হয়েছে?সমস্ত প্রানীই নিজ নিজ বাসস্থানের কথা স্মরন করে এবং সে দিকেই ফিরে যায়। আর এই সম্প্রদায়ের লোকেরা আমায় সেই আদেশ লংঘন করেছে যা মেনে চলার কারনে আমি এদের পূর্ব পুরুষদের সম্মানিত করেছিলাম।এর ভিন্ন পথে চলে সম্মান লাভ করতে চেয়েছে।তাদের ধর্মযাজকরা আমার হক বিস্তৃত হয়েছে।তাদের বিদ্বানর ব্যক্তিরা আমার পরিবর্তে অন্যের ইবাদাত করেছে।তাদের ধর্মপ্রানর ব্যক্তিরা নিজেদের জ্ঞান দ্বারা উপকৃত হয় নি এবং তাদের শাসকরা আমার ও আমার রাসূলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। তাদের অন্তরে লুক্কায়িত আছে গভীর ষড়যন্ত্র আর মুখে আছে মিথ্যা বুলি।আমি আমার প্রতাপ ও মার্যাদার কসম করে বলছি,আমি তাদের উপর এমন এক জাতিকে চাপিয়ে দিবো।যারা বুঝবে না এদের ভাষা, চিনবে না এদের চেহারা, বিগলিত হবে না তাদের অন্তর এদের কান্নায়। আমি তাদের মাঝে পাঠাবো এমন এক জালিম বাদাশাহ। যার সৈন্য বাহিনীর বহর হবে মেঘমালার ন্যায়। সৈন্য সারিগুলোকে মনে হবে প্রশস্ত গিরিপথ, তাদের পতাকার শব্দ ধ্বনি শোনা যাবে শকুন পালের উড্ডয়নের ধ্বনির ন্যায়। তাদের অশ্ব বাহিনীর আক্রমন হবে ঈগল পাখীর ছোবলের ন্যায়।তারা নগর সমুহকে ধ্বংসস্তূপে পরিনত করবে,পল্লীগুলোকে করবে বিরান। হায় কি দূভাগ্য ইলিয়া ও তার অধিবাসীদের। হত্যা ও বন্ধীত্বের লাঞ্ছনা রশিতে তাদেরকে আবদ্ব করা হবে।সহসাই পরিবর্তিতে হয়ে যাবে বিবাহ অনুষ্ঠানের আনন্দ কোলাহল বীভংস চিৎকার ধ্বনিতে।
অশ্বের হ্রেষা ধ্বনি স্থলে শ্রুত হবে হিংস স্বাপদের তর্জন গর্জন। সুরম্য ভবনাদি ঘেরা মনোরম শহর পরিনত হবে বন্য জীবজন্তুর আবাস ভুমিতে।রাত্রিবেলা যে স্থানে থাকত আলোর দীপ্তিতে সদা ঝলমল, সেখানে নেমে আসবে আমানিশার ঘোর অন্ধকার। এদের ভাগ্যে জুটবে সম্মানের পরিবর্তে লান্ছনা। ঐশ্চর্যের পরিবর্তে দাসত্ব। তাদের স্ত্রীরা সুরভিত হওয়ার স্থলে হবে ধুলিধুসরিত।উপাধান আয়েশের স্থলে তারা ছলবে নগনপদ উদের মত।তাদের দেহগুলো মাটির খাদ্যে পরিনত হবে এবং সূর্যের তাপে হাড্ডিগুলো চক চক করবে। এগুলো ব্যতিত আরও বিভিন্ন প্রকার শাস্তি দ্বারা আমি তাদের নিষ্পেষিত করবো।এরপর আমি আকাশকে হুকুম দিবো।ফলে আকাশ লৌহস্তরে পরিনত হবে। এবং যমীন বিগলিত তামায় পরিনত হবে।এমতাবস্থায় বৃষ্টি হলেও ফসল উৎপাদিত হবে না।যদি অল্প কিছু উৎপাদিত হয়ও তবে বন্য জীবজন্তুর প্রতি আমার অনুগ্রহের কারনে হবে। ফসল উৎপন্ন হওয়ার সময় আমি বৃষ্টি পাত বন্ধ রাখবো এবং ফসল উঠাবার সময় বৃষ্টিপাত ঘটাবো।এসময়ের মধ্যে সামান্য পরিমান ফসল উৎপাদন করতে যদি তারা সক্ষমও হয় তবে ফসল নষ্ট করার বিভিন্ন দূর্যোগ আমি চাপিয়ে দিবো।সে দূর্যোগ থেকে যদি সামান্য রক্ষাও পায়।তা থেকে আমি বরকত উঠিয়ে নিবো। যদি তারা আমার নিকট ফরিয়াদও করে আমি তাতে সাড়া দিবো না।তারা আমার অনুগ্রহ কামনা করলেও আমি কিছুই দান করবে না।তাদের কান্নাকাটিতে আমি সদয় হবো না।তাদের কাকুতি - মিনতি সত্ত্বেও আমি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো।"( আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পৃষ্টা ৭৪-৭৫)ইঃফাঃ
বনী ইসরায়েল নবী আরমিয়া আঃ এর কথা বিশ্বাস করে নি, ফলে বখতে নসর এসে তাদের অবস্থা মেচাকার করে দিয়ে যায়। আজও আমাদের অবস্থা দেখুন, আমরা যখন দ্বীন থেকে দূরে সরে গেছি তখন লাঞ্ছিত অবস্থায় জীবন অতিক্রম করতে হচ্ছে। একসময় যে ইউরোপ মুসলিমদের দেশে এসে চাকরি করতো ব্যবসা করতো আজ মুসলিম দেশ থেকে তাদের গোলামি করার জন্য দলে দলে যাচ্ছে।
তাই নিজের ব্যাপারে সতর্ক হোন, আজই মুহাসাবা করুন। আপনি কি দ্বীন থেকে আগের চেয়ে দূরে সরে গেছেন নাকি আগের চেয়ে আরো উন্নতি হয়েছে। বার বার রাসূল সাঃ এর সেই হাদিস খানা স্মরন করুন যে হাদিসে বলা হয়েছে আল্লাহ সর্বপ্রথম আলিম, শহীদ ও দানবীর দিয়ে জাহান্নাম উদ্ভধন করবেন। যেই হাদীস বর্ননা করতে গিয়ে রাবী তিন বার বেহুশ হয়েছে আর আমরা একবারও হই নি।
সেই হাদিস খানা স্মরন করুন যেখানে বলা হয়েছে কিয়ামতের পূর্বে সকালে ঘর থেকে মুমিন অবস্থায় বের হবে আর কাফের হয়ে ঘরে ফিরবে।
কাফেররা তো কখনও জান্নাতে যাবে না।
আপসোস এই সময় আমাদের কতটা সতর্ক হওয়ার দরকার ছিলো অথচ আমরা কত গাফিল হয়ে যাচ্ছি।
Comment