ﺑِﺴْــــــــــــــــﻢِﷲِﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِﺍلرَّﺣِﻴﻢ ️
আপনি আল্লাহ্ তা'য়ালাকে কতটুকু ভালবাসেন?
আপনি আল্লাহ্ তা'য়ালাকে কতটুকু ভালবাসেন?
আল্লাহ তা'য়ালার প্রতি আপনার কতটুকু ভালবাসা রয়েছে? এটা বুঝার জন্য আজকে ছোট্ট একটি উদাহরণ দিচ্ছি। ছোট্ট একটি ঘটনা বলছি।
একটি ছেলে পড়াশুনা করার জন্য জার্মানিতে গিয়েছিল। সে আট বছর যাবত জার্মানীতে পড়াশুনা করে। তার মা ছিলেন একেবারেই সহজ-সরল গ্রাম্য মানুষ। তিনি পড়ালেখা জানতেন না। আর সে সময় ইন্টারনেট ছিলনা, মোবাইল ফোনের প্রচলনও ছিলনা। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠিপত্রের আদান-প্রদান।
ছেলেটি প্রত্যেক মাসে মায়ের কাছে একটি করে চিঠি পাঠাতো। তার মা যেহেতু পড়ালেখা জানতো না তাই প্রথম মাসে চিঠিটি আসা মাত্রই তিনি দৌড়ে প্রতিবেশির কাছে ছুটে গেলেন। তাদেরকে একটু চিঠিটি পড়ে শোনাতে বললেন, যে তার আদরের সন্তান তার কাছে কি বার্তা পাঠিয়েছে।
প্রতিবেশি যখন চিটিঠি পড়ে শুনালো তখন তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়লো আর তার আদরের সন্তানের কথা স্মরণ হতে লাগলো।
দ্বিতীয় মাসে যখন চিঠি আসলো তখন তিনি পূর্বের ন্যয় একই কাজ করলেন। তৃতীয় মাসে যখন চিঠি আসলো তখন সেই প্রতিবেশী যাকে দিয়ে তিনি পড়াতেন সে কোন এক কারনে শহরের বাইরে গিয়েছিলেন। সেদিন চিঠি পড়ে শুনানোর মত কেউ ছিল না। তার অন্য সন্তানেরাও স্কুলে গিয়েছিল। তাই সে সারাদিন পেরেশান হয়েছিল। তার সন্তানেরা যখন স্কুল থেকে আসলো তখন সে তাদেরকে বললো আমাকে চিঠিটি পড়ে শুনাও। তারা তাকে চিঠিটি পড়ে শুনালো। তার মন প্রশান্ত হল।
কিন্তু এই চিঠিটি পড়ে শুনার আগ পর্যন্ত সে সারাদিন পেরেশান হয়েছিল। বারবার চিঠিটি নিয়ে ভাবছিল যে তার সন্তান তার কাছে কি লিখেছে তার সন্তান তার কাছে কি বার্তা পাঠিয়েছে। সেদিন যেহেতু চিঠিটির ব্যপারে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল তাই সে দৃঢ সংকল্প করলো যে আমি এমনটা আর হতে দিব না। সে তার সন্তানের চিঠি পড়ার জন্য অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখলো।
প্রিয় উপস্থিতি! এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনারাই বলুনতো, সে তার সন্তানকে কতটুকু ভালবাসতো? নিশ্চয়ই আপনারা বলবেন, সে তার সন্তানকে অনেক ভালবাসতো।
যখন সেই মা লেখাপড়া শিখে গেলো তখন সে তার সন্তানের চিঠিগুলো তার কাছে রাখতো। সে চিঠিগুলোকে দিনে কয়েকবার পড়তো, সেগুলোকে চুমু খেত এবং বুকের সাথে জড়িয়ে রাখতো। কারন সেই মা তার সন্তানকে অনেক ভালবাসতো।
এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন হচ্ছে আপনাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা শ্রেষ্ঠ বার্তাবাহক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আপনাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, সেই চিঠিকে আপনারা এ পর্যন্ত কতবার পড়েছেন? সেই চিঠিকে আপনারা কতবার পড়েছেন? কুরআন কি পড়ার সুযোগ হয় আপনাদের? মনে আছে শেষ কবে কুরআন পড়েছিলেন? আপনারা কুরআনকে কতটুকু বুঝেন? আপনারা মনোযোগ সহকারে কতটুকু সময় কুরআনকে বুঝার চেষ্টা করেন?
আমরা এতোক্ষন পর্যন্ত যে মহিলার কথা উল্লেখ করলাম সেও একজন মানুষ। সে তার সন্তানকে অনেক ভালবাসতো। শুধু মাত্র এই ভালবাসার কারনেই সে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছিল।
আপনি আল্লাহ তা'য়ালাকে কতটুকু ভালবাসেন? ভালবাসার পরিমান সম্পর্কে আমাকে বলার দরকার নেই। শুধুমাত্র এই বিষয়টিকে নিয়েই একটু চিন্তা করেন, যে আপনি দিনে কতটুকু সময় কুরআনকে বুঝে পড়ার চেষ্টা করেন! আপনি দিনে কতটুকু সময় কুরআনকে বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করেন! আল্লাহর প্রতি আমাদের ভালবাসা বুঝার এটি একটি ছোট্ট উদাহরণ মাত্র।
তোমার রবের দিকে ফিরে এসো!
হে যুবক! জীবনে অনেক গুনাহ করেছ। অনেক পাপাচার করেছ। অনর্থক কাজে নিজের মুল্যবান সময় গুলোকে নষ্ট করেছ।
হে যুবক! তোমাকে বলছি এখনো কি সময় হয়নি তোমার রবের দিকে ফিরে আসার? এখনো কি সময় হয়নি প্রত্যাবর্তন করার? আর কত সময় তুমি গুনাহে বিভোর হয়ে থাকবে? আর কত সময় তুমি পাপের সমুদ্রে হাবুডুবু খাবে? আর কত সময় তুমি তোমার প্রতিপালক সম্পর্কে উদাসীন থাকবে?
তোমার প্রতিপালক তোমাকে লক্ষ্য করে বলছেন,
يٰٓأَيُّهَا الْإِنسٰنُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
“হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে?” [সূরা আন ইনফিতর ৮২:৬]
হে যুবক! তুমি পাহাড়সম গুনাহ করে ফেলেছ! গুনাহ করতে করতে গুনাহের সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছো। পৃথিবীর এমন কোন খারাপ কাজ বাদ নেই যেটা তুমি করোনি! তুমি মনে মনে ভবছো, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তোমাকে কখনোই ক্ষমা করবেন না? আল্লাহর রহমতের ব্যপারে তুমি নিরাশ হয়ে গেছ?
কিন্তু যেনে রাখ, আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাকে লক্ষ্য করে বলছেন,
قُلْ يٰعِبَادِىَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلٰىٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
“বল- হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।” (সূরা আয যুমার ৩৯:৫৩)
হাদীসের মধ্যে এসেছে, "বান্দা যদি আসমান-জমিন সমপরিমান গুনাহ নিয়ে আল্লাহ্ তা'য়ালার নিকট উপস্থিত হয়। বান্দা যাদি আসমান-জমিন সমপরিমান গুনাও করে ফেলে তারপর যদি আল্লাহ্ তা'য়ালার নিকট উপস্থিত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তাহলে আল্লাহ্ তা'য়ালা তাকে রহমতের চাদর দ্বারা আবৃত করে নেন। আল্লাহ্ তা'য়ালা তার জীবনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেন।"
আল্লাহ্ তা'য়ালা পবিত্র কালামে মজিদে এরশাদ করেছেন,
نَبِّئْ عِبَادِىٓ أَنِّىٓ أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
আমার বান্দাহদেরকে সংবাদ দাও যে, আমি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। (সূরা হিজর: ৪৯)
ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু আল্লাহ্! আমাদের জন্য তাঁর ক্ষমার হাত যে বিছিয়ে রেখেছেন। আমাদের জন্য তাঁর রহমতের হাতকে সম্প্রসারিত করে রেখেছেন। আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে ডাক দিয়ে বলছেন, “আছ কি কেউ–গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনাকারী, আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিব।”
আল্লাহ্ তা'য়ালা আমাদেরকে ডাকছেন, আমাদের মত পাপিষ্ঠ বান্দাদের ডাক দিয়ে বলছেন, “আছ কি কেউ গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনাকারী! আমার কাছে ক্ষমা চাও আমি তাকে ক্ষমা করে দিব।”
আসুনা না! একানিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, নিজের জীবনের সকল অপরাধের কথা স্বরণ করে দুহাত তুলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালার কাছে ফরিয়াদ করে বলি, “হে আল্লাহ! আমরা নিজেদের উপর জুলুম করেছি। হে আমাদের রব! আমারা নিজেদের উপর জুলুম করেছি। আমারা আমাদের উপর অন্যায় করেছি, অবিচার করেছি। আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন, আপনি যদি আমাদের উপর দয়া না করেন তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব। আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।”
আমরা যদি একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর কাছে তাওবা করি আল্লাহ্ তা'য়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। সুতরাং আসুন না! একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর কাছে তাওবা করি, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি! আল্লাহ তা'য়ালা যেন আমাদের তাওবা কবুল করে আমাদেরকে তাওয়াবীন ও মুতাতহহিরীনদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। আমীন।
হৃদয়ের গভীর থেকে কিছু কথা!
পৃথিবীর অনেক মানুষ তোমাকে ভীরু মনে করে, আবার অনেক মানুষ তোমাকে পাপিষ্ঠ মনে করে। অনেকে তোমাকে ভাল মনে করে আবার অনেকে খারাপ মনে করে।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তুমিতো নিজেকে অনেক ভাল করেই চেন। তুমি তো তোমার নিজের ব্যাপারে অনেক ভাল করেই জান তুমি কেমন। তোমার গোপন বিষয়গুলো শুধুমাত্র তুমি জান আর তোমার প্রতিপালক জানে।সুতরাং প্রশংসাকারীদের অতিরিক্ত প্রশংসা যাতে তোমাকে প্রতারিত না করে এবং সমালোচনা কারীদের অতিরিক্ত সমালোচনা যাতে তোমাকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে। কেননা বস্তবতা সম্পর্কে আল্লাহ্ তা'য়ালা বলেছেন, “বরং মানুষ তার নিজের ব্যাপারে অবগত।”
জীবনের সবচেয়ে বড় বাস্তবতা হচ্ছে তুমি তো জানো না যে, কোন অবস্থায় তোমার মৃত্যু হবে। সুতরাং একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহ তা'য়ালার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। একানিষ্ঠতার সাথে আল্লাহ্ তা'য়ালার কাছে তাওবা কর। নিজের ভুলগুলো শুধরানোর চেষ্টা কর। তুমি মানুষকে ভালবাসা পাওয়ার জন্য মানুষকে সন্তুষ্টি লাভের আশায় ভাল কাজ করো না। কেননা মানুষের অন্তর পরিবর্তনশীল। আজকে হয়তো তোমাকে ভালবাসবে আবার আগামীকাল তোমাকে ঘৃনা করবে। তোমার সমালোচনা করবে। বরং তুমি মানুষের প্রতিপালককে সন্তুষ্টি করার জন্য ইবাদত কর। কেননা তিনি যদি একবার তোমাকে ভালবেসে ফেলেন তাহলে পৃথিবীর সকল মানুষের হৃদয়কে তোমার প্রতি আকৃষ্ট করে দিবেন।
তুমি হারাম কাজকে হারাম মনে কর। যদিও পৃথিবীর সকল মানুষ সেই হারাম কাজে লিপ্ত হয়। কেননা তুমি শুধুমাত্র তোমার নিজের আমলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। সুতরাং তোমাকে যা আদেশ করা হয়েছে তার উপর অটল থাক। তুমি মানুষের প্রবৃত্তির অনুসরন করোনা। মনে রেখ, নির্জন মুহুর্তে যে গুনাহ গুলো করা হয় সেগুলো মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। ঠিক তেমনি ভাবে নির্জন মুহুর্তে যে ভালকাজ গুলো করা হয় সেগুলো মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায়। সুতরাং নির্জন মুহুর্তে মানুষের অগোচরে বেশি বেশি করে ভাল কাজ কর।
হে আল্লাহ্! আমি আমার জিবনের সকল বিষয় তোমার হাতে ন্যস্ত করে দিলাম।
কোন এক বিজ্ঞ আলেম বলেছেন, আমি যখনি আল্লাহ তা'য়ালার কাছে কোন কিছুর প্রার্থনা করি, আল্লাহ তা'য়ালা যদি সেটা দেন তাহলে আমি একবার সন্তুষ্ট হই। আর তিনি যদি আমাকে সেটা না দেন তাহলে আমি দশবার সন্তুষ্ট হই। কেননা, প্রথমটা হল আমার ইচ্ছা আর দ্বিতীয়টা হল সেই মহান প্রতিপালকের ইচ্ছা যিনি অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেন। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ তা'য়ালার সাথে কি অপরুপ সম্পর্ক!
অনেক সময় আমরা আক্ষেপ করে বলে থাকি, কেন আমার ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে, কেন আমার বেলায়ই এমন হয়? আল্লাহ তা'য়ালা বলছেন, “আল্লাহ তা'য়ালা জানেন আর তোমরা জানোনা।” এই ছোট্ট আয়াতটি হচ্ছে আমাদের অসংখ্য প্রশ্নের হৃদয় প্রশান্তকারী জবাব। কেননা আল্লাহ তা'য়ালা জানেন আর আমরা জানিনা।
আসুন সর্বাবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি, আলহামদুলিল্লাহ।
সালাফ–আস-সলেহীনগন উপদেশ সরূপ মূল্যবান তিনটি কথা বলেছেন। এই কথাগুলো স্বর্ণের চেয়েও বেশি মূল্যবান। যদি এক পাল্লায় এই কথাগুলোকে রাখা হয় আরেক পাল্লায় স্বর্ণ রাখা হয় তাহলে এই কথার পাল্লাই বেশি ভারী হবে।
• এক নাম্বার উপদেশ হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'য়ালার সাথে তার সম্পর্ককে ভাল রাখবে আল্লাহ তা'য়ালা তার সাথে মানুষের সম্পর্ককে ভাল করে দিবেন।
• দুই নাম্বার উপদেশ হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি তার অভ্যন্তরীণ চরিত্রকে ভাল করবে, আল্লাহ তা'য়ালা তার বাহ্যিক চরিত্রকে ভাল করে দিবেন।
• তিন নাম্বার উপদেশ হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি তার আখিরাতের বিষয় নিয়ে বেশি বেশি চিন্তা করবে, আল্লাহ তা'য়ালা তার দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন।
হে মানুষ! সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আসমান ও জমিন সমপরিমাণ বিস্তৃত জান্নাতে যদি তোমার জন্য একটু জায়গার ব্যবস্থা না হয়। সুতরাং তুমি তোমার জীবনকে মূল্যায়ন কর। কেননা এই জীবনই হচ্ছে আখিরাতের পাথেয়। আল্লাহ তা'য়ালা যেন আমাদের সকলের গুনাহ্ গুলোকে ক্ষমা করে দেন। আমাদেরকে জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে কবুল করে নেন।
— শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ —
Comment