┇কী উত্তর হবে সেদিন?┇
সহীহ বুখারিতে বর্ণিত হয়েছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'য়ালা কয়েকটি প্রশ্ন করবেন। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর বাধ্যতামূলক, সবাইকে দিতে হবে।
• প্রথম প্রশ্ন: "তুমি তোমার জীবনকে কোন কাজে ব্যয় করেছ?"
তুমি কি বাজারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে জীবনের মূল্যবান সময় গুলোকে শেষ করে দিয়েছ? তুমি কি চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিয়ে জীবনের মূল্যবান সময়গুলোকে নষ্ট করেছ? তুমি তোমার জীবনকে কোন কাজে ব্যয় করেছ?
• দ্বিতীয় প্রশ্ন করা হবে, যৌবনকাল সম্পর্কে। "তুমি তোমার যৌবন কালকে কোন কাজে ব্যয় করেছ?"
তুমি কি যৌবনের তাড়নায় উন্মাদ হয়ে গিয়েছিলে? তুমি কি দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলে? তোমার চিন্তা-চেতনা কি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল? তুমি কি যৌবনকাল পেয়েছ বলে আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হয়েছিলে?
তোমার যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো ইসলামের জন্য অনেক প্রয়োজন ছিল। পৃথিবীর সর্বত্রই মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছিল। কাফিররা মুসলিমদের ভূমিগুলোতে আগ্রাসন চালাচ্ছিল। মুসলিম নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করছিল।
আবু গারিব কারাগার থেকে তোমার বোন ফাতেমা চিৎকার করে তোমাকে ডাকছিল। তোমার বোন আফিয়া সিদ্দিকী কাফেরদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছিল। কারাগারের অন্ধকার কুঠুরী থেকে চিৎকার করে তোমাকে লক্ষ্য করে বলছিল, আমাকে মুক্ত করো, আমাকে মুক্ত করো। তুমি কি সেদিন তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলে? তাকে মুক্ত করতে ছুটে গিয়েছিলে?
খালিদ বিন ওয়ালিদ, মুহাম্মাদ বিন কাসিম, সালাহউদ্দিন আইয়ুবী কি তোমার জন্য আদর্শ ছিল না? উম্মার এই কঠিন পরিস্থিতি দেখেও তুমি খেল-তামাশায় ব্যস্ত ছিলে? সারাদিন গেম খেলা, মুভি দেখা, বন্ধুদের সাথে যেখানে-সেখানে আড্ডা দিয়ে তুমি তোমার যৌবনের মূল্যবান সময়-গুলোকে নষ্ট করেছিলে।
হে যুবক! কাল-কেয়ামতের মাঠে তোমার প্রতিপালকের সামনে কী জবাব দিবে? তোমার এই মূল্যবান সময়গুলো মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের খুব দরকার ছিল।
ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসী ইহুদীদের প্রতিহত করার জন্য তোমাকে খুব দরকার ছিল। ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাগুলো সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করে তোমাকে ডাকছিল।শামের মাজলুম মা-বোনদের তোমাকে খুব দরকার ছিল। কারণ সেখানে আল্লাহর দুশমনরা নির্বিচারে বোম্বিং করে গণহারে তাদের হত্যা করছিল। আরাকানের মাজলুমদের তোমাকে খুব দরকার ছিল। তারা সেখানে তোমার সাহায্যের জন্য হাহাকার করছিল।
হে মুসলিম তরুণ! তুমি প্রস্তুতি নিয়ে রাখ। কাল-কেয়ামতের মাঠে অবশ্যই তোমাকে জবাব দিতে হবে, যে তুমি তোমার যৌবনকালকে কোন কাজে ব্যয় করেছ?
তবে তুমি যদি তোমার এই যৌবনকালকে ইসলামের জন্য ব্যয় করতে। তোমার রবের ইবাদতের জন্য ব্যয় করতে। মাজলুম উম্মাহ-কে সাহায্য করার জন্য ব্যয় করতে, তাহলে সেদিন তুমি বলতে পারতে, হে আল্লাহ্! আমি তো আমার যৌবনকালকে তোমার ইবাদতের জন্য ব্যয় করেছি। আমিতো আমার যৌবন কালকে মাজলুম উম্মাহ-কে সাহায্য করার জন্য ব্যয় করেছি।
• এরপর, আল্লাহ্ তা'য়ালা সম্পদশালী ব্যক্তিকে তৃতীয় প্রশ্ন করবেন, "তুমি তোমার এই সম্পদকে কীভাবে উপার্জন করেছিলে?"
তুমি কি মানুষের সাথে সুদের লেন-দেন করেছিলে? তুমি কি জনগণকে ঠকিয়ে জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে কোটিপতি হয়েছিলে? তুমি কি ব্যবসায় ধোঁকা-প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলে? ও দুনিয়ার মানুষ! আজকে যে সম্পদ উপার্জন করেছ, এই সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে হিসাব দিতে হবে।
• শুধুমাত্র হিসাব দিলেই চলবে না। আল্লাহ্ তা'য়ালা আবারো জিজ্ঞাসা করবেন, "তুমি সম্পদকে কোন কাজে ব্যয় করেছ?"
আজকে তুমি তোমার সম্পদকে যে ভাবে ইচ্ছা সে ভাবে খরচ করছ। তুমি তোমার সম্পদের অপচয় করছ। কোটি-কোটি টাকা খরচ করে বিলাস-বহুল প্রাসাদ নির্মাণ করছ। লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে বাড়ির গেট বানাচ্ছ। কোটি-কোটি টাকা দিয়ে বিভিন্ন মডেলের গাড়ী কিনছ। টাকা-পয়সার কোন হিসেব নেই। তুমি চিন্তা করছ, আমার টাকা আমি খরচ করছি–আবার কার কাছে হিসাব দিব?
মনে রেখ, আল্লাহ্ তা'য়ালার কাছে সবকিছুর হিসাব দিতে হবে। আল্লাহ্ তা'য়ালার সামনে সবকিছুর হিসাব দিতে হবে। আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাকে জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি এখানে সেখানে টাকার অপচয় করেছিলে অথচ তোমার পাশের বাড়িতে অভাবগ্রস্ত লোকেরা ছিল, তুমি তাদের জন্য কী করেছিলে? তুমি পথের-ধারে ভিখারিদের বসে থাকতে দেখেছিলে, তুমি তাদের জন্য কী করেছ? তুমি ফুটপাতে রাতের বেলায় অভাবী মানুষগুলোকে শুয়ে থাকতে দেখেছ, তুমি তাদের জন্য কী করেছ? হাসপাতাল গুলোতে গরীব-অসহায় মানুষগুলো টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছিল না, ঔষধের টাকার ব্যবস্থা না হওয়ায় হাত পেতে মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছিল, তুমি তাদের জন্য কী করছিলে? তুমি রেল লাইনের দু'ধারের বস্তিতে অভাবী মানুষগুলোকে নিঃস্ব জীবন-যাপন করতে দেখেছ, তুমি তাদের জন্য কী করেছ? ঈদের দিনে তুমি আনন্দের সাথে ঈদ উৎযাপন করছিলে। তুমি তোমার পরিবারের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ঈদের মার্কেট করেছিলে আর রাস্তার পথ-শিশুগুলো পুরাতন কাপড় পড়েই ঈদ পালন করেছে, তুমি তাদের দেখনি? তুমি তাদের জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছিলে?
আল্লাহ্ তা'য়ালা বলবেন, আমি তোমাকে অনেক অর্থ-সম্পদ দিয়েছিলাম। তুমি চাইলে অপচয় না করে এসব দিয়ে দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে দাড়াতে পারতে। তাদের অভাব মোচন করতে পারতে। কিন্তু তুমি তাদের ব্যাপারে কোনই পদক্ষেপ নাও নি, তুমি তাদের পাশে দাড়াও নি। আল্লাহ্ তা'য়লার কাছে তোমার সম্পদের পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে হিসাব দিতে হবে।
ও দুনিয়ার মানুষ! আল্লাহ্ তা'য়ালার সামনে এই হিসাবগুলো দেয়ার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখ। আল্লাহ্ তা'য়ালার সামনে এই হিসাব গুলো দেয়ার জন্য পরিপূর্ণরুপে প্রস্তুতি নিয়ে রাখ!
দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী
হে ভাই আমাদের কী হল!
আমরা আজ আখিরাতকে ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে আছি! অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন হওয়া থেকে সতর্ক করেছেন।
রাসূল ﷺ বলেছেন, "নিশ্চয় দুনিয়া হচ্ছে সবুজ-শ্যামল ও চাকচিক্যে পূর্ণ। আল্লাহ্ তা'য়ালা তোমাদেরকে এই দুনিয়াতে প্রতিনিধিত্ব দান করছেন। তিনি দেখবেন তোমরা দুনিয়াতে কি কর। তোমারা দুনিয়াতে এসে কেমন আচরণ কর।"
অতঃপর রাসূল ﷺ বলেছেন, "তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাক।"
রাসূল ﷺ আমাদেরকে দুনিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম. আমাদেরকে দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন।
হায় আফসোস! আজকে আমারা আমাদের চিরস্থায়ী আবাসস্থল ভুলে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে আছি!
এই তুচ্ছ দুনিয়ার উদাহরণ দিতে গিয়ে রাসূল ﷺ বলেন, "এই দুনিয়ার মূল্য যদি আল্লাহ্ পাকের কাছে একটি মাছির ডানার সমপরিমাণও হতো তাহলে আল্লাহ্ তা'য়ালা কোন কাফেরকে এই দুনিয়ার বুকে এক ঢোক পানি খাওয়ার সুযোগ দিতেন না।"
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, "আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার উদাহরণ হচ্ছে অথৈই সমুদ্র থেকে আঙ্গুলে ওঠে আসা এক ফোটা পানির মত।"
রাসূল ﷺ বলেছেন, "দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা আর কাফিরের জন্য ভোগ-বিলাসের জায়গা।"
রাসূল ﷺ বলেছেন, "তুমি দুনিয়াতে একজন অপরিচিত লোকের ন্যায় অথবা মুসাফিরের ন্যয় বসবাস কর এবং তুমি তোমার নিজেকে কবরের অধিবাসী মনে কর।"
রাসূল ﷺ দুনিয়ার এই ধন সম্পদকে ফিতনার সামগ্রী হিসেবে উল্লেখ করছেন।
রাসূল ﷺ বলেন, "নিশ্চয়ই প্রত্যেক জাতির জন্য, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কিছু ফিতনার সামগ্রী ছিল আর আমার উম্মতের জন্য ফিতনার সামগ্রী হচ্ছে এই ধনসম্পদ।"
রাসূল ﷺ দুনিয়ায় এই ধনসম্পদকে আমাদের ধ্বংসের কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
রাসূল ﷺ বলেন, "জেনে রাখ এই দিনার-দিরহাম, স্বর্ণ-রৌপ্য, টাকা-পয়সা তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করেছে এগুলো তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দিবে।"
রাসূল ﷺ সত্যিই বলেছেন এই ধ্বংসাত্মক দুনিয়া আজকে আমাদেরকে ধ্বংস করে ছাড়ছে। এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জন্য ভাই তার আপন ভাইকে হত্যা করছে। এই তুচ্ছ দুনিয়ার জন্য কলিজার টুকরো সন্তান তার পিতা-মাতার অবাধ্যতা করছে, কলিজার টুকরো সন্তান তার পিতা-মাতাকে হত্যা করছে। সামান্য দুনিয়ার জন্য কত আত্মীয়তার সম্পর্কই না নষ্ট হচ্ছে।
হায় আফসোস! এই সামান্য দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের জন্য আজকে আমাদের রবের অবাধ্যতা করছি। আমার আমাদের পালনকর্তাকে ভুলে গেছি।
হে ভাই! মৃত্যু একদিন অবশ্যই আসবে। যে ভোগ-বিলাসে মত্ত ছিলে সে ভোগ-বিলাস একদিন শেষ হয়ে যাবে। দুনিয়ার সকল আনন্দ-ফুর্তি মাটির সাথে মিশে যাবে। তোমার উপার্জিত ধন-সম্পদ তোমার থেকে পৃথক হয়ে যাবে। ধ্বংস সেই দুনিয়ার জন্য যে দুনিয়ার ভোগ-বিলাস কখনোই চিরস্থায়ী হয় না।
হে ভাই! আমাদের কী হল! দিন-রাত, সকাল-সন্ধ্যা সারাক্ষণ আমারা এই তুচ্ছ দুনিয়া নিয়ে ভাবছি! আমরা এই তুচ্ছ দুনিয়াকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখছি! অথচ বাস্তবতা হল আমরা সকলেই এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব। আমরা সকলেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবো।
আল্লাহ্ তা'য়ালা পবিত্র কালামে মজিদে আমাদেরকে লক্ষ করে বলেন, "হে দুনিয়ার মানুষ, হে দুনিয়ার লোকসকল, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং দুনিয়ার জীবন যাতে তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে, দুনিয়ার জীবন যাতে তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে।"
রাসূলের সুন্নাহ্-ই সর্বোত্তম স্টাইল
প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেল আজকে মুসলিম তরুণদের গায়ক-নায়ক বানানোর কাজে ব্যস্ত। প্রত্যেকটা কর্পোরেট মিডিয়া আজকে যুবক-যুবতীদের অশ্লীলতা আর বেহায়াপনার দিকে ডাকছে!
আজকে মুসলিম তরুণদের দিকে তাকালে বুঝা যায় না তারা কি মুসলমানদের সন্তান, না কাফেরদের সন্তান? তারা কি ইসলামের অনুসারী, না কি হলিউড-বলিউডের অনুসারী?
তারা কি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত, নাকি আব্রাহাম লিংকনের উম্মত?
আজকে মুসলিম তরুণরা তাদের হেয়ার স্টাইল থেকে শুরু করে পায়ের জুতাটি পর্যন্ত–সর্বক্ষেত্রে কাফেরদের স্টাইলের অনুসরণ করছে! হলিউড-বলিউডের কুলাঙ্গারদের কে তাদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছে!
ও মুসলিম তরুণেরা! তোমরা কি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসা না? তোমরা কি তোমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শকে ভালবাসা না?
আল্লাহ্ তা'য়ালা! পবিত্র কালামে মজিদে বলেছেন,
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُوا اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْءَاخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। (সূরা আহযাব ৩৩:২১)
ও যুবকেরা! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের চেয়ে উত্তম আদর্শ আর কার হতে পারে? মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শের চেয়ে উত্তম আদর্শ আর কি হতে পারে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নার চেয়ে উত্তম স্টাইল আর কি হতে পারে?
এসো না! আমরা রাসূলের আদর্শকে গ্রহণ করি।
এসো না! আমরা রাসূলের আদর্শকে গ্রহণ করি।
কাফেরদের আদর্শকে বর্জন করি।
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
— শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ —
Comment