দুর্বল ঈমানের লক্ষণসমূহঃ
আত্ম-সচেতনতার জন্য দুর্বল ঈমানের লক্ষনগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা আবশ্যক; দুর্বল ঈমানের কিছু লক্ষন হলঃ
১. পাপ করা সত্ত্বেও মনে পাপবোধ সৃষ্টি না হওয়া, যার ফলে এক সময় অন্তর পাষাণ্ড হয়ে যায়।
আর অনেক সময় মানুষ বিভিন্ন পাপকর্মে এতটাই মগ্ন হয়ে যায় যে, তার বুদ্ধিশুদ্ধি সহ পাপের হাতে বন্দী হয়ে যায়, সে ঢাকা পড়ে পাপের আবরণে ফলে কোন ওয়াজ-নসিহত ইত্যাদী তার কোন কাজে আসেনা এবং তার মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না, একটা সময় তার মৃত্যু এসে যায় সেই সময় কেউ যদি তাকে বারবার কালিমা পড়াতে চায় তখন সে ওটা শুনতে পায় না এবং বুঝতেও পারে না তার মর্ম, এভাবে তার শেষ পরিনতি হয় খুবই মন্দ।
আল্লাহ তালা বলেনঃ
ثُمَّ قَسَتۡ قُلُوۡبُكُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِكَ فَهِیَ كَالۡحِجَارَةِ اَوۡ اَشَدُّ قَسۡوَةً
অনুবাদঃ “অতঃপর এ ঘটনার পরে তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে, তা পাথরের মত অথবা তদপেক্ষাও কঠিন”।
(সূরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ৭৪)
২. ইবাদাতে আলসতা ও অবহেলা বোধ করা বা ঢিলেমি করা এবং ইবাদতে মনযোগ না থাকা।
যেমনঃ কোরআন তেলাওয়াত না করা, নির্ধারিত সময়ে সলাত আদায় না করা বা করলেও তাতে কোন মজা না পওয়া ইত্যাদি।
আল্লাহ তালা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেনঃ
وَ اِذَا قَامُوۡۤا اِلَی الصَّلٰوةِ قَامُوۡا كُسَالٰی
অনুবাদঃ “তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে ও আলসেমি ভাব নিয়ে।
(সূরাঃ নিসা, আয়াতঃ ১৪২)
৩. খামখেয়ালী মেজাজ।
যেমনঃ সামান্য বিষয়েই তুলকালাম করে ফেলা বা মেজাজ সবসময় তিরিক্ষে বা খিটমিটে হয়ে থাকা।
৪. কুরআনের তেলাওয়াত শুনে বিশেষ করে পাপের জন্য শাস্তি কিংবা সৎকাজের জন্য পুরুস্কারের কথা বলা হয়েছে এমন আয়াতগুলো শুনেও হৃদয়ে কোন রকমের কোন প্রভাব বা অনুভূতির তৈরি না হওয়া।
৫. আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের স্মরণ থেকে বিমুখ হওয়া এবং তাঁকে স্মরণ করা কঠিন মনে হওয়া।
৬. শারীয়াহ্ বিরুদ্ধ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার পরও মনে কোন অনুশোচনা বা অনুতাপ বোধ না হওয়া।
৭. ধন-সম্পদ, সন্তানাদি, প্রভাব-প্রতিপত্তি, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি এসব কিছুর পিছনেই সারাক্ষন ছুটে চলা এবং এগুলো নিয়ে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠা।
তিনি আরও বলেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّ مِنۡ اَزۡوَاجِكُمۡ وَ اَوۡلَادِكُمۡ عَدُوًّا لَّكُمۡ فَاحۡذَرُوۡهُمۡ
অনুবাদঃ হে মুমিনগণ, তোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক।
(সূরাঃ তাগাবুন, আয়াতঃ ১৪)
৮. ক্রমাগত মানসিক দৈন্যতার পাশাপাশি আর্থিক কৃপণতা বাড়তে থাকা, ধনসম্পদ আঁকড়ে ধরে রাখার প্রবনতা, উম্মাহ’র বিপদ-আপদে তাদের কল্যাণার্থে সাহায্য করার জন্য কোন প্রকারের অস্থিরতা তৈরী না হওয়া।
৯. নিজে না করে অন্যকে ভাল কাজের আদেশ দেওয়া।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
اَتَاۡمُرُوۡنَ النَّاسَ بِالۡبِرِّ وَ تَنۡسَوۡنَ اَنۡفُسَكُمۡ وَ اَنۡتُمۡ تَتۡلُوۡنَ الۡكِتٰبَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ.
অনুবাদঃ “তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও আর নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? (সূরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ৪৪)
১০. অন্যের অবনতি, ক্ষয়-ক্ষতি দেখে তাদের সাহায্যে এগিয়ে না যাওয়া বরং উল্টো মানসিক তৃপ্তি বোধ হওয়া।
১১. যেসব বিষয় মাকরুহ্ (অপছন্দনীয়) সেগুলোকে হালকা ভাবে নেওয়া, এবং সন্দেহপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে দূরে না থাকা।
এদের উপমা দিতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) এক রাখালের কথা বলেছেন যে, যার বকরিগুলো নিষিদ্ধ এলাকা কাছেই ছড়ায়, যার ফলে একসময় সেগুলো নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করে ফেলে। (বুখারী, মুসলিম)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রঃ) বলেনঃ “মুমিনের কাছে তার গুনাহকে মনে হয় পাহাড়ের মতো, যা এক্ষুনি তার মাথায় ভেঙ্গে পড়বে, আর মুনাফিকের কাছে মনে হয় নাকের কাছে উড়া মাছির ন্যায়, যাকে সে হাতের এক ঝটকায় তাড়িয়ে দিবে” (ফতহুল বারী)
এরকমভাবে ছোটখাটো (ভালো) নেকির কাজগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়া বা সেগুলোর দিকে ভ্রূক্ষেপ না করা, হোক না কাউকে পানি পান করানো বা কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলা বা মসজিদ হতে ময়লা পরিস্কার করা।
এক ব্যাক্তি রাস্তায় একটি গাছের ঢাল পড়ে থাকতে দেখে বলল; আল্লাহর কসম! আমি এটা সরিয়ে দেব যাতে মুসলিমদের চলাফেরা করতে অসুবিধা না হয়, অতপর সে সেটা সরিয়ে দেয় এবং জান্নাতে প্রবেশ করে। (মুসলিম)
রাসুল (সঃ) বলেনঃ মুসলমানদের পথ হতে একটি কষ্টদায়ক বস্তু যে সরিয়ে দিবে তার জন্য একটি “হাসানাহ” বা পুণ্য লেখা হবে, আর যার একটি হাসানাহ কবুল হয়ে যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আদাবুল মুফরাদঃ ৫৯৩)
১২. বিপদে ধৈর্য ধারন করতে না পারা, বিপদ-আপদ আসলে আতঙ্কে উদভ্রান্ত হয়ে পড়া, এটি দুর্বল ঈমানের ফলাফল কারণ, আল্লাহর উপর তার তাওয়াক্কুল নেই।
যেমনঃ কেউ মারা গেলে উচ্চস্বরে বিলাপ করে, বুক চাপড়িয়ে কান্নাকাটি করা ইত্যাদি।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قُلۡ لَّنۡ یُّصِیۡبَنَاۤ اِلَّا مَا كَتَبَ اللّٰهُ لَنَا ۚ هُوَ مَوۡلٰىنَا ۚ وَ عَلَی اللّٰهِ فَلۡیَتَوَكَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ.
অনুবাদঃ আপনি বলুন! আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছাবে না, কিন্তু যা আল্লাহ আমাদের জন্য লিখেছেন (তা-ই পৌছবে); তিনি আমাদের কার্যনির্বাহক, আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। (সূরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৫১)
১৩. দুনিয়ার মোহে অন্ধ হয়ে যাওয়া। দুনিয়ার মোহে অন্ধ হওয়ার একটি লক্ষন হল পার্থিব কোন কিছুর ক্ষতি হলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়া।
১৪. সবসময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকা। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই শুধু বেঁচে থাকা। চরম আত্ন-কেন্দ্রিক জীবন যাপন করা।
আত্ম-সচেতনতার জন্য দুর্বল ঈমানের লক্ষনগুলো ভালোভাবে জেনে রাখা আবশ্যক; দুর্বল ঈমানের কিছু লক্ষন হলঃ
১. পাপ করা সত্ত্বেও মনে পাপবোধ সৃষ্টি না হওয়া, যার ফলে এক সময় অন্তর পাষাণ্ড হয়ে যায়।
আর অনেক সময় মানুষ বিভিন্ন পাপকর্মে এতটাই মগ্ন হয়ে যায় যে, তার বুদ্ধিশুদ্ধি সহ পাপের হাতে বন্দী হয়ে যায়, সে ঢাকা পড়ে পাপের আবরণে ফলে কোন ওয়াজ-নসিহত ইত্যাদী তার কোন কাজে আসেনা এবং তার মাঝে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না, একটা সময় তার মৃত্যু এসে যায় সেই সময় কেউ যদি তাকে বারবার কালিমা পড়াতে চায় তখন সে ওটা শুনতে পায় না এবং বুঝতেও পারে না তার মর্ম, এভাবে তার শেষ পরিনতি হয় খুবই মন্দ।
আল্লাহ তালা বলেনঃ
ثُمَّ قَسَتۡ قُلُوۡبُكُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ ذٰلِكَ فَهِیَ كَالۡحِجَارَةِ اَوۡ اَشَدُّ قَسۡوَةً
অনুবাদঃ “অতঃপর এ ঘটনার পরে তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে, তা পাথরের মত অথবা তদপেক্ষাও কঠিন”।
(সূরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ৭৪)
২. ইবাদাতে আলসতা ও অবহেলা বোধ করা বা ঢিলেমি করা এবং ইবাদতে মনযোগ না থাকা।
যেমনঃ কোরআন তেলাওয়াত না করা, নির্ধারিত সময়ে সলাত আদায় না করা বা করলেও তাতে কোন মজা না পওয়া ইত্যাদি।
আল্লাহ তালা মুনাফিকদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে বলেনঃ
وَ اِذَا قَامُوۡۤا اِلَی الصَّلٰوةِ قَامُوۡا كُسَالٰی
অনুবাদঃ “তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে ও আলসেমি ভাব নিয়ে।
(সূরাঃ নিসা, আয়াতঃ ১৪২)
৩. খামখেয়ালী মেজাজ।
যেমনঃ সামান্য বিষয়েই তুলকালাম করে ফেলা বা মেজাজ সবসময় তিরিক্ষে বা খিটমিটে হয়ে থাকা।
৪. কুরআনের তেলাওয়াত শুনে বিশেষ করে পাপের জন্য শাস্তি কিংবা সৎকাজের জন্য পুরুস্কারের কথা বলা হয়েছে এমন আয়াতগুলো শুনেও হৃদয়ে কোন রকমের কোন প্রভাব বা অনুভূতির তৈরি না হওয়া।
৫. আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামীনের স্মরণ থেকে বিমুখ হওয়া এবং তাঁকে স্মরণ করা কঠিন মনে হওয়া।
৬. শারীয়াহ্ বিরুদ্ধ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার পরও মনে কোন অনুশোচনা বা অনুতাপ বোধ না হওয়া।
৭. ধন-সম্পদ, সন্তানাদি, প্রভাব-প্রতিপত্তি, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি এসব কিছুর পিছনেই সারাক্ষন ছুটে চলা এবং এগুলো নিয়ে পরস্পরে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠা।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
اِعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا الۡحَیٰوةُ الدُّنۡیَا لَعِبٌ وَّ لَهۡوٌ وَّ زِیۡنَةٌ وَّ تَفَاخُرٌۢ بَیۡنَكُمۡ وَ تَكَاثُرٌ فِی الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَوۡلَادِ ؕ كَمَثَلِ غَیۡثٍ اَعۡجَبَ الۡكُفَّارَ نَبَاتُهٗ ثُمَّ یَهِیۡجُ فَتَرٰىهُ مُصۡفَرًّا ثُمَّ یَكُوۡنُ حُطَامًا ؕ وَ فِی الۡاٰخِرَةِ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ۙ وَّ مَغۡفِرَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ رِضۡوَانٌ ؕ وَ مَا الۡحَیٰوةُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ.
অনুবাদঃ তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়।
(সূরাঃ হাদীদ, আয়াতঃ ২০)
اِعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا الۡحَیٰوةُ الدُّنۡیَا لَعِبٌ وَّ لَهۡوٌ وَّ زِیۡنَةٌ وَّ تَفَاخُرٌۢ بَیۡنَكُمۡ وَ تَكَاثُرٌ فِی الۡاَمۡوَالِ وَ الۡاَوۡلَادِ ؕ كَمَثَلِ غَیۡثٍ اَعۡجَبَ الۡكُفَّارَ نَبَاتُهٗ ثُمَّ یَهِیۡجُ فَتَرٰىهُ مُصۡفَرًّا ثُمَّ یَكُوۡنُ حُطَامًا ؕ وَ فِی الۡاٰخِرَةِ عَذَابٌ شَدِیۡدٌ ۙ وَّ مَغۡفِرَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ رِضۡوَانٌ ؕ وَ مَا الۡحَیٰوةُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ.
অনুবাদঃ তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়।
(সূরাঃ হাদীদ, আয়াতঃ ২০)
তিনি আরও বলেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّ مِنۡ اَزۡوَاجِكُمۡ وَ اَوۡلَادِكُمۡ عَدُوًّا لَّكُمۡ فَاحۡذَرُوۡهُمۡ
অনুবাদঃ হে মুমিনগণ, তোমাদের কোন কোন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি তোমাদের দুশমন। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাক।
(সূরাঃ তাগাবুন, আয়াতঃ ১৪)
৮. ক্রমাগত মানসিক দৈন্যতার পাশাপাশি আর্থিক কৃপণতা বাড়তে থাকা, ধনসম্পদ আঁকড়ে ধরে রাখার প্রবনতা, উম্মাহ’র বিপদ-আপদে তাদের কল্যাণার্থে সাহায্য করার জন্য কোন প্রকারের অস্থিরতা তৈরী না হওয়া।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
هٰۤاَنۡتُمۡ هٰۤؤُلَآءِ تُدۡعَوۡنَ لِتُنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۚ فَمِنۡكُمۡ مَّنۡ یَّبۡخَلُ ۚ وَ مَنۡ یَّبۡخَلۡ فَاِنَّمَا یَبۡخَلُ عَنۡ نَّفۡسِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ الۡغَنِیُّ وَ اَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ ۚ وَ اِنۡ تَتَوَلَّوۡا یَسۡتَبۡدِلۡ قَوۡمًا غَیۡرَكُمۡ ۙ ثُمَّ لَا یَكُوۡنُوۡۤا اَمۡثَالَكُمۡ.
অনুবাদঃ শুন, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর তারা তোমাদের মত হবে না।
(সূরাঃ মুহাম্মদ, আয়াতঃ ৩৮)
هٰۤاَنۡتُمۡ هٰۤؤُلَآءِ تُدۡعَوۡنَ لِتُنۡفِقُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۚ فَمِنۡكُمۡ مَّنۡ یَّبۡخَلُ ۚ وَ مَنۡ یَّبۡخَلۡ فَاِنَّمَا یَبۡخَلُ عَنۡ نَّفۡسِهٖ ؕ وَ اللّٰهُ الۡغَنِیُّ وَ اَنۡتُمُ الۡفُقَرَآءُ ۚ وَ اِنۡ تَتَوَلَّوۡا یَسۡتَبۡدِلۡ قَوۡمًا غَیۡرَكُمۡ ۙ ثُمَّ لَا یَكُوۡنُوۡۤا اَمۡثَالَكُمۡ.
অনুবাদঃ শুন, তোমরাই তো তারা, যাদেরকে আল্লাহর পথে ব্যয় করার আহবান জানানো হচ্ছে, অতঃপর তোমাদের কেউ কেউ কৃপণতা করছে। যারা কৃপণতা করছে, তারা নিজেদের প্রতিই কৃপণতা করছে। আল্লাহ অভাবমুক্ত এবং তোমরা অভাবগ্রস্থ। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করবেন, এরপর তারা তোমাদের মত হবে না।
(সূরাঃ মুহাম্মদ, আয়াতঃ ৩৮)
৯. নিজে না করে অন্যকে ভাল কাজের আদেশ দেওয়া।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
اَتَاۡمُرُوۡنَ النَّاسَ بِالۡبِرِّ وَ تَنۡسَوۡنَ اَنۡفُسَكُمۡ وَ اَنۡتُمۡ تَتۡلُوۡنَ الۡكِتٰبَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ.
অনুবাদঃ “তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও আর নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না? (সূরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ৪৪)
১০. অন্যের অবনতি, ক্ষয়-ক্ষতি দেখে তাদের সাহায্যে এগিয়ে না যাওয়া বরং উল্টো মানসিক তৃপ্তি বোধ হওয়া।
১১. যেসব বিষয় মাকরুহ্ (অপছন্দনীয়) সেগুলোকে হালকা ভাবে নেওয়া, এবং সন্দেহপূর্ণ বিষয়গুলো থেকে দূরে না থাকা।
এদের উপমা দিতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) এক রাখালের কথা বলেছেন যে, যার বকরিগুলো নিষিদ্ধ এলাকা কাছেই ছড়ায়, যার ফলে একসময় সেগুলো নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করে ফেলে। (বুখারী, মুসলিম)
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রঃ) বলেনঃ “মুমিনের কাছে তার গুনাহকে মনে হয় পাহাড়ের মতো, যা এক্ষুনি তার মাথায় ভেঙ্গে পড়বে, আর মুনাফিকের কাছে মনে হয় নাকের কাছে উড়া মাছির ন্যায়, যাকে সে হাতের এক ঝটকায় তাড়িয়ে দিবে” (ফতহুল বারী)
এরকমভাবে ছোটখাটো (ভালো) নেকির কাজগুলোকে গুরুত্ব না দেওয়া বা সেগুলোর দিকে ভ্রূক্ষেপ না করা, হোক না কাউকে পানি পান করানো বা কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে কথা বলা বা মসজিদ হতে ময়লা পরিস্কার করা।
এক ব্যাক্তি রাস্তায় একটি গাছের ঢাল পড়ে থাকতে দেখে বলল; আল্লাহর কসম! আমি এটা সরিয়ে দেব যাতে মুসলিমদের চলাফেরা করতে অসুবিধা না হয়, অতপর সে সেটা সরিয়ে দেয় এবং জান্নাতে প্রবেশ করে। (মুসলিম)
রাসুল (সঃ) বলেনঃ মুসলমানদের পথ হতে একটি কষ্টদায়ক বস্তু যে সরিয়ে দিবে তার জন্য একটি “হাসানাহ” বা পুণ্য লেখা হবে, আর যার একটি হাসানাহ কবুল হয়ে যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (আদাবুল মুফরাদঃ ৫৯৩)
১২. বিপদে ধৈর্য ধারন করতে না পারা, বিপদ-আপদ আসলে আতঙ্কে উদভ্রান্ত হয়ে পড়া, এটি দুর্বল ঈমানের ফলাফল কারণ, আল্লাহর উপর তার তাওয়াক্কুল নেই।
যেমনঃ কেউ মারা গেলে উচ্চস্বরে বিলাপ করে, বুক চাপড়িয়ে কান্নাকাটি করা ইত্যাদি।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قُلۡ لَّنۡ یُّصِیۡبَنَاۤ اِلَّا مَا كَتَبَ اللّٰهُ لَنَا ۚ هُوَ مَوۡلٰىنَا ۚ وَ عَلَی اللّٰهِ فَلۡیَتَوَكَّلِ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ.
অনুবাদঃ আপনি বলুন! আমাদের কাছে কিছুই পৌঁছাবে না, কিন্তু যা আল্লাহ আমাদের জন্য লিখেছেন (তা-ই পৌছবে); তিনি আমাদের কার্যনির্বাহক, আল্লাহর উপরই মুমিনদের ভরসা করা উচিত। (সূরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৫১)
১৩. দুনিয়ার মোহে অন্ধ হয়ে যাওয়া। দুনিয়ার মোহে অন্ধ হওয়ার একটি লক্ষন হল পার্থিব কোন কিছুর ক্ষতি হলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়া।
১৪. সবসময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকা। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই শুধু বেঁচে থাকা। চরম আত্ন-কেন্দ্রিক জীবন যাপন করা।
==Collected==
Comment