আসসালামু আলাইকুম প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা।
দুনিয়ার জীবনে মানুষের জন্য পরীক্ষার মূল ক্ষেত্র দুটি ।
১.নফস এর হারাম চাহিদা থেকে বিরত থাকা।
২.শয়তান এর ধোকা থেকে সতর্ক থাকা।
এর মাঝে সবচাইতে ভয়ংকর হলো নফসের লালসাকে এড়িয়ে যাওয়া।শয়তানকে শয়তান বানিয়েছে এই নফস ই।তাই এই নফস সম্পর্কে আমাদের জানা থাকা দরকার।সেজন্য বিচ্ছিন্ন কিছু মুযাকার করছি,ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ...
নফস মানে কী? সহজ কথায় নফস অর্থ হলো "মন"।আমরা যাকে মন বলি,মনের চাহিদা বল সেটাই নফস এর চাহিদা।
মানুষের মন হলো গুনাহ প্রবণ।সহজ কথায় এটার নিউট্রাল কোনো অবস্থা নেই।আমরা যদি ২৪ ঘন্টা একে আমলে ব্যাস্ত না রাখি তাহলে যদি ১ সেকেন্ড সুযোগ পায় তাহলে এই ১ সেকেন্ডেও গুনাহ করিয়ে ছাড়বে।এই নফস এত ভয়ংকর।
একজন মুজাহিদ শুধু মুজাহিদ হওয়ার জন্য সকল প্রকার গুনাহ থেকে রিস্ক মুক্ত নয়।এটা মুজাহিদ শায়েখদেরই কথা। আশা করি আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতাও এরূপ।
গুনাহে আসক্ত নফস এর জন্য গুনাহ ছাড়া অতীব কঠিন।হঠ্যাৎ কোনো গুনাহ হয়ে গেলে তা থেকে তাওবা করা সহজ;কিন্তু আসক্ত ব্যাক্তির জন্য তা পাহাড়সম কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।তাই কোনো গুনাহ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাওবাতুন নাসুহা করে ফেলা উচিত।আর কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত যাতে এই গুনাহে আর না জড়াই,আসক্ত না হই। তাই ব্যাক্তিগত মুহাসাবায় আনা উচিত কীসে আমি আসক্ত,কত বছর ধরে আসক্ত.....
নফসের কাছে দূর্বল হলে নফস আমার সামনে সিংহ হয়ে দাড়াবে,কিন্তু আমি নফসের সামনে হিম্মত নিয়ে শক্ত হলে নফস আমার সামনে বিড়াল হয়ে যাবে।হ্যা এটাই নফসের স্বভাব।উলামারা এটিই বলেছেন।তাই গুনাহ ছাড়া ততদিন পর্যন্ত সহজ হবে না যতদিন না হিম্মত পাহাড়সম হয়,নাহলে শত কৌশলেও কাজ হবে না;গুনাহ ছুটবে না।
আমরা দূর্বল মুমিন।তাই বড় হিম্মত,বড় কিছু করার সাহস করতে পারি না।
শয়তান এই সুযোগ নেয়, সে বলে-"এত বড় নেক কাজ কিভাবে করবি ,এত বড় গুনাহ তুই কীভাবে ছাড়বি।মাসের পর মাস বছরের পর বছরের গুনাহের মজা ছাড়তে পারবি না "
সাবধান।সাবধান।সাবধান।
হ্যা আমরা দূর্বল।কিন্তু এই ফাদে পা দিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। উলামারা বলেন ,এক্ষেত্রে নিজের টার্গেট একদিনে আনো বা এক সপ্তাহে। যে ,এই কয়দিন আমি এই নেক আমলে জুড়ে থাকবো,এই গুনাহ করবো না। এর পরে কী হবে, না হবে ভেবো না। ছোট টার্গেট নাও।সফল হও।
ছোট টার্গেটে সফল হলে এমনিই বড় টার্গেট পুরা করা সহজ হয়ে যাবে,ইমান মজবুত হবে। এভাবেই নফসকে বশে আনতে হয়,এটাই নিয়ম।তবে ছোট টার্গেটেও সফল না হলে হতাশ হওয়া যাবে না।চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
কেউই একদিনে বুযুর্গ হয় নি।
তাই এই আমল আমার দ্বারা করা সম্ভব নয়,এই গুনাহ আমার দ্বারা ছাড়া সম্ভব নয় এটা সাক্ষাৎ শয়তানের ধোঁকা।
আল্লাহর কসম শয়তানের ধোঁকা।
নফসের স্বভাব দুধের বাচ্চার মতো।যদি তাকে দুধ ছাড়ার অভ্যাস না করানো হয় তাহলে বড় হলেও দুধ ছাড়বে না।আর যদি ছোট থেকেই আস্তে আস্তে দুধ ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়,তখন কিছুদিন কান্নাকাটি করবে।পরে আর দুধ খেতে চাইবে না।এমনকি পরে এমন অবস্থা হবে দুধের কাছে যেতেও ঘৃনা লাগবে।
গুনাহ ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছুদিন কষ্ট হবে,বুকে ব্যাথা হবে,দিল ভেঙে যাবে।কিন্তু কিছুদিন মেহনতের পর গুনাহের দিকে যাওয়া আমাদের কাছে সেই দুধ খাওয়ার মতোই হবে,গুনাহের নাপাকির ঘৃণায় পাপের কাছেই যেতে মন চাইবে না।
সর্বশেষ কথাঃ সবই বুঝলাম চেষ্টা করতে হবে সেটাও বুঝলাম কিন্তু আমরা কয়জন ই বা চেষ্টা করি! আর যদিও বা করি কতটুকুই বা চেষ্টার হক আদায় করতে পারি!যতটুকু চেষ্টা করা দরকার ছিলো তেমন তো করতে পারি না..তাই জিন্দেগী যেমন চলছে চলতে থাকুক....
আবারও সাবধান।এটাও শয়তানের মারাত্মক ধোঁকা।
এ প্রসঙ্গে আশরাফ আলী থানভী (রহিঃ) বলেন-
-মাওয়াযে আশরাফিয়া
দুনিয়ার জীবনে মানুষের জন্য পরীক্ষার মূল ক্ষেত্র দুটি ।
১.নফস এর হারাম চাহিদা থেকে বিরত থাকা।
২.শয়তান এর ধোকা থেকে সতর্ক থাকা।
এর মাঝে সবচাইতে ভয়ংকর হলো নফসের লালসাকে এড়িয়ে যাওয়া।শয়তানকে শয়তান বানিয়েছে এই নফস ই।তাই এই নফস সম্পর্কে আমাদের জানা থাকা দরকার।সেজন্য বিচ্ছিন্ন কিছু মুযাকার করছি,ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ...
নফস মানে কী? সহজ কথায় নফস অর্থ হলো "মন"।আমরা যাকে মন বলি,মনের চাহিদা বল সেটাই নফস এর চাহিদা।
মানুষের মন হলো গুনাহ প্রবণ।সহজ কথায় এটার নিউট্রাল কোনো অবস্থা নেই।আমরা যদি ২৪ ঘন্টা একে আমলে ব্যাস্ত না রাখি তাহলে যদি ১ সেকেন্ড সুযোগ পায় তাহলে এই ১ সেকেন্ডেও গুনাহ করিয়ে ছাড়বে।এই নফস এত ভয়ংকর।
একজন মুজাহিদ শুধু মুজাহিদ হওয়ার জন্য সকল প্রকার গুনাহ থেকে রিস্ক মুক্ত নয়।এটা মুজাহিদ শায়েখদেরই কথা। আশা করি আমাদের ব্যাক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতাও এরূপ।
গুনাহে আসক্ত নফস এর জন্য গুনাহ ছাড়া অতীব কঠিন।হঠ্যাৎ কোনো গুনাহ হয়ে গেলে তা থেকে তাওবা করা সহজ;কিন্তু আসক্ত ব্যাক্তির জন্য তা পাহাড়সম কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।তাই কোনো গুনাহ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাওবাতুন নাসুহা করে ফেলা উচিত।আর কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত যাতে এই গুনাহে আর না জড়াই,আসক্ত না হই। তাই ব্যাক্তিগত মুহাসাবায় আনা উচিত কীসে আমি আসক্ত,কত বছর ধরে আসক্ত.....
নফসের কাছে দূর্বল হলে নফস আমার সামনে সিংহ হয়ে দাড়াবে,কিন্তু আমি নফসের সামনে হিম্মত নিয়ে শক্ত হলে নফস আমার সামনে বিড়াল হয়ে যাবে।হ্যা এটাই নফসের স্বভাব।উলামারা এটিই বলেছেন।তাই গুনাহ ছাড়া ততদিন পর্যন্ত সহজ হবে না যতদিন না হিম্মত পাহাড়সম হয়,নাহলে শত কৌশলেও কাজ হবে না;গুনাহ ছুটবে না।
আমরা দূর্বল মুমিন।তাই বড় হিম্মত,বড় কিছু করার সাহস করতে পারি না।
শয়তান এই সুযোগ নেয়, সে বলে-"এত বড় নেক কাজ কিভাবে করবি ,এত বড় গুনাহ তুই কীভাবে ছাড়বি।মাসের পর মাস বছরের পর বছরের গুনাহের মজা ছাড়তে পারবি না "
সাবধান।সাবধান।সাবধান।
হ্যা আমরা দূর্বল।কিন্তু এই ফাদে পা দিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না। উলামারা বলেন ,এক্ষেত্রে নিজের টার্গেট একদিনে আনো বা এক সপ্তাহে। যে ,এই কয়দিন আমি এই নেক আমলে জুড়ে থাকবো,এই গুনাহ করবো না। এর পরে কী হবে, না হবে ভেবো না। ছোট টার্গেট নাও।সফল হও।
ছোট টার্গেটে সফল হলে এমনিই বড় টার্গেট পুরা করা সহজ হয়ে যাবে,ইমান মজবুত হবে। এভাবেই নফসকে বশে আনতে হয়,এটাই নিয়ম।তবে ছোট টার্গেটেও সফল না হলে হতাশ হওয়া যাবে না।চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
কেউই একদিনে বুযুর্গ হয় নি।
তাই এই আমল আমার দ্বারা করা সম্ভব নয়,এই গুনাহ আমার দ্বারা ছাড়া সম্ভব নয় এটা সাক্ষাৎ শয়তানের ধোঁকা।
আল্লাহর কসম শয়তানের ধোঁকা।
নফসের স্বভাব দুধের বাচ্চার মতো।যদি তাকে দুধ ছাড়ার অভ্যাস না করানো হয় তাহলে বড় হলেও দুধ ছাড়বে না।আর যদি ছোট থেকেই আস্তে আস্তে দুধ ছাড়ানোর চেষ্টা করা হয়,তখন কিছুদিন কান্নাকাটি করবে।পরে আর দুধ খেতে চাইবে না।এমনকি পরে এমন অবস্থা হবে দুধের কাছে যেতেও ঘৃনা লাগবে।
গুনাহ ছাড়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কিছুদিন কষ্ট হবে,বুকে ব্যাথা হবে,দিল ভেঙে যাবে।কিন্তু কিছুদিন মেহনতের পর গুনাহের দিকে যাওয়া আমাদের কাছে সেই দুধ খাওয়ার মতোই হবে,গুনাহের নাপাকির ঘৃণায় পাপের কাছেই যেতে মন চাইবে না।
সর্বশেষ কথাঃ সবই বুঝলাম চেষ্টা করতে হবে সেটাও বুঝলাম কিন্তু আমরা কয়জন ই বা চেষ্টা করি! আর যদিও বা করি কতটুকুই বা চেষ্টার হক আদায় করতে পারি!যতটুকু চেষ্টা করা দরকার ছিলো তেমন তো করতে পারি না..তাই জিন্দেগী যেমন চলছে চলতে থাকুক....
আবারও সাবধান।এটাও শয়তানের মারাত্মক ধোঁকা।
এ প্রসঙ্গে আশরাফ আলী থানভী (রহিঃ) বলেন-
খোদা এমন দয়ালু যে তোমার অসম্পূর্ণ চেষ্টাকে সম্পূর্ণ করিয়া দেন...তুমি যে অবস্থাতেই খোদার সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করো,তোমার চেষ্টা অসম্পূর্ণ হইলেও তিনি আপন রহমতে উহা সম্পূর্ণ করিয়া দেন...সত্যই আল্লাহ তা'লার এইরূপ মনোযোগ ও দয়া না হইলে বান্দার সাধ্য কি যে,তাহাঁর দরবার পর্যন্ত পৌছিতে পারে?খোদার সহিত মানুষের সম্পর্কই বা কি?তিনি তো মানুষ হইতে বহু ঊর্ধে।বান্দার কল্পনাও সে পর্যন্ত পৌছিতে পারে না...তুমি অসম্পূর্ণ চেষ্টা ও স্পৃহা প্রকাশ করো।তোমার এই চেষ্টা খোদা পর্যন্ত পৌছার পক্ষে মোটেই যথেষ্ট নহে,কিন্তু দুই এক পা চলার পর পড়িয়া যাইতেই আল্লাহ তা'লার দয়ার সমুদ্র উথলিয়া উঠে।তিনি স্বয়ং অগ্রসর হইয়া তোমাকে আলিঙ্গন করিয়া লন।তবে বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করারো প্রয়োজন আছে
Comment