Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঘাবড়াবেন না

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঘাবড়াবেন না

    ঘাবড়াবেন না


    মুরতাদ-কুফফারদের বৈষয়িক শক্তি অনেক সময় আমাদের অন্তর কে প্রভাবিত করে।চোখ কে বিস্ফোরিত করে। আমাদের কে ঘাবড়ে দেয়।আমরা ভাবতে থাকি এত শক্তি ওদের! তবে আমাদের স্মরণ থাকা দরকার, আল্লাহ তায়ালা এ সকল শক্তির স্রষ্টা।

    ওদের শক্তি-সামর্থ্য আমাদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করে।তবে ভুলে গেলে চলবে না,

    والله احق ان تخشاه
    ভয় করার ক্ষেত্রে আল্লাহই বেশি উপযুক্ত।


    অর্থাৎ সত্যিকার অর্থে যদি কাউকে ভয় করতে হয় তাহলে সেটা হলেন আমাদের মহান প্রভু একমাত্র আল্লাহ তায়ালা।

    আমরা তাদের যেসব জিনিস কে ভয় করি যেমন তাদের অস্ত্র,টেকনোলজি,মেধা, অর্থ-সম্পদ ইত্যাদি। আচ্ছা তাদেরকে এগুলো কে দিয়েছে? বা তাদেরকেই কে সৃষ্টি করেছে? ওরাও এটা অস্বীকার করবে না যে,ওদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ওদের শক্তি-সামর্থ্য কোন একজন দিয়েছেন। আর তিনি হলেন আমাদের একমাত্র সত্য ইলাহ, আল্লাহ তায়ালা।

    এখন ভাবার বিষয়, ওদের সমস্ত কিছু যদি আল্লাহ পাকেরই দেয়া হয়ে থাকে আর আমরা যদি সেই একই আল্লাহর সৈনিক হয়ে থাকি তাহলে তাদের সেই সামান্য শক্তি-সামর্থ্য কে ভয় করা কি আমাদের জন্য শোভা পায়? তাদের কোন টেকনোলজি বা অন্য কোন শক্তি কি আমাদের কাজের গতি কমিয়ে দিতে পারে? অবশ্যই না।

    তাই আমরা ঘাবড়াবো না কুফফারদের শক্তি-সামর্থ্য আর শৌর্যবীর্য দেখে।কারণ এগুলো মাকঁড়সার জালের চেয়ে বেশি কিছু নয়।আর শেষ হাসি বিইযনিল্লাহ মুমিনরাই হাসবে।


    তবে মুমিনরা আল্লাহ পাকের বিধানের প্রতি সদা সজাগ।তাই কুফফারদের শক্তির কোন ভীতি তার মধ্যে না থাকলেও সে থাকে সদা তৎপর ও সতর্ক।কারণ এ বিষয়ে সে আদিষ্ট। যেন তার অগোচরে কোন অপশক্তি তার কোন ক্ষতি না করে বসে।আল্লাহ পাক মুমিনদেরকে ভালোবাসেন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করেন।

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই। খুব সুন্দর বলেছেন।
    আল্লাহ আপনার কলমে বরকত দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      অত্যন্ত জরুরী বিষয় আলোচনা করেছেন মুহতারাম! অনেক অনেক জাযা-কুমুল্ল-হু খইরন আহসানাল জাযা।
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        ভাইয়ের লিখাটা পড়ে একটা ঘটনা মনে আসছে, সেই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কথা। শত্রুর শক্তি ক্ষমতার ব্যাপারে কেউ মুজাহিদদের কে ভয় দেখাচ্ছে, যে তাদের এই আছে, সেই আছে, যুদ্ধ বিমান আছে, যার মোকাবিলা করার কোনো ক্ষমতা মুজাহিদদের নাই, তখন এক মুজাহিদ বলে উঠলো , প্লেন উপরে নাকি আমাদের আল্লাহ উপরে? তখন ভয় প্রদর্শনকারী বললোঃ অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা উপরে। তখন মুজাহিদ ভাই বললো, তাহলে তো আর কোনো সমস্যাই নেই।

        সোর্সঃ অজ্ঞাত

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ!
          সময়োপযোগী নাসিহাহ,
          আল্লাহ তাআলা আপনার ঈল্ম ও হায়াতে বারাকাহ দান করুন

          Comment


          • #6
            আতংক সৃষ্টি করার মাধ্যমেই বাতিল তার কার্যোদ্ধার করে সব সময়ই। ফেরাউন থেকে শুরু করে আজকের দুনিয়ার সিসি। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আজকের বাংলা-সিন্ধ-হিন্দ প্রতিটা ভুমিতেই বার বার একই পদ্ধতি। প্রয়োজন অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ আসলে তাদের ভিতরের নিরাপত্তা হীনতাই উৎকট রুপে প্রকাশ করে দেয়।

            এখানে মুসলমানদের দুর্বলতা - মুলত হকের থেকে দূরে সড়ে পরার দুর্বলতা। মুসলমানের ইনসানি আকল তাকে ধোকা দিয়ে দেয়।

            মুসলমানের উপর হুকুম পরিষ্কার হুকুম ইনসানি সীমাব্ধতা থেকে বেরিয়ে আসার উপর। উপকরণ মুসলমান একতিয়ার করবে হুকুম যেনে। আত্মতুষ্ঠির প্রোরচনা সচেতন ভাবে উপেক্ষা করে - রবের হুকুম যেনে - রাসুলের সুন্নাত যেনে। এক আল্লাহ নিজে একাই মুসলমানদের বিজয় দেয়।

            মুসার (আঃ)লাঠি সবসময়ই অজগর - সব সময়ই লাঠি। -এটা শুধুই আল্লাহর হুকুম। সমস্ত অবস্থা এবং অস্থিত্ব যে কোন পরিপ্রেক্ষিতেই আপেক্ষিক। মালিকের ইচ্ছাধীন।
            দাওয়াত ও জিহাদের সফরে কলব যখন ইনসাফ থেকে সরে যায় তখন বিনয় অহংকারে, ভাষার শালীনতা অশালীনতায় রূপান্তরিত হয় এবং অন্তরের নম্রতা কাঠিন্যের রূপ ধারণ করে। তারপর সে ব্যাক্তি নিজেও গোমরাহির পথে চলে এবং অন্যকেও গোমরাহির পথ প্রদর্শন করে।

            Comment


            • #7

              ] وَقالَ الَّذِى اشتَرىٰهُ مِن مِصرَ لِامرَأَتِهِ أَكرِمى مَثوىٰهُ عَسىٰ أَن يَنفَعَنا أَو نَتَّخِذَهُ وَلَدًا ۚ وَكَذٰلِكَ مَكَّنّا لِيوسُفَ فِى الأَرضِ وَلِنُعَلِّمَهُ مِن تَأويلِ الأَحاديثِ ۚ وَاللَّهُ غالِبٌ عَلىٰ أَمرِهِ وَلٰكِنَّ أَكثَرَ النّاسِ لا يَعلَمونَ

              [21] মিসরে যে ব্যক্তি তাকে ক্রয় করল, সে তার স্ত্রীকে বললঃ একে সম্মানে রাখ। সম্ভবতঃ সে আমাদের কাছে আসবে অথবা আমরা তাকে পুত্ররূপে গ্রহণ করে নেব। এমনিভাবে আমি ইউসুফকে এদেশে প্রতিষ্ঠিত করলাম এবং এ জন্যে যে তাকে বাক্যাদির পূর্ণ মর্ম অনুধাবনের পদ্ধতি বিষয়ে শিক্ষা দেই। আল্লাহ নিজ কাজে প্রবল থাকেন, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment

              Working...
              X