"দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার এবং কাফিরের জন্য জান্নাত।" রাসূল (স) এর এই ঘোষণা আমার কাছে দুনিয়াকে দেখার দৃষ্টিকোণ ফিক্স করে দিয়েছে। তারপর তিনি আরো বললেন, "এ দুনিয়ার সাথে আমার সম্পর্ক কী ? এ দুনিয়ার সাথে আমার দৃষ্টান্ত হলো এমন এক অশ্বারোহীর ন্যায় যে গ্রীষ্মের একদিন এক বৃক্ষ-ছায়ায় ঈষৎ নিদ্রা গেল, তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।" আমার কাছে এই তো দুনিয়া।
দুনিয়ার যত দুঃখ যন্ত্রণা, যত হতাশা আর অস্থিরতায় কেটে যাওয়া দিনগুলো, আমাদেরকে একটি কথাই মনে করায়, "দুনিয়া তো আর জান্নাত না। এই দিনগুলোও চিরস্থায়ী না।" এরপরের অনুভূতিগুলো দারুন!
ওদের জন্য দিনগুলো খুবই কঠিন। ওদের মতে ভালো থাকাটা ওদের অধিকার। ওদেরকে অবশ্যই দুনিয়াকে ভোগ করতেই হবে, নাহয় যেন জীবনটা বৃথা। গান বাদ্য আর সিনেমার মতো অবৈধ বিনোদনগুলোর অভাবে যেন ওদের অন্তরগুলো শুকিয়ে যায়। বেপর্দা নারীদের সাথে অবাধ মেলামেশা না করলে ওদের অন্তরগুলো হতাশায় ডুব দেয়। সালাত আদায় আর সিয়াম পালন করা যেন খুবই কষ্ট সাধ্য কাজ। একটা সুন্দর জীবন, বিলাসবহুল জীবন তো চাই চাই! নাহয় কী মূল্য এই জীবনের? কিন্তু আমরা তো নিজেদেরকে এসবের উর্ধ্বে উঠিয়েছি।
আমাদের ইমান আমাদের অন্তরকে সিক্ত করে। আমাদের নেক আমল সমূহ আমাদের পরকালের কঠিন সময়ের পুঁজি। আমাদের কেউ কারাগারে থাকুক কিংবা পরিবারের সাথে সুখে শান্তিতে থাকুক তা আমাদের কাছে একই। আমাদের কেউ উত্তপ্ত মরুভূমিতে থাকুক কিংবা নিরাপদ ভূমিতে, আমাদের কাছে তা একই। ক্ষুধা পেট কিংবা ভরা পেট, আমাদের কাছে একই। বরং ক্ষুধার পেটকেই আমরা বেশি ভালোবেসেছি।
বরং বিলাসী খাবারকেই আমরা অপছন্দ করেছি। নরম বিছানায় ঘুমানোকে ভয় পেয়েছি। অসলতায় দিনগুলোকে নষ্ট করা আমাদেরকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে। আমাদেরকে হতাশায় ফেলে কেবল আমাদের গুনাহ সমূহ, আর তওবা-ইস্তেগফার তা মূহুর্তেই আমাদের অন্তরকে সজীব করে তোলে।
ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহি) বলেন, "দুনিয়ায় একটা জান্নাত রয়েছে, যে ব্যক্তি দুনিয়ার জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, সে আখিরাতের জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না। আর দুনিয়ার জান্নাত হচ্ছে ইমান।" আমরা ইমানের স্বাদ পেয়েছি। আমাদের অন্তরগুলো কুরআনের বানীতে প্রশান্ত হয়। কাফিররা এই অনুভূতি কখনোই পাবে না। প্রচন্ড নির্যাতিত অবস্থাতেও আমাদের অন্তরগুলো প্রশান্ত থাকে, "হে আল্লাহ দেখুন আমরা কার জন্য নির্যাতিত হচ্ছি? আমার জীবন তো আপনার জন্যই!"
আমরা আমাদের দুঃখ-কষ্ট গুলোকে উপভোগ করি। আমাদের কাছে সব কিছুই যেন প্রশান্তময়। আমাদের অভাবগুলো আমাদের প্রশান্তির পথের কাঁটা হতে পারে না। আমরা কেবল বিচলিত হই জাহান্নামের ভয়ে। এই তো দুনিয়া। অচিরেই পাখিরা ডানা মেলে উড়বে।
আমরাই এই দুনিয়ার হিরো। ওরা না জানুক, শুধু আমাদের রব আর ফেরেস্তারাই জানুক। নির্যাতন আর নিপিড়নকে অনেক আগেই আপন ভাবতে শুরু করেছি। আমরা নিজেদের জীবনকে বিক্রি করেছি জান্নাতের বিনিময়ে। নিজেদের দ্বীনকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে। আমাদের পরিবার স্বজন এর জন্য কুরবান হোক। আমাদের সকল সম্পদ এর জন্য কুরবান হোক। যাদের হারানোর কোনো ভয় নেই, তারা কীসের শঙ্কায় টতস্থ থাকবে?
"আর দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছু না। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না?" -সূরা আনআম: ৩২
দুনিয়ার যত দুঃখ যন্ত্রণা, যত হতাশা আর অস্থিরতায় কেটে যাওয়া দিনগুলো, আমাদেরকে একটি কথাই মনে করায়, "দুনিয়া তো আর জান্নাত না। এই দিনগুলোও চিরস্থায়ী না।" এরপরের অনুভূতিগুলো দারুন!
ওদের জন্য দিনগুলো খুবই কঠিন। ওদের মতে ভালো থাকাটা ওদের অধিকার। ওদেরকে অবশ্যই দুনিয়াকে ভোগ করতেই হবে, নাহয় যেন জীবনটা বৃথা। গান বাদ্য আর সিনেমার মতো অবৈধ বিনোদনগুলোর অভাবে যেন ওদের অন্তরগুলো শুকিয়ে যায়। বেপর্দা নারীদের সাথে অবাধ মেলামেশা না করলে ওদের অন্তরগুলো হতাশায় ডুব দেয়। সালাত আদায় আর সিয়াম পালন করা যেন খুবই কষ্ট সাধ্য কাজ। একটা সুন্দর জীবন, বিলাসবহুল জীবন তো চাই চাই! নাহয় কী মূল্য এই জীবনের? কিন্তু আমরা তো নিজেদেরকে এসবের উর্ধ্বে উঠিয়েছি।
আমাদের ইমান আমাদের অন্তরকে সিক্ত করে। আমাদের নেক আমল সমূহ আমাদের পরকালের কঠিন সময়ের পুঁজি। আমাদের কেউ কারাগারে থাকুক কিংবা পরিবারের সাথে সুখে শান্তিতে থাকুক তা আমাদের কাছে একই। আমাদের কেউ উত্তপ্ত মরুভূমিতে থাকুক কিংবা নিরাপদ ভূমিতে, আমাদের কাছে তা একই। ক্ষুধা পেট কিংবা ভরা পেট, আমাদের কাছে একই। বরং ক্ষুধার পেটকেই আমরা বেশি ভালোবেসেছি।
বরং বিলাসী খাবারকেই আমরা অপছন্দ করেছি। নরম বিছানায় ঘুমানোকে ভয় পেয়েছি। অসলতায় দিনগুলোকে নষ্ট করা আমাদেরকে হতাশায় ফেলে দিয়েছে। আমাদেরকে হতাশায় ফেলে কেবল আমাদের গুনাহ সমূহ, আর তওবা-ইস্তেগফার তা মূহুর্তেই আমাদের অন্তরকে সজীব করে তোলে।
ইবনে তাইমিয়্যাহ (রহি) বলেন, "দুনিয়ায় একটা জান্নাত রয়েছে, যে ব্যক্তি দুনিয়ার জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, সে আখিরাতের জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না। আর দুনিয়ার জান্নাত হচ্ছে ইমান।" আমরা ইমানের স্বাদ পেয়েছি। আমাদের অন্তরগুলো কুরআনের বানীতে প্রশান্ত হয়। কাফিররা এই অনুভূতি কখনোই পাবে না। প্রচন্ড নির্যাতিত অবস্থাতেও আমাদের অন্তরগুলো প্রশান্ত থাকে, "হে আল্লাহ দেখুন আমরা কার জন্য নির্যাতিত হচ্ছি? আমার জীবন তো আপনার জন্যই!"
আমরা আমাদের দুঃখ-কষ্ট গুলোকে উপভোগ করি। আমাদের কাছে সব কিছুই যেন প্রশান্তময়। আমাদের অভাবগুলো আমাদের প্রশান্তির পথের কাঁটা হতে পারে না। আমরা কেবল বিচলিত হই জাহান্নামের ভয়ে। এই তো দুনিয়া। অচিরেই পাখিরা ডানা মেলে উড়বে।
আমরাই এই দুনিয়ার হিরো। ওরা না জানুক, শুধু আমাদের রব আর ফেরেস্তারাই জানুক। নির্যাতন আর নিপিড়নকে অনেক আগেই আপন ভাবতে শুরু করেছি। আমরা নিজেদের জীবনকে বিক্রি করেছি জান্নাতের বিনিময়ে। নিজেদের দ্বীনকে দুনিয়ার বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে। আমাদের পরিবার স্বজন এর জন্য কুরবান হোক। আমাদের সকল সম্পদ এর জন্য কুরবান হোক। যাদের হারানোর কোনো ভয় নেই, তারা কীসের শঙ্কায় টতস্থ থাকবে?
"আর দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছু না। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না?" -সূরা আনআম: ৩২
Comment