Announcement

Collapse
No announcement yet.

নিজেকে ফেরেশতাদের দোয়ায় শামিল করার ১১টি পন্থা বা আমল ।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নিজেকে ফেরেশতাদের দোয়ায় শামিল করার ১১টি পন্থা বা আমল ।

    আমরা প্রায় সময় কারো থেকে বিদায় নিতে বলি- দোয়া করবেন । আমরা মা-বাবার কাছে দোয়া চাই। পীর-বুযুর্গ-শায়খের কাছে দোয়া চাই। ময়মুরুব্বি, ওস্তাদের কাছে দোয়া চাই। অথচ আমরা জানি উনারা গুনাহগার, দোয়া কবুল হতেও পারে নাও পারে... । কিন্তু আমরা কি এমন কারো দোয়া নিতে চাইনা যারা গুনাহগার নয় ও যাদের দোয়া কবুল হবে ইনশাআল্লাহ ?? আজ তাহলে এই বিষয়ে কয়েকটি পয়েন্ট দেখবো ইনশাআল্লাহ । আমরা চাইলে ফেরেশতাগনেরও দোয়া লাভ করতে পারি অত্যন্ত সহজেই। যাদের দোয়া কবুল হবে ইনশাআল্লাহ। আর এর সুরত হলো এমন কিছু আমল যা আমরা আমাদের জন্যই করবো কিন্তু এর জন্য বোনাস হিসেবে ফেরেশতার দোয়া পাবো । ১১ সময়ে ফেরেশতাগন আমাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন ।

    🟢১) *যে প্রথম কাতার বা সামনের কাতার গুলোতে দাড়ায় তার জন্য মালাইকা (ফেরেশতা) দুয়া করেন*

    عَن النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ قال النَّبِيَّ ﷺ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ أَوْ الصُّفُوفِ الْأُوَلِ
    নুমান বিন বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ প্রথম কাতার ও সামনের কাতারসমূহের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফিরিশতাগণ তাদের জন্য দু’আ করে থাকেন। (হাদিস সম্ভার ৭০৯, আহমাদ ১৮৩৬৪, সহীহ তারগীব ৪৯২)

    মসজিদে গিয়ে আগে চেষ্টা না করলে এখন থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সামনের কাতার ধরার জন্য। আর এই ফযিলত পেতে হলে আমরা আযানের সাথে সাথেই মসজিদে পৌছে যাবো ইনশাআল্লাহ

    🟢২) *যে কাতারের ডানে দাড়ায় তার জন্য ফেরেশতা বা মালাইকা দুয়া করেন*

    حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى مَيَامِنِ الصُّفُوفِ
    আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় কাতারের ডান দিকের (মুসল্লী­দের) উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং মালায়িকাহ (ফিরিশতাগণ) দু’আ করেন। (ইবনু মাজাহ,আবু দাউদ ৬৭৬)

    এর মানে এই না যে বামের লোকজন পাবেনা, বরং ডানের লোকজন আগে পাবেন বামের লোক পরে পাবেন।

    🟢৩) *যে কাতারের মাঝখানের খালি জায়গা পূরণ করে তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    عَن الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يَلُونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ وَمَا مِنْ خَطْوَةٍ أَحَبَّ إِلَى اللهِ مِنْ خَطْوَةٍ يَمْشِيهَا يَصِلُ بِهَا صَفًّا

    عَن عَائِشَةَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُونَ الصُّفُوفَ

    حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُونَ الصُّفُوفَ وَمَنْ سَدَّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً ‏"‏ ‏.‏

    রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা রহমতের দোয়া করেন, যারা কাতারের সঙ্গে মিলিত হয়ে সালাত আদায় করে। আর যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা জায়গা পূরণ করে, আল্লাহ এর কারণে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। (ইবনু মাজাহ ৯৯৫, হাদিস সম্ভার ৭১৩-৭১৫, আহমাদ ২৪৩৮১, ইবনে মাজাহ ৯৯৫, ইবনে খুযাইমাহ ১৫৫০, ইবনে হিব্বান ২১৬৩, হাকেম,সহীহ তারগীব ৫০১)

    অথছ দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় আমাদের মসজিদগুলোতে কাতারের একেবারে কোনার অংশগুলো খালি থেকে যায় । আমাদের উচিত এগুলার দিকে খেয়াল করে । আর এরকম দৃশ্যত ছোট ছোট কাজগুলোর মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়ে উঠতে পারবো ইনশাল্লাহ ।

    🟢৪) *যে নামায বা সলাত শেষে, অজুসহ সলাতের স্থানে বসে থাকে তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ صَلاةُ الرَّجُلِ فِي جَمَاعَةٍ تُضَعَّفُ عَلَى صَلاتِهِ فِي بَيْتهِ وَفِي سُوقِهِ خَمْساً وَعِشْرِينَ ضِعْفَاً وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى المَسْجِدِ لاَ يُخرِجُهُ إِلاَّ الصَّلاةُ لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ وَحُطَّتْ عَنهُ بِهَا خَطِيئَةٌ فَإِذَا صَلَّى لَمْ تَزَلِ المَلائِكَةُ تُصَلِّي عَلَيْهِ مَا دَامَ فِي مُصَلاَّهُ مَا لَمْ يُحْدِثْ تَقُولُ : اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيهِ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْهُ وَلاَ يَزَالُ فِي صَلاَةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلاَةَ متفقٌ عَلَيهِ وهذا لفظ البخاري
    আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জামাতের সাথে পুরুষের নামায পড়া, তার ঘরে ও বাজারে একা নামায পড়ার চাইতে ২৫ গুণ বেশি শ্রেষ্ঠ। তা এই জন্য যে, যখন কোন ব্যক্তি ওযূ করে এবং উত্তমরূপে ওযূ সম্পাদন করে। অতঃপর মসজিদ অভিমুখে যাত্রা করে। আর একমাত্র নামাযই তাকে (ঘর থেকে) বের করে (অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে না), তখন তার (পথে চলার সময়) প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গোনাহ মাফ করা হয়। তারপর সে নামাযান্তে নামায পড়ার জায়গায় যতক্ষণ ওযূ সহকারে অবস্থান করে, ফিরিশতাবর্গ তার জন্য দু’আ করেন; তাঁরা বলেন, হে আল্লাহ! ওর প্রতি অনুগ্রহ কর। হে আল্লাহ! তুমি ওকে রহম কর। আর সে ব্যক্তি ততক্ষণ নামাযের মধ্যেই থাকে, যতক্ষণ সে নামাযের প্রতীক্ষা করে। বুখারী ৬৪৭, মুসলিম ১৫০৮, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ,

    🟢৫) *যে রসুল ﷺ প্রতি দুরুদ পড়ে তার জন্য ফেরেশতা বা মালাইকা দুয়া করেন*

    حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ أَبُو بِشْرٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُصَلِّي عَلَىَّ إِلاَّ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلاَئِكَةُ مَا صَلَّى عَلَىَّ فَلْيُقِلَّ الْعَبْدُ مِنْ ذَلِكَ أَوْ لِيُكْثِرْ ‏"‏ ‏.‏
    আমের ইবনু রবীআ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যখন কোন মুসলিম ব্যাক্তি আমার প্রতি দুরূদ পাঠ করে এবং যতক্ষণ সে আমার প্রতি দুরূদ পাঠরত থাকে, ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন। অতএব বান্দা চাইলে তার পরিমাণ (দরূদ পাঠ) কমাতেও পারে বা বাড়াতেও পারে। ইবনু মাজাহ ৯০৭, মুসনাদে আহমদ: ১৫৬৮৯, সহিহুল জামে, হাদিস : ৫৭৪৪, হাদিসটি হাসান

    আপনি কি কোনো বিপদে পড়েছেন?? কারো সাহায্য পাচ্ছেন না ?? দরুদ পড়ুন । ইনশাল্লাহ ফেরেসতাদের দোয়ার উচিলায় আল্লাহ আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।

    🟢৬) *যে কোন অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে যায় তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا غُدْوَةً إِلَّا صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد
    আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে মুসলিম সকাল বেলায় কোন অসুস্থ মুসলিমকে দেখতে যায়, তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার মালাক (ফেরেশতা) দু’আ করতে থাকে। যদি সে তাকে সন্ধ্যায় দেখতে যায়, তার জন্য সত্তর হাজার মালাক সকাল পর্যন্ত দু’আ করতে থাকে এবং তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরি হয়। (আত্ তিরমিযী ৯৬৯, আবূ দাঊদ ৩০৯৮, ইবনু মাজাহ্ ১৪৪২, সহীহ আত্ তারগীব ৩৪৭৬, সহীহ আল জামি আস্ সগীর ৫৭৬৭)

    🟢৭) *যে কোন মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দুয়া করে, ফেরেশতা বা মালাইকা তার জন্য দুয়া করেন*

    وَعَنْ أَبي الدرداء رضي الله عنه: أنَّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ: «مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلمٍ يَدْعُو لأَخِيهِ بِظَهْرِ الغَيْبِ إِلاَّ قَالَ المَلَكُ: وَلَكَ بِمِثْل»
    আবূ দরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, “যখনই কোন মুসলিম বান্দা তার ভাইয়ের জন্য পশ্চাতে অদৃশ্যে দো’আ করে, তখনই তার (মাথার উপর নিযুক্ত) ফেরেশতা বলেন, ’আর তোমার জন্যও অনুরূপ।” (মুসলিম ২৭৩২, ২৭৩৩, আবূ দাউদ ১৫৩৪, ইবনু মাজাহ ২৮৯৫, আহমাদ ২১২০০, ২৭০১০)

    🟢৮) *যে মানুষকে উপকারী জ্ঞান শিক্ষা দেয় তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جَمِيلٍ، حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ ذُكِرَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاَنِ أَحَدُهُمَا عَابِدٌ وَالآخَرُ عَالِمٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ وَأَهْلَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ حَتَّى النَّمْلَةَ فِي جُحْرِهَا وَحَتَّى الْحُوتَ لَيُصَلُّونَ عَلَى مُعَلِّمِ النَّاسِ الْخَيْرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا عَمَّارٍ الْحُسَيْنَ بْنَ حُرَيْثٍ الْخُزَاعِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ الْفُضَيْلَ بْنَ عِيَاضٍ يَقُولُ عَالِمٌ عَامِلٌ مُعَلِّمٌ يُدْعَى كَبِيرًا فِي مَلَكُوتِ السَّمَوَاتِ ‏.‏
    আবূ উমামাহ্ আল-বাহিলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, দু’জন লোকের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ -এর নিকট আলোচনা করা হল। তাদের একজন আবিদ (সাধক) এবং অন্যজন আলিম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের সাধারণ ব্যক্তির উপর আমার যতখানি মর্যাদা, ঠিক তেমনি একজন আলিমের মর্যাদা একজন আবিদের উপর। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ, তার ফেরেশতাগণ এবং আসমান-যমীনের অধিবাসীরা, এমনকি গর্তের পিপড়া এবং পানির মাছ পর্যন্ত সেই ব্যক্তির জন্য দু’আ করে যে মানুষকে কল্যাণকর জ্ঞান শিক্ষা দেয়। (জামে সগীর ৫৮৪১, জামে তিরমীযি ২৬৮৫)

    সুবহানাল্লাহ!! এই ক্ষেত্রে তো ফেরশতাদের পাশাপাশি সৃষ্টিকুলেরও দোয়া পাচ্ছেন ।

    🟢৯) *যে অজু অবস্থায় রাএি যাপন করে তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    وعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَا مِنْ عَبْدٍ بَاتَ طَاهِرًا إِلا بَاتَ فِي شِعَارِهِ مَلَكٌ كُلَّمَا تَقَلَّبَ مِنَ اللَّيْلِ سَاعَةً قَالَ الْمَلَكُ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِكَ كَمَا بَاتَ طَاهِرًا

    ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে পবিত্র অবস্থায় (অজু সহকারে) ঘুমায়, একজন ফেরেশতা তার গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা কাপড়ের ভেতরে অবস্থান করে। । সুতরাং যখনই সে জাগ্রত হয় তখনই ঐ ফিরিশতা বলেন, ’হে আল্লাহ! তোমার বান্দা অমুককে ক্ষমা করে দাও, কারণ সে ওযু অবস্থায় রাত্রি যাপন করেছে। (ত্বাবারানী ১৩৪৪৬, ইবনে হিব্বান ১০৫১, সহীহ তারগীব ৫৯৪, হাদিস সম্ভার ৩১৫৪)

    🟢১০) *যে সাহরী খায় তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    عَنِ ابنِ عُمَرَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِنَّ اللهَ وَمَلائِكَتُهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ

    ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই আল্লাহ তাদের প্রতি করুণা বর্ষণ করেন, যারা সেহরী খায়, আর ফিরিশতাবর্গও তাদের জন্য দু’আ করে থাকেন। (ত্বাবারানীর আওসাত্ব ৬৪৩৪, ইবনে হিব্বান ৩৬৬৭, সহীহ তারগীব ১০৫৩, হাদিস সম্ভার ১০৫৭)

    🟢১১) *যে দান করে তার জন্য ফেরেশতা দুয়া করেন*

    حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي مُزَرِّدٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا مِنْ يَوْمٍ ُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا وَيَقُولُ الآخَرُ اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا

    হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা (আসমান থেকে) অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ, যে দান করে তাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ, যে দান করে না, তাকে ধ্বংস করে দিন। (সহিহ বুখারি: ১৪৪২; মুসলিম ২২২৬)

    এগুলো খুবি সহজ কিছু পন্থা, চাইলেই আমল করা যায়। শুধু একটু সদিচ্ছা থাকা দরকার। আর এই ছোট ছোট কাজগুলোর মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালা আমাদের জীবনে বারাকাহ দিবেন ইনশাল্লাহ। দ্বীনের পূর্ণ হিদায়াত লাভের এবং হেদায়াতের পথে চলার তৌফিক দিবেন ইনশাল্লাহ ।

    হে আল্লাহ আমিসহ আমাদের সকলকে এই আমলগুলো করার তৌফিক দিন । আমাদের কে ইস্তেকামাত দান করুন। আমাদের দুর্বলতা দূর করে দিন। আমাদের সকলকেই দ্বীনের খেদমতে সাহাবিদের মত কুরবানির তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • #2
    আল্লাহ তাআলা আমাদের উক্ত আমলগুলো ইখলাসের সাথে করার তাওফিক দিন, আমীন

    Comment

    Working...
    X