ইমাম শাফেয়ী [র.] এর হৃদয় বিগলিতকারী কবিতা
ইমাম শাফেয়ী [র.] তিনি হলেন, আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস আশ-শাফেয়ী আল-কুরাশী। হিজরি ১৫০ সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ এর নিকট সম্মানিত চার ইমামের একজন। ইসলামী ফিকহের ক্ষেত্রে শাফেয়ী মাযহাবের প্রণেতা। পক্ষান্তরে উসূলে ফিকহের ভিত্তি রচয়িতা।
তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে নিম্নোক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করেন,
إليك إله الخلق أرفع رغبتى
وإن كنتُ- ياذا المنِّ والجود- مجرماً
ولَّما قسا قلبى، وضاقت مذاهبى
جَعَلْتُ الرَّجَا مِنِّى لِعَفْوِكَ سُلّمَا
আপনার নিকট হে সৃষ্টিজগতের রব! আমার সকল আশা,
হে দয়া অনুকম্পার আঁধার ! যদিও আমি অপরাধী।
যখন আমার হৃদয় পাথর হয়ে যায়, পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়,
তখন আপনার ক্ষমাপ্রাপ্তির আশা হয় আমার পথের সোপান।
تعاظمنى ذنبى فلَّما قرنتهُ
بعفوكَ ربى كانَ عفوكَ أعظما
فَمَا زِلْتَ ذَا عَفْوٍ عَنِ الذَّنْبِ لَمْ تَزَلْ
تَجُودُ وَتَعْفُو مِنَّة وَتَكَرُّمَا
গুনাহের নিকটবর্তী হলেই বিশাল গুনাহ হয়ে যায়,
আমার রবের ক্ষমা, সে তো আমার গুনাহ থেকেও বিশাল।
আপনি তো সদা-সর্বদা গুনাহ ক্ষমাকারী
ক্ষমা, দান করতেই থাকেন আনুগ্রহ হিসেবে।
فلولاكَ لم يصمد لإبليسَ عابدٌ
فكيفَ وقد أغوى صفيَّكَ آدما
فيا ليت شعرى هل أصير لجنة
أهنا وأما للسعير فأندما
আপনার দয়া না হলে, কেউই ইবলিশ থেকে বাঁচতো না,
কীভাবেই, সে যে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আদমকে ধোঁকা দিয়েছে।
হায় আমার কাব্য ! আমি কি জান্নাতবাসী হতে পারব!!
সেখানে কি স্থান হবে! গুনাহ তো জাহান্নামের জন্য অনুতপ্ত করায়।
فإن تعفُ عنى تعفُ عن متمردٍ
ظَلُومٍ غَشُومٍ لا يزايلُ مأثما
وإن تنتقمْ منى فلستُ بآيسٍ
ولو أدخلوا نفسى بجُرْم جهنَّما
যদি আপনি ক্ষমা করেন, তাহলে অবাধ্যকেই ক্ষমা করেছেন,
যে জালেম, অত্যাচারী, সর্বদাই গুনাহে নিমজ্জিত থাকত।
আর যদি প্রতিশোধ নেন, তাহলে নিরাশ হবনা,
যদিও ফেরেস্তারা আমাকে গুনাহের কারণে জাহান্নামে ফেলে।
فَللَّهِ دَرُّ الْعَارِفِ النَّدْبِ إنَّه
تفيض لِفَرْطِ الْوَجْدِ أجفانُهُ دَمَا
يُقِيمُ إذَا مَا الليلُ مَدَّ ظَلاَمَهُ على
نفسهِ من شدَّة الخوفِ مأتما
সে ক্রন্দনকারী আরিফ বান্দার জন্য তিনি কতো উদার,
যে জযবার অতিশয্যে আখিঁযুগল রক্তকান্নায় ভাসিয়ে দেয়।
রাত্রি আঁধারে ছেয়ে গেলে রবের সামনে দাঁড়িয়ে যায়,
গুনাহের স্মরণে প্রচণ্ড ভয়ে আহাজারি করতে থাকে।
فَصِيحاً إِذَا مَا كَانَ فِى ذِكْرِ رَبِّهِ
وَفِى مَا سِواهُ فِى الْوَرَى كَانَ أَعْجَمَا
ويذكرُ أياماً مضت من شبابهِ
وَمَا كَانَ فِيهَا بِالْجَهَالَة أَجْرَمَا
রবের জিকিরের বেলায় সে খুব বাকপটু,
তাছাড়া অন্য সময়ে সে বোবা বনে যায়,
যৌবনকালে অতিবাহিত দিনগুলো সে স্মরণ করে,
সেকালের মূর্খতাবশতঃ করা অপরাধগুলোও স্মরণ করে।
فَصَارَ قَرِينَ الهَمِّ طُولَ نَهَارِهِ
أخا السُّهدِ والنَّجوى إذا الليلُ أظلما
يَقُولُ حَبيبى أَنْتَ سُؤْلِى وَبُغْيَتِي
كفى بكَ للراجينَ سؤلاً ومغنما
ফলে দিনভর পেরেশানীর সঙ্গী হয়ে কাটায়,
রাত্রিতে অনিদ্রা, রবের সাথে গোপন কথায় কাটায়।
সে বলে, হে হাবীব ! আপনিই আমার সকল চাওয়া- আকাঙ্খা,
আশাবাদীদের জন্য আপনি চাওয়া- আকাঙ্খা হিসেবে যথেষ্ট।
ألستَ الذِّى غذيتنى هديتني
وَلاَ زِلْتَ مَنَّاناً عَلَى وَمُنْعِمَا
عَسَى مَنْ لَهُ الإِحْسَانُ يَغْفِرُ زَلَّتي
ويسترُ أوزارى وما قد تقدما
আপনি নয় কি, যিনি আমাকে আহার দিয়েছেন, পথ দেখিয়েছে্ন?
সদা-সর্বদা আমাকে অনুগ্রহ করেছেন, নিয়ামত দিয়েছেন ?
আমি আশাবাদী, ইহসানকারী স্বত্তা আমার পদস্খলন মাফ করবেন,
আমার অতীত ও ভবিষ্যত গুনাহ ঢেকে রাখবেন।
ইমাম শাফেয়ী [র.] তিনি হলেন, আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে ইদ্রিস আশ-শাফেয়ী আল-কুরাশী। হিজরি ১৫০ সনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ এর নিকট সম্মানিত চার ইমামের একজন। ইসলামী ফিকহের ক্ষেত্রে শাফেয়ী মাযহাবের প্রণেতা। পক্ষান্তরে উসূলে ফিকহের ভিত্তি রচয়িতা।
তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে নিম্নোক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করেন,
إليك إله الخلق أرفع رغبتى
وإن كنتُ- ياذا المنِّ والجود- مجرماً
ولَّما قسا قلبى، وضاقت مذاهبى
جَعَلْتُ الرَّجَا مِنِّى لِعَفْوِكَ سُلّمَا
আপনার নিকট হে সৃষ্টিজগতের রব! আমার সকল আশা,
হে দয়া অনুকম্পার আঁধার ! যদিও আমি অপরাধী।
যখন আমার হৃদয় পাথর হয়ে যায়, পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়,
তখন আপনার ক্ষমাপ্রাপ্তির আশা হয় আমার পথের সোপান।
تعاظمنى ذنبى فلَّما قرنتهُ
بعفوكَ ربى كانَ عفوكَ أعظما
فَمَا زِلْتَ ذَا عَفْوٍ عَنِ الذَّنْبِ لَمْ تَزَلْ
تَجُودُ وَتَعْفُو مِنَّة وَتَكَرُّمَا
গুনাহের নিকটবর্তী হলেই বিশাল গুনাহ হয়ে যায়,
আমার রবের ক্ষমা, সে তো আমার গুনাহ থেকেও বিশাল।
আপনি তো সদা-সর্বদা গুনাহ ক্ষমাকারী
ক্ষমা, দান করতেই থাকেন আনুগ্রহ হিসেবে।
فلولاكَ لم يصمد لإبليسَ عابدٌ
فكيفَ وقد أغوى صفيَّكَ آدما
فيا ليت شعرى هل أصير لجنة
أهنا وأما للسعير فأندما
আপনার দয়া না হলে, কেউই ইবলিশ থেকে বাঁচতো না,
কীভাবেই, সে যে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আদমকে ধোঁকা দিয়েছে।
হায় আমার কাব্য ! আমি কি জান্নাতবাসী হতে পারব!!
সেখানে কি স্থান হবে! গুনাহ তো জাহান্নামের জন্য অনুতপ্ত করায়।
فإن تعفُ عنى تعفُ عن متمردٍ
ظَلُومٍ غَشُومٍ لا يزايلُ مأثما
وإن تنتقمْ منى فلستُ بآيسٍ
ولو أدخلوا نفسى بجُرْم جهنَّما
যদি আপনি ক্ষমা করেন, তাহলে অবাধ্যকেই ক্ষমা করেছেন,
যে জালেম, অত্যাচারী, সর্বদাই গুনাহে নিমজ্জিত থাকত।
আর যদি প্রতিশোধ নেন, তাহলে নিরাশ হবনা,
যদিও ফেরেস্তারা আমাকে গুনাহের কারণে জাহান্নামে ফেলে।
فَللَّهِ دَرُّ الْعَارِفِ النَّدْبِ إنَّه
تفيض لِفَرْطِ الْوَجْدِ أجفانُهُ دَمَا
يُقِيمُ إذَا مَا الليلُ مَدَّ ظَلاَمَهُ على
نفسهِ من شدَّة الخوفِ مأتما
সে ক্রন্দনকারী আরিফ বান্দার জন্য তিনি কতো উদার,
যে জযবার অতিশয্যে আখিঁযুগল রক্তকান্নায় ভাসিয়ে দেয়।
রাত্রি আঁধারে ছেয়ে গেলে রবের সামনে দাঁড়িয়ে যায়,
গুনাহের স্মরণে প্রচণ্ড ভয়ে আহাজারি করতে থাকে।
فَصِيحاً إِذَا مَا كَانَ فِى ذِكْرِ رَبِّهِ
وَفِى مَا سِواهُ فِى الْوَرَى كَانَ أَعْجَمَا
ويذكرُ أياماً مضت من شبابهِ
وَمَا كَانَ فِيهَا بِالْجَهَالَة أَجْرَمَا
রবের জিকিরের বেলায় সে খুব বাকপটু,
তাছাড়া অন্য সময়ে সে বোবা বনে যায়,
যৌবনকালে অতিবাহিত দিনগুলো সে স্মরণ করে,
সেকালের মূর্খতাবশতঃ করা অপরাধগুলোও স্মরণ করে।
فَصَارَ قَرِينَ الهَمِّ طُولَ نَهَارِهِ
أخا السُّهدِ والنَّجوى إذا الليلُ أظلما
يَقُولُ حَبيبى أَنْتَ سُؤْلِى وَبُغْيَتِي
كفى بكَ للراجينَ سؤلاً ومغنما
ফলে দিনভর পেরেশানীর সঙ্গী হয়ে কাটায়,
রাত্রিতে অনিদ্রা, রবের সাথে গোপন কথায় কাটায়।
সে বলে, হে হাবীব ! আপনিই আমার সকল চাওয়া- আকাঙ্খা,
আশাবাদীদের জন্য আপনি চাওয়া- আকাঙ্খা হিসেবে যথেষ্ট।
ألستَ الذِّى غذيتنى هديتني
وَلاَ زِلْتَ مَنَّاناً عَلَى وَمُنْعِمَا
عَسَى مَنْ لَهُ الإِحْسَانُ يَغْفِرُ زَلَّتي
ويسترُ أوزارى وما قد تقدما
আপনি নয় কি, যিনি আমাকে আহার দিয়েছেন, পথ দেখিয়েছে্ন?
সদা-সর্বদা আমাকে অনুগ্রহ করেছেন, নিয়ামত দিয়েছেন ?
আমি আশাবাদী, ইহসানকারী স্বত্তা আমার পদস্খলন মাফ করবেন,
আমার অতীত ও ভবিষ্যত গুনাহ ঢেকে রাখবেন।
Comment