Announcement

Collapse
No announcement yet.

পর্নগ্রাফী- দ্বীন ধ্বংসের মোক্ষম উপায় । আপনার পরিবার-সমাজ-উম্মাহকে বাঁচান ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পর্নগ্রাফী- দ্বীন ধ্বংসের মোক্ষম উপায় । আপনার পরিবার-সমাজ-উম্মাহকে বাঁচান ।

    পর্নগ্রাফী-নিরব আতঙ্ক এবং সমাজ ধ্বংসের হাতিয়ার ।

    কিছু অন্ধকার আতঙ্কিত করে, কিছু অন্ধকার মানুষকে আকর্ষণ করে। আবদ্ধ করে অবোধ্য, অনতিক্রম্য লালসা আর কৌতৃহলের জালে। গুটিগুটি পায়ে তন্ময়, মন্ত্রমুগ্ধ দ্রষ্টা যখন কিনারায় এসে দাঁড়ায়, অতল গহ্বর গ্রাস করে নেয়। আর এমনই এক অন্ধকার হলো পর্নোগ্রাফি।

    পর্নোগ্রাফি নিয়ে কথা বলার সময় সাধারণত আমরা অন্ধকারের কথা চিন্তা করি না। ব্যাপারঢার সাথে গোপনীয়তা, লজ্জা, নিষিদ্ধ আনন্দ কিংবা লালসার সম্পর্কটা পরিষ্কার। কিন্তু বাস্তবতা হলো পর্নোগ্রাফি নিয়ে আমরা তেমন একটা চিন্তা করি না। এ নিয়ে আলোচনা সমাজে দুর্লভ। আলোচনার আদৌ দরকার আছে, দুর্লভ এমন চিন্তাও। পর্নোগ্রাফি নিয়ে অধিকাংশ কথাবার্তা তাই সীমাবদ্ধ থাকে নানা মাত্রার অশ্লীল, ইঙ্গিতপূর্ণ রসিকতা আর হাসিঠাট্টায়। সমাজের বিশাল এক অংশ সম্পূর্ণভাবে বিষয়টা এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেন। আর একটু আধটু আলোচনা যা হয়, তাতে পর্নের মাধ্যমে নারীর অবজেক্টিফিকেশান; নিছক বন্তু হিসাবে, মাংসপিড হিসাবে নারীর উপস্থাপনার কথা উঠে আসে। কিন্তু এটি আংশিক চিত্র মাত্র। আদিম সুখের বিষাক্ত এ চিত্রকল্পের ক্ষতিকর প্রভাবের সত্যিকারের ব্যাপ্তির ছিটেফোটাও আমরা অনুধাবন করি না। সত্যি কথা হলো পর্নোগ্রাফি আসলে কতটা ক্ষতিকর আধুনিক মানুষ এখনো পুরোপুরি সেটা বুঝে উঠতে পারেনি। তবে এখনো পর্যন্ত যা জানা গেছে, চমকে দেয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট

    পর্নোগ্রাফি কোনো "নির্দোষ আনন্দ" না। ছোটখাটো কোনো নৈতিক বিছ্যুতি না। এমন কোনো সমস্যা না, না দেখার ভান করে থাকলে যার অস্তিত্ব মিলিয়ে যাবে। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য পর্নোগ্রাফি আসক্তি মারাত্বক এক হুমকি। কারণ, এর প্রভাব কেবল সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টিতে সীমাবদ্ধ না; বরং দীর্ঘমেয়াদে পর্নোগ্রাফি মানুষকে বদলে দেয়। পর্নোগ্রাফি আক্ষরিকভাবেই মানুষের মস্তিষ্ককে পাল্টে দেয়। বদলে দেয় মাথার ভেতরের সার্কিটগুলোর গঠন। পর্ন দেখার সময় মাথায় শুরু হয় ডোপামিন আর অক্সিটোসিনের মতো কেমিক্যালগুলোর বন্যা। এ কেমিক্যালগুলো আমাদের মধ্যে আনন্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে। প্রতিবার পর্ন দেখার সময় কেমিক্যাল বন্যা তৈরি করে সাময়িক আনন্দের অনুভূতি। মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো যা তাকে আনন্দ দেয়, বার বার ওই উৎসে ফিরে যাওয়া। তাই ডোপামিনের নেশায় মানুষ আবার ফিরে যায় পর্নের কাছে। এভাবে একটা লুপ তৈরি হয়। পুনরাবৃত্তির একপর্যায়ে উচ্চমাত্রার ডোপামিনে অভ্যস্ত মস্তিষ্ক আগের মতো আর আনন্দিত হতে পারে না। প্রয়োজন হয় আরও বেশি ডোপামিনের। আরও বেশি, আরও “কড়া” পর্নের। তারপর আরও বেশি, তারপর আরও বেশি।
    একসময় প্রায় সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে আনন্দিত হবার ক্ষমতা।

    পর্নোগ্রাফি এমন এক ব্যাধি, যা সবার অগোচরে ছড়িয়ে পড়েছে মেট্রোপলিটান থেকে মফস্বলে। কোনো শ্রেণি, বর্ণ, ভাষা কিংবা জাতীয় পরিচয়ের সীমারেখা এ ব্যাধি মেনে চলে না। নিজ বিষাক্ত কলুষতায় সে চরম সাম্যবাদী। বেডরুম, ক্লাস কিংবা পাবলিক প্লেইসে আঙুলের ডগায় অপেক্ষমাণ আজ একান্ত পিক্সেল ফ্যান্টাসি। শিশু থেকে বৃদ্ধ, পর্ন সবার হাতের নাগালে। এ ব্যাধি বর্তমানের সবচেয়ে চরম স্বাস্থ্য ও সামাজিক ঝুঁকিগুলোর অন্যতম। অগণিত গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, এটি এমন এক সমস্যা যা অসংখ্য মানুষের জীবনের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি বয়ে আনে । এছাড়াও এর হাজারো সামাজিক-ব্যক্তিগত ও অন্যান্য সমস্যা আছে যা আমরা কম বেশি জানি । এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের অবস্থা কী? ।

    আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক ড. ভিক্টর বি. ক্লাইনের সাথে। ড. ক্লাইন ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ ইউটাহর ইমেরিটাস প্রফেসার। নিজে পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি থেকে। সাইকোলজির ওপর পিএইচডি। পড়াতেনও সাইকোলজি। পর্নোগ্রাফির প্রভাব নিয়ে ড. ভিন্টর আজীবন গবেষণা চালিয়ে গেছেন। ড. ভিক্টর বি. ক্লাইনের মতে পর্ন-আসক্তির সূচনা থেকে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে বেশ কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়।ধাপগুলো হচ্ছে :

    ১) Addiction-আসক্তি

    ২) Escalation-আসক্তির ক্রমবর্ধন

    ৩) Desensitization-সংবেদনশীলতা হ্রাস পাওয়া

    ৪) Acting Out-ফ্যান্টাসির বান্তবায়ন।

    যদিও ড. ক্লাইনের এ মডেল "ব্যক্তিকেন্দ্রিক", অর্থাৎ একজন ব্যক্তির পর্ন- আসক্তির ধাপগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য, তবুও আমরা মনে করি এই মডেল দিয়ে বাংলাদেশের সমাজে পর্নোগ্রাফির সামগ্রিক প্রভাব ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

    মহামারি আকারে বাংলাদেশের কিশোর-তরুণদের পর্ন আসক্তির সূচনা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সহজলভ্য হবার আগে তরুণরা পর্ন দেখত সিডি ভাড়া করে। ২০০৫ এর দিক থেকে এমপি-ফোর, এমপি-ফাইভের মতো গান শোনা এবং ভিডিও দেখার ডিভাইসগুলো বাংলাদেশে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। সে সময় কম্পিউটারের দোকান থেকে টাকা দিয়ে এসব ডিভাইসে পর্ন লোড করে নিত কিশোর-তরুণরা। কিন্তু তখনো পর্ন আসক্তি মহামারির পর্যায়ে পৌছেনি। ২০০৭ এর দিকে মাল্টিমিডিয়া ফোন সহজলভ্য হতে থাকে। সেই সাথে বাড়তে থাকে পর্ন-আসক্তি। কিন্তু তখনো এখনকার মতো মহামারি হয়নি। ২০১০-২০১১ সালের দিকে সহজলভ্য হওয়া শুরু হয় ইন্টারনেট। সবার হাতে হাতে পৌছে যায় মাল্টিমিডিয়া ফোন। সেই সাথে বলিউডে ব্যাপকভাবে শুরু হয় "আইটেম সং" কালচার। এই সময়ে থেকেই মুলত পর্ন আসক্তি শহর-বন্দর, গ্রামেগঞ্জে মহামারি আকার ধারণ করে। ড. ক্লাইনের মডেলের প্রথম ধাপে পৌছে যায় বাংলাদেশ। এ পুরোটা সময় জুড়ে পর্ন আসক্তরা যেমন মানসিকভাবে দিন দিন বিকৃত হয়েছে, নির্লজ্জ আর বেহায়া আচরণে অভ্যন্ত হয়ে উঠেছে, একই সাথে সাথে পর্ন ভিডিওতে দেখা জিনিসগুলো বাস্তব জীবনে পরখ করতে গেছে। অর্থাৎ ড. ব্লাইনের মডেলের ৩য় এবং ৪র্থ ধাপে পা ফেলেছে।

    ২০১২-২০১৪, এ সময়টাতে সামষ্টিকভাবে বাংলাদেশ পার করে ফেলে ড. ক্লাইনের মডেলের ২ নম্বর ধাপটা। আন্ড্রয়েড ফোন এবং হাইস্পিড ইন্টারনেট একদম সহজলভ্য হয়ে ওঠে। ইন্টারনেট পৌছে যায় সবার হাতে হাতে। "আইটেম সং" প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। নাটক, সিনেমা আরও অশ্লীল, আরও যৌন উত্তেজক হতে থাকে। প্রথম আলোর মতো পত্রিকাগুলো পর্ন অভিনেত্রীর খবর, ঘন ঘন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাপাতে থাকে। বাধভাঙা প্লাবনের মতো শিশু, কিশোর, তরুণদের ভাসিয়ে নেয় পর্নোগ্রাফি। কিন্ডারগার্ডেনের বাচ্চারাও পর্ন ভিডিওর খোঁজ পেয়ে যায়; ক্লাস থ্রি-ফোরের বাচ্চারাও হয়ে পড়ে পর্ন আসন্ত। অনেকের বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য থাকার কারণেই এ হৃদয়বিদারক সত্যগুলো বলতে হচ্ছে

    ডিসেন্সেটাইযড হবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু পর্নোগ্রাফি আসক্তি মহামরি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেট পর্ন ও বলিউড আইটেম সংয়ের (বাই ডেফিনেশান আইটেম সংও একধরনের পর্ন।) সহজলভ্যতার কারণে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী তথা সামগ্রিক সমাজের যৌন-মনস্তাত্তিক বিকৃতি এবং অশ্লীলতাকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করার প্রবণতা ২০১৪-২০১৫ সাল থেকে চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্ন দেখা এবং নারীদের নিয়ে "ছিনিমিনি" খেলা পৌরুষের মানদন্ড হয়ে দাড়িয়েছে। যে যত নীচে নামতে পারবে, যার “প্লে-বয়” ইমেজ যত বেশি সে তত বেশি “আসল পুরুষ”। ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে, উঠতি বয়েসী কিশোর-তরুণদের মধ্যে দুর্লভ যে কজন নারীদের আসলেই সম্মান করে_ নারীর শরীরটা নয় বরং তার মনটাকে, তার সামগ্রিক সত্তাকে যারা প্রাধান্য দেয়__তাদের নিয়ে চলে রসিকতা-ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ। বলা হয় নপুংসক, হিজড়া...

    পর্ন প্রভাবিত মিডিয়া এবং যৌনতা-তাড়িত সমাজ মেয়েদের শিখিয়ে দিলো কীভাবে পোশাক-আশাক পরলে, কীভাবে চলাফেরা করলে তুমি যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে। তুমি থাকবে পুরুষের নজর আর আকর্ষণের কেন্দ্রে । আর এর ফলে বেড়েছে জিন্স, টপস, টিশার্ট, আঁটসাঁট পোশাক আর উগ্র মেইকআপ । অভিভাবকেরা চোখ বন্ধ করে মেনে নিয়েছে মেয়েদের সন্ধ্যার পর ঘরে ফেরা, ছেলেবন্ধুদের সাথে রিকশায়-পার্কে "মেইকাউট", সমাজ নীরবে মেনে নিয়েছে রাস্তাঘাটের অশ্লীলতা। স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবে গ্রহণ করেছে। সমাজের মানসিকতা এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে, নৈতিকতার বাধন এতটাই ঢিলে হয়ে গেছে যে, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডুয়িংরুমে বসে "আইটেম সং" দেখতেও কারও বাধছে না। "আইটেম গার্ল", "পর্নস্টার"রা ঘরের মানুষ হয়ে গেছে।

    বাংলাদেশ এখন পা ফেলেছে ড. ক্লাইনের মডেলের চতুর্থ ধাপে-ফ্যান্টাসির বাস্তবায়ন। গত ক-বছরে পর্ন ভিডিওর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি, ধর্ষণ, বেড়েছে ব্যাপক আকারে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা অল্প বয়সে লিটনের ফ্ল্যাট আর "রুম-ডেইটের" খোঁজ করছে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে ফার্মেসির ব্যবসা, ডাস্টবিনে প্রায় প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে নবজাতকের লাশ। বাড়ছে অন্তরঙ্গ মুহূত ভিডিও করে রাখার প্রবণতা, আর এ ভিডিও দিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেইল। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেটে, ভুক্তভোগীরা ঝুলে পড়ছে সিলিংএ। যৌন উত্তেজক মাদক ইয়াবার ব্যাপক সহজলভ্যতা ও ব্যবহার প্রভাব ফেলেছে তরুণসমাজের সামগ্রিক যোন বিকৃতিতে। হস্তমৈথুন আসক্তির পরিমাণ ভেঙে ফেলেছে আগের সব রেকর্ড। যৌন অক্ষমতা, যৌন অতৃপ্তি, বিবাহ-বিচ্ছেদ।

    বাংলাদেশে পর্ন-আসক্ত মানুষের বর্তমান সংখ্যাটা কোটি পার হয়ে যাওয়াও অসম্ভব না। প্রতিনিয়ত অজস্র নতুন মানুষ ড. ক্লাইনের মডেলের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপে পা ফেলছে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ বোধহয় আছে তৃতীয় ধাপে! লক্ষ লক্ষ মানুষ মানসিকভাবে বিকৃত হয়ে গেছে, বিকৃত যৌনচিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে অসংখ্য মানুষের মাথায়। সুযোগ এবং প্রাইভেসি পেলে এরা যেকোনো সময় যে কারও সাথে, যেকোনো শর্তে বিছানায় চলে যাবে। এ মানুষগুলো যখন তিন নম্বর ধাপ পেরিয়ে চার নম্বর ধাপে পা দেবে, তখনকার কথা চিন্তা করলে রক্ত হিম হয়ে আসে।

    গত তিন বছরের নিবিড় পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ একটি জাহান্নামে পরিণত হয়েছে । কিছু মানুষ জাহান্নামের দরজা খুলে ঝাঁপ দিয়েছে আগুনে, অগণিত মানুষ ঝাপ দেয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে! অবস্থার যদি উন্নতি না হয়, যদি পর্ন আসক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে না তোলা হয়, যদি পর্ন-আসক্ত হবার কারণগুলো বন্ধ না করা হয়, তাহলে আগামী দশ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সামাজিক ব্যবস্থা ধসে পড়বে, পারিবারিক কাঠামো ভেঙে পড়বে প্রচলিত মুল্যবোধ, মহৎ রীতিনীতি, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা সবকিছুই বিলুপ্তির পথ ধরবে। সবকিছু চলে যাবে নষ্টদের অধিকারে!

    (সংগৃহীত এবং ঈষৎ পরিমার্জিত)

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমি হঠাৎ ফোরামে এরকম পোস্ট কেন করছি । এর কারণ হলো, আপনি বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা দেখেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন এর কারণ । অশ্লিলতা আকাশচুম্বী হয়ে গেছে । এখন দুইটা তরুন ছেলে একসাথ হলে ৯০ শতাংশ সময় তাদের মধ্যে আলোচনা হয় নারী নিয়ে আর অশ্লিল বিষয় নিয়ে । যা একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ শুনলেও তার গা-গুলাবে । একজন জেনারেল লাইনের ছাত্র হওয়ায় আমি এটার সম্মুখীণ হয়েছি বারবার । আর ফেসবুক ও অন্যন্য সোশাল মিডিয়া হচ্ছে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রির ব্র্যান্ড আম্ব্যাসেডোর । আপনি যদি প্রয়োজন ছাড়া ফেসবুকে ২ মিনিট অতিবাহিত করেন তাহলে তা আপনার ঈমান নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট । আর এভাবেই ধীরে ধীরে পর্ণ আসক্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের আদরের ছোট ভাই-বোনটা, স্নেহের ছেলে-মেয়েটা, খেলার সাথীটা, ঘরের সবচেয়ে নামাজী আর দ্বীনদার সন্তানটা অথবা আপনি নিজেই । হয়তো আপনার খারাপ লাগবে বাস্তবতা মেনে নিতে তবে মানতে আপনাকে হবেই । না হলে আপনার আসে পাশে অথবা আপনার ভিতরেই গড়ে উঠবে মানুষরূপী জানোয়ার । তাই নিজের দ্বীনের খাতিরে ও উম্মাহর খাতিরে হলেও এই বিষয়ে সোচ্ছার হোন । প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করুন । দরকার হলে আপনার ভাই/বোন, ছেলে/মেয়ে অথবা আপনার নিজের জন্য একজন কঠোর ও খারাপ অভিভাবক হয়ে যান । সে এখন কষ্ট পেলেও পরে এর সুফল বুঝবে পরে ইনশাল্লাহ । আল্লাহ আমাকেসহ আমাদের সকলকে এই ধরনের ফাহেশি বিষয় থেকে হেফাজত করুন এবং হিদায়াত দিয়ে সেই পথে চলার তৌফিক দিন । আমীন ।

  • #2
    মাশা আল্লাহ্। অনেক যুগোপযোগী একটি পোস্ট। আল্লাহ আমাকেসহ আমাদের সকলকে এই ধরনের ফাহেশি বিষয় থেকে হেফাজত করুন এবং হিদায়াত দিয়ে সেই পথে চলার তৌফিক দিন । আমীন ।

    Comment


    • #3
      দ্বীন-দুনিয়া ধ্বংসের হাতিয়ার। বিষয়টি নতুনভাবে সামনে নিয়ে জন্য ধন্যবাদ ভাই।
      আল্লাহ যেন আমাদেরকে ও আমাদের পরিবারকে হেফাযত করেন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        السلام عليكم ورحمت الله

        ভাই তাহলে এর থেকে বাঁচার উপায় কি,,,,
        এগুলো ব্লক করা জায় না, কোন এপ এর মাধ্যমে ‌বা কোন সেটিং এর মাধ্যমে??
        Last edited by Rakibul Hassan; 09-09-2023, 08:02 AM.

        Comment


        • #5
          আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের সকল ফিতনা থেকে হিফাজত রাখুন, আমীন

          Comment


          • #6
            Originally posted by Osama bin laden AK47. View Post
            السلام عليكم ورحمت الله

            ভাই তাহলে এর থেকে বাঁচার উপায় কি,,,,
            এগুলো ব্লক করা জায় না, কোন এপ এর মাধ্যমে ‌বা কোন সেটিং এর মাধ্যমে??
            ভাই প্রশ্ন করার জন্য জাযাকাল্লাহু খাইরান । আসলে আপনি ইন্টারনেটে অনেক উপায় পেয়ে যাবেন ফাহেশী সাইটগুলো ব্লক করার । সেগুলো দেখে ব্লক করে নিতে পারেন । কিন্তু কেউ যদি এই ধরনের ফাহেশী জিনিস থেকে বেরিয়ে আসতে চাই । তাহলে মূলত তার মাইন্ডসেট বদলাতে হবে । যদি আপনার ভিতরে খাসভাবে আল্লাহর ভীতি চলে আসে এবং এটা ছাড়ার দৃঢ সংকল্প চলে আসে । তাহলে আপনি নিজেই দেখবেন অহেতুক সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছেন না অথবা যে সকল জিনিস আপনাকে গুনাহের দিকে নিয়ে যায় সেগুলো থেকে আপনি কষ্ট করে হলেও দূরে থাকবেন । এছাড়াও কিভাবে এই ধরনের আকাঙ্ক্ষা দমন করা যায় সেগুলো নিয়ে আপনি ভাববেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় উপায় বের করবেন ইনশাল্লাহ । তাই আমাদের উচিত মাইন্ডসেট ঠিক করা এবং খাস করে নিয়ত করা । আল্লাহ আমিসহ আমাদের সকলকে বুঝার এবং সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দিন । আমাদের সকলকে সকল ধরনের ফাহেশী কর্মকান্ড থেকে বের করে আনুন এবং সেগুলো থেকে বিরত রাখুন । আমিন ।

            Comment

            Working...
            X