“মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?” (২য় পর্ব)
কিভাবে আজকে মুসলমানেরা আরাম আয়েশে বিভোর থাকতে পারে?
কিভাবে আজকে আমরা পানাহারে মত্ত আছি যখন আমাদের ভাইয়েরা শত্রুদের হাতে বন্দী?
কিভাবে আজকে আমরা শান্তিতে ঘুমাই যখন আমাদের শান্তিতে রাখার জন্যে যারা উঠে দাঁড়িয়েছিলেন
তাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে নির্ঘুম জীবন, অত্যাচারী আমেরিকানদের হাতে?
কিভাবে একজন মানুষের চোখ শুকনো থাকতে পারে যখন সে তার ভাইদেরকে এইরূপ অত্যাচার ও যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখে ?
মুসলিমেরা কিভাবে সন্তুষ্ট থাকতে পারে নিজেদের সন্তানদেরকে কুফফার শত্রুদের হাতে তুলে দিয়ে,
তাদেরকে তারা পাঠিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর দূরতম একটি প্রান্তে অথচ তাদের অন্তরে কোন কিছুই জাগ্রত হয় না,
কোন হাহাকার জেগে উঠে না, আমরা একটি শন্দও উচ্চারণ করতে শুনি না, একটি আর্ত চিৎকারও শুনিনি,কেন?
আমাদের রাষ্ট্রগুলো কি অবস্থানে আছে? গোত্রগুলোর অবস্থান কি?
আর তাদের পরিবার আর আত্মীয়েরা?
তাদের উপর কি বাধ্যতামূলক হয়ে যায়নি কিছু একটা করার এবং তাদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার?
তাদের উচিত আমেরিকানদের জানিয়ে দেয়া এই বন্দীলোকেরা সারা দুনিয়া থেকে শিকড় কাটা হয়ে যায়নি, তাদের উচিত এটা জানিয়ে দেয়া যে এখনো এমন কেউ আছে যারা তাদের ব্যাপারটিতে নজর রাখছে।
তাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, যে বন্দীদের বিষয়টি শেষ হয়ে যায়নি, বরং কেবল শুরু হয়েছে।
যারা মুখ বন্ধ করে আছে, তারা কেউ ক্ষমা পেতে পারে না, বিশেষত যখন আমরা দেখছি কি নির্মমভাবে দমন নীপিড়ন করা হচ্ছে
সেই লোকেদের প্রতি
যারা এই উম্মাহর মাথা উঁচু করার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে, দেশে দেশে তাদের আটক , বন্দী,নির্যাতন করা হচ্ছে।
ইসলাম ও মুসলিমের তরে
সমাহিত, যারা শহীদ
আল্লাহর ‘পরে করেছে আত্ম বিক্রয়
তারাই বীর মুজাহিদ ।
ঠিকানা তাদের স্থায়ী, জান্নাতের বিশালতায়
পেয়েছেন তাঁরা, করেছেন যার পাবন্দী,
আমরা প্রতীক্ষায় তার আজও
বন্দী কারাগারে তুমি, মুসলিম কারাবন্দী।
কে তুমি আজ ভাই, বন্দী
পড়ছো এই চিঠি
আর এদিকে মুক্তির স্বাদে
জমীনে চলছি মোরা নিরবধি
হে মুসলিম ভাই, তোমার কাছে একটু সময় চাই
কারাবন্দী তুমি, তোমাকে আমার অন্তরের খবর জানাই?
অন্তরে জ্বলছে বজ্র অনল
আছে অপমান , কষ্ট অনর্গল।
হায় ! জেনে রেখো তুমি, তোমার অপমান তো শুধু লোহার শিকল আর ইটের দালানে নয় !
হে বন্দী ভাই আমার ! তোমার সবচেয়ে বড় অপমানের কারণ আমরা, যাদেরকে পিছনে ফেলে আজ তুমি এই কারাগারে এসেছ !
তুমি তো সাহায্য করেছ সেই দীনকে যা এসেছে অদৃশ্যের জ্ঞানী থেকে,আর মরতবা মর্যাদা;
অবশ্যই তুমি তা অর্জন করেছ। অন্তরের অন্তস্তল থেকে আমি জানি, তুমিই সম্মানিত ।
আমাদের কারাবন্দীরা, আমরা তোমাদের ভুলে গেছি; না , আসলে আমরা তোমাদের পরিত্যক্ত করেছি !
এমনকি সিংহের গর্জনেও আমাদের এই ঘুম ভাঙ্গবে না , এই দুনিয়া কতকাল ধরে ঘুমিয়ে আছে আজ আর এই লোকেরা, ক্রুশ এর পূজারীরা, যেন তারাই আছে সত্য পথের উপরে !
এই দৃশ্য দেখার থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে ও আমার মুসলিম ভাইয়েরা !
সৌদি আরবে রিয়াদের আল ইজ্জ বিন আব্দুস সালাম মসজিদের ইমাম
🎙️"শাইখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হাবদান"
🎤“মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?”
শীর্ষক জুম্মার খুতবার লিখিত রুপ
(১৬ আগস্ট ২০০২ সাল ১৪২৩ হিজরী)
কিভাবে আজকে মুসলমানেরা আরাম আয়েশে বিভোর থাকতে পারে?
কিভাবে আজকে আমরা পানাহারে মত্ত আছি যখন আমাদের ভাইয়েরা শত্রুদের হাতে বন্দী?
কিভাবে আজকে আমরা শান্তিতে ঘুমাই যখন আমাদের শান্তিতে রাখার জন্যে যারা উঠে দাঁড়িয়েছিলেন
তাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে নির্ঘুম জীবন, অত্যাচারী আমেরিকানদের হাতে?
কিভাবে একজন মানুষের চোখ শুকনো থাকতে পারে যখন সে তার ভাইদেরকে এইরূপ অত্যাচার ও যন্ত্রণা ভোগ করতে দেখে ?
মুসলিমেরা কিভাবে সন্তুষ্ট থাকতে পারে নিজেদের সন্তানদেরকে কুফফার শত্রুদের হাতে তুলে দিয়ে,
তাদেরকে তারা পাঠিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর দূরতম একটি প্রান্তে অথচ তাদের অন্তরে কোন কিছুই জাগ্রত হয় না,
কোন হাহাকার জেগে উঠে না, আমরা একটি শন্দও উচ্চারণ করতে শুনি না, একটি আর্ত চিৎকারও শুনিনি,কেন?
আমাদের রাষ্ট্রগুলো কি অবস্থানে আছে? গোত্রগুলোর অবস্থান কি?
আর তাদের পরিবার আর আত্মীয়েরা?
তাদের উপর কি বাধ্যতামূলক হয়ে যায়নি কিছু একটা করার এবং তাদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার?
তাদের উচিত আমেরিকানদের জানিয়ে দেয়া এই বন্দীলোকেরা সারা দুনিয়া থেকে শিকড় কাটা হয়ে যায়নি, তাদের উচিত এটা জানিয়ে দেয়া যে এখনো এমন কেউ আছে যারা তাদের ব্যাপারটিতে নজর রাখছে।
তাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, যে বন্দীদের বিষয়টি শেষ হয়ে যায়নি, বরং কেবল শুরু হয়েছে।
যারা মুখ বন্ধ করে আছে, তারা কেউ ক্ষমা পেতে পারে না, বিশেষত যখন আমরা দেখছি কি নির্মমভাবে দমন নীপিড়ন করা হচ্ছে
সেই লোকেদের প্রতি
যারা এই উম্মাহর মাথা উঁচু করার জন্যে কাজ করে যাচ্ছে, দেশে দেশে তাদের আটক , বন্দী,নির্যাতন করা হচ্ছে।
ইসলাম ও মুসলিমের তরে
সমাহিত, যারা শহীদ
আল্লাহর ‘পরে করেছে আত্ম বিক্রয়
তারাই বীর মুজাহিদ ।
ঠিকানা তাদের স্থায়ী, জান্নাতের বিশালতায়
পেয়েছেন তাঁরা, করেছেন যার পাবন্দী,
আমরা প্রতীক্ষায় তার আজও
বন্দী কারাগারে তুমি, মুসলিম কারাবন্দী।
কে তুমি আজ ভাই, বন্দী
পড়ছো এই চিঠি
আর এদিকে মুক্তির স্বাদে
জমীনে চলছি মোরা নিরবধি
হে মুসলিম ভাই, তোমার কাছে একটু সময় চাই
কারাবন্দী তুমি, তোমাকে আমার অন্তরের খবর জানাই?
অন্তরে জ্বলছে বজ্র অনল
আছে অপমান , কষ্ট অনর্গল।
হায় ! জেনে রেখো তুমি, তোমার অপমান তো শুধু লোহার শিকল আর ইটের দালানে নয় !
হে বন্দী ভাই আমার ! তোমার সবচেয়ে বড় অপমানের কারণ আমরা, যাদেরকে পিছনে ফেলে আজ তুমি এই কারাগারে এসেছ !
তুমি তো সাহায্য করেছ সেই দীনকে যা এসেছে অদৃশ্যের জ্ঞানী থেকে,আর মরতবা মর্যাদা;
অবশ্যই তুমি তা অর্জন করেছ। অন্তরের অন্তস্তল থেকে আমি জানি, তুমিই সম্মানিত ।
আমাদের কারাবন্দীরা, আমরা তোমাদের ভুলে গেছি; না , আসলে আমরা তোমাদের পরিত্যক্ত করেছি !
এমনকি সিংহের গর্জনেও আমাদের এই ঘুম ভাঙ্গবে না , এই দুনিয়া কতকাল ধরে ঘুমিয়ে আছে আজ আর এই লোকেরা, ক্রুশ এর পূজারীরা, যেন তারাই আছে সত্য পথের উপরে !
এই দৃশ্য দেখার থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে ও আমার মুসলিম ভাইয়েরা !
সৌদি আরবে রিয়াদের আল ইজ্জ বিন আব্দুস সালাম মসজিদের ইমাম
🎙️"শাইখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হাবদান"
🎤“মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?”
শীর্ষক জুম্মার খুতবার লিখিত রুপ
(১৬ আগস্ট ২০০২ সাল ১৪২৩ হিজরী)
Comment