Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?” ৫ম পর্ব ~ 🎙️"শাইখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হাবদান"

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?” ৫ম পর্ব ~ 🎙️"শাইখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হাবদান"

    মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?” পঞ্চম পর্ব :-

    সম্মানিত উলামায়ে কেরাম এই নির্যাতিত লোকদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন সর্বদাই,

    তারা আপনজন হারানো মায়ের হাহাকার কিংবা একজন পিতার বুকের শূন্যতা ও আর্তনাদ ঠিকই অনুভব করতেন

    আর একারণেই তাঁরা তাদের দুয়ায় মুসলিম বন্দীদের কথা স্মরণ করতেন।

    ইবন কাসীর রাহিমাহুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, একজন মহিলা এসে ইমাম বাকি বিন মুকাল্লাদ রাহিমাহুল্লাহ’র নিকট পেশ করলেন,

    “নিশ্চয়ই আমার সন্তানকে ফ্রাঙ্কের লোকজনেরা ধরে নিয়ে গেছে
    এবং আমি সন্তান হারানোর ব্যথায়
    রাতে ঘুমাতে পারি না।

    আমার একটি সামান্য বাড়ী আছে যা
    আমি আমার সন্তানের মুক্তিপণ হিসেবে বিক্রি করে দিতে চাই,

    আপনি কি আমাকে এমন কোন ক্রেতার সন্ধান দিতে পারেন যিনি আমার এই বাড়িটি ক্রয় করবেন

    আর আমি সেই টাকা দিয়ে আমার সন্তানকে মুক্ত করাতে পারি?
    আর আমার অবস্থা তো এমন যে,

    আমার নিজের দিন আর রাত একাকার হয়ে গেছে, চোখে ঘুম নাই, মনে শান্তি নেই, নেই কোন বিশ্রাম”।

    (আর এ অবস্থা কি আজকের মায়েদেরও নয়?- কিভাবে তারা ঘুমাতে পারেন যখন তারা জানেন তাদের প্রিয় সন্তানেরা বন্দী হয়ে আছে শত্রুদের হাতে- আল্লাহ্‌র নিকটই তারা ফরিয়াদ পেশ করে যাচ্ছেন)

    এভাবে ইমাম বাকি বললেন,
    “আচ্ছা, তুমি এখন যাও, আমি দেখছি আল্লাহর অনুমতিতে আমি এই ব্যাপারে কি করতে পারি ”।

    তিনি তাঁর মাথা অবনত করলেন, আল্লাহর কাছে দুয়া করলেন যেন তিনি সেই মহিলার সন্তানকে ফ্রাঙ্ক এর কবল থেকে মুক্ত করে দেন।

    এরপর বেশিদিনের কথা নয়, যখন সেই মহিলাটি আবার আলেমের কাছে এলেন, এবার সাথে এলেন তার সন্তান ! তার সন্তান মুক্তি লাভ করেছে !

    মহিলাটি বললেন, “এর আজব ঘটনাটি শুনুন, আল্লাহ যেন তার উপর দয়া করেন”

    বালকটি বলল, “আমি ছিলাম তাদের মধ্যে একজন যারা রাজার খেদমত করত-আমাকে সর্বদাই শিকলে বেঁধে রাখা হত, একদিন যখন আমি হাঁটছিলাম, আমার পায়ে জড়ানো শিকল ছিঁড়ে গেল।

    কাজেই আমার পাহারাদার এসে আমাকে গালাগালি করল এবং প্রশ্ন করল,

    ‘তুমি কেন তোমার পায়ের শিকল ভেঙ্গেছ?”আমি বললাম, ‘না,

    আমি আল্লাহ্‌র শপথ করে বলছি,
    আমি তো এটা স্পর্শও করিনি।

    এটা এমনিতেই খুলে গেছে,
    আমি টের পাইনি’।

    কাজেই সে কামারকে ডেকে পাঠাল,
    সে আবার আমার পায়ে শিকল জড়িয়ে দিল, স্ক্রুগুলো শক্ত করে বেঁধে দিল।

    যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম তখন আবার আমার পায়ের শিকল ভেঙ্গে গেল,

    এটা দেখে সে আবার শিকল শক্ত করে বেঁধে দিল, আবার আরো ভালোভাবে
    কিন্তু এবারেও এটা খুলে গেল।

    তাই দেখে তারা তাদের পুরোহিতের কাজে এ বিষয়ে জানতে চাইল,

    সে বলল, ‘বালকটির কি মা জীবিত আছে?’ আমি বলেছিলাম, ‘হ্যাঁ’।

    তারা বলল, ‘নিশ্চয়ই তোমার মা
    তোমার জন্যে প্রার্থনা করেছে আর
    তা কবুল হয়েছে তাকে ছেড়ে দাও’।

    তাই তারা আমাকে ছেড়ে দিল এবং ইসলামিক রাজ্যে প্রবেশ পর্যন্ত
    আমাকে পাহারা দিয়ে নিয়ে এল”।

    বাকি বিন মুকাল্লাদ আরও জানতে চাইলেন বালকটির কাছে ঠিক কখন তার পায়ের শিকল ছিঁড়ে যাবার এই ঘটনাটি ঘটছিল এবং অবাক হয়ে গেলেন,

    এটা ছিল সেই সময় যখন তিনি বন্দীদের মুক্তির জন্যে মুনাজাত করেছিলেন।

    আজকের মুসলিম উলামারা কি সেই অনন্য পথ অনুসরণ করছেন এবং তাদের ভূমিকা পালন করছেন

    বন্দীদের মুক্ত করার ব্যাপারে
    শত্রুদের হাত থেকে?

    যারা দায়িত্বশীল তাদেরকে কি
    আজকের উলামারা উপদেশ দিচ্ছেন ?

    তাদের কি উৎসাহিত করছেন যেন তারা বিষয়টী সত্যিকারের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন?

    হে আল্লাহ্‌ !
    আমি কি আমার বার্তা পৌঁছাতে পেরেছি? হে আল্লাহ্‌ আপনি সাক্ষী থাকুন !

    আল্লাহ্‌ আমাকে এবং আপনাকে এই বরকতময় কুর’আন দ্বারা উপকৃত করুন।


    🎙️"শাইখ মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল হাবদান"🎤“মুসলিম কারাবন্দীদের পক্ষে কে দাঁড়াবে?”

    শীর্ষক জুম্মার খুতবার লিখিত রুপ
    (১৬ আগস্ট ২০০২ সাল ১৪২৩ হিজরী)




    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    আনেক আনেক শুকরান এ মহতি আমলের জন্য

    Comment

    Working...
    X