🌷একজন দ্বীনের সৈনিকের জন্য তাহাজ্জুদের অপরিসীম গুরুত্ব🌷
একটি সমাজ আলোকিত করতে হলে আগে নিজে আলোকিত হতে হবে। আর নিজে আলোকিত হতে হলে তার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে হবে, যার থেকে সব আলো আসে,যিনি সব আলোর সৃষ্টিকর্তা। তিনিই পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
اَللّٰهُ نُوۡرُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ
আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি;(সূরা নূর ৩৫)
আল্লাহ তা'য়ালার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরী করার অন্যতম একটি উপায় হলো তাহাজ্জুদ,একজন ব্যক্তি আলোকিত হওয়ার অন্যতম উপায় হলো তাহাজ্জুদ ।তাইতো রাসূল সাঃ এর উপর ওহী নাযিলের শুরুর দিকেই তাহাজ্জুদ ফরয হয়েছিলো।
তাহাজ্জুদ নামাজ এমন একটি নামাজ, যে নামাজ তখন ফরয হয়েছিলো যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি ফরয হয় নি।
আল্লাহ তা'য়ালা রাসূল সাঃ এর উপর নবুওয়তের বিরাট দায়িত্ব অর্পন করার পরপরই তাহাজ্জুদ নামায ফরয করলেন।
আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الۡمُزَّمِّلُ ۙ﴿۱﴾ قُمِ الَّیۡلَ اِلَّا قَلِیۡلًا ۙ﴿۲﴾ نِّصۡفَهٗۤ اَوِ انۡقُصۡ مِنۡهُ قَلِیۡلًا ۙ﴿۳﴾ اَوۡ زِدۡ عَلَیۡهِ وَ رَتِّلِ الۡقُرۡاٰنَ تَرۡتِیۡلًا ؕ﴿۴﴾
হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রি জাগরণ কর, কিছু অংশ ব্যতীত।অর্ধরাত্রি কিংবা তার চাইতে অল্প।অথবা তার চাইতে বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। (সূরা মুযাম্মিল ১-৪)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা রাসূল সাঃ ও অন্যান্য মুসলিমদের উপর রাতের তাহাজ্জুদ ফরয করেন,কমপক্ষে একচতুর্থাংশ পড়া ফরয ছিলো, মূল আদেশ হলো রাতের কিছু অংশবাদে বাকিটা তাহাজ্জুদে ব্যায় করা। সাহাবীরা তখন তাহাজ্জুদ পড়তে পড়তে পা ফুলে যেত। এভাবে এক বছর উনারা তাহাজ্জুদ আদায় করেন, এরপর আস্তে আস্তে তাহাজ্জুদের বিধান শীতল করা হয়। এক পর্যায়ে রাসূল সাঃ ছাড়া অন্যান্য মুসলমানদের জন্য তা নফল হয়ে যায়।
চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহ তা'য়ালা নবুওয়তের বিরাট দায়িত্ব অর্পনের পরপরই তাহাজ্জুদ শুধু ফরযই করেন নি বরং রাতের একচতুর্থাংশ সময় পড়া ফরয ছিলো। সাধারণত পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ছেয়ে তাহাজ্জুদ পড়া কঠিন ও কষ্টসাধ্য। কিন্তু এরপরেও তাহাজ্জুদ পড়া ফরয ছিলো।
এর দ্বারা আমরা শিক্ষা পাই যে,আমরাও যদি দ্বীন কায়েমের কাজ ভালোভাবে করতে চাই,একটি সমাজ থেকে জাহেলিয়াত দূর করার মিশন নিয়ে এগুতে চাই, তাহলে তাহাজ্জুদ নামায আমরা নিজেদের জন্য আবশ্যক করে নিতে হবে। যদিও তা এখন ফরয নয়, তবুও ফরযের মত নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করতে হবে।একজন দ্বীনের সৈনিক যদি এই বিষয়টা গভীর ভাবে চিন্তা করে তাহলে তার নিকট তাহাজ্জুদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।
তাহাজ্জুদ হলো একটি ভিত্তি, তাই রাসূল সাঃ ও সাহাবীদের উপর যখন প্রথমেই তাহাজ্জুদ ফরয হয় তখন সাহাবীরা একবছর টানা ফরয তাহাজ্জুদ পড়ে ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছেন।ফলে এতো দৃঢ় ইমান সাহাবীরা লাভ করেন যে,কোন বাঁধা তাদের সামনে টিকে নাই। তাই আমরা যারা দ্বীন কায়েম করতে চাই আমাদের উচিত এমন একটি ভিত্তি তৈরী করা।
যিনি যত বেশি তাহাজ্জুদ পড়বেন, তার দ্বারা দ্বীনের কাজ তত বেশি হবে ইনশাআল্লাহ।পৃথিবীতে যারাই দ্বীনের জন্য অনেক বড় কিছু করেছে তাদের প্রত্যেকের জীবনি তালাশ করলে দেখবেন, তারা তাহাজ্জুদকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরতেন।আসলে তাহাজ্জুদ যিনি নিয়মিত পড়তে পারেন তিনি দ্বীনের যে অঙ্গনেই কাজ করেন না কেন, তিনি খুব ভালো ফলাফল অর্জন করেন।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রাসূল সাঃ ছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা, আর উনার উপর তাহাজ্জুদ বিশেষ ভাবে ফরয ছিলো৷ মনে করুন, কোন রাষ্ট্রপ্রধান যদি তার সবচেয়ে কাছের ব্যক্তির জন্য একটি বিশেষ কাজের দায়িত্ব অর্পন করেন তাহলে সেই কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। এবার চিন্তা করুন যে,তাহাজ্জুদ কত বিরাট মার্যাদাপূর্ন নামায যে,যা রাজাধিরাজ আল্লাহ তা'য়ালা তার সবচেয়ে প্রিয় বান্দার উপর ফরয করেন।
তাই তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়ুন, যত কষ্টই হোক, পরিস্থিতি যেমনই হোক তাহাজ্জুদ যেন না ছুটে সেদিকে খেয়াল রাখুন। দিনের বেলা নামায পড়ে বেশি বেশি দোয়া করুন যেন তাহাজ্জুদ না ছুটে। যদি কখনও রাতে তাহাজ্জুদ ছুটে যায়, দিনের বেলা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ে দোয়া করতে থাকবেন।ইনশাআল্লাহ। এভাবে করতে পারলে তাহাজ্জুদ থেকে মাহরুম হবেন না।
প্রিয় ভাই,আপনি যদি একজন নেতা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সবার আগে তাহাজ্জুদ আঁকড়ে ধরুন, তাহলে আপনার সামান্য কথায় আপনার কর্মীরা তাহাজ্জুদ পড়তে আগ্রহী হবে। কেননা মানুষ নিজে আমল করে কোন কথা বললে সেটা তাছির অনেক বেশি হয়।যিনি যত বড় নেতা তিনার উচিত ততবেশি তাহাজ্জুদে মনোযোগ দেওয়া।কেননা আমাদের প্রিয় নবী ছিলেন সবার নেতা। আর উনার উপর তাহাজ্জুদ ফরয ছিলো।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ার তাওফিক দান করুন।
একটি সমাজ আলোকিত করতে হলে আগে নিজে আলোকিত হতে হবে। আর নিজে আলোকিত হতে হলে তার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে হবে, যার থেকে সব আলো আসে,যিনি সব আলোর সৃষ্টিকর্তা। তিনিই পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
اَللّٰهُ نُوۡرُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ
আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি;(সূরা নূর ৩৫)
আল্লাহ তা'য়ালার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরী করার অন্যতম একটি উপায় হলো তাহাজ্জুদ,একজন ব্যক্তি আলোকিত হওয়ার অন্যতম উপায় হলো তাহাজ্জুদ ।তাইতো রাসূল সাঃ এর উপর ওহী নাযিলের শুরুর দিকেই তাহাজ্জুদ ফরয হয়েছিলো।
তাহাজ্জুদ নামাজ এমন একটি নামাজ, যে নামাজ তখন ফরয হয়েছিলো যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি ফরয হয় নি।
আল্লাহ তা'য়ালা রাসূল সাঃ এর উপর নবুওয়তের বিরাট দায়িত্ব অর্পন করার পরপরই তাহাজ্জুদ নামায ফরয করলেন।
আল্লাহ তা'য়ালা বলেনঃ
یٰۤاَیُّهَا الۡمُزَّمِّلُ ۙ﴿۱﴾ قُمِ الَّیۡلَ اِلَّا قَلِیۡلًا ۙ﴿۲﴾ نِّصۡفَهٗۤ اَوِ انۡقُصۡ مِنۡهُ قَلِیۡلًا ۙ﴿۳﴾ اَوۡ زِدۡ عَلَیۡهِ وَ رَتِّلِ الۡقُرۡاٰنَ تَرۡتِیۡلًا ؕ﴿۴﴾
হে বস্ত্রাবৃত! রাত্রি জাগরণ কর, কিছু অংশ ব্যতীত।অর্ধরাত্রি কিংবা তার চাইতে অল্প।অথবা তার চাইতে বেশী। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে, স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে। (সূরা মুযাম্মিল ১-৪)
অত্র আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা রাসূল সাঃ ও অন্যান্য মুসলিমদের উপর রাতের তাহাজ্জুদ ফরয করেন,কমপক্ষে একচতুর্থাংশ পড়া ফরয ছিলো, মূল আদেশ হলো রাতের কিছু অংশবাদে বাকিটা তাহাজ্জুদে ব্যায় করা। সাহাবীরা তখন তাহাজ্জুদ পড়তে পড়তে পা ফুলে যেত। এভাবে এক বছর উনারা তাহাজ্জুদ আদায় করেন, এরপর আস্তে আস্তে তাহাজ্জুদের বিধান শীতল করা হয়। এক পর্যায়ে রাসূল সাঃ ছাড়া অন্যান্য মুসলমানদের জন্য তা নফল হয়ে যায়।
চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহ তা'য়ালা নবুওয়তের বিরাট দায়িত্ব অর্পনের পরপরই তাহাজ্জুদ শুধু ফরযই করেন নি বরং রাতের একচতুর্থাংশ সময় পড়া ফরয ছিলো। সাধারণত পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ছেয়ে তাহাজ্জুদ পড়া কঠিন ও কষ্টসাধ্য। কিন্তু এরপরেও তাহাজ্জুদ পড়া ফরয ছিলো।
এর দ্বারা আমরা শিক্ষা পাই যে,আমরাও যদি দ্বীন কায়েমের কাজ ভালোভাবে করতে চাই,একটি সমাজ থেকে জাহেলিয়াত দূর করার মিশন নিয়ে এগুতে চাই, তাহলে তাহাজ্জুদ নামায আমরা নিজেদের জন্য আবশ্যক করে নিতে হবে। যদিও তা এখন ফরয নয়, তবুও ফরযের মত নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করতে হবে।একজন দ্বীনের সৈনিক যদি এই বিষয়টা গভীর ভাবে চিন্তা করে তাহলে তার নিকট তাহাজ্জুদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।
তাহাজ্জুদ হলো একটি ভিত্তি, তাই রাসূল সাঃ ও সাহাবীদের উপর যখন প্রথমেই তাহাজ্জুদ ফরয হয় তখন সাহাবীরা একবছর টানা ফরয তাহাজ্জুদ পড়ে ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছেন।ফলে এতো দৃঢ় ইমান সাহাবীরা লাভ করেন যে,কোন বাঁধা তাদের সামনে টিকে নাই। তাই আমরা যারা দ্বীন কায়েম করতে চাই আমাদের উচিত এমন একটি ভিত্তি তৈরী করা।
যিনি যত বেশি তাহাজ্জুদ পড়বেন, তার দ্বারা দ্বীনের কাজ তত বেশি হবে ইনশাআল্লাহ।পৃথিবীতে যারাই দ্বীনের জন্য অনেক বড় কিছু করেছে তাদের প্রত্যেকের জীবনি তালাশ করলে দেখবেন, তারা তাহাজ্জুদকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরতেন।আসলে তাহাজ্জুদ যিনি নিয়মিত পড়তে পারেন তিনি দ্বীনের যে অঙ্গনেই কাজ করেন না কেন, তিনি খুব ভালো ফলাফল অর্জন করেন।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রাসূল সাঃ ছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা, আর উনার উপর তাহাজ্জুদ বিশেষ ভাবে ফরয ছিলো৷ মনে করুন, কোন রাষ্ট্রপ্রধান যদি তার সবচেয়ে কাছের ব্যক্তির জন্য একটি বিশেষ কাজের দায়িত্ব অর্পন করেন তাহলে সেই কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। এবার চিন্তা করুন যে,তাহাজ্জুদ কত বিরাট মার্যাদাপূর্ন নামায যে,যা রাজাধিরাজ আল্লাহ তা'য়ালা তার সবচেয়ে প্রিয় বান্দার উপর ফরয করেন।
তাই তাহাজ্জুদ নিয়মিত পড়ুন, যত কষ্টই হোক, পরিস্থিতি যেমনই হোক তাহাজ্জুদ যেন না ছুটে সেদিকে খেয়াল রাখুন। দিনের বেলা নামায পড়ে বেশি বেশি দোয়া করুন যেন তাহাজ্জুদ না ছুটে। যদি কখনও রাতে তাহাজ্জুদ ছুটে যায়, দিনের বেলা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়ে দোয়া করতে থাকবেন।ইনশাআল্লাহ। এভাবে করতে পারলে তাহাজ্জুদ থেকে মাহরুম হবেন না।
প্রিয় ভাই,আপনি যদি একজন নেতা হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সবার আগে তাহাজ্জুদ আঁকড়ে ধরুন, তাহলে আপনার সামান্য কথায় আপনার কর্মীরা তাহাজ্জুদ পড়তে আগ্রহী হবে। কেননা মানুষ নিজে আমল করে কোন কথা বললে সেটা তাছির অনেক বেশি হয়।যিনি যত বড় নেতা তিনার উচিত ততবেশি তাহাজ্জুদে মনোযোগ দেওয়া।কেননা আমাদের প্রিয় নবী ছিলেন সবার নেতা। আর উনার উপর তাহাজ্জুদ ফরয ছিলো।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ার তাওফিক দান করুন।
Comment