ইদারায়ে সাহাব মিডিয়া, উপমহাদেশ পরিবেশিত
“আমল সংশোধনের”।।উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১ম পর্ব
==================================================
=====
“আমল সংশোধনের”।।উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ১ম পর্ব
==================================================
=====
بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله رب العلمين والصلاة والسلام على رسوله الكريم رب اشرح لى صدري ويسر لى امري واحلل عقدة من لساني يفقهوا قولي
শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি সীমাহীন মেহেরবান, পরম দয়ালু। সকল প্রশংসা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহর, দরূদ ও শান্তি বর্ষিত হোক তার সম্মানিত রাসূলের উপর।
হে আমার রব! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন, এবং আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝে।
عن معاذ بن جبل قال: كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فأصبحت يوما قريبا منه ونحن نسير فقلت: يا رسول الله
মুআয ইবনে জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সফরে ছিলাম। একদিন আমি রাসূলের নিকটবর্তী হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
أخبرني بعمل يدخلني الجنة ويباعدني عن النار
“আমাকে এমন একটি আমল বলে দেন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।”
এটি এক দীর্ঘ হাদীস[1]। এই হাদীস থেকে দুটি বিষয় বুঝে আসে; এক. ঐ কাজ কিংবা রাস্তা যা আল্লাহর নিকট মকবূল। এই কাজ বা রাস্তার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নিকট মর্যাদা ও সম্মান পাবে।
দুই. ঐ কাজ অথবা রাস্তা যার মাধ্যমে বান্দার আমল বরবাদ হয়ে যায় এবং বান্দাকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। যে আমলের কারণে বান্দার তারাক্কি বন্ধ হয়ে যায়, সেটি কেমন আমল?! তা কেমন ত্রুটি এবং কেমন গাফলত! যার কারণে তার উন্নতি থেমে যায়?
এ দৃষ্টিকোণ থেকে হাদীসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা আমাদের আমল করার তাওফীক দান করুন। তিনি আমাদেরকে এমন গাফলত থেকে রক্ষা করুন, যার দরুন বান্দা যে পরিমাণ সাওয়াব লাভ করে, তার চেয়ে বেশি বরবাদ করে। এবং অর্জনের চেয়ে বিসর্জনের পরিমাণ বেশি হয়।
আরেকটি বিষয় হলো, আপনি খেয়াল করুন—সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুমের মনের অস্থিরতা, ব্যাকুলতা ও সকাল-সন্ধ্যার পেরেশানি এবং তাদের চিন্তা-ফিকির কেমন ছিল? তারা সারাক্ষণ কী ভাবতেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সফরে থেকেও হযরত মুআয ইবনে জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু নিজের ব্যাপারে আত্মতুষ্টিতে ছিলেন না। বরং তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থাকা সত্ত্বেও চিন্তিত ছিলেন। তিনি ভাবছেন যে, তার আমলের দরুন জান্নাত থেকে দূরে সরে যান কি না! এবং জাহান্নামের নিকটবর্তী হয়ে যান কি না!
এ হাদীস সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুমদের দিলের অবস্থা জানিয়ে দিয়েছে। আর এই অবস্থা সকল মুমিনের হওয়া উচিত। কখনও নিজের ব্যাপারে আত্মতুষ্টিতে থাকা উচিত নয়।
দেখুন! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুদের সফর চলছিলো। হযরত মুআয রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলের নিকটে গিয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দেন, যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দিবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুমের পদাঙ্ক অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন।
মুআয রাযিয়াল্লাহু আনহুর এই প্রশ্নের জবাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেছিলেন?! তিনি বলেছিলেন-
لقد سألت عن عظيم وإنه ليسير على من يسره الله عليه
“তুমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল প্রশ্ন করেছো, তবে তা সে ব্যক্তির জন্য সহজ, যার জন্য আল্লাহ সহজ করে দেন।”
এখান থেকে একটি বিষয় বুঝে আসে যে, কেবল নিজের আমল, সততা, সংকল্প ও প্রতিজ্ঞাই যথেষ্ট নয়, বরং মৌলিক বিষয় হলো ‘আল্লাহর তাওফীক’। আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, আল্লাহর নিকট নিজেকে অর্পণ করা, আল্লাহর সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলা, যে সম্পর্কের ভিত্তিতে বান্দার মধ্যে এ আত্মবিশ্বাস জন্মাবে যে, আল্লাহ আমাকে বাঁচাবেন। নিজের আমল যতই হোক, যদি আল্লাহ সহজ করে না দেন, তিনি যদি না বাঁচান, তবে সব আমল অনর্থক হয়ে যাবে।
সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “এটি সে ব্যক্তির জন্য সহজ হয়ে যায়, যার জন্য আল্লাহ সহজ করে দেন।”
লক্ষ্য কী? আল্লাহ তাআলা। আল্লাহর নৈকট্য। আল্লাহ তাআলা পর্যন্ত পৌঁছা। কিন্তু এই লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছানো, এব্যাপারে শক্তি-সামর্থ্য দিবেন যিনি, তিনি তো আল্লাহ। বুঝা গেলো—শুরুতেও আল্লাহ। শেষেও আল্লাহ। আমলের হিসেব করার দরকার নেই যে, আমি তো অমুক অমুক আমল করেছি। আল্লাহ আমাদের জন্য যে আমল সহজ করে দিবেন, সেটিই করা সম্ভব হবে।
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বড় বড় আমলের তালিকা দেখিয়ে দিয়েছেন। এগুলোর মাধ্যমে মুমিন জান্নাতের নিকটে যাবে, এবং জাহান্নাম থেকে দূরে থাকবে।
তিনি বলেন:
"تعبد الله ولا تشرك به شيئا"
“আল্লাহর ইবাদত করো এবং আল্লাহর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করো না।”
আল্লাহর বন্দেগি করো। আল্লাহর গোলামী করো। রুকু এবং সেজদা আল্লাহর সামনেই করো। আল্লাহ তাআলার সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক রাখো। ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর সাথে সর্বস্তরের ভালোবাসা জরুরি। অর্থাৎ ভালোবাসার শেষ সীমা পর্যন্ত। মানুষের মধ্যে যত ধরনের ভালোবাসা রয়েছে তার মধ্য হতে সবচেয়ে বেশি। যতটা বেশি মানুষ ভালোবেসে থাকে। এতটা ভালোবাসা প্রয়োজন আল্লাহর সাথে, তার ইবাদতের ক্ষেত্রে।
এরপর হলো ভয়। আল্লাহর নারাজির ভয়, স্বচ্ছ পর্যায়ের ভয়। আর তৃতীয় নাম্বার বিষয় হলো, আশা-ভরসা। এই তিনটি বিষয়ই ইবাদতের মধ্যে জরুরি। যদি তিনটির কোনোটি আপনি বাদ দেন, তাহলে ইবাদত এর হক আদায় হবে না। আল্লাহর ইবাদত করা হবে না। যদি ভয় থাকে কিন্তু ভালোবাসা নেই। ভালোবাসা আছে—কিন্তু কম। ভয় আছে—কিন্তু কম। (এবং আল্লাহ না করুন, যদি আল্লাহর উপর ভরসা খতম হয়ে যায়। তাহলে তো আপনার ঈমানই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে) এই তিনটি বিষয়ই খুব জরুরি।
ইবাদত করবো এমনভাবে যেভাবে আল্লাহকে স্মরণ করা উচিত। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী আমরা আমল করবো, এবং যততুকু সম্ভব আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলবো। আমাদেরকে এই তিনটি বিষয় অর্জন করতে হবে।
ভালোবাসা হতে হবে স্বচ্ছ স্তরের। সেটি বোধগম্য হতে হবে। নিজেই বুঝতে পারবেন, ভালোবাসা কীভাবে বাড়ে, কীভাবে সৃষ্টি হয়?
আল্লাহ তাআলা আমাদের যে নেয়ামত দান করেছেন, এবং যে নেয়ামতের ওয়াদা তিনি আমাদের দিয়েছেন, তার ব্যাপারে যত চিন্তা করবেন, বিদ্যমান নেয়ামতের প্রতি যত দৃষ্টি দিবেন, সেগুলো যত বেশি অনুভব করবেন, সেগুলোর আলাপ-আলোচনা যত বেশি করবেন – ভালবাসা তত বাড়বে। বারবার স্মরণ করবেন। দেখবেন, আল্লাহ তাআলার প্রতি আপনার ভালোবাসা বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এই আতঙ্ক, এই ভয়ও রাখা চাই যে, আল্লাহ আমার প্রতি নারায হয়ে যান কি না!
আর তৃতীয় নাম্বার বিষয় হলো - ভরসা রাখা। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়া, এটিও ইবাদত। এরপর এই ভালোবাসা, এই ভয়, এই আশা ও ভরসায় আল্লাহর সাথে কাউকে যেন মুকাবেলায় না আনা হয়। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করা হয়। যে সব ভালোবাসা আল্লাহর ভালোবাসার সমতুল্য হয় অথবা আল্লাহর ভালোবাসার চেয়ে বেশি হয়, সে ভালোবাসা আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। সেগুলো আপনাকে আল্লাহর ভালোবাসা থেকে দূ্রে সরিয়ে দিবে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, অন্য কোনো ভালোবাসা যেন আল্লাহর ভালোবাসার সমতুল্য না হয়। আল্লাহর নারাজির ভয়, আল্লাহর আযাবের ভয়, এসব নিজের সামনে রাখা চাই।
১
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الصَّنْعَانِيُّ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَصْبَحْتُ يَوْمًا قَرِيبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيرُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ . قَالَ " لَقَدْ سَأَلْتَنِي عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ تَعْبُدُ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ الْبَيْتَ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الْخَيْرِ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ " . قَالَ ثُمَّ تَلاََ: ( تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ ) حَتَّى بَلَغَ: (يَعْمَلُونَ) ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الْجِهَادُ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ " . قُلْتُ بَلَى يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَالَ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ " كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا " . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
মু‘আয ইবনু জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, আমি কোন এক ভ্রমণে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে ছিলাম। একদিন যেতে যেতে আমি তার নিকটবর্তী হলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! এমন একটি কাজ সম্পর্কে আমাকে জানিয়ে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম হতে দূরে রাখবে। তিনি বললেনঃ তুমি তো আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন করেছো। তবে সেই ব্যক্তির জন্য এ ব্যাপারটা অতি সহজ যে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তা‘আলা তা সহজ করে দেন। তুমি আল্লাহ তা‘আলার ‘ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে তাঁর সাথে শরীক করবে না, নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দিবে, রামাযানের রোযা রাখবে এবং বাইতুল্লাহ্র হাজ্জ করবে। তিনি আরো বললেনঃ আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহ সম্পর্কে বলে দিব না? রোযা হলো ঢালস্বরূপ, দান-খাইরাত গুনাহ্সমূহ বিলীন করে দেয়, যেমনিভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয় এবং কোন ব্যক্তির মধ্যরাতের নামায আদায় করা। তারপর তিনি এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ “তাদের দেহ পাশ বিছানা থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং তারা তাদের প্রভুকে ডাকে আশায় ও ভয়ে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর কি লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ।” (সূরা আস-সাজদাহ ১৬, ১৭) তিনি আবার বলেনঃ আমি কি সমস্ত কাজের মূল, স্তম্ভ ও সর্বোচ্চ শিখর সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেনঃ সকল কাজের মূল হলো ইসলাম, স্তম্ভ হলো নামায এবং সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। তিনি আরো বললেনঃ আমি কি এসব কিছুর সার সম্পর্কে তোমাকে বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি তাঁর জিহ্বা ধরে বললেনঃ এটা সংযত রাখ। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহ্র নাবী! আমরা যে কথা-বার্তা বলি এগুলো সম্পর্কেও কি পাকড়াও করা (জবাবদিহি) হবে? তিনি বললেনঃ হে মু‘আয! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষকে শুধুমাত্র জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। ( ইবনু মা-জাহ - ৩৯৭৩)
আরও পড়ুন
Comment