Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিবাহ করতে ইচ্ছুক ভাইদের জন্য...

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিবাহ করতে ইচ্ছুক ভাইদের জন্য...

    আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই।চরম ফিতনার এই আঁধারে দ্বীনকে আঁকড়ে ধরার অল্প কিছু আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের মাঝে তুমি একজন। তোমার মত এই পৃথিবীতে আরো অনেকে আছে যারা এই সংগ্রামে তোমারই সহযাত্রী।

    রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী ফিতনাকে উম্মতের জন্য সবচাইতে কঠিন ফিতনা বলেছেন। বাস্তবিকই তাই।হোক সেটা অনলাইন বা অফলাইন কোনো এক সূরতে।মানুষকে রবের গোলাম থেকে এক নারীর গোলাম এ পরিণত করতে,জীবনে আল্লহর রাহে বিলিয়ে দেয়ার পরিবর্তে নারীর জন্য নষ্ট করতে,দুনিয়া আখিরাতের সমস্ত কামিয়াবি ধ্বংস করতে এক নারীর ফিতনাই যথেষ্ট।
    এই ফিতনা যুগে যুগে অনেক সফল মানুষকে ব্যার্থতার চোরাবালিতে ডুবিয়েছে,অনেক আল্লাহর ওলিকে জাহান্নামের দোরগড়ায় নিয়ে গিয়েছে।

    অবিবাহিত যুবক তরুণদের জন্য বর্তমানে এই ফিতনা থেকে বাঁচা অনেক কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।এটা বুঝবান যে কেউই স্বীকার করতে বাধ্য হবে।ইন্টারনেট মোবাইল এর সহজলভ্যতার জন্য এটি আরো ব্যাপক হয়ে গিয়েছে।

    বিবাহই এর একমাত্র স্থায়ী ও স্বস্তির সমাধান তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।কুরআন সুন্নাহ এবং বাস্তবতা তাই বলে। চক্ষু ও অন্তর শীতলকারী একজন স্ত্রীই পারে ফিতনার আগ্রাসন থেকে বাচিয়ে রাখতে।

    কিন্তু এ সমাজতো দ্বীনদারদের জন্য বসবাসের অযোগ্য অনেক আগে থেকেই। তারা যিনার সমস্ত আয়োজন করে রাখবে,কিন্তু নিজেদের সন্তানদের বিবাহের চিন্তাও করবেনা। তারা বলবে সমুদ্রে নাম,কিন্তু শরীরে যাতে পানি না লাগে! তারা সন্তানকে ৩০ বছর ধরে এক কাগজের সার্টিফিকেট এর পিছনে লাগিয়ে রাখবে,কিন্তু উপার্জন করা শিখাবে না!

    আমার প্রিয় ভাই,তাই নিজের লড়াই নিজেরই করতে হবে।নিজেকে ধীরে ধীরে উপার্জনক্ষম হিসেবে তৈরি করো;সেটা যেকোনো হালাল ভাবেই হোক। এ বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিয়ো না। কেননা শুধুমাত্র একটি পদস্খলনই জাহান্নামে চিরস্থায়ী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। গোপন গুনাহের শেষ পরিণতি ঈমানহারা অবস্থায় মৃত্যু, তা তো স্বত:সিদ্ধ।

    তাই নিজের সময়কে অহেতুক ফেসবুক ইউটিউব আড্ডাবাজিতে কাটিয়ে দিয়ো না। তোমার মনে হবে তুমি অনেক কিছু অর্জন করেছো এ থেকে,কিন্তু বাস্তবতা হলো কিছুই অর্জন হয় নি।

    বিবাহের প্রস্তুতি করণীয় সম্পর্কে গুরুজনদের নিকট যাও,তাদের পরামর্শ শোনো।এ বিষয়ে লিখিত কিতাবাদি পাঠ করো।বাজারে অনেক সুন্দর সুন্দর বই আছে এসব বিষয়ে।এভাবে নিজেকে মানসিক ও আর্থিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করো।সাঁতার না জেনে নদীরে ঝাপ দেওয়ার চাইতে জেনে দেওয়া অধিকতর নিরাপদ। কেননা তুমি বিবাহ করে ফিতনা থেকে তো বেঁচে গেলে,কিন্তু সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য যা করণীয় সেটাও তো করতে হবে! তাই না? একটা সুন্দর জান্নাতি সংসার তো আর এমনি এমনি হয়ে যাবে না,তার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতিতে সেটা গড়ে তুলতে হবে,মেহনত করতে হবে।

    নিজ পরিবারকে উপযুক্ত পন্থায় নসীহত করো।আল্লহর কাছে দোয়া করো।পবিত্র থাকার চেষ্টা করো।ইন শা আল্লাহ আল্লাহ পথ দেখাবেন।

    আর শ্রদ্ধেয় অভিভাবকগণ,আপনাদের প্রতি আমার হৃদয়নিংড়ানো আবেদন;দুনিয়ার লোভে,আপনার সন্তান বাড়ি-গাড়ি করবে নাম কামাবে এই আশায় তার বিয়ে বিলম্বিত করে জীবনকে জাহান্নামে পরিণত করবেন না।আপনার নিজেরা একটু এগিয়ে আসলে আপনাদের সন্তানদেরই চরিত্র পবিত্র থাকবে।কারণ বর্তমান পরিবেশ সমাজ আপনার সন্তানকে চাইলেও ভালো থাকতে দিবে না। এখন আর ২০/৩০ বছর আগের সমাজ নেই।অশ্লীলতা নগ্নতা যৌনতা কে সব যায়গায় প্রমোট করা হচ্ছে,রোলমডেল বানানো হচ্ছে।স্কুল কলেজ ভার্সিটি এখন আধুনিক পতিতালয় হয়ে গিয়েছে।পতিতালয়ে তো টাকা খরচ করতে হয়,এখানে সেটারও প্রয়োজন হয় না।বুঝেও না বুঝার ভান করবেন না প্লিজ।

    কীসের জন্য আপনার সন্তান এসব উদ্দামতা থেকে বিরত থাকবে?


    Last edited by Rakibul Hassan; 03-12-2024, 02:44 PM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই
    আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের সঠিক সমঝ দান করুন, আমীন

    Comment


    • #3
      ওয়া আলাইকুমুস সালাম
      আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়ারহমাতুল্লহ...
        উত্তম নাসিহা প্রদানের জন্য জাযাকাল্লাহু খইরন

        Comment


        • #5
          Originally posted by Sabbir Ahmed View Post
          জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই
          আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের সঠিক সমঝ দান করুন, আমীন
          আমিন।আমরাও যাতে আমাদের সন্তানদের সমস্যা বুঝার পরো দুনিয়ার লোভে তাদেরকে আগুনে ফেলে না দেই।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ খায়রান ভাই!

            আমার অভিজ্ঞতা
            ১৷ হালাল উপার্জন
            ২৷ বিবাহ সংসার বা পারিবারিক জীবন
            ৩৷ পর্যাপ্ত ইলম অর্জন এবং সেই অনুযায়ী আমল

            এই সবগুলো কাজ একসাথে করতে হয়৷ যে যত দ্রুত এটা রপ্ত করতে পারে সে অন্যদের থেকে তত বেশি অগ্রসর থাকে৷

            কিন্তু ইলম অর্জন বা লেখাপড়ার ধাপে আমরা এবং আমাদের সমাজ পিছিয়ে পড়ে৷ না স্কুল-কলেজ আর না মাদ্রাসা প্রাতিষ্ঠানিক পড়া-লেখার পাশাপাশি অন্য তেমন কিছুই করা যায় না৷

            অভিজ্ঞ ভাইদের কাছে প্রশ্ন - শিক্ষার এমন ব্যবস্থা কি পূর্ববর্তী যুগেও ছিল? নাকি এ যুগেই নতুন?

            Comment

            Working...
            X