দাঈর আবশ্যকীয় গুণাবলী
১ম গুণঃ الإخلاص একনিষ্ঠতা
ইখলাস বা একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসিকতা থাকা। দ্বীনি যে কোন কাজে সফলতা তখনই আসবে যখন তা ইখলাসের সাথে করা হবে। ইখলাস ছাড়া যে কোনো দ্বীনী কাজ বাহ্যত যত বড় এবং বিশালই দেখা যাক, তার পরিণাম দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছনা ও শাস্তি ছাড়া আর কিছুই নেই।
পক্ষান্তরে কারো কাজ বাহ্যত যদি সামান্যও দেখা যায় কিন্তু তা যদি ইখলাসের সাথে হয় তাহলে তার সেই সামান্য আমলই হয়তো তার নাজাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
২য় গুণঃ- العلم الصحيحদ্বীনের বিশুদ্ধ ইলম
একজন দাঈকে অবশ্যই বিশুদ্ধ ইলমের অধিকারী হতে হবে। বিশেষ করে তিনি যে বিষয়ে দাওয়াত দেবেন সে বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাংগ ইলম তাঁর থাকতে হবে। ঈমানিয়াত ও এ সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান তাঁর থাকতে হবে। ঈমান ও তাওহীদের পরিচয়, প্রকারভেদ, ঈমান ভংগের কারণ, কুফর-শিরকের প্রকারভেদ, বর্তমান যুগে প্রচলিত কুফর-শিরক, বিদআত ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা একজন দাঈর অতীব জরুরি।
৩য় গুণঃ- الصبرসবর
একজন সফল দাঈর মধ্যে এ গুণটি অবশ্যই থাকতে হবে। তা না হলে তিনি তার দাওয়াতি কাজ বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারবেন না। কারণ, এ পথে তাঁকে অবশ্যই এমন এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে যা সবরের মাধ্যমেই মোকাবেলা করতে হবে। আর এর পুরস্কার একমাত্র আল্লাহর কাছেই আশা করতে হবে।
তাই তো হযরত লুকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন,
يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنكَرِ وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ
হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। সূরা লুকমান (৩১) ১৭
৪র্থ গুণঃ التقوى والعمل بما يدعو إليه - তাকওয়া-পরহেযগারি, অন্যকে যে জিনিসের দাওয়াত দিবে তা নিজেও আমল করা।
কোনো দাঈর দাওয়াত মানুষ তখনই গ্রহণ করে যখন তিনি যে কাজের দাওয়াত দেন সবার আগে তিনি নিজের তার উপর আমল করেন। করণীয় কাজগুলো তিনি নিজেও করেন। বর্জনীয় কাজগুলো নিজেও বর্জন করেন।
৫ম গুণঃ - الصدق সত্যবাদিতা
দাঈকে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে। কোনো দাঈর মধ্যে যদি মিথ্যার লেশমাত্রও পাওয়া যায় তাহলে তার দাওয়াত কখনোই ফলপ্রসু হবে না।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মক্কার মুশরিকরা অনেক উপাধী দিয়েছিল। কবি, যাদুকর, গনক, পাগলসহ আরও কত কি! কিন্তু তাদের কেউই তাঁকে মিথ্যাবাদী বলার হিম্মত করেনি। নবুয়ত প্রাপ্তির আগ থেকেই তিনি তাদের মাঝে সত্যবাদী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই তো তারা তার উপাধী দিয়েছিল আল আমীন।
৬ষ্ঠ গুণঃ حسن الخلق সুন্দর আখলাক
আখলাক সুন্দর হওয়া তো প্রত্যেক মুমিনের জন্যই জরুরি। দাঈর জন্য আরও বেশি জরুরি।
নিজের মা বাবা, পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, পরিচিত অপরিচিত সবার সাথে একজন সত্যিকারের দাঈর আখলাক হবে আদর্শমানের। তাঁর আখলাকের কারণে সবাই তার প্রতি মুগ্ধ থাকবে।
৭ম গুণঃ التواضع তাওয়াযু ও বিনয়
কোনো দাঈর দাওয়াত অন্যরা তখনই গ্রহণ করে যখন তারা তার মধ্যে বিনয়ের গুণ দেখতে পায়। এটি এমনই এক মূল্যবান গুণ যা একজন মুমিনকে মর্যাদার উচ্চাসনে আসীন করে। বিনয়ের বিপরীত হল কিবর বা অহংকার। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الجَنَّةَ مَن كانَ في قَلْبِهِ مِثْقالُ ذَرَّةٍ مِن كِبْرٍ قالَ رَجُلٌ: إنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أنْ يَكونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا ونَعْلُهُ حَسَنَةً، قالَ: إنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الجَمالَ، الكِبْرُ بَطَرُ الحَقِّ، وغَمْطُ النّاسِ
কারো অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকলেও সে জান্নাতে যাবে না। এক ব্যক্তি বলল, কোনো ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার কাপড় সুন্দর হোক, জুতা সুন্দর হোক (এটাও কি অহংকারের মধ্যে পড়বে?) তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার হল, সত্য অস্বীকার করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা। সহী মুসলিম ৯১
৮ম গুণঃ الرفق واللين নম্রতা ও কোমলতা
যিনি মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করবেন তাঁকে অবশ্যই নরম ও কোমল স্বভাবের অধিকারী হতে হবে। দাঈর মাঝে এ গুণটি থাকলেই তিনি তার দাওয়াতি কাজে সফল হবেন। এগুণের মাধ্যমে তিনি খুব সহজেই অন্যদের মাঝে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবেন।
৯ম গুণঃ – الرحمة والرأفة بالأمةউম্মতের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা
একজন দাঈর মধ্যে এ গুণটির উপস্থিতি পূর্ণাংগ রূপে থাকতে হবে। তা না হলে তার পক্ষে দাওয়াতি কাজে অবিচল থাকা কোনো ভাবেই সম্ভব হবে না। কারণ, দাঈর অন্তরে উম্মতের প্রতি দরদ না থাকলে যাদেরকে তিনি দাওয়াত দিবেন তাদের থেকে কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আচরণ প্রকাশ পেলে তিনি আশাহত হয়ে যাবেন এবং তাদের জন্য কষ্ট স্বীকার করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। পক্ষান্তরে দাঈর অন্তরে উম্মতের প্রতি দরদ থাকলে তিনি তাদের থেকে যেমন আচরণই পান না কেন, কখনোই আশা ছাড়বেন না। মন ভাংগবেন না।
১০ম গুণঃ - حسن الظن بالمسلمينমুসলমানদের প্রতি সুধারনা পোষণ করা
মুসলিম হিসেবে সবার মধ্যেই এ গুণটি থাকতে হবে তবে দাঈর মধ্যে এগুণটি বিশেষ ভাবে থাকা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيراً مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ
হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। সূরা হুজুরাত (৪৯) ১২
১১ম গুণঃ - عدم الأخذ الأجرকোনো প্রকার বিনিয়ম গ্রহণ না করা
কোনো দাঈর দাওয়াত ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য এটি অন্যতম একটি শর্ত। একজন দাঈ যাদেরকে দাওয়াত দেবেন তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকারের বিনিময় বা প্রতিদান পাওয়ার প্রত্যাশী তিনি হবেন না। এমন হলেই মানুষ তার দাওয়াত গ্রহণ করবে।
★সংগ্রহিত ও সংক্ষেপিত।
১ম গুণঃ الإخلاص একনিষ্ঠতা
ইখলাস বা একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসিকতা থাকা। দ্বীনি যে কোন কাজে সফলতা তখনই আসবে যখন তা ইখলাসের সাথে করা হবে। ইখলাস ছাড়া যে কোনো দ্বীনী কাজ বাহ্যত যত বড় এবং বিশালই দেখা যাক, তার পরিণাম দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছনা ও শাস্তি ছাড়া আর কিছুই নেই।
পক্ষান্তরে কারো কাজ বাহ্যত যদি সামান্যও দেখা যায় কিন্তু তা যদি ইখলাসের সাথে হয় তাহলে তার সেই সামান্য আমলই হয়তো তার নাজাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
২য় গুণঃ- العلم الصحيحদ্বীনের বিশুদ্ধ ইলম
একজন দাঈকে অবশ্যই বিশুদ্ধ ইলমের অধিকারী হতে হবে। বিশেষ করে তিনি যে বিষয়ে দাওয়াত দেবেন সে বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাংগ ইলম তাঁর থাকতে হবে। ঈমানিয়াত ও এ সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান তাঁর থাকতে হবে। ঈমান ও তাওহীদের পরিচয়, প্রকারভেদ, ঈমান ভংগের কারণ, কুফর-শিরকের প্রকারভেদ, বর্তমান যুগে প্রচলিত কুফর-শিরক, বিদআত ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা একজন দাঈর অতীব জরুরি।
৩য় গুণঃ- الصبرসবর
একজন সফল দাঈর মধ্যে এ গুণটি অবশ্যই থাকতে হবে। তা না হলে তিনি তার দাওয়াতি কাজ বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারবেন না। কারণ, এ পথে তাঁকে অবশ্যই এমন এমন অবস্থার সম্মুখীন হতে হবে যা সবরের মাধ্যমেই মোকাবেলা করতে হবে। আর এর পুরস্কার একমাত্র আল্লাহর কাছেই আশা করতে হবে।
তাই তো হযরত লুকমান তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছিলেন,
يَا بُنَيَّ أَقِمِ الصَّلَاةَ وَأْمُرْ بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنكَرِ وَاصْبِرْ عَلَى مَا أَصَابَكَ إِنَّ ذَلِكَ مِنْ عَزْمِ الْأُمُورِ
হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। সূরা লুকমান (৩১) ১৭
৪র্থ গুণঃ التقوى والعمل بما يدعو إليه - তাকওয়া-পরহেযগারি, অন্যকে যে জিনিসের দাওয়াত দিবে তা নিজেও আমল করা।
কোনো দাঈর দাওয়াত মানুষ তখনই গ্রহণ করে যখন তিনি যে কাজের দাওয়াত দেন সবার আগে তিনি নিজের তার উপর আমল করেন। করণীয় কাজগুলো তিনি নিজেও করেন। বর্জনীয় কাজগুলো নিজেও বর্জন করেন।
৫ম গুণঃ - الصدق সত্যবাদিতা
দাঈকে অবশ্যই সত্যবাদী হতে হবে। কোনো দাঈর মধ্যে যদি মিথ্যার লেশমাত্রও পাওয়া যায় তাহলে তার দাওয়াত কখনোই ফলপ্রসু হবে না।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মক্কার মুশরিকরা অনেক উপাধী দিয়েছিল। কবি, যাদুকর, গনক, পাগলসহ আরও কত কি! কিন্তু তাদের কেউই তাঁকে মিথ্যাবাদী বলার হিম্মত করেনি। নবুয়ত প্রাপ্তির আগ থেকেই তিনি তাদের মাঝে সত্যবাদী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই তো তারা তার উপাধী দিয়েছিল আল আমীন।
৬ষ্ঠ গুণঃ حسن الخلق সুন্দর আখলাক
আখলাক সুন্দর হওয়া তো প্রত্যেক মুমিনের জন্যই জরুরি। দাঈর জন্য আরও বেশি জরুরি।
নিজের মা বাবা, পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন, পরিচিত অপরিচিত সবার সাথে একজন সত্যিকারের দাঈর আখলাক হবে আদর্শমানের। তাঁর আখলাকের কারণে সবাই তার প্রতি মুগ্ধ থাকবে।
৭ম গুণঃ التواضع তাওয়াযু ও বিনয়
কোনো দাঈর দাওয়াত অন্যরা তখনই গ্রহণ করে যখন তারা তার মধ্যে বিনয়ের গুণ দেখতে পায়। এটি এমনই এক মূল্যবান গুণ যা একজন মুমিনকে মর্যাদার উচ্চাসনে আসীন করে। বিনয়ের বিপরীত হল কিবর বা অহংকার। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
لا يَدْخُلُ الجَنَّةَ مَن كانَ في قَلْبِهِ مِثْقالُ ذَرَّةٍ مِن كِبْرٍ قالَ رَجُلٌ: إنَّ الرَّجُلَ يُحِبُّ أنْ يَكونَ ثَوْبُهُ حَسَنًا ونَعْلُهُ حَسَنَةً، قالَ: إنَّ اللَّهَ جَمِيلٌ يُحِبُّ الجَمالَ، الكِبْرُ بَطَرُ الحَقِّ، وغَمْطُ النّاسِ
কারো অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার থাকলেও সে জান্নাতে যাবে না। এক ব্যক্তি বলল, কোনো ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার কাপড় সুন্দর হোক, জুতা সুন্দর হোক (এটাও কি অহংকারের মধ্যে পড়বে?) তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার হল, সত্য অস্বীকার করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা। সহী মুসলিম ৯১
৮ম গুণঃ الرفق واللين নম্রতা ও কোমলতা
যিনি মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করবেন তাঁকে অবশ্যই নরম ও কোমল স্বভাবের অধিকারী হতে হবে। দাঈর মাঝে এ গুণটি থাকলেই তিনি তার দাওয়াতি কাজে সফল হবেন। এগুণের মাধ্যমে তিনি খুব সহজেই অন্যদের মাঝে প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবেন।
৯ম গুণঃ – الرحمة والرأفة بالأمةউম্মতের প্রতি দরদ ও ভালোবাসা
একজন দাঈর মধ্যে এ গুণটির উপস্থিতি পূর্ণাংগ রূপে থাকতে হবে। তা না হলে তার পক্ষে দাওয়াতি কাজে অবিচল থাকা কোনো ভাবেই সম্ভব হবে না। কারণ, দাঈর অন্তরে উম্মতের প্রতি দরদ না থাকলে যাদেরকে তিনি দাওয়াত দিবেন তাদের থেকে কখনো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আচরণ প্রকাশ পেলে তিনি আশাহত হয়ে যাবেন এবং তাদের জন্য কষ্ট স্বীকার করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। পক্ষান্তরে দাঈর অন্তরে উম্মতের প্রতি দরদ থাকলে তিনি তাদের থেকে যেমন আচরণই পান না কেন, কখনোই আশা ছাড়বেন না। মন ভাংগবেন না।
১০ম গুণঃ - حسن الظن بالمسلمينমুসলমানদের প্রতি সুধারনা পোষণ করা
মুসলিম হিসেবে সবার মধ্যেই এ গুণটি থাকতে হবে তবে দাঈর মধ্যে এগুণটি বিশেষ ভাবে থাকা জরুরি।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيراً مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ
হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। সূরা হুজুরাত (৪৯) ১২
১১ম গুণঃ - عدم الأخذ الأجرকোনো প্রকার বিনিয়ম গ্রহণ না করা
কোনো দাঈর দাওয়াত ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য এটি অন্যতম একটি শর্ত। একজন দাঈ যাদেরকে দাওয়াত দেবেন তাদের কাছ থেকে কোনো প্রকারের বিনিময় বা প্রতিদান পাওয়ার প্রত্যাশী তিনি হবেন না। এমন হলেই মানুষ তার দাওয়াত গ্রহণ করবে।
★সংগ্রহিত ও সংক্ষেপিত।
Comment