নীরবতা : কল্যাণ ও নিরাপত্তার আধার
বর্তমান প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে এ কথা ভুলেই বসেছে যে, নীরবতার মাঝে রয়েছে নানারকম কল্যাণ ও সার্বিক নিরাপত্তা। ছোট থেকে বড়, মূর্খ থেকে শিক্ষিত, সাধারণ থেকে আলিম প্রায় অধিকাংশ মানুষই আজ কথা বলতে পছন্দ করে। যেকোনো বিষয়ে -জানা থাকুক চাই না থাকুক- মন্তব্য করতে ভালোবাসে। ভয়ংকর এ প্রবণতা যে কতটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা অনুধাবন করতে খুব বেশি বিজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। শীঘ্রই এটা নিয়ন্ত্রণে না আসলে এর ক্ষতিকর প্রভাব দ্বীন-দুনিয়ার প্রতিটি সেক্টরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সফল হওয়ার সকল গুণ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ প্রতিভা ঝরে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো, অধিক কথা বলা। কখন কোথায় যাচ্ছে, কখন কী খাচ্ছে, কখন কী করছে, সকল বিষয়ের আপডেট পরিচিত-অপরিচিত সকলকে না জানালে যেন পেটের ভাত হজমই হয় না। সীমা ছাড়িয়ে কখনো এমনও দেখা যায় যে, লাজলজ্জার মাথা কেটে নিজেদের ঘরোয়া বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছে। আশঙ্কার ব্যাপার হলো, যুবক শ্রেণির কিছু অনুসরণীয় ব্যক্তিও নিয়মিত এসবে অভ্যস্ত হওয়ায় অন্যদের জন্য তা দলিল হয়ে যাচ্ছে। এটা যেমনই লজ্জার, তেমনই তা নিজের গাম্ভীর্য ,মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকির কারণ।
নীরবতা অবলম্বন করেই ইতিহাসে অসংখ্য ঐতিহাসিক কাজ সংঘটিত হয়েছে। লক্ষ করলে দেখবেন, বিপ্লবের মূল বৈশিষ্ট্যই হলো নীরবতা। নীরব জিনিস গর্জে কম, বর্ষে বেশি। নিজের সব প্ল্যান-পরিকল্পনা সবাইকে বলে বেড়াতে হবে, এমন মানসিকতা থেকে আমাদের অবশ্যই বের হয়ে আসা উচিত। দিনশেষে আপনার কাজটাই কেবল থেকে যাবে, মানুষের প্রশংসা বা নিন্দা নয়। তাই যাদের কাজ করার ইচ্ছে আছে, যাদের কাজ করার যোগ্যতা আছে, তারা নীরবে কাজ করে গেলেই অধিক সফল হবেন বলে আশা করি। হইচই করে, অধিক কথা বলে নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিপতিত না করাই হবে নিজের ওপর করা সর্বোচ্চ ইনসাফ।
জানি, কথাগুলো বেশিরভাগ মানুষই গ্রহণ করবে না, ফিরে আসবে না তারা রঙিন জগতের সুস্বাদু রসালো আলাপ থেকে, পাত্তা দেবে না তারা হিতাকাঙ্ক্ষীদের দরদী আলাপকে। তবুও আমরা বলে যাই এসব তিক্ত কথা। হয়তোবা কোনো উপদেশ গ্রহণকারী উপদেশ গ্রহণ করবে কিংবা উদাসীন কোনো পথিক সতর্ক হয়ে যাবে। ফিতনার এ সঙ্গিন মুহূর্তে নিজের জন্য নীরবতাই সবচেয়ে নিরাপদ মনে হয়। একান্ত প্রয়োজন না হলে নির্জনতাই সবচেয়ে উত্তম মনে হয়। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপদে রাখুন এবং সর্বদা কল্যাণকর পন্থা তাওফিক দান করুন।
কালেক্ট''
বর্তমান প্রজন্ম সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে এ কথা ভুলেই বসেছে যে, নীরবতার মাঝে রয়েছে নানারকম কল্যাণ ও সার্বিক নিরাপত্তা। ছোট থেকে বড়, মূর্খ থেকে শিক্ষিত, সাধারণ থেকে আলিম প্রায় অধিকাংশ মানুষই আজ কথা বলতে পছন্দ করে। যেকোনো বিষয়ে -জানা থাকুক চাই না থাকুক- মন্তব্য করতে ভালোবাসে। ভয়ংকর এ প্রবণতা যে কতটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা অনুধাবন করতে খুব বেশি বিজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। শীঘ্রই এটা নিয়ন্ত্রণে না আসলে এর ক্ষতিকর প্রভাব দ্বীন-দুনিয়ার প্রতিটি সেক্টরকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সফল হওয়ার সকল গুণ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ প্রতিভা ঝরে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো, অধিক কথা বলা। কখন কোথায় যাচ্ছে, কখন কী খাচ্ছে, কখন কী করছে, সকল বিষয়ের আপডেট পরিচিত-অপরিচিত সকলকে না জানালে যেন পেটের ভাত হজমই হয় না। সীমা ছাড়িয়ে কখনো এমনও দেখা যায় যে, লাজলজ্জার মাথা কেটে নিজেদের ঘরোয়া বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছে। আশঙ্কার ব্যাপার হলো, যুবক শ্রেণির কিছু অনুসরণীয় ব্যক্তিও নিয়মিত এসবে অভ্যস্ত হওয়ায় অন্যদের জন্য তা দলিল হয়ে যাচ্ছে। এটা যেমনই লজ্জার, তেমনই তা নিজের গাম্ভীর্য ,মর্যাদা ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকির কারণ।
নীরবতা অবলম্বন করেই ইতিহাসে অসংখ্য ঐতিহাসিক কাজ সংঘটিত হয়েছে। লক্ষ করলে দেখবেন, বিপ্লবের মূল বৈশিষ্ট্যই হলো নীরবতা। নীরব জিনিস গর্জে কম, বর্ষে বেশি। নিজের সব প্ল্যান-পরিকল্পনা সবাইকে বলে বেড়াতে হবে, এমন মানসিকতা থেকে আমাদের অবশ্যই বের হয়ে আসা উচিত। দিনশেষে আপনার কাজটাই কেবল থেকে যাবে, মানুষের প্রশংসা বা নিন্দা নয়। তাই যাদের কাজ করার ইচ্ছে আছে, যাদের কাজ করার যোগ্যতা আছে, তারা নীরবে কাজ করে গেলেই অধিক সফল হবেন বলে আশা করি। হইচই করে, অধিক কথা বলে নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিপতিত না করাই হবে নিজের ওপর করা সর্বোচ্চ ইনসাফ।
জানি, কথাগুলো বেশিরভাগ মানুষই গ্রহণ করবে না, ফিরে আসবে না তারা রঙিন জগতের সুস্বাদু রসালো আলাপ থেকে, পাত্তা দেবে না তারা হিতাকাঙ্ক্ষীদের দরদী আলাপকে। তবুও আমরা বলে যাই এসব তিক্ত কথা। হয়তোবা কোনো উপদেশ গ্রহণকারী উপদেশ গ্রহণ করবে কিংবা উদাসীন কোনো পথিক সতর্ক হয়ে যাবে। ফিতনার এ সঙ্গিন মুহূর্তে নিজের জন্য নীরবতাই সবচেয়ে নিরাপদ মনে হয়। একান্ত প্রয়োজন না হলে নির্জনতাই সবচেয়ে উত্তম মনে হয়। আল্লাহ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপদে রাখুন এবং সর্বদা কল্যাণকর পন্থা তাওফিক দান করুন।
কালেক্ট''
Comment