Announcement

Collapse
No announcement yet.

সম্পদের আধিক্য নিয়ে গর্ব নয়, ভীত হওয়াই কাম্য

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সম্পদের আধিক্য নিয়ে গর্ব নয়, ভীত হওয়াই কাম্য

    সম্পদের আধিক্য নিয়ে গর্ব নয়, ভীত হওয়াই কাম্য

    আমাদের অনেকের অবস্থা তো হল, আমরা সম্পদশালী হওয়াকে এবং গাড়ী বাড়ীর মালিক হওয়াকে আল্লাহ তাআলার প্রিয়পাত্র হওয়ার দলিল মনে করি। কেউ অর্থকষ্টে থাকলে তার ব্যাপারে ধারণা করি সে মনে হয় এখনো আল্লাহর প্রিয় হতে পারেনি।
    .
    আমাদের মধ্যকার অনেক দ্বীনদার ভাই-বোনদের মধ্যেও এমন ধারণা বিদ্যমান রয়েছে। তারা নিজ পছন্দের পীর এবং শাইখের অধিক সম্পদ থাকাকে গর্বের মনে করেন এবং বলেন যে, আমার শাইখকে আল্লাহ অনেক পছন্দ করেন; এজন্যই তিনি এত এত গাড়ী বাড়ীর মালিক হতে পেরেছেন। আল্লাহ তাকে পছন্দ করেন বিধায় শাসকশ্রেণির লোকেরাও তার কাছে হাদিয়া তোহফা নিয়ে আসে।
    .
    অথচ আমাদের সালাফরা শাসকদের হাদিয়া তোহফাকে ভয় পেতেন এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধন-সম্পদকে এই উম্মতের জন্য ফিতনা সাব্যস্ত করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম প্রাচুর্য্যের অধিকারী হওয়াকে নেক আমলের প্রতিদান নষ্টের কারণ বলে মনে করতেন। এক হাদীসে এসেছে-
    عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أُتِيَ بِطَعَامٍ وَكَانَ صَائِمًا فَقَالَ قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي كُفِّنَ فِي بُرْدَةٍ إِنْ غُطِّيَ رَأْسُهُ بَدَتْ رِجْلاَهُ وَإِنْ غُطِّيَ رِجْلاَهُ بَدَا رَأْسُهُ وَأُرَاهُ قَالَ وَقُتِلَ حَمْزَةُ وَهُوَ خَيْرٌ مِنِّي ثُمَّ بُسِطَ لَنَا مِنْ الدُّنْيَا مَا بُسِطَ أَوْ قَالَ أُعْطِينَا مِنْ الدُّنْيَا مَا أُعْطِينَا وَقَدْ خَشِينَا أَنْ تَكُونَ حَسَنَاتُنَا عُجِّلَتْ لَنَا ثُمَّ جَعَلَ يَبْكِي حَتَّى تَرَكَ الطَّعَامَ

    ইবরাহীম রহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, একবার আবদুর রহমান ইবনে ‘আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু রোজাদার ছিলেন, ইফতারের সময় তার সামনে খাদ্য পরিবেশন করা হল। তখন তিনি বললেন, মুস‘আব ইবনে উমাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু শহীদ হলেন। তিনি ছিলেন আমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। অথচ তাঁকে এমন একটি চাদর দিয়ে কাফন দেয়া হল যা দ্বারা তাঁর মাথা ঢাকলে পা খুলে যায় আর পা ঢাকলে মাথা খুলে যায়।

    (বর্ণনাকারী বলেন) আমার মনে পড়ে, তিনি আরও বলেছিলেনঃ হামযাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু শহীদ হলেন। তিনিও ছিলেন আমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এরপর দুনিয়াতে আমাদেরকে অনেক প্রাচুর্য্য দেয়া হল। আমার আশঙ্কা হয়, না জানি (এসব প্রাচুর্য্যের মাধ্যমে) আমাদের নেক আমলের প্রতিদান (দুনিয়াতেই) আগেভাগে দিয়ে দেয়া হয়েছে। একথা বলে তিনি কান্না করতে লাগলেন, কাঁদতে কাঁদতে এক পর্যায়ে খাবার খাওয়া ছেড়ে দিলেন। (বুখারী-১২৭৫)
    .
    এবার আমরা একটু নিজেদের দিকে নজর বুলাই, দেখি কোন পার্থক্য খুঁজে পাই কিনা!

    সংগৃহীত
    Last edited by Rakibul Hassan; 09-11-2024, 12:00 PM.

  • #2
    আহ! আমাদের আজ কি অবস্থা
    আল্লাহ্‌ আমাদের ক্ষমা করুন

    জাযাকাল্লাহ খাইরান ভাই

    Comment


    • #3
      আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের অবস্থা সংশোধন করে দিন, আমীন

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন আমিন

        Comment


        • #5
          জ্বি ভাই, সুন্দর পোস্ট। জাযাকাল্লাহ।

          Comment

          Working...
          X