টাইম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ছোট্ট একটা মজার টপিক মাথায় এলো। গবেষণায় দেখা গেছে, সময়-সচেতনতার উপর ভিত্তি করে মানুষের ব্যক্তিত্বকে মোটামুটি ২ ভাগে ভাগ করা যায়-
১. ইন-টাইম পার্সোনালিটি (In-Time Personality) : এরা সাধারণত বর্তমান নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে, বর্তমানের কাজটিকেই উপভোগ করে। এরা জীবনকেও উপভোগ করে থাকে বেশ। কিন্তু সমস্যা যেটা হয়, তা হলো- এরা যে কাজ শুরু করে এটা নিয়ে অপ্রয়োজনেই এত নিমগ্ন হয়ে যায় যে পরের কাজটি আর শুরু করতে পারেনা, কিংবা দেরি হয়ে যায়। এরা সাধারণত যেকোন এপয়েন্টমেন্টে দেরিতে পৌছে। টাইম ম্যানেজমেন্ট কিংবা লাইফ প্ল্যানিংয়েও পিছিয়ে থাকে।
২. থ্রু-টাইম পার্সোনালিটি (Through-Time Personality) : এই ধাচের ব্যক্তিরা খুব সময় সচেতন, রেগুলার। এরা সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে, এপয়েন্টমেন্টে সময়মত উপস্থিত হতে পারে, অনেকে প্রতিদিন ডায়েরী লিখে, ভবিষ্যৎ পরকল্পনায়ও এরা ভালো। তবে সমস্যা হলো- এরা ভবিষ্যৎ কাজের চিন্তায় এতটাই ফোকাসড থাকে যে, অনেক সময় বর্তমানটাকে উপভোগ করতে পারেনা।
তবে এ দুটোর কোনটিই আদর্শের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নয়, আদর্শ হচ্ছে এ দুটোর কম্বিনেশান। সেটি হচ্ছে-
৩. অন-টাইম পার্সোনালিটি (On-Time Personality) : ব্যক্তিত্বের এই ধাচটি আদর্শ, আমাদের টার্গেট হওয়া উচিৎ এটিই। এরা বর্তমানকে উপভোগ করতে পারে, আবার জীবনের গোল ফিক্সড করে, লং টার্ম প্ল্যান করে কাজ করেও যেতে পারে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এরা বর্তমানকে এঞ্জয় করে। অর্থাৎ,
In Time + Through Time = On Time (Personality)
এটুকু জানার পর সবাই মোটামুটি নিজের ব্যক্তিত্ব আন্দাজ করতে পারবেন। তবে সফলতার বিবেচনায় বিবেচনায় ১ এর চেয়ে ২ উপরে, ৩ সবার উপরে। অনেকেরই মনে হবে, এ জিনিস জেনে আর কী হবে? ব্যক্তিত্ব কি আর বদলে ফেলা যায়? যে যেমন সে তো তেমন-ই।
উহু, I disagree. ব্যক্তিত্ব যে পরিবর্তন হয়, তার উদাহরণ আমি নিজেই। এই কনসেপ্টটা প্রথম যখন জেনেছিলাম, ২০১৫ এর দিকে যতদূর সম্ভব, বইয়ের পেইজে ১ নং ব্যক্তিত্বের পাশে একটা ‘স্যাড ইমো’ দিয়ে রেখেছিলাম, কারণ সেসময় আমি ঐ ‘ইন টাইম’ পার্সোনালিটি ছিলাম, ঠিক সময়ে সব কাজ শেষ করতে পারতাম না, লেট পাব্লিক ধাচের। এই ২০১৯ এ এসে বইটা রিভাইজ করতে গিয়ে মনে হলো, আমার বর্তমান পার্সোনালিটি অনেকটাই ‘থ্রু-টাইম’ এর সাথে যায়, কাজের লিস্ট মোটামুটি কমপ্লিট করতে পারি (আলহামদুলিল্লাহ), তবে ঐ যে বর্তমান কাজ করার সময় পরের কাজগুলো নিয়ে এত টেন্সড থাকি যে বর্তমান উপভোগ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই ক’বছরে কতখানি বদলে গেছি, ভাবতেই অবাক লাগে! চেষ্টায় আছি ৩ নং এ পৌছার, দেখি আদৌ পারা যায় কিনা কোনদিন (বিইযনিল্লাহ)। তো নেমে পড়ুন আপনারাও…..
১. ইন-টাইম পার্সোনালিটি (In-Time Personality) : এরা সাধারণত বর্তমান নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে, বর্তমানের কাজটিকেই উপভোগ করে। এরা জীবনকেও উপভোগ করে থাকে বেশ। কিন্তু সমস্যা যেটা হয়, তা হলো- এরা যে কাজ শুরু করে এটা নিয়ে অপ্রয়োজনেই এত নিমগ্ন হয়ে যায় যে পরের কাজটি আর শুরু করতে পারেনা, কিংবা দেরি হয়ে যায়। এরা সাধারণত যেকোন এপয়েন্টমেন্টে দেরিতে পৌছে। টাইম ম্যানেজমেন্ট কিংবা লাইফ প্ল্যানিংয়েও পিছিয়ে থাকে।
২. থ্রু-টাইম পার্সোনালিটি (Through-Time Personality) : এই ধাচের ব্যক্তিরা খুব সময় সচেতন, রেগুলার। এরা সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে, এপয়েন্টমেন্টে সময়মত উপস্থিত হতে পারে, অনেকে প্রতিদিন ডায়েরী লিখে, ভবিষ্যৎ পরকল্পনায়ও এরা ভালো। তবে সমস্যা হলো- এরা ভবিষ্যৎ কাজের চিন্তায় এতটাই ফোকাসড থাকে যে, অনেক সময় বর্তমানটাকে উপভোগ করতে পারেনা।
তবে এ দুটোর কোনটিই আদর্শের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ নয়, আদর্শ হচ্ছে এ দুটোর কম্বিনেশান। সেটি হচ্ছে-
৩. অন-টাইম পার্সোনালিটি (On-Time Personality) : ব্যক্তিত্বের এই ধাচটি আদর্শ, আমাদের টার্গেট হওয়া উচিৎ এটিই। এরা বর্তমানকে উপভোগ করতে পারে, আবার জীবনের গোল ফিক্সড করে, লং টার্ম প্ল্যান করে কাজ করেও যেতে পারে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এরা বর্তমানকে এঞ্জয় করে। অর্থাৎ,
In Time + Through Time = On Time (Personality)
এটুকু জানার পর সবাই মোটামুটি নিজের ব্যক্তিত্ব আন্দাজ করতে পারবেন। তবে সফলতার বিবেচনায় বিবেচনায় ১ এর চেয়ে ২ উপরে, ৩ সবার উপরে। অনেকেরই মনে হবে, এ জিনিস জেনে আর কী হবে? ব্যক্তিত্ব কি আর বদলে ফেলা যায়? যে যেমন সে তো তেমন-ই।
উহু, I disagree. ব্যক্তিত্ব যে পরিবর্তন হয়, তার উদাহরণ আমি নিজেই। এই কনসেপ্টটা প্রথম যখন জেনেছিলাম, ২০১৫ এর দিকে যতদূর সম্ভব, বইয়ের পেইজে ১ নং ব্যক্তিত্বের পাশে একটা ‘স্যাড ইমো’ দিয়ে রেখেছিলাম, কারণ সেসময় আমি ঐ ‘ইন টাইম’ পার্সোনালিটি ছিলাম, ঠিক সময়ে সব কাজ শেষ করতে পারতাম না, লেট পাব্লিক ধাচের। এই ২০১৯ এ এসে বইটা রিভাইজ করতে গিয়ে মনে হলো, আমার বর্তমান পার্সোনালিটি অনেকটাই ‘থ্রু-টাইম’ এর সাথে যায়, কাজের লিস্ট মোটামুটি কমপ্লিট করতে পারি (আলহামদুলিল্লাহ), তবে ঐ যে বর্তমান কাজ করার সময় পরের কাজগুলো নিয়ে এত টেন্সড থাকি যে বর্তমান উপভোগ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই ক’বছরে কতখানি বদলে গেছি, ভাবতেই অবাক লাগে! চেষ্টায় আছি ৩ নং এ পৌছার, দেখি আদৌ পারা যায় কিনা কোনদিন (বিইযনিল্লাহ)। তো নেমে পড়ুন আপনারাও…..