আনুগত্য ও ভালোবাসার দাবি সত্য কিনা?
হে প্রিয় ভাই! আমার তোমার জীবনে কতবার প্রভাতে সূর্যোদয় হবে এবং কতবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে তা মহান প্রভু নির্ধারণ করে রেখেছেন। আজ এই প্রভাবে পূর্ব দিগন্ত রাঙা করে মিষ্টি কোমল হাসি ছড়িয়ে এই সূর্যোদয় হলো, তারপর আর কটি এমন রাঙা সূর্যোদয় অবশিষ্ট আছে আমার তোমার জীবনে আমরা তা জানি না। আমি জানি না দিন শেষে ক্লান্ত সন্ধ্যায় আজকের বিষন্ন সূর্যাস্ত আমি দেখতে পাবো কি না।নাকি সূর্যই আমাকে জানাবে শেষ বিদায়!
আমি শুধু জানি, বিনাশের জন্য আমার তোমার সৃষ্টি নয় এবং এ জীবনই সব কিছুর শেষ নয়।মৃত্যু হলো অনন্ত জীবনের উদ্ভোদন এ 'জীবন' সন্ধ্যা' সে তো আগামী জীবনের সুপ্রভাত! তবে কার জন্য! জীবনের প্রতিটি সূর্যোদয় থেকে স্রষ্টার আনুগত্য নিবেদিত থাকার শিক্ষা যে নিয়েছে তার জন্য এবং প্রতিটি সূর্যাস্ত থেকে জীবন সূর্যের' আসন্ন অস্তের জন্য যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তার জন্য। হে মানুষ! এবার তুমি বিচার করো। আনুগত্য ও ভালোবাসার দাবীতে তুমি আমি অনঢ় কিনা?
হে প্রিয় ভাই ও বোন!
দুনিয়াতে যতদিন তুমি আমি বেঁচে থাকি ততদিন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসা অন্তরে ধারণ করবো। কারণ প্রিয় রাসূলকে ভালোবাসা মানেই আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসা। তাহলে হয়ত আখেরাতে তুমি তার শাফায়াত লাভ করবে। শুধু মুখের দাবী দ্বারা ভালোবাসার প্রমাণ হয় না। আল্লাহর নবীর প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার প্রমাণ হলো তাঁর আদর্শের উপর অটল থাকা। চুল পরিমাণ কমতি না করা।
প্রকৃতি ও বাস্তবতার দাবী তোমাকে আমাকে মেনে নিতে হবে, যে যাকে ভালোবাসে সে তার রীতিনীতি ও তরীকা অনুসরণ করে। তবে অবশ্য ভালোসার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে তুমি আমি যতবেশি তার আদর্শের অনুস্বরণ করবো আমাদের অন্তরে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা ও মহব্বত ততই গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকবে। এভাবে এক সময় তুমি আমি নবী প্রেমের সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হবো।কবির ভাষায়,একটু একটু মহব্বত মানুষকে উচ্চ শীখড়ে পৌঁছায় আবার এই মহব্বত ধ্বংসের কারণ হয়। তবে মনে রেখো, রাসূল প্রেমের মহব্বত তোমাকে নিশ্চিত সফলতার পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছিয়ে দিবে।
কিছু অমূল্য বাণীকে আমার তোমার জীবনে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসার মানদণ্ডে দাঁড় করাতে পারি।
এক.
এজন্যই আল্লামা ইবনুল কাইয়ূম বলেছেন, রাসূলের তেইশ বছরের জীবনকর্ম প্রত্যেকজন মুসলিম যুবক-যুবতীর ইশকে নবীর সোপান সিঁড়ি। এই সিঁড়ির যত ধাপ আরোহন করবে তত উচ্চস্তরে তোমার আমার উত্তরণ
ঘটবে।
দুই.
সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহ. এর উক্তি হলো,
রাসূল প্রেমের সত্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাও তাহলে তাঁর তেইশ বছরের আদর্শকে জীবন পথের পাথেয় বানাও।
তিন.
আল্লাহ ইবনে নুহাস রাহি.বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ হলো জিহাদের ঝান্ডাতলে আশ্রয় গ্রহণ করা।
চার.
নাবিল বিন শহীদ রাহিমাহুল্লাহ এর জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু উক্তির মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি উক্তি হলো, আল্লাহর রাহে জীবন দাও রাসূল প্রেমের সত্যতা যাঁচাই হয়ে যাবে।
পাঁচ.
তারিখে দিমাশকে বর্ণিত আছে,
প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছাহাবারা ভালোবাসার প্রমাণ প্রত্যেকটি যুদ্ধে দিয়েছেন। বদর উহুদ ও তাবুক যুদ্ধে এর প্রতিফলন সবচে বেশি ঘটেছে।
ছয়.
আর-রাহীকুল মাখতুম সীরাতগ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা ছফীউল্লাহ মোবারকপুরী রাহি, বলেন,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসার সহজ পথ হলো জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ, আর তাঁদের নৈকট্য হাসিলের সর্বোত্তম পন্থা হলো শাহাদাতের মৃত্যু।
সাত.
বিংশ শতাব্দীর দায়ী ইলাল্লার একমাত্র অগ্রদূত
শহীদ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে রণাঙ্গনে না এসে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসার দাবি করলো তার কথায় সে অনঢ় ব্যক্তি নয়।
আট.
হাসানুল বান্না রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
আমি তাদের ভালোবাসার স্বীকৃতি দিতে কুন্ঠাবোধ করবো না যারা ময়দানে লড়াই করছে তবে যারা ময়দানে না এসে ভালোবাসার দাবী করে তাদের ব্যাপারে আমি জানি না। কথায় সত্যও হতে পারে।
নয়.
শাইখ খালেদ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ বলেন,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা মানেই রণাঙ্গনে জীবন উৎসর্গ করা। এ ব্যাপারে প্রত্যেকে নিজেকে প্রশ্ন করলেই উত্তর পেয়ে যাবে।
দশ.
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আট জিনিসের চাইতে তিন জিনিসকে বেশি ভালো না বাসবে।
এমনকি রবের ফায়সালার সম্মুখীন হতে হবে।
১.আল্লাহ তাআলাকে
২.রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
৩.তাঁর রাস্তায় জিহাদ করাকে।
হে প্রিয় ভাই! আমার তোমার জীবনে কতবার প্রভাতে সূর্যোদয় হবে এবং কতবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে তা মহান প্রভু নির্ধারণ করে রেখেছেন। আজ এই প্রভাবে পূর্ব দিগন্ত রাঙা করে মিষ্টি কোমল হাসি ছড়িয়ে এই সূর্যোদয় হলো, তারপর আর কটি এমন রাঙা সূর্যোদয় অবশিষ্ট আছে আমার তোমার জীবনে আমরা তা জানি না। আমি জানি না দিন শেষে ক্লান্ত সন্ধ্যায় আজকের বিষন্ন সূর্যাস্ত আমি দেখতে পাবো কি না।নাকি সূর্যই আমাকে জানাবে শেষ বিদায়!
আমি শুধু জানি, বিনাশের জন্য আমার তোমার সৃষ্টি নয় এবং এ জীবনই সব কিছুর শেষ নয়।মৃত্যু হলো অনন্ত জীবনের উদ্ভোদন এ 'জীবন' সন্ধ্যা' সে তো আগামী জীবনের সুপ্রভাত! তবে কার জন্য! জীবনের প্রতিটি সূর্যোদয় থেকে স্রষ্টার আনুগত্য নিবেদিত থাকার শিক্ষা যে নিয়েছে তার জন্য এবং প্রতিটি সূর্যাস্ত থেকে জীবন সূর্যের' আসন্ন অস্তের জন্য যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তার জন্য। হে মানুষ! এবার তুমি বিচার করো। আনুগত্য ও ভালোবাসার দাবীতে তুমি আমি অনঢ় কিনা?
হে প্রিয় ভাই ও বোন!
দুনিয়াতে যতদিন তুমি আমি বেঁচে থাকি ততদিন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসা অন্তরে ধারণ করবো। কারণ প্রিয় রাসূলকে ভালোবাসা মানেই আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসা। তাহলে হয়ত আখেরাতে তুমি তার শাফায়াত লাভ করবে। শুধু মুখের দাবী দ্বারা ভালোবাসার প্রমাণ হয় না। আল্লাহর নবীর প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার প্রমাণ হলো তাঁর আদর্শের উপর অটল থাকা। চুল পরিমাণ কমতি না করা।
প্রকৃতি ও বাস্তবতার দাবী তোমাকে আমাকে মেনে নিতে হবে, যে যাকে ভালোবাসে সে তার রীতিনীতি ও তরীকা অনুসরণ করে। তবে অবশ্য ভালোসার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে তুমি আমি যতবেশি তার আদর্শের অনুস্বরণ করবো আমাদের অন্তরে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসা ও মহব্বত ততই গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকবে। এভাবে এক সময় তুমি আমি নবী প্রেমের সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হবো।কবির ভাষায়,একটু একটু মহব্বত মানুষকে উচ্চ শীখড়ে পৌঁছায় আবার এই মহব্বত ধ্বংসের কারণ হয়। তবে মনে রেখো, রাসূল প্রেমের মহব্বত তোমাকে নিশ্চিত সফলতার পর্বতশৃঙ্গে পৌঁছিয়ে দিবে।
কিছু অমূল্য বাণীকে আমার তোমার জীবনে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসার মানদণ্ডে দাঁড় করাতে পারি।
এক.
এজন্যই আল্লামা ইবনুল কাইয়ূম বলেছেন, রাসূলের তেইশ বছরের জীবনকর্ম প্রত্যেকজন মুসলিম যুবক-যুবতীর ইশকে নবীর সোপান সিঁড়ি। এই সিঁড়ির যত ধাপ আরোহন করবে তত উচ্চস্তরে তোমার আমার উত্তরণ
ঘটবে।
দুই.
সাইয়্যেদ কুতুব শহীদ রহ. এর উক্তি হলো,
রাসূল প্রেমের সত্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে চাও তাহলে তাঁর তেইশ বছরের আদর্শকে জীবন পথের পাথেয় বানাও।
তিন.
আল্লাহ ইবনে নুহাস রাহি.বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ হলো জিহাদের ঝান্ডাতলে আশ্রয় গ্রহণ করা।
চার.
নাবিল বিন শহীদ রাহিমাহুল্লাহ এর জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু উক্তির মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি উক্তি হলো, আল্লাহর রাহে জীবন দাও রাসূল প্রেমের সত্যতা যাঁচাই হয়ে যাবে।
পাঁচ.
তারিখে দিমাশকে বর্ণিত আছে,
প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ছাহাবারা ভালোবাসার প্রমাণ প্রত্যেকটি যুদ্ধে দিয়েছেন। বদর উহুদ ও তাবুক যুদ্ধে এর প্রতিফলন সবচে বেশি ঘটেছে।
ছয়.
আর-রাহীকুল মাখতুম সীরাতগ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা ছফীউল্লাহ মোবারকপুরী রাহি, বলেন,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসার সহজ পথ হলো জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ, আর তাঁদের নৈকট্য হাসিলের সর্বোত্তম পন্থা হলো শাহাদাতের মৃত্যু।
সাত.
বিংশ শতাব্দীর দায়ী ইলাল্লার একমাত্র অগ্রদূত
শহীদ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে রণাঙ্গনে না এসে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসার দাবি করলো তার কথায় সে অনঢ় ব্যক্তি নয়।
আট.
হাসানুল বান্না রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
আমি তাদের ভালোবাসার স্বীকৃতি দিতে কুন্ঠাবোধ করবো না যারা ময়দানে লড়াই করছে তবে যারা ময়দানে না এসে ভালোবাসার দাবী করে তাদের ব্যাপারে আমি জানি না। কথায় সত্যও হতে পারে।
নয়.
শাইখ খালেদ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ বলেন,
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা মানেই রণাঙ্গনে জীবন উৎসর্গ করা। এ ব্যাপারে প্রত্যেকে নিজেকে প্রশ্ন করলেই উত্তর পেয়ে যাবে।
দশ.
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,
ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আট জিনিসের চাইতে তিন জিনিসকে বেশি ভালো না বাসবে।
এমনকি রবের ফায়সালার সম্মুখীন হতে হবে।
১.আল্লাহ তাআলাকে
২.রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে
৩.তাঁর রাস্তায় জিহাদ করাকে।
Comment