মুমিন হলো মুমিনের আয়নাস্বরুপ
প্রিয় ভাই ও বোন!
কত সুন্দর কথা!তুমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াও আয়না তখন তোমার সামনে তোমার দোষগুলো তুলে ধরে। নাকে ময়লা জমে আছে, কিংবা চোখে কেতুর জমে আছে অথবা কপালে কালি লেগে আছে। আয়নায় দেখে দেখে তুমি সেগুলো দূর করে ফলো। তোমার চেহারাটা সুন্দর হয়ে ওঠে। তারপর যখন তুমি মানুষের মাঝে যাও তখন সবাই তোমাকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন বলে।
দেখো, আয়না তোমার দোষগুলো শুধু তোমার সামনেই তুলে ধরেছে যাতে তুমি দোষগুলো সংশোধন করতে পারো এবং মানুষের সামনে সুন্দর হতে পারো।মানুষের সামনে যেন লজ্জিত না হও, মানুষ যেন তোমাকে মন্দ না বলে। এজন্যই মানুষ আয়নাকে ভালোবাসে। ঘরে ঘরে মানুষ আয়না রাখে। বার বার আয়নার সামনে দাঁড়ায় এবং আয়নার চেহারায় নিজের চেহারার দোষগুলো দেখে দেখে তা দূর করে।
আয়না কখনো মানুষের সামনে তোমার দোষ তুলে ধরে না।মানুষের কাছে তোমার মন্দগুলো প্রকাশ করে তোমাকে লজ্জিত করে না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
তোমার মুমিন ভাইয়ের জন্য তুমি হলে আয়নার মতো।
অর্থাৎ তোমার মুমিন ভাইয়ের কোন দোষ যদি তোমার সামনে ধরা পড়ে, তুমি তা মানুষের কাছে প্রকাশ করবে না। বরং ভালোবাসা দিয়ে তার হৃদয় জয় করবে। তারপর কোমল ভাষায়, মিষ্টি কথায়,তার দোষগুলো তার সামনে তুলে ধরবে, যেন সে সতর্ক হয় এবং তার সংশোধন হয়। তোমার কাছ থেকে জেনে জেনে যখন সে তার দোষগুলো সংশোধন করে নেবে, এর মানুষের সভায় যাবে তখন মানুষ তাকে সুন্দর বলবে, সৎ ও সত্য বাদী বলবে।নীতিবান ও আদর্শবান বলবে। চারদিকে তার সুনাম হবে
তোমার মুমিন ভাই তখন তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে।তোমাকে ভালোবাসবে। তুমিও তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার দোষগুলো জানতে পারবে এবং নিজের জীবন ও চরিত্রকে সুন্দর ও পবিত্র করতে পারবে। আয়না ছাড়া যেমন নিজের দোষ নিজে জানা যায় না। তেমনি একজন মুমিন অন্য মুমিনের সাহায্য ছাড়া নিজের দোষগুলো বুঝতে পারে না। তাই একজন মুমিনকে অপর মুমিন ভাইয়ের জন্য হতে হবে আয়নার মত। তাহলে মুসলমানদের সমাজ হবে দোষমুক্ত ও পাক-পবিত্র।
প্রিয় ভাই ও বোন!
সমাজে সুখ-শান্তি আসবে। ভালোবাসা ও সম্প্রতি আসবে। এমনই সুন্দর সমাজ ছিলো ছাহাবা কেরামের, তাবেঈন ও তাবয়ে তাবেঈনের। তাই তাদের মাঝে ছিলো ভাই-ভাই সম্পর্ক। তাদের সমাজ ছিলো জান্নাতী সমাজ। একে অপরের জন্য তারা ছিলেন আয়নার মত। একে অন্যকে তারা সংশোধন করতেন, কেউ কাউকে লজ্জিত করতেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সালাতে শরীক হতেন, যাকাত আদায়ে প্রতিযোগিতা করতেন, ভালো অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকতেন, ময়দানে নিজে পিপাসিত অথচ অন্য ভাইয়ের পিপাসার ডাকে পানি তার কাছে পৌঁছে দিতেন, একই সাথে রণাঙ্গনে বের হতেন কিন্তু কেউ গাযী হয়ে ফিরে আসতেন আবার কেউ শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যেতেন, প্রতিটি কাজে সাম্যের বিধান বজায় রেখে চলেছেন যেন কোন সাথী কষ্ট না পায়।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আজ আমাদের অবস্থা কী? আমরা মানুষের দোষ খুঁজে বেড়াই এবং মানুষের কাছে তা বলে বেড়াই। কেউ কারো সংশোধন চাই না। কেউ কারো পবিত্রতা কামনা করি না। সবাই সবাইকে মানুষের সামনে লজ্জিত ও অপদস্ত করতে চাই। এটা তো মুমিন বান্দার বৈশিষ্ট্য না। তাহলে কোথায় গেলো আমাদের ইমান?
প্রিয় ভাই আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক। আমরা আমাদের মুমিন ভাইয়ের জন্য হবো আয়নার মতো। তাহলে আমাদের জীবন হবে ছাহাবা কেরামের জীবনের মতো, আমাদের সমাজ হবে ছাহাবা কেরামের সমাজের মতো ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
কত সুন্দর কথা!তুমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াও আয়না তখন তোমার সামনে তোমার দোষগুলো তুলে ধরে। নাকে ময়লা জমে আছে, কিংবা চোখে কেতুর জমে আছে অথবা কপালে কালি লেগে আছে। আয়নায় দেখে দেখে তুমি সেগুলো দূর করে ফলো। তোমার চেহারাটা সুন্দর হয়ে ওঠে। তারপর যখন তুমি মানুষের মাঝে যাও তখন সবাই তোমাকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন বলে।
দেখো, আয়না তোমার দোষগুলো শুধু তোমার সামনেই তুলে ধরেছে যাতে তুমি দোষগুলো সংশোধন করতে পারো এবং মানুষের সামনে সুন্দর হতে পারো।মানুষের সামনে যেন লজ্জিত না হও, মানুষ যেন তোমাকে মন্দ না বলে। এজন্যই মানুষ আয়নাকে ভালোবাসে। ঘরে ঘরে মানুষ আয়না রাখে। বার বার আয়নার সামনে দাঁড়ায় এবং আয়নার চেহারায় নিজের চেহারার দোষগুলো দেখে দেখে তা দূর করে।
আয়না কখনো মানুষের সামনে তোমার দোষ তুলে ধরে না।মানুষের কাছে তোমার মন্দগুলো প্রকাশ করে তোমাকে লজ্জিত করে না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
তোমার মুমিন ভাইয়ের জন্য তুমি হলে আয়নার মতো।
অর্থাৎ তোমার মুমিন ভাইয়ের কোন দোষ যদি তোমার সামনে ধরা পড়ে, তুমি তা মানুষের কাছে প্রকাশ করবে না। বরং ভালোবাসা দিয়ে তার হৃদয় জয় করবে। তারপর কোমল ভাষায়, মিষ্টি কথায়,তার দোষগুলো তার সামনে তুলে ধরবে, যেন সে সতর্ক হয় এবং তার সংশোধন হয়। তোমার কাছ থেকে জেনে জেনে যখন সে তার দোষগুলো সংশোধন করে নেবে, এর মানুষের সভায় যাবে তখন মানুষ তাকে সুন্দর বলবে, সৎ ও সত্য বাদী বলবে।নীতিবান ও আদর্শবান বলবে। চারদিকে তার সুনাম হবে
তোমার মুমিন ভাই তখন তোমার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে।তোমাকে ভালোবাসবে। তুমিও তোমার ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার দোষগুলো জানতে পারবে এবং নিজের জীবন ও চরিত্রকে সুন্দর ও পবিত্র করতে পারবে। আয়না ছাড়া যেমন নিজের দোষ নিজে জানা যায় না। তেমনি একজন মুমিন অন্য মুমিনের সাহায্য ছাড়া নিজের দোষগুলো বুঝতে পারে না। তাই একজন মুমিনকে অপর মুমিন ভাইয়ের জন্য হতে হবে আয়নার মত। তাহলে মুসলমানদের সমাজ হবে দোষমুক্ত ও পাক-পবিত্র।
প্রিয় ভাই ও বোন!
সমাজে সুখ-শান্তি আসবে। ভালোবাসা ও সম্প্রতি আসবে। এমনই সুন্দর সমাজ ছিলো ছাহাবা কেরামের, তাবেঈন ও তাবয়ে তাবেঈনের। তাই তাদের মাঝে ছিলো ভাই-ভাই সম্পর্ক। তাদের সমাজ ছিলো জান্নাতী সমাজ। একে অপরের জন্য তারা ছিলেন আয়নার মত। একে অন্যকে তারা সংশোধন করতেন, কেউ কাউকে লজ্জিত করতেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সালাতে শরীক হতেন, যাকাত আদায়ে প্রতিযোগিতা করতেন, ভালো অন্যের চেয়ে এগিয়ে থাকতেন, ময়দানে নিজে পিপাসিত অথচ অন্য ভাইয়ের পিপাসার ডাকে পানি তার কাছে পৌঁছে দিতেন, একই সাথে রণাঙ্গনে বের হতেন কিন্তু কেউ গাযী হয়ে ফিরে আসতেন আবার কেউ শহীদ হয়ে জান্নাতে চলে যেতেন, প্রতিটি কাজে সাম্যের বিধান বজায় রেখে চলেছেন যেন কোন সাথী কষ্ট না পায়।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আজ আমাদের অবস্থা কী? আমরা মানুষের দোষ খুঁজে বেড়াই এবং মানুষের কাছে তা বলে বেড়াই। কেউ কারো সংশোধন চাই না। কেউ কারো পবিত্রতা কামনা করি না। সবাই সবাইকে মানুষের সামনে লজ্জিত ও অপদস্ত করতে চাই। এটা তো মুমিন বান্দার বৈশিষ্ট্য না। তাহলে কোথায় গেলো আমাদের ইমান?
প্রিয় ভাই আজ আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক। আমরা আমাদের মুমিন ভাইয়ের জন্য হবো আয়নার মতো। তাহলে আমাদের জীবন হবে ছাহাবা কেরামের জীবনের মতো, আমাদের সমাজ হবে ছাহাবা কেরামের সমাজের মতো ইনশাআল্লাহ।
Comment