প্রকৃতির মাঝে সুন্দরের স্রষ্টাকে খুঁজে পাওয়া
সাগরের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে একদিন আমি একটি সত্যের সন্ধান পেয়েছিলাম।দৃষ্টির শেষ সীমার জলরাশি যেন তীরে এসে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মাধ্যমে আমার কাছে এ বাণী প্রেরণ করেছিলো, হে মানুষ! ভেবে দেখো তুমি কত ক্ষুদ্র, তুমি কত তুচ্ছ। অহংকার যদি সৃষ্টিকে শোভা পেতো তাহলে আমার চেয়ে বেশী অহংকার কে করতে পারে? কিন্তু আমি তো অহংকার করি না, এত তুচ্ছ হয়েও তবে তুমি কেন অহংকার করো? আল্লাহর বিধানকে মান্য করো না? তুমি জানো মহান প্রভু তোমার জন্য কত সুন্দর জান্নাত বানিয়েছেন, তারপর সেটাকে বাগবাগিচা, তার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণা, আরো কত কিছু দিয়ে সাঁজিয়েছেন। আর তুমি কিনা দুনিয়ার সৌন্দর্য নিয়ে মুগ্ধ হয়ে আছো?
প্রিয় ভাই ও বোন!
মানুষ সুন্দরের পূজারী এবং মানবের প্রাণ সৌন্দর্যের পিপাসু। পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন ভাষার মানুষের কাছে এটা সমান সত্য। কেননা সৌন্দর্য শব্দের ভাষায় প্রকাশের বিষয় নয়, হৃদয়ের পর্দায় উদ্ভাসের বিষয়। তবে একটি কথা, সুন্দরকে কাছে টানে এবং সৌন্দর্যকে উপভোগ করে সকলে, আবার সুন্দরকে ভালোবাসে এবং সৌন্দর্যের আবেদন অনুভব করে অনেকে, কিন্তু ঘুমিয়ে থাকা সুন্দরকে জাগাতে পারে এবং লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে তুলে আনতে পারে কজনে?
সবুজ বনানী, ঝর্ণাধারা ও জলপ্রপাত-এগুলো প্রকৃতির চিরকালের সৌন্দর্য। আকাশের নিলিমা, মেঘের আল্পনা এবং চাঁদের জোসনা-এগুলো তো সর্বকালের সৌন্দর্য। সবাই তা অনুভব করে এবং উপভোগ করে।সুতরাং এ সৌন্দর্য সকলের জন্য নিবেদিত, সকলের তরে সমর্পিত।বিশেষভাবে তোমার প্রতি চিরায়ত সৌন্দর্যের কোন মিনতি নেই,কোন আত্মনিবেদন নেই।
কিন্তু একটি সবুজ পাতার উপর একটুকরো রোদ এবং নরম ঘাসের ডগায় ঘাসফড়িঙের ডানার কম্পন যে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে তোমার দৃষ্টি যদি তা আবিষ্কার করতে পারে এবং তোমার হৃদয় যদি তা অনুভব করতে পারে তাহলে এ সৌন্দর্য অার কারো জন্য নয়, শুধু তোমার জন্য। ঠিক তেমনি শাহাদাতের মৃত্যু যে কতটা আনন্দের, কতটা সৌভাগ্যের, কতটা শ্রেষ্ঠত্বের তা যদি তোমার ভগ্ন হৃদয় অনুভব করতে পারে, আচ করতে পারে তাহলে এ অনুভূতির সৌন্দর্য আর কারো নয়, শুধু তোমার জন্য।
তাই প্রকৃতির সাধারণ সৌন্দর্যের বাইরে তুমি তোমার দৃষ্টিকে প্রসারিত করো এবংপ্রকৃতির রহস্যের আবরণে লুকায়িত সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করো।
দেখো, সবার অগোচরে প্রকৃতি তোমার জন্য, শুধু তোমারই জন্য সৌন্দর্যের কী বিপুল আয়োজন করে রেখেছে।এবার তুমি একটু ভাবো তো! তুমি একজন নগণ্য বান্দা, তোমার জন্য এত সৌন্দর্যের সমাহার তাহলে শহীদের জন্য সৌন্দর্যের আয়োজন কেমন হবে?
কল্পনা করতে পারো? আমার তোমার ক্ষুদ্র মানসপটে তা আচ করতে পারবে না। এক কথায়, অতুলনীয়।
তবে একটি কথা, সৌন্দর্য তো প্রতিফলিত হয় হৃদয়ের দর্পণে। তোমার হৃদয়-দর্পণ যদি না হয় স্বচ্ছ-শুভ্র তাহলে সৌন্দর্যের স্পর্শ তুমি অনুভব করবে কীভাবে? তোমার মানস-সরোবর যদি না হয় জ্বলটলমল তাহলে আকাশের চাঁদ সেখানে লুকোচুরি খেলবে কীভাবে? তুমি যদি আল্লাহ বিধান পালনে ব্রতী না হও তাহলে তোমার অন্তরে শাহাদাতের মৃত্যু জাগবে কি করে?
তোমাকে হৃদয়ের স্বচ্ছতার প্রতি যত্নবান হতে হবে সবার আগে। সর্বোপরি প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে যদি সুন্দরের স্রষ্টাকে খুঁজে পাও তাহলে তুমিই হবে সার্থক।
সাগরের বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে একদিন আমি একটি সত্যের সন্ধান পেয়েছিলাম।দৃষ্টির শেষ সীমার জলরাশি যেন তীরে এসে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের মাধ্যমে আমার কাছে এ বাণী প্রেরণ করেছিলো, হে মানুষ! ভেবে দেখো তুমি কত ক্ষুদ্র, তুমি কত তুচ্ছ। অহংকার যদি সৃষ্টিকে শোভা পেতো তাহলে আমার চেয়ে বেশী অহংকার কে করতে পারে? কিন্তু আমি তো অহংকার করি না, এত তুচ্ছ হয়েও তবে তুমি কেন অহংকার করো? আল্লাহর বিধানকে মান্য করো না? তুমি জানো মহান প্রভু তোমার জন্য কত সুন্দর জান্নাত বানিয়েছেন, তারপর সেটাকে বাগবাগিচা, তার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণা, আরো কত কিছু দিয়ে সাঁজিয়েছেন। আর তুমি কিনা দুনিয়ার সৌন্দর্য নিয়ে মুগ্ধ হয়ে আছো?
প্রিয় ভাই ও বোন!
মানুষ সুন্দরের পূজারী এবং মানবের প্রাণ সৌন্দর্যের পিপাসু। পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন ভাষার মানুষের কাছে এটা সমান সত্য। কেননা সৌন্দর্য শব্দের ভাষায় প্রকাশের বিষয় নয়, হৃদয়ের পর্দায় উদ্ভাসের বিষয়। তবে একটি কথা, সুন্দরকে কাছে টানে এবং সৌন্দর্যকে উপভোগ করে সকলে, আবার সুন্দরকে ভালোবাসে এবং সৌন্দর্যের আবেদন অনুভব করে অনেকে, কিন্তু ঘুমিয়ে থাকা সুন্দরকে জাগাতে পারে এবং লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে তুলে আনতে পারে কজনে?
সবুজ বনানী, ঝর্ণাধারা ও জলপ্রপাত-এগুলো প্রকৃতির চিরকালের সৌন্দর্য। আকাশের নিলিমা, মেঘের আল্পনা এবং চাঁদের জোসনা-এগুলো তো সর্বকালের সৌন্দর্য। সবাই তা অনুভব করে এবং উপভোগ করে।সুতরাং এ সৌন্দর্য সকলের জন্য নিবেদিত, সকলের তরে সমর্পিত।বিশেষভাবে তোমার প্রতি চিরায়ত সৌন্দর্যের কোন মিনতি নেই,কোন আত্মনিবেদন নেই।
কিন্তু একটি সবুজ পাতার উপর একটুকরো রোদ এবং নরম ঘাসের ডগায় ঘাসফড়িঙের ডানার কম্পন যে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে তোমার দৃষ্টি যদি তা আবিষ্কার করতে পারে এবং তোমার হৃদয় যদি তা অনুভব করতে পারে তাহলে এ সৌন্দর্য অার কারো জন্য নয়, শুধু তোমার জন্য। ঠিক তেমনি শাহাদাতের মৃত্যু যে কতটা আনন্দের, কতটা সৌভাগ্যের, কতটা শ্রেষ্ঠত্বের তা যদি তোমার ভগ্ন হৃদয় অনুভব করতে পারে, আচ করতে পারে তাহলে এ অনুভূতির সৌন্দর্য আর কারো নয়, শুধু তোমার জন্য।
তাই প্রকৃতির সাধারণ সৌন্দর্যের বাইরে তুমি তোমার দৃষ্টিকে প্রসারিত করো এবংপ্রকৃতির রহস্যের আবরণে লুকায়িত সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করো।
দেখো, সবার অগোচরে প্রকৃতি তোমার জন্য, শুধু তোমারই জন্য সৌন্দর্যের কী বিপুল আয়োজন করে রেখেছে।এবার তুমি একটু ভাবো তো! তুমি একজন নগণ্য বান্দা, তোমার জন্য এত সৌন্দর্যের সমাহার তাহলে শহীদের জন্য সৌন্দর্যের আয়োজন কেমন হবে?
কল্পনা করতে পারো? আমার তোমার ক্ষুদ্র মানসপটে তা আচ করতে পারবে না। এক কথায়, অতুলনীয়।
তবে একটি কথা, সৌন্দর্য তো প্রতিফলিত হয় হৃদয়ের দর্পণে। তোমার হৃদয়-দর্পণ যদি না হয় স্বচ্ছ-শুভ্র তাহলে সৌন্দর্যের স্পর্শ তুমি অনুভব করবে কীভাবে? তোমার মানস-সরোবর যদি না হয় জ্বলটলমল তাহলে আকাশের চাঁদ সেখানে লুকোচুরি খেলবে কীভাবে? তুমি যদি আল্লাহ বিধান পালনে ব্রতী না হও তাহলে তোমার অন্তরে শাহাদাতের মৃত্যু জাগবে কি করে?
তোমাকে হৃদয়ের স্বচ্ছতার প্রতি যত্নবান হতে হবে সবার আগে। সর্বোপরি প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে যদি সুন্দরের স্রষ্টাকে খুঁজে পাও তাহলে তুমিই হবে সার্থক।
Comment