Tweet
তিনি সেকেন্ডের মধ্যে সব কেড়ে নিতে পারেন।
এক. অন্তর থেকে অহংকার দূর করুন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে যে সম্পদ, ক্ষমতা, সুন্দর চেহারা ইত্যাদি দিয়েছেন সেসব কিছুর জন্য কাউকে অবজ্ঞা করার প্রয়োজন অনুভব করবেন না। তাঁর শক্তি ও ক্ষমতা এবং তিনি কীভাবে সেকেন্ডের মধ্যে আপনার আশীর্বাদ কেড়ে নিতে পারেন- তা মনে রাখবেন।
দুই. কিছু লোক আপনাকে নীচে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং আপনাকে খারাপ করে দেখাবে। আপনি যদি ভুল না করে থাকেন এবং আপনার একটি পরিষ্কার বিবেক থাকে, তবে এটি নিয়ে চিন্তা করবেন না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে তুলে নেবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে আপনি সবকিছুর উপরে আবির্ভূত হচ্ছেন।
তিন. বিলম্বকে অভিশাপ দেবেন না। আপনি এটিকে যতই অপছন্দ বা ঘৃণা করেন তা সেই রকম নয়। আমরা যখন চাই তখনই জিনিসগুলি ঘটে যাক- এইভাবে চাওয়াটাই মানুষের প্রকৃতি। তবে সত্যটি হল প্রতিটি বিলম্বের পিছনে একটি আশীর্বাদ রয়েছে। প্রতিটি বিলম্বকে নেতিবাচক হিসাবে বিবেচনা করবেন না। মনে রাখবেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ জানেন আমরা কী করি, না করি। সুতরাং আপনার সম্পূর্ণ ভরসা তাঁর উপর রাখুন।
পুনশ্চ:
এক. সর্বশক্তিমান। আমরা আমাদের পাপ দ্বারা আচ্ছন্ন, কিন্তু আমরা আপনার রহমতের আশা ছাড়িনি। আমরা আপনার প্রতি আমাদের দোষ গোপন করতে প্রার্থনা করছি। আপনি আমাদের আত্মাকে পবিত্র করুন। আমাদের ঈমানকে মজবুত করুন। আমাদের অপরাধ ক্ষমা করুন। আমাদের নেক আমল কবুল করুন। সর্বোপরি, আমাদের প্রতি আপনার রহমত বর্ষণ করুন। আমীন!
দুই. জীবনকে এমন ভারী হতে দেবেন না- যা আপনাকে নত করে রাখে। আপনাকে তা অতিক্রম করতে হবে কারণ আপনার জীবন নিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যথায় আপনি এখানে থাকতেন না। এটার উপরই বিশ্বাস রাখুন। আপনার অভিযাত্রার চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে নিন। এটিকে প্রতিদিনের কাজকর্ম হিসাবে দেখবেন না। এটিকে একটি আশীর্বাদ হিসাবে ধরে নিয়ে আচরণ করুন। অনেকের জন্য এই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সৌভাগ্য হয় না। কৃতজ্ঞ থাকুন। তাঁর শোকর আদায় করুন।
তিন. সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানোর ব্যাপারে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই, কিন্তু যখন সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে দেওয়ার সময় আসে তখন আমরা কৃপণ। আমরা ভুলে যাই যে তিনি সময়ের মালিক এবং এটি হল তাঁর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ অনুগ্রহ। যদি তিনি তা না করেন, তবে কিছুই করা যাবে না। তাই খুব দেরি হওয়ার আগে সময়কে বুদ্ধিমানের সঙ্গে ব্যবহার করুন।
চার. সর্বদা একটি ভালো পরিণতির জন্য প্রার্থনা করুন। প্রায়শই আমরা আমাদের চারপাশে চলা বিষয়গুলিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকি আর আমাদের যে মূল উদ্দেশ্য কী- তা আমরা ভুলে যাই। আমরা কোথায় চলেছি? এই যাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। তবে শেষ পর্যন্ত যা ঘটে তাই হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে ভালোভাবে শুরু করেন, তবে কয়জনই বা শেষ করতে পারেন!
পাঁচ. প্রতিদিন সকালে মহান আল্লাহ তায়ালাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। কারণ কেউ কী জানে যে একেকটি নতুন দিন কী নিয়ে আসে। আমাদের জীবনে যা চলছে তা বিবেচনা না করে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি নতুন দিন একটি উপহার, তাঁর কাছ থেকে একটি আশীর্বাদ। সবাই তা পায় না। কারও কারও কাছে আজকের দিনের জন্য বিশাল পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তিনি জাগ্রত হননি। সুতরাং তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
দ্রষ্টব্য:
• 'হে নবী বলুন, হে আল্লাহ, আপনিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন। যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা করেন লাঞ্ছিত।'
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ২৬)
• 'তারা যদি আপনাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে আল্লাহই আপনার জন্য যথেষ্ট।
তিনিই নিজ সাহায্যে মুমিনদের দ্বারা আপনাকে শক্তিশালী করেছেন।'
(সূরা আনফাল, আয়াত: ৬২)
এক. অন্তর থেকে অহংকার দূর করুন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে যে সম্পদ, ক্ষমতা, সুন্দর চেহারা ইত্যাদি দিয়েছেন সেসব কিছুর জন্য কাউকে অবজ্ঞা করার প্রয়োজন অনুভব করবেন না। তাঁর শক্তি ও ক্ষমতা এবং তিনি কীভাবে সেকেন্ডের মধ্যে আপনার আশীর্বাদ কেড়ে নিতে পারেন- তা মনে রাখবেন।
দুই. কিছু লোক আপনাকে নীচে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করবে এবং আপনাকে খারাপ করে দেখাবে। আপনি যদি ভুল না করে থাকেন এবং আপনার একটি পরিষ্কার বিবেক থাকে, তবে এটি নিয়ে চিন্তা করবেন না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনাকে তুলে নেবেন এবং নিশ্চিত করবেন যে আপনি সবকিছুর উপরে আবির্ভূত হচ্ছেন।
তিন. বিলম্বকে অভিশাপ দেবেন না। আপনি এটিকে যতই অপছন্দ বা ঘৃণা করেন তা সেই রকম নয়। আমরা যখন চাই তখনই জিনিসগুলি ঘটে যাক- এইভাবে চাওয়াটাই মানুষের প্রকৃতি। তবে সত্যটি হল প্রতিটি বিলম্বের পিছনে একটি আশীর্বাদ রয়েছে। প্রতিটি বিলম্বকে নেতিবাচক হিসাবে বিবেচনা করবেন না। মনে রাখবেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ জানেন আমরা কী করি, না করি। সুতরাং আপনার সম্পূর্ণ ভরসা তাঁর উপর রাখুন।
পুনশ্চ:
এক. সর্বশক্তিমান। আমরা আমাদের পাপ দ্বারা আচ্ছন্ন, কিন্তু আমরা আপনার রহমতের আশা ছাড়িনি। আমরা আপনার প্রতি আমাদের দোষ গোপন করতে প্রার্থনা করছি। আপনি আমাদের আত্মাকে পবিত্র করুন। আমাদের ঈমানকে মজবুত করুন। আমাদের অপরাধ ক্ষমা করুন। আমাদের নেক আমল কবুল করুন। সর্বোপরি, আমাদের প্রতি আপনার রহমত বর্ষণ করুন। আমীন!
দুই. জীবনকে এমন ভারী হতে দেবেন না- যা আপনাকে নত করে রাখে। আপনাকে তা অতিক্রম করতে হবে কারণ আপনার জীবন নিয়ে সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যথায় আপনি এখানে থাকতেন না। এটার উপরই বিশ্বাস রাখুন। আপনার অভিযাত্রার চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে নিন। এটিকে প্রতিদিনের কাজকর্ম হিসাবে দেখবেন না। এটিকে একটি আশীর্বাদ হিসাবে ধরে নিয়ে আচরণ করুন। অনেকের জন্য এই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সৌভাগ্য হয় না। কৃতজ্ঞ থাকুন। তাঁর শোকর আদায় করুন।
তিন. সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটানোর ব্যাপারে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই, কিন্তু যখন সর্বশক্তিমান আল্লাহর সঙ্গে দেওয়ার সময় আসে তখন আমরা কৃপণ। আমরা ভুলে যাই যে তিনি সময়ের মালিক এবং এটি হল তাঁর অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ অনুগ্রহ। যদি তিনি তা না করেন, তবে কিছুই করা যাবে না। তাই খুব দেরি হওয়ার আগে সময়কে বুদ্ধিমানের সঙ্গে ব্যবহার করুন।
চার. সর্বদা একটি ভালো পরিণতির জন্য প্রার্থনা করুন। প্রায়শই আমরা আমাদের চারপাশে চলা বিষয়গুলিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকি আর আমাদের যে মূল উদ্দেশ্য কী- তা আমরা ভুলে যাই। আমরা কোথায় চলেছি? এই যাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। তবে শেষ পর্যন্ত যা ঘটে তাই হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে ভালোভাবে শুরু করেন, তবে কয়জনই বা শেষ করতে পারেন!
পাঁচ. প্রতিদিন সকালে মহান আল্লাহ তায়ালাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। কারণ কেউ কী জানে যে একেকটি নতুন দিন কী নিয়ে আসে। আমাদের জীবনে যা চলছে তা বিবেচনা না করে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। একটি নতুন দিন একটি উপহার, তাঁর কাছ থেকে একটি আশীর্বাদ। সবাই তা পায় না। কারও কারও কাছে আজকের দিনের জন্য বিশাল পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু তিনি জাগ্রত হননি। সুতরাং তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
দ্রষ্টব্য:
• 'হে নবী বলুন, হে আল্লাহ, আপনিই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। আপনি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন। যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা করেন লাঞ্ছিত।'
(সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ২৬)
• 'তারা যদি আপনাকে ধোঁকা দিতে চায়, তবে আল্লাহই আপনার জন্য যথেষ্ট।
তিনিই নিজ সাহায্যে মুমিনদের দ্বারা আপনাকে শক্তিশালী করেছেন।'
(সূরা আনফাল, আয়াত: ৬২)