প্রতিটি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠাকে প্রার্থনায় পরিণত করুন।
এক. আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হলে বা গুজব ইত্যাদি বিষয়ক কিছু করা হয়ে থাকলে ভেঙে পড়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু মনে রাখবেন, কিছু জিনিস আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রতিটি উদ্বেগ, ভয় ও উৎকণ্ঠাকে প্রার্থনায় পরিণত করুন। এটিকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পন করার আরেকটি কারণ হিসাবে দেখুন। তাকে বিশ্বাস করুন দৃঢ়ভাবে।
দুই. আমরা প্রতিদিন পাপ করি এবং ভুল করি। যে কেউ ভুল করে বসলে সে অন্য একটি সুযোগের দাবি করতে পারে; আমরা ভুল করার মতোই মানুষ। অতএব, প্রত্যেকেই অন্য একবার সুযোগের দাবিদার। কল্পনা করুন, যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের অনুশোচনা গ্রহণ করেন এবং ক্ষমা করতে ইচ্ছুক থাকেন, তবে অন্যদের জন্য কি আমাদের একই ব্যবহার করা উচিত নয়?
তিন. আপনার সহজাত বুদ্ধি কি বলে তা শুনুন। আপনার ধর্মনিষ্টা এবং হৃদয়ের অবস্থার উপর নির্ভর করে এটি আপনার নৈতিক নির্দেশক হতে পারে। আপনি যদি নিজের অন্তরকে পবিত্র করতে থাকেন তবে সর্বশক্তিমান আপনাকে সত্য ও মিথ্যা, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য একটি আলো প্রেরণ করবেন। সুতরাং আপনার অন্তরের অনুভূতি ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে মনোযোগ দিন।
চার. দুনিয়ার এই যাত্রায় ভাল আর মন্দ উভয় দিনই রয়েছে, আর এটিই হলো জীবন। একদিন আপনি নিজেকে ভঙ্গুর অনুভব করেন, পরের দিন পুরোপুরি উদ্দীপ্ত হন আপনি। এটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিকল্পনার অংশ। এটি তাঁর উপরে পূর্ণ আস্থা রাখার শিক্ষা দিচ্ছে আমাদের। মনে রাখবেন, আমরা বিশ্বাসে চলি। তিনি আমাদের ভেঙ্গে পড়তে দেবেন না, তিনি আমাদের এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন!
পুনশ্চ:
এক. এমন কাউকে উপহাস করবেন না, যে আপনার চেয়ে কম কাজ করছে বলে মনে হয়। আপনি কখনই জানেন না, আধ্যাত্মিক পরিবর্তন তাদের হৃদয় দিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে বিনীত করুন। তাদের জন্য দোয়া করুন।
দুই. আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেখানে আমরা অনতিবিলম্বে সব জিনিস চাই। কিন্তু, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের এমন একটি গভীর পাঠ শেখান যে, সবকিছুই একটি প্রক্রিয়ায় হয় এবং তাতে সময় লাগে। আপনি সবসময় আপনার শ্রমের ফল এখনই দেখতে পাবেন না। হয়তো আপনার জীবদ্দশায়ও নয়। তবে হতাশ হবেন না।
তিন. জীবনে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সর্বদা নিশ্চিত হন যে আপনি সর্বশক্তিমানক আল্লাহকে সন্তুষ্ট করছেন এবং তাঁর ক্রোধের কারণ হয়ে উঠছেন না। এইভাবে, আপনি সর্বদা নিজেকে গাইডেড দেখতে পাবেন। কারণ দিনের শেষে, চূড়ান্ত রায়টি কেবল তাঁরই পক্ষ থেকেই আসে। লোকেরা কে কী ভাববে অথবা কে কী বলবে তা নিয়ে ভাববেন না।
চার. সর্বশক্তিমান। যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং আমাদের প্রতি যাদের খারাপ উদ্দেশ্য আছে- তাদের কাছ থেকে আমাদের সুরক্ষা দিন। আমাদের হৃদয়কে পবিত্র করুন এবং এটিকে ভালোবাসা ও সৎকাজে পূর্ণ করুন। আপনি আমাদের সত্যিকারের আশ্রয় ও শক্তি। যারা আমাদের ক্ষমতায়ন করবে তাদের আমাদের চারপাশে রাখুন। আপনি সব সময়ের জন্য আমাদের গাইড হতে পারেন এবং আমাদের উপর নজর রাখতে পারেন।
পাঁচ. আপনি কি প্রায়শই ভাবছেন যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনার কান্না ও মিনতি শুনেন কিনা? তিনি সাড়া দিতে এত সময় নিচ্ছেন কেন? আমরা কেঁদেছি, আমরা ভিক্ষা করেছি, আমাদের হৃদয় কেঁদেছে, কিন্তু তবুও তিনি উত্তর দিচ্ছেন না কেন? কারণ তিনি তার সময়সূচি অনুযায়ী কাজ করেন, আপনার নয়। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার ধৈর্য আপনার জান্নাত।
ছয়. সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য অপেক্ষা করা সবসময়ই মূল্যবহ হয়। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। কম কিছুতে স্থির হবেন না। তিনি সবসময় আপনার জন্য সেরা পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তাকেই বিশ্বাস করুন। এই বিশ্বাস প্রচণ্ড শক্তিশালী। বিশ্বাস করুন যে এটি ঘটবে। আজ বা কাল নাও হতে পারে। কিন্তু এটা অবশেষে হবে।
দ্রষ্টব্য:
'আর আমি তো বহু জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি; তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চক্ষু আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা দর্শন করে না এবং তাদের কর্ণ আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা শ্রবণ করে না। এরা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়; বরং তা অপেক্ষাও অধিক বিভ্রান্ত। তারাই হল উদাসীন।' (সূরা আরাফ, আয়াত: ১৭৯)
"মানুষ বলে, 'আমার মৃত্যু হলে আমি কি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব।' মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমরা তাকে আগে সৃষ্টি করেছি যখন সে কিছুই ছিল না? সুতরাং শপথ তোমার প্রতিপালকের। আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে সমবেত করব। অতঃপর আমি অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চতুর্দিকে উপস্থিত করব।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৬-৬৮)
এক. আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হলে বা গুজব ইত্যাদি বিষয়ক কিছু করা হয়ে থাকলে ভেঙে পড়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু মনে রাখবেন, কিছু জিনিস আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই। প্রতিটি উদ্বেগ, ভয় ও উৎকণ্ঠাকে প্রার্থনায় পরিণত করুন। এটিকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পন করার আরেকটি কারণ হিসাবে দেখুন। তাকে বিশ্বাস করুন দৃঢ়ভাবে।
দুই. আমরা প্রতিদিন পাপ করি এবং ভুল করি। যে কেউ ভুল করে বসলে সে অন্য একটি সুযোগের দাবি করতে পারে; আমরা ভুল করার মতোই মানুষ। অতএব, প্রত্যেকেই অন্য একবার সুযোগের দাবিদার। কল্পনা করুন, যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের অনুশোচনা গ্রহণ করেন এবং ক্ষমা করতে ইচ্ছুক থাকেন, তবে অন্যদের জন্য কি আমাদের একই ব্যবহার করা উচিত নয়?
তিন. আপনার সহজাত বুদ্ধি কি বলে তা শুনুন। আপনার ধর্মনিষ্টা এবং হৃদয়ের অবস্থার উপর নির্ভর করে এটি আপনার নৈতিক নির্দেশক হতে পারে। আপনি যদি নিজের অন্তরকে পবিত্র করতে থাকেন তবে সর্বশক্তিমান আপনাকে সত্য ও মিথ্যা, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য একটি আলো প্রেরণ করবেন। সুতরাং আপনার অন্তরের অনুভূতি ও ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে মনোযোগ দিন।
চার. দুনিয়ার এই যাত্রায় ভাল আর মন্দ উভয় দিনই রয়েছে, আর এটিই হলো জীবন। একদিন আপনি নিজেকে ভঙ্গুর অনুভব করেন, পরের দিন পুরোপুরি উদ্দীপ্ত হন আপনি। এটি সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিকল্পনার অংশ। এটি তাঁর উপরে পূর্ণ আস্থা রাখার শিক্ষা দিচ্ছে আমাদের। মনে রাখবেন, আমরা বিশ্বাসে চলি। তিনি আমাদের ভেঙ্গে পড়তে দেবেন না, তিনি আমাদের এর মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন!
পুনশ্চ:
এক. এমন কাউকে উপহাস করবেন না, যে আপনার চেয়ে কম কাজ করছে বলে মনে হয়। আপনি কখনই জানেন না, আধ্যাত্মিক পরিবর্তন তাদের হৃদয় দিয়ে যাচ্ছে। নিজেকে বিনীত করুন। তাদের জন্য দোয়া করুন।
দুই. আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেখানে আমরা অনতিবিলম্বে সব জিনিস চাই। কিন্তু, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাতে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের এমন একটি গভীর পাঠ শেখান যে, সবকিছুই একটি প্রক্রিয়ায় হয় এবং তাতে সময় লাগে। আপনি সবসময় আপনার শ্রমের ফল এখনই দেখতে পাবেন না। হয়তো আপনার জীবদ্দশায়ও নয়। তবে হতাশ হবেন না।
তিন. জীবনে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সর্বদা নিশ্চিত হন যে আপনি সর্বশক্তিমানক আল্লাহকে সন্তুষ্ট করছেন এবং তাঁর ক্রোধের কারণ হয়ে উঠছেন না। এইভাবে, আপনি সর্বদা নিজেকে গাইডেড দেখতে পাবেন। কারণ দিনের শেষে, চূড়ান্ত রায়টি কেবল তাঁরই পক্ষ থেকেই আসে। লোকেরা কে কী ভাববে অথবা কে কী বলবে তা নিয়ে ভাববেন না।
চার. সর্বশক্তিমান। যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে এবং আমাদের প্রতি যাদের খারাপ উদ্দেশ্য আছে- তাদের কাছ থেকে আমাদের সুরক্ষা দিন। আমাদের হৃদয়কে পবিত্র করুন এবং এটিকে ভালোবাসা ও সৎকাজে পূর্ণ করুন। আপনি আমাদের সত্যিকারের আশ্রয় ও শক্তি। যারা আমাদের ক্ষমতায়ন করবে তাদের আমাদের চারপাশে রাখুন। আপনি সব সময়ের জন্য আমাদের গাইড হতে পারেন এবং আমাদের উপর নজর রাখতে পারেন।
পাঁচ. আপনি কি প্রায়শই ভাবছেন যে সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনার কান্না ও মিনতি শুনেন কিনা? তিনি সাড়া দিতে এত সময় নিচ্ছেন কেন? আমরা কেঁদেছি, আমরা ভিক্ষা করেছি, আমাদের হৃদয় কেঁদেছে, কিন্তু তবুও তিনি উত্তর দিচ্ছেন না কেন? কারণ তিনি তার সময়সূচি অনুযায়ী কাজ করেন, আপনার নয়। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার ধৈর্য আপনার জান্নাত।
ছয়. সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য অপেক্ষা করা সবসময়ই মূল্যবহ হয়। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। কম কিছুতে স্থির হবেন না। তিনি সবসময় আপনার জন্য সেরা পরিকল্পনা করে রেখেছেন। তাকেই বিশ্বাস করুন। এই বিশ্বাস প্রচণ্ড শক্তিশালী। বিশ্বাস করুন যে এটি ঘটবে। আজ বা কাল নাও হতে পারে। কিন্তু এটা অবশেষে হবে।
দ্রষ্টব্য:
'আর আমি তো বহু জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি; তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না, তাদের চক্ষু আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা দর্শন করে না এবং তাদের কর্ণ আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা শ্রবণ করে না। এরা চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায়; বরং তা অপেক্ষাও অধিক বিভ্রান্ত। তারাই হল উদাসীন।' (সূরা আরাফ, আয়াত: ১৭৯)
"মানুষ বলে, 'আমার মৃত্যু হলে আমি কি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব।' মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমরা তাকে আগে সৃষ্টি করেছি যখন সে কিছুই ছিল না? সুতরাং শপথ তোমার প্রতিপালকের। আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে সমবেত করব। অতঃপর আমি অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চতুর্দিকে উপস্থিত করব।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত: ৬৬-৬৮)