نحمده ونصلي على رسوله الكريم أما بعد.
فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم
بسم الله الرحمن الرحيم
وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا
অর্থ:তুমি ক্ষমা প্রার্থনা করো আল্লাহ তাআলার কাছে,নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও দয়াবান।।[ নিসা:১০৬]
আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন
وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ
অর্থ:এবং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও অত:পর তাঁর দিকেই ফিরে আসো।।[হুদ:৩]
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অশেষ মেহেরবানী যে,তিনি আমাকে দাওয়াহ ইলাল্লাহর মতো একটি দ্বীনের আলো বিস্তারকারী সাইটে অংশ গ্রহণ করার তাওফীক দান করেছেন।এবং এর মাধ্যমে সম্মানিত মুজাহিদ ভাইদের সুবিস্তৃত ও সুবিন্যাস্ত জ্ঞান থেকে সামান্য কিছু গ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।তাই সর্ব প্রথম সেই মহান রবের শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
দরুদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক যোদ্ধা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামের উপর।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জিন ও মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর গোলামি করার জন্য।
যেমনটি তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন।
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنَ
অর্থ:আমি জীন জাতি ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু মাত্র আমার ইবাদতের জন্য।
কিন্তু আমরা মহান রবের সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে ভুলে যাই।ভুলে যাই বললে ভুল হবে। বরং আমাদের চির শত্রু শয়তান আমাদেরকে ভুলিয়ে দেয়।শয়তানের নানা চক্রান্তের শিকার হয়ে দয়াময় রব্বে কারীমের নাফারমানিতে লিপ্ত হই!!। তবে এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।কারণ যেই মহান দয়াবান প্রভু আদম আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালামের ব্যাপারে বলেছেন,
وَعَصٰى آدَمُ رَبَّه فَغَوٰى
অর্থ:আদম (আলাইহিস সালাতু ওয়াসসলাম )নিজ প্রতিপালকের হুকুম অমান্য করেছে ও বিভ্রান্ত হয়েছে।[ত্বা-হা-১২১]
সেই দয়াময় প্রভুই তাকে শিক্ষা দিয়েছেন।
رَبّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক!আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি,যদি তুমি আমাদের কে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তরভুক্ত হব। [আল আ'রাফ-২৩]
সুতরাং উক্ত আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার প্রতি কি পরিমান দয়াবান।
ইহাতো কুরআনে কারীম থেকে ছোট্ট একটি দৃষ্টান্ত মাত্র।এরকম শত শত দৃষ্টান্ত কুরআন ও হাদীসে ভরপুর।
বান্দা নাফারমানি করাকে ভালোবাসে কিন্তু আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহকে যেই পরিমান খুশি করে অন্য কোনো বিষয় তাঁকে সেই পরিমান খুশি করতে পারে না। মহান রব্বে কারীম ফেরেশ্তাদের সামনে তাঁর সেই বান্দা কে নিয়ে গর্ব করেন,যে অপরাধ করে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চায়।অত:পর মহান আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ মাফের ঘোষণা করেন।
হাদীসে এর বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়।
আল্লাহ তাঁর ক্ষমাপ্রার্থী বান্দার প্রতি কী পরিমাণ খুশি হন।তার একটি উদাহরণ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে দিয়েছেন।
এখন আমরা নিজেরাই চিন্তা করতে পারি আল্লাহ তাঁর বান্দাকে কিভাবে ক্ষমা করতে থাকেন।এবং ক্ষমা করাকে আল্লাহ কী পরিমাণ ভালোবাসেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের কে খালিছ তাওবা নসীব করুন।আমীন।।
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا
অর্থ:অবশ্যই সে সফল হয়েছে, যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে।।
فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم
بسم الله الرحمن الرحيم
وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا
অর্থ:তুমি ক্ষমা প্রার্থনা করো আল্লাহ তাআলার কাছে,নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও দয়াবান।।[ নিসা:১০৬]
আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেন
وَأَنِ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ
অর্থ:এবং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাও অত:পর তাঁর দিকেই ফিরে আসো।।[হুদ:৩]
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার অশেষ মেহেরবানী যে,তিনি আমাকে দাওয়াহ ইলাল্লাহর মতো একটি দ্বীনের আলো বিস্তারকারী সাইটে অংশ গ্রহণ করার তাওফীক দান করেছেন।এবং এর মাধ্যমে সম্মানিত মুজাহিদ ভাইদের সুবিস্তৃত ও সুবিন্যাস্ত জ্ঞান থেকে সামান্য কিছু গ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন।তাই সর্ব প্রথম সেই মহান রবের শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
দরুদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক যোদ্ধা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামের উপর।
আলোচনার বিষয়বস্তু
তাওবা ও ইস্তিগফার
-----------------------------------------------------------------
তাওবা ও ইস্তিগফার
-----------------------------------------------------------------
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জিন ও মানব জাতীকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর গোলামি করার জন্য।
যেমনটি তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন।
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُوْنَ
অর্থ:আমি জীন জাতি ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু মাত্র আমার ইবাদতের জন্য।
কিন্তু আমরা মহান রবের সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে ভুলে যাই।ভুলে যাই বললে ভুল হবে। বরং আমাদের চির শত্রু শয়তান আমাদেরকে ভুলিয়ে দেয়।শয়তানের নানা চক্রান্তের শিকার হয়ে দয়াময় রব্বে কারীমের নাফারমানিতে লিপ্ত হই!!। তবে এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।কারণ যেই মহান দয়াবান প্রভু আদম আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালামের ব্যাপারে বলেছেন,
وَعَصٰى آدَمُ رَبَّه فَغَوٰى
অর্থ:আদম (আলাইহিস সালাতু ওয়াসসলাম )নিজ প্রতিপালকের হুকুম অমান্য করেছে ও বিভ্রান্ত হয়েছে।[ত্বা-হা-১২১]
সেই দয়াময় প্রভুই তাকে শিক্ষা দিয়েছেন।
رَبّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ
অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক!আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি,যদি তুমি আমাদের কে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তরভুক্ত হব। [আল আ'রাফ-২৩]
সুতরাং উক্ত আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ পাক তাঁর বান্দার প্রতি কি পরিমান দয়াবান।
ইহাতো কুরআনে কারীম থেকে ছোট্ট একটি দৃষ্টান্ত মাত্র।এরকম শত শত দৃষ্টান্ত কুরআন ও হাদীসে ভরপুর।
বান্দা নাফারমানি করাকে ভালোবাসে কিন্তু আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে ভালোবাসেন।বান্দার ক্ষমা প্রার্থনা আল্লাহকে যেই পরিমান খুশি করে অন্য কোনো বিষয় তাঁকে সেই পরিমান খুশি করতে পারে না। মহান রব্বে কারীম ফেরেশ্তাদের সামনে তাঁর সেই বান্দা কে নিয়ে গর্ব করেন,যে অপরাধ করে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চায়।অত:পর মহান আল্লাহ তাআলা তার গুনাহ মাফের ঘোষণা করেন।
হাদীসে এর বিস্তারিত আলোচনা পাওয়া যায়।
আল্লাহ তাঁর ক্ষমাপ্রার্থী বান্দার প্রতি কী পরিমাণ খুশি হন।তার একটি উদাহরণ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে দিয়েছেন।
- আনাস রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিত,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন তোমাদের মধ্য থেকে কেহ একটি উট বা কোনো সোয়ারি নিয়ে মরুভুমীতে ছিলো।অত:পর সেখান থেকে তার উটটি হারিয়ে গেল।তার উটের উপরই ছিলো তার সকল খানা পিনা।ইত্যাদী।তাই সে জীবন থেকে চির তরে নিরাশ হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষায় একটি গাছের নিচে শুয়ে পড়ল।হঠাৎ সে ঘুম থেকে জেগে উঠে তার মাথার কাছে তার উটটিকে খানা-পিনা ইত্যাদীসহ উপস্থিত পেল।তখন সে খুশীতে আত্মহারা হয়ে একথা বলে ফেলে আল্লাহ!তুমি আমার গোলাম আমি তোমার রব্ব।
- অন্য হাদীসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন।
এখন আমরা নিজেরাই চিন্তা করতে পারি আল্লাহ তাঁর বান্দাকে কিভাবে ক্ষমা করতে থাকেন।এবং ক্ষমা করাকে আল্লাহ কী পরিমাণ ভালোবাসেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদের কে খালিছ তাওবা নসীব করুন।আমীন।।
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا
অর্থ:অবশ্যই সে সফল হয়েছে, যে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করেছে।।
Comment