একটি আয়াত ও তার সারমর্ম
হে আমার জাতী! এই দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও বিনিময় চাই না। আমার বিনিময় ও প্রতিদান তো শুধু আল্লাহর কাছে।
সারমর্মঃ
______
আল্লাহ সুবাহানাহু তা‘আলা,
সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত এবং গোমরাহির অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষের হিদায়াত ও নাজাতের জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল রূপে তাঁর প্রিয় বান্দাদের পাঠিয়েছেন। তাঁদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বান্দাকে আল্লাহর সাথে জুড়ে দেওয়া এবং গোমরাহ ইনসানকে বরবাদি থেকে উদ্ধার করা।তাঁদের অন্তরে ছিলো মানুষের প্রতি দরদ-ব্যথা এবং মানবতার মুক্তির ব্যাকুলতা।
কাওম ও সমাজের সাথে তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার কোন সম্পর্ক ছিলো না।তাই তাঁদের ইমান ও তাওহীদের দাওয়াতে এবং সত্যপথের আহ্বান কোন দ্বিধা-জড়তা ছিলো না। তাঁদের যা কিছু আশা ও প্রত্যাশা এবং যা কিছু কামনা ও প্রার্থনা, সব ছিলো একমাত্র আল্লাহর কাছে, আসমান-যমীনের গায়বী খাযানার চাবি যাঁর হাতে।বলা-বাহুল্য যে,দ্বীনের দাওয়াত এবং কাওমের হিদায়াত হবে যাদের মাকছাদে হায়াত বা জীবনের উদ্দেশ্য তাদের কামিয়াবি ও সফলতার জন্য এ হলো অপরিহার্য গুণ।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর পবিত্র গ্রন্থে বিভিন্ন নবীর যবানে এ উদাত্ত ঘোষণা দ্বারা আখেরী নবীর উম্মতকে এ শিক্ষা দিয়েছেন যে, যাদের উত্থান হয়েছে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের মাধ্যমে মানুষের হিদায়াত ও কল্যাণের জন্য, তারা তো নবীওয়ালা দাওয়াতের উম্মত, আর যুগে যুগে সকল নবীর দাওয়াতি মেহনতের বৈশিষ্ট্যই ছিলো ইসতিগনা-অর্থাৎ চাওয়া পাওয়া মানুষের কাছে নয়, শুধু আল্লাহর কাছে। সুতরাং দাওয়াতি জিন্দেগীতে এই উম্মতকেও হতে হবে উপরোক্ত গুণের অধিকারী।
এর জ্বলন্ত উপমাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন:
আল্লাহর কসম! যদি তারা আমার ডান হাতে সূর্য আর বাম হাতে চন্দ্র এনে দেয় তবু আমার দাওয়াত আমি বন্ধ করবো না। কোরাইশের বিভিন্ন প্রলোভনের জবাবে সুস্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, এসবে আমার কোন লোভ নেই। আমি তো আল্লাহর রাসূল। যুগে যুগে এই উম্মতের মাঝে যারাই দাওয়াতের মেহনত করেছেন তাদের সবারই জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো এই শানে ইসতিগনা, যা আজ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ফলে আমাদের দাওয়াত ও মেহনত হয়ে পড়েছে অঃন্তসারশূন্য ও ফল-বিহীন।সুতরাং এই শানে ইসতিগনা অর্জন করার সাধনাও যেন হয় আমাদের লক্ষ্য।
হে আমার জাতী! এই দাওয়াতের বিনিময়ে আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান ও বিনিময় চাই না। আমার বিনিময় ও প্রতিদান তো শুধু আল্লাহর কাছে।
সারমর্মঃ
______
আল্লাহ সুবাহানাহু তা‘আলা,
সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত এবং গোমরাহির অন্ধকারে নিমজ্জিত মানুষের হিদায়াত ও নাজাতের জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল রূপে তাঁর প্রিয় বান্দাদের পাঠিয়েছেন। তাঁদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহকে ভুলে যাওয়া বান্দাকে আল্লাহর সাথে জুড়ে দেওয়া এবং গোমরাহ ইনসানকে বরবাদি থেকে উদ্ধার করা।তাঁদের অন্তরে ছিলো মানুষের প্রতি দরদ-ব্যথা এবং মানবতার মুক্তির ব্যাকুলতা।
কাওম ও সমাজের সাথে তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার কোন সম্পর্ক ছিলো না।তাই তাঁদের ইমান ও তাওহীদের দাওয়াতে এবং সত্যপথের আহ্বান কোন দ্বিধা-জড়তা ছিলো না। তাঁদের যা কিছু আশা ও প্রত্যাশা এবং যা কিছু কামনা ও প্রার্থনা, সব ছিলো একমাত্র আল্লাহর কাছে, আসমান-যমীনের গায়বী খাযানার চাবি যাঁর হাতে।বলা-বাহুল্য যে,দ্বীনের দাওয়াত এবং কাওমের হিদায়াত হবে যাদের মাকছাদে হায়াত বা জীবনের উদ্দেশ্য তাদের কামিয়াবি ও সফলতার জন্য এ হলো অপরিহার্য গুণ।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর পবিত্র গ্রন্থে বিভিন্ন নবীর যবানে এ উদাত্ত ঘোষণা দ্বারা আখেরী নবীর উম্মতকে এ শিক্ষা দিয়েছেন যে, যাদের উত্থান হয়েছে সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের মাধ্যমে মানুষের হিদায়াত ও কল্যাণের জন্য, তারা তো নবীওয়ালা দাওয়াতের উম্মত, আর যুগে যুগে সকল নবীর দাওয়াতি মেহনতের বৈশিষ্ট্যই ছিলো ইসতিগনা-অর্থাৎ চাওয়া পাওয়া মানুষের কাছে নয়, শুধু আল্লাহর কাছে। সুতরাং দাওয়াতি জিন্দেগীতে এই উম্মতকেও হতে হবে উপরোক্ত গুণের অধিকারী।
এর জ্বলন্ত উপমাঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন:
আল্লাহর কসম! যদি তারা আমার ডান হাতে সূর্য আর বাম হাতে চন্দ্র এনে দেয় তবু আমার দাওয়াত আমি বন্ধ করবো না। কোরাইশের বিভিন্ন প্রলোভনের জবাবে সুস্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, এসবে আমার কোন লোভ নেই। আমি তো আল্লাহর রাসূল। যুগে যুগে এই উম্মতের মাঝে যারাই দাওয়াতের মেহনত করেছেন তাদের সবারই জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো এই শানে ইসতিগনা, যা আজ আমরা হারিয়ে ফেলেছি। ফলে আমাদের দাওয়াত ও মেহনত হয়ে পড়েছে অঃন্তসারশূন্য ও ফল-বিহীন।সুতরাং এই শানে ইসতিগনা অর্জন করার সাধনাও যেন হয় আমাদের লক্ষ্য।
Comment