আফগান বালকের ঈমানের দৃঢ়তা।
শাইখ ড. লাবীব আব্দুল্লাহ । যিনি পেশাতে একজন বিশিষ্ট গবেষক । দক্ষিণ সুদানের অধিবাসী । তিনি আফগানের নির্যাতিত মুসলিমদের দেখতে ওই দেশে সফরে গেলেন। সাথে করে বেশ অর্থকড়ি নিয়ে গেলেন। ঐখানে পৌঁছেই মুসলিম মা-বোনদের অবস্থা সম্পর্কে জানলেন এবং তাদের অর্থ দিয়ে কিছুটা সাহায্য করলেন। যখন তিনি আফগানের অন্য একটি শহরে প্রবেশ করলেন। পথিমধ্যে এক মুসলিম পরিবারের সাথে তার দেখা। ঐ পরিবারের সাত বছরের দুটি বালক আর তের বছরের একটি মেয়ে ছাড়া বাকি সবাই শহীদ হয়ে গেছেন। শাইখ ঘটনাটি শুনে কিছুক্ষণের জন্য নিথর হয়ে গেলেন। এমনকি তার মনের অজান্তেই দু চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ তিনি কি যেন মনে করে পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বের করলেন এবং বালক দুটোকে দিতে চাইলেন। কিন্তু বালক দুটো মুখ ফিরিয়ে নিলো । শাইখ তখন জোড় করে হাতে দেয়ার চেষ্টা করলেন । তারা নাছোড় বান্দা, কোন ভাবেই নিচ্ছে না। তিনিও জোড়াজুড়ি করেছেন আর ভাবছেন হয়ত তারা লজ্জা পাচ্ছে।
এমতাবস্থায় তাদের একজন চোখ রাঙ্গিয়ে বললো । চাচা!! আপনি কি আমার মা-বাবা ও নিহত হওয়া বোনদের রক্তের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন? আর আপনি কি তাদের যথার্থ মূল্য দিতে পারবেন? আপনার এই সামান্য হাদিয়া নিয়ে আমার মা-বাবা ও বোনদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করতে চাইনা এবং আমাদের সকল চাহিদার পূরণকারী, আমাদের একমাত্র অভিভাবক, মহান প্রভুকে কখনো হারাতে চাইনা আর চাচা আপনি কি জানেন না? আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে তার প্রিয় বান্দাদের অভিভাবক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১.ইরশাদ হয়েছে,
وکفیٰ بالللہ ولیلاً ؛
অর্থঃ অভিভাবক হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট। সূরা আন-নিসা, আয়াত নং ৪৫।
২.অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে৷,
وکفیٰ بالللہ نصیراً
অর্থঃ সাহায্যকারী হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তালায় যথেষ্ট। সূরা আন-নিসা, আয়াত নং৪৫।
৩.আরো ইরশাদ হয়েছে,
وکفیٰ بالللہ کیلا
অর্থঃকর্মবিধায়ক রূপে আল্লাহ তালায় যথেষ্ট।
সূরা আন-নিসা, আয়াত নং৮১।
৪.ইরশাদ হয়েছে,
وکفی بالللہ شہیداً
অর্থঃ সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট।
সূরা আন- নিসা, আয়াত নং৭৯।
ইরশাদ হয়েছে,
وکفی بربک ہٰدیاً و نصیراً
অর্থঃ তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকই একমাত্র পথ প্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।
সূরা ফুরকান, আয়াত নং৩১।
শাইখ তাদের মুখ থেকে এ কথাগুলো শুনে একেবারেই লজ্জিত হয়ে গেলেন এবং মাথা নিচু করে কান্না শুরু করে দিলেন। আর মনে মনে ভাবছেন। এরা কি সত্যিই আফগান বালক না ফেরেশতা? এদের ঈমানের মাঝে এমন দৃঢ়তা কিভাবে এলো? কেইবা তাদের অন্তরে এমন মজবুত একিন জাগিয়ে দিল। শায়েখ এগুলো ভাবতে ভাবতে চিন্তার রাজ্যে ডুবে গেলেন। আর বালক দুটো অদৃশ্য হয়ে গেল।
শাইখ ড. লাবীব আব্দুল্লাহ । যিনি পেশাতে একজন বিশিষ্ট গবেষক । দক্ষিণ সুদানের অধিবাসী । তিনি আফগানের নির্যাতিত মুসলিমদের দেখতে ওই দেশে সফরে গেলেন। সাথে করে বেশ অর্থকড়ি নিয়ে গেলেন। ঐখানে পৌঁছেই মুসলিম মা-বোনদের অবস্থা সম্পর্কে জানলেন এবং তাদের অর্থ দিয়ে কিছুটা সাহায্য করলেন। যখন তিনি আফগানের অন্য একটি শহরে প্রবেশ করলেন। পথিমধ্যে এক মুসলিম পরিবারের সাথে তার দেখা। ঐ পরিবারের সাত বছরের দুটি বালক আর তের বছরের একটি মেয়ে ছাড়া বাকি সবাই শহীদ হয়ে গেছেন। শাইখ ঘটনাটি শুনে কিছুক্ষণের জন্য নিথর হয়ে গেলেন। এমনকি তার মনের অজান্তেই দু চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ তিনি কি যেন মনে করে পকেট থেকে বেশ কিছু টাকা বের করলেন এবং বালক দুটোকে দিতে চাইলেন। কিন্তু বালক দুটো মুখ ফিরিয়ে নিলো । শাইখ তখন জোড় করে হাতে দেয়ার চেষ্টা করলেন । তারা নাছোড় বান্দা, কোন ভাবেই নিচ্ছে না। তিনিও জোড়াজুড়ি করেছেন আর ভাবছেন হয়ত তারা লজ্জা পাচ্ছে।
এমতাবস্থায় তাদের একজন চোখ রাঙ্গিয়ে বললো । চাচা!! আপনি কি আমার মা-বাবা ও নিহত হওয়া বোনদের রক্তের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন? আর আপনি কি তাদের যথার্থ মূল্য দিতে পারবেন? আপনার এই সামান্য হাদিয়া নিয়ে আমার মা-বাবা ও বোনদের রক্তের সাথে গাদ্দারি করতে চাইনা এবং আমাদের সকল চাহিদার পূরণকারী, আমাদের একমাত্র অভিভাবক, মহান প্রভুকে কখনো হারাতে চাইনা আর চাচা আপনি কি জানেন না? আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে তার প্রিয় বান্দাদের অভিভাবক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১.ইরশাদ হয়েছে,
وکفیٰ بالللہ ولیلاً ؛
অর্থঃ অভিভাবক হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট। সূরা আন-নিসা, আয়াত নং ৪৫।
২.অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে৷,
وکفیٰ بالللہ نصیراً
অর্থঃ সাহায্যকারী হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তালায় যথেষ্ট। সূরা আন-নিসা, আয়াত নং৪৫।
৩.আরো ইরশাদ হয়েছে,
وکفیٰ بالللہ کیلا
অর্থঃকর্মবিধায়ক রূপে আল্লাহ তালায় যথেষ্ট।
সূরা আন-নিসা, আয়াত নং৮১।
৪.ইরশাদ হয়েছে,
وکفی بالللہ شہیداً
অর্থঃ সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ তায়ালাই যথেষ্ট।
সূরা আন- নিসা, আয়াত নং৭৯।
ইরশাদ হয়েছে,
وکفی بربک ہٰدیاً و نصیراً
অর্থঃ তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালকই একমাত্র পথ প্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।
সূরা ফুরকান, আয়াত নং৩১।
শাইখ তাদের মুখ থেকে এ কথাগুলো শুনে একেবারেই লজ্জিত হয়ে গেলেন এবং মাথা নিচু করে কান্না শুরু করে দিলেন। আর মনে মনে ভাবছেন। এরা কি সত্যিই আফগান বালক না ফেরেশতা? এদের ঈমানের মাঝে এমন দৃঢ়তা কিভাবে এলো? কেইবা তাদের অন্তরে এমন মজবুত একিন জাগিয়ে দিল। শায়েখ এগুলো ভাবতে ভাবতে চিন্তার রাজ্যে ডুবে গেলেন। আর বালক দুটো অদৃশ্য হয়ে গেল।
Comment