ভয় আর লজ্জা তো কেবলমাত্র আল্লাহকে পাওয়া উচিত
যদি বলি, আমাদের কোন ভয় নেই, মিথ্যা হবে। সারা বুক জুড়েই তো আমাদের শুধু ভয় আর ভয়। এই ভয়, সেই ভয়...
প্রিয় ভাই ও বোন!
এখানে শুধু লোকলজ্জার ভয় সম্পর্কেই বলি। সেই যে কবি বলেছেন, পাছে লোকে কিছু বলে! মানুষ আমাকে লজ্জা দেবে শুধু এটা ভেবে জীবনের কত সৌন্দর্য আমি বিসর্জন দেই অবলীলায়! আবার কত অসৌন্দর্যের সামনে আত্মসমর্পণ করি। তাতে শেষ পর্যন্ত কী হয়? জীবনের সকল সৌন্দর্য থেকে যখন বঞ্চিত হই; অসৌন্দর্যের কালো ও কালি যখন জীবনকে অন্ধকার করে ফেলে, কেউ কি তখন আমাকে সাহায্য করে? মৃত্যুর সময়? কবরে, হাশরে? কেউ কি তখন সাহায্য করবে আমাকে?
কেন! তাহলে লোকলজ্জার এত ভয়? আমার জীবন ও তার দায় তো আমাকেই বহন করতে হবে! প্রতিটি কর্মের, প্রতিটি আচরণের হিসাব তো আমাকেই দিতে হবে!
মানুষের ভয়, সমাজের ভয়, রাষ্ট্রের ভয়, এমনকি আপনজনের অসন্তুষ্টির ভয় আমাকে যখন সত্য থেকে বিচ্যুত করে তখন ভিতর থেকে কেউ তো আমাকে সতর্ক করে, কেউ তো আমাকে তিরস্কার করে, কখনো কোমল ভাষায়, কখনো কঠিন শব্দে, কেউ তো আমাকে সাবধান করে, প্রতিটি আচরণে, প্রতিটি উচ্চারণে।
মানুষকে লজ্জা করো, অথচ আল্লাহকে লজ্জা করো না! সমাজকে ভয় করো, অথচ আল্লাহকে ভয় করো না, রাষ্ট্রের কথাকে প্রাধান্য দাও, অথচ আল্লাহর বিধানকে প্রাধান্য দাও না, মানুষ পিছে কি বলবে সেটা ভেবে লজ্জা পাও, অথচ আল্লাহর সামনে নাদান ইনসান হয়ে দাঁড়াবে সেই লজ্জা তুমি পাওনা, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সন্তুষ্টির চিন্তা করো অথচ আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির পরোয়া করো না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
মানুষ তো তোমার কাছে শুধু দাবি করে, কিছু দান করে না; সমাজ তো তোমাকে শুধু দায়বদ্ধ করে, দায় মুক্ত করে না! পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব এরা তো শুধু আশা করে, আশা পূর্ণ করে না! সমাজ, রাষ্ট্র তোমাকে হাজারো স্বপ্ন দেখায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখায় না। অথচ আল্লাহ! মায়ের বুকের ফোঁটা ফোঁটা দুধ থেকে শুরু করে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত কাতরা কাতরা পানি, সবই তো তার দান! লোকলজ্জার ভয়ে তাঁকেই ভুলে যাও, কতটা নির্লজ্জ তুমি আমি!
প্রিয় ভাই ও বোন!
ভেবে দেখেছ বিষয়টি একবার, হৃদয় রাজ্যে রীতিমত নাড়া দেয় কি?
ভিতর থেকে কে যেন আমাকে তোমাকে এভাবে সাবধান করে! তারপর এভাবে উদ্বুদ্ধ করে এখনো সময় আছে হে নাদান! ফিরে এসো তোমার রবের পথে, তোমার প্রতিপালকের আশ্রয়ে।
ভেবে দেখে তো আরেকবার, দিনের মুখরতায়, রাতের নির্জনতায় এভাবে কে ডাকে আমাকে তোমাকে?
তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো। সময়ের বাঁকে বাঁকে এভাবে কে সাবধান করে? তোমার সকল চাওয়া পাওয়া কে পূরণ করে? অসুস্থতায় কে তোমাকে পূর্ণ শিফা দান করে?
সুতরাং হে আমার যুবক ভাই! আজ তোমার তারুণ্যের গর্ব আছে, যৌবনের অহংকার আছে; তোমার বল আছে, শক্তি আছে; তবে মনে রেখো, তোমার সামনে বার্ধক্যও আছে এবং আছে বার্ধক্যের জরাজীর্ণতা!!
সুতরাং অন্তত কিছু সময়ের জন্য জীবনের কোলাহল বর্জন করো, অন্তত কিছু সময়ের জন্য জীবনকে নির্জনতা দান করো, তাফাক্কুর ও তাদাব্বুরের ময়দানে হয়ে ওঠো এক বিদগ্ধ গবেষক তখন দেখবে পর্দার আড়াল থেকে তোমার অন্তর্দৃষ্টির সামনে উদ্ভাসিত হবে সত্যের প্রতীকি চিহ্ন, নূরের স্নিগ্ধতা, ইবাদতের লাজ্জাত, উন্মোচিত হবে স্রষ্টার সৃষ্টির নিঁখুত সৌন্দর্য, উধ্বজাগতিক নিগুঢ় রহস্য।
আমার শেষ কথাটি একবার শুনো, ইতমিনান ও ইহতিমামের দ্বার রক্ষা করে শোনো, মানুষকে, মানুষের সমাজকে, মানুষকে, মানুষের রাষ্ট্রকে, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজন কাউকে লজ্জা করো না, কাউকে ভয় করো না, শুধুমাত্র আল্লাহকে লজ্জা করো, শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করো, খওফে ইলাহির তাড়নায় তুমি হও এক প্রকম্পিত বান্দা। তাহলে তুমি আমিও সাবিকুনাল আউয়ালুনদের কাতারে দাঁড়াতে পারবো। সাদিকীন, সিদ্দিকীন ,নাবিয়্যীন, ও শুহাদাদের কাতারে শামিল হতে পারবো। উলায়িকা হিজবুল্লাহ এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো।
যদি বলি, আমাদের কোন ভয় নেই, মিথ্যা হবে। সারা বুক জুড়েই তো আমাদের শুধু ভয় আর ভয়। এই ভয়, সেই ভয়...
প্রিয় ভাই ও বোন!
এখানে শুধু লোকলজ্জার ভয় সম্পর্কেই বলি। সেই যে কবি বলেছেন, পাছে লোকে কিছু বলে! মানুষ আমাকে লজ্জা দেবে শুধু এটা ভেবে জীবনের কত সৌন্দর্য আমি বিসর্জন দেই অবলীলায়! আবার কত অসৌন্দর্যের সামনে আত্মসমর্পণ করি। তাতে শেষ পর্যন্ত কী হয়? জীবনের সকল সৌন্দর্য থেকে যখন বঞ্চিত হই; অসৌন্দর্যের কালো ও কালি যখন জীবনকে অন্ধকার করে ফেলে, কেউ কি তখন আমাকে সাহায্য করে? মৃত্যুর সময়? কবরে, হাশরে? কেউ কি তখন সাহায্য করবে আমাকে?
কেন! তাহলে লোকলজ্জার এত ভয়? আমার জীবন ও তার দায় তো আমাকেই বহন করতে হবে! প্রতিটি কর্মের, প্রতিটি আচরণের হিসাব তো আমাকেই দিতে হবে!
মানুষের ভয়, সমাজের ভয়, রাষ্ট্রের ভয়, এমনকি আপনজনের অসন্তুষ্টির ভয় আমাকে যখন সত্য থেকে বিচ্যুত করে তখন ভিতর থেকে কেউ তো আমাকে সতর্ক করে, কেউ তো আমাকে তিরস্কার করে, কখনো কোমল ভাষায়, কখনো কঠিন শব্দে, কেউ তো আমাকে সাবধান করে, প্রতিটি আচরণে, প্রতিটি উচ্চারণে।
মানুষকে লজ্জা করো, অথচ আল্লাহকে লজ্জা করো না! সমাজকে ভয় করো, অথচ আল্লাহকে ভয় করো না, রাষ্ট্রের কথাকে প্রাধান্য দাও, অথচ আল্লাহর বিধানকে প্রাধান্য দাও না, মানুষ পিছে কি বলবে সেটা ভেবে লজ্জা পাও, অথচ আল্লাহর সামনে নাদান ইনসান হয়ে দাঁড়াবে সেই লজ্জা তুমি পাওনা, স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সন্তুষ্টির চিন্তা করো অথচ আল্লাহর সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির পরোয়া করো না।
প্রিয় ভাই ও বোন!
মানুষ তো তোমার কাছে শুধু দাবি করে, কিছু দান করে না; সমাজ তো তোমাকে শুধু দায়বদ্ধ করে, দায় মুক্ত করে না! পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব এরা তো শুধু আশা করে, আশা পূর্ণ করে না! সমাজ, রাষ্ট্র তোমাকে হাজারো স্বপ্ন দেখায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখায় না। অথচ আল্লাহ! মায়ের বুকের ফোঁটা ফোঁটা দুধ থেকে শুরু করে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত কাতরা কাতরা পানি, সবই তো তার দান! লোকলজ্জার ভয়ে তাঁকেই ভুলে যাও, কতটা নির্লজ্জ তুমি আমি!
প্রিয় ভাই ও বোন!
ভেবে দেখেছ বিষয়টি একবার, হৃদয় রাজ্যে রীতিমত নাড়া দেয় কি?
ভিতর থেকে কে যেন আমাকে তোমাকে এভাবে সাবধান করে! তারপর এভাবে উদ্বুদ্ধ করে এখনো সময় আছে হে নাদান! ফিরে এসো তোমার রবের পথে, তোমার প্রতিপালকের আশ্রয়ে।
ভেবে দেখে তো আরেকবার, দিনের মুখরতায়, রাতের নির্জনতায় এভাবে কে ডাকে আমাকে তোমাকে?
তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো। সময়ের বাঁকে বাঁকে এভাবে কে সাবধান করে? তোমার সকল চাওয়া পাওয়া কে পূরণ করে? অসুস্থতায় কে তোমাকে পূর্ণ শিফা দান করে?
সুতরাং হে আমার যুবক ভাই! আজ তোমার তারুণ্যের গর্ব আছে, যৌবনের অহংকার আছে; তোমার বল আছে, শক্তি আছে; তবে মনে রেখো, তোমার সামনে বার্ধক্যও আছে এবং আছে বার্ধক্যের জরাজীর্ণতা!!
সুতরাং অন্তত কিছু সময়ের জন্য জীবনের কোলাহল বর্জন করো, অন্তত কিছু সময়ের জন্য জীবনকে নির্জনতা দান করো, তাফাক্কুর ও তাদাব্বুরের ময়দানে হয়ে ওঠো এক বিদগ্ধ গবেষক তখন দেখবে পর্দার আড়াল থেকে তোমার অন্তর্দৃষ্টির সামনে উদ্ভাসিত হবে সত্যের প্রতীকি চিহ্ন, নূরের স্নিগ্ধতা, ইবাদতের লাজ্জাত, উন্মোচিত হবে স্রষ্টার সৃষ্টির নিঁখুত সৌন্দর্য, উধ্বজাগতিক নিগুঢ় রহস্য।
আমার শেষ কথাটি একবার শুনো, ইতমিনান ও ইহতিমামের দ্বার রক্ষা করে শোনো, মানুষকে, মানুষের সমাজকে, মানুষকে, মানুষের রাষ্ট্রকে, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজন কাউকে লজ্জা করো না, কাউকে ভয় করো না, শুধুমাত্র আল্লাহকে লজ্জা করো, শুধুমাত্র আল্লাহকে ভয় করো, খওফে ইলাহির তাড়নায় তুমি হও এক প্রকম্পিত বান্দা। তাহলে তুমি আমিও সাবিকুনাল আউয়ালুনদের কাতারে দাঁড়াতে পারবো। সাদিকীন, সিদ্দিকীন ,নাবিয়্যীন, ও শুহাদাদের কাতারে শামিল হতে পারবো। উলায়িকা হিজবুল্লাহ এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো।
Comment