"যে সংগ্রামের মাঝে তাকওয়া না থাকে এবং যে সংগ্রাম আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে না হয় সে সংগ্রাম সফল হতে পারে না।"
যেমন ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কথা দিয়েই শুরু করি।মিশর বাহিনী তো আধুনিক অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত ছিল,তাদের শক্তিশালী বিমানবাহিনী ছিল কিন্তু তাদের মাঝে তাকওয়া ছিল না।তারা আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালবাসায় যুদ্ধের জন্য উদ্দীপিত ছিল না বরং উম্মে কুলসুমের গান তাদের প্রেরণার উৎস ছিল এবং ফলাফলের কথা আমরা সকলেই জানি।
অন্যদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অত্যাচার করে, যা দেখে খুবই ব্যথিত হই।কিন্তু তার চেয়ে বেশি ব্যথিত হই তাদের সংগ্রামের মাঝে দ্বীন নেই।তাদের হাতে কালেমার পতাকা দেখা যায় না,তারা রঙিন এক কাপড়ের টুকরোর জন্য লড়াই করে।বড়ই পরিতাপের বিষয়!আর এই কারণেই দশকের পর দশকের সংগ্রাম তাদেরকে কোনো ফলাফল দেয়নি বরং পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।
কিন্তু সিরিয়ার দিকে দেখুন!ফিলিস্তিনিদের তো অনেকেই নামেমাত্র হলেও সাহায্য ও সমর্থন করেছে।কিন্তু পৃথিবীর পূর্ব-থেকে পশ্চিমের সবদেশ সিরিয়ানদের উপর আক্রমণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।তাদের সাথে রয়েছে ইরানি শিয়া জোট এবং তুরস্কের মত আরো কিছু মুরতাদ সেনাবাহিনী।কিন্তু তারপরও তাদের অগ্রযাত্রা কেউই থামাতে পারছে না।এর কারণ হলো তাদের মাঝে ঈমান ও আনুগত্য আছে।এমনকি দায়েশের সৃষ্ট অন্ধকার ফিতনারও তারা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।
সুতরাং ইসলামি বিপ্লবের জন্য আগে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।অনলাইনের অযথা সময় অতিবাহিত বন্ধ করতে হবে।নিজের আমলের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।এবং সর্বোপরি অহংকার ও রিয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।
এ বিষয়ে কিছু বলতেই হয়।বর্তমান যুগের ট্রেন্ড হচ্ছে অহংকার, ঔদ্ধত্য ও সীমালঙ্ঘন।যামানা এইসব কাজগুলোকে ভালো গুণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
এটা কিভাবে সৃষ্টি হয়?
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাওহীদ সম্পর্কেই জ্ঞান রাখে না।অধিকন্তু তারা প্রচুর বিদআতে লিপ্ত।এবং জি হা দ, কিতাল,তাগুত,মুরতাদ বিষয়ে জ্ঞান তো বিলাসিতা। কিন্তু একজন জি হা দ প্রেমীর মাঝে এ সম্পর্কে অন্তত প্রাথমিক জ্ঞান হলেও আছে।
তাই সে যখন সাধারণ মানুষের সাথে মেশে,তখন তার নিজেকে নিয়ে গর্ব হয় এবং সাধারণ মুসলমানদের প্রতি তার বিদ্বেষ তৈরী হয়।সে নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে এবং ভাবে সে দ্বীনের জন্য অনেক কিছু করে ফেলেছে।
এইসকল ভাইদের জন্য আরেকটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করতে চাই।আর তা হলো "নিশ্চই আপনার কাজ শাইখ উ সা মা বিন লা দে ন রহঃ এর কাছে কিছুই না।তিনি পৃথিবীর সুপারপাওয়ারের নাকে দড়ি বেধে সুপারপাওয়ারকে চরম শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি প্রায়ই কাঁদতেন এই ভয়ে যে," আল্লাহ যেন উনাকে ক্ষমা করে দেন।কারণ তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কিছুই করতে পারলেন না।"
তাহলে আমরা কিভাবে গর্ব করতে পারি!
আর নেতৃত্ব এবং খ্যাতির লোভটাও অনেক সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।কিন্তু এমনও হয় আল্লাহর কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে জি হা দে র আমির থেকে সবচেয়ে নিচু পদের সৈনিকটার দাম হয়তো অনেক বেশি।
সুতরাং শাইখ ড. আ ব্দু ল্লা হ আ য যা ম রহঃ এর কথা স্মরণে রাখবেন "ঈমান,আনুগত্য ও তাকওয়া ব্যতীত যে লোক অস্ত্র হাতে তুলে নিবে,সে রাজপথের ডাকাত হবে।"
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং এখন থেকেই আমরা নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি।
(আমাদের জন্য দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।)
যেমন ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কথা দিয়েই শুরু করি।মিশর বাহিনী তো আধুনিক অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত ছিল,তাদের শক্তিশালী বিমানবাহিনী ছিল কিন্তু তাদের মাঝে তাকওয়া ছিল না।তারা আল্লাহ ও তার রাসুলের ভালবাসায় যুদ্ধের জন্য উদ্দীপিত ছিল না বরং উম্মে কুলসুমের গান তাদের প্রেরণার উৎস ছিল এবং ফলাফলের কথা আমরা সকলেই জানি।
অন্যদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর অত্যাচার করে, যা দেখে খুবই ব্যথিত হই।কিন্তু তার চেয়ে বেশি ব্যথিত হই তাদের সংগ্রামের মাঝে দ্বীন নেই।তাদের হাতে কালেমার পতাকা দেখা যায় না,তারা রঙিন এক কাপড়ের টুকরোর জন্য লড়াই করে।বড়ই পরিতাপের বিষয়!আর এই কারণেই দশকের পর দশকের সংগ্রাম তাদেরকে কোনো ফলাফল দেয়নি বরং পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।
কিন্তু সিরিয়ার দিকে দেখুন!ফিলিস্তিনিদের তো অনেকেই নামেমাত্র হলেও সাহায্য ও সমর্থন করেছে।কিন্তু পৃথিবীর পূর্ব-থেকে পশ্চিমের সবদেশ সিরিয়ানদের উপর আক্রমণের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।তাদের সাথে রয়েছে ইরানি শিয়া জোট এবং তুরস্কের মত আরো কিছু মুরতাদ সেনাবাহিনী।কিন্তু তারপরও তাদের অগ্রযাত্রা কেউই থামাতে পারছে না।এর কারণ হলো তাদের মাঝে ঈমান ও আনুগত্য আছে।এমনকি দায়েশের সৃষ্ট অন্ধকার ফিতনারও তারা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে।
সুতরাং ইসলামি বিপ্লবের জন্য আগে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করতে হবে।অনলাইনের অযথা সময় অতিবাহিত বন্ধ করতে হবে।নিজের আমলের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।এবং সর্বোপরি অহংকার ও রিয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।
এ বিষয়ে কিছু বলতেই হয়।বর্তমান যুগের ট্রেন্ড হচ্ছে অহংকার, ঔদ্ধত্য ও সীমালঙ্ঘন।যামানা এইসব কাজগুলোকে ভালো গুণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
এটা কিভাবে সৃষ্টি হয়?
আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাওহীদ সম্পর্কেই জ্ঞান রাখে না।অধিকন্তু তারা প্রচুর বিদআতে লিপ্ত।এবং জি হা দ, কিতাল,তাগুত,মুরতাদ বিষয়ে জ্ঞান তো বিলাসিতা। কিন্তু একজন জি হা দ প্রেমীর মাঝে এ সম্পর্কে অন্তত প্রাথমিক জ্ঞান হলেও আছে।
তাই সে যখন সাধারণ মানুষের সাথে মেশে,তখন তার নিজেকে নিয়ে গর্ব হয় এবং সাধারণ মুসলমানদের প্রতি তার বিদ্বেষ তৈরী হয়।সে নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে এবং ভাবে সে দ্বীনের জন্য অনেক কিছু করে ফেলেছে।
এইসকল ভাইদের জন্য আরেকটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করতে চাই।আর তা হলো "নিশ্চই আপনার কাজ শাইখ উ সা মা বিন লা দে ন রহঃ এর কাছে কিছুই না।তিনি পৃথিবীর সুপারপাওয়ারের নাকে দড়ি বেধে সুপারপাওয়ারকে চরম শিক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও তিনি প্রায়ই কাঁদতেন এই ভয়ে যে," আল্লাহ যেন উনাকে ক্ষমা করে দেন।কারণ তিনি ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য কিছুই করতে পারলেন না।"
তাহলে আমরা কিভাবে গর্ব করতে পারি!
আর নেতৃত্ব এবং খ্যাতির লোভটাও অনেক সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।কিন্তু এমনও হয় আল্লাহর কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে জি হা দে র আমির থেকে সবচেয়ে নিচু পদের সৈনিকটার দাম হয়তো অনেক বেশি।
সুতরাং শাইখ ড. আ ব্দু ল্লা হ আ য যা ম রহঃ এর কথা স্মরণে রাখবেন "ঈমান,আনুগত্য ও তাকওয়া ব্যতীত যে লোক অস্ত্র হাতে তুলে নিবে,সে রাজপথের ডাকাত হবে।"
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন এবং এখন থেকেই আমরা নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি।
(আমাদের জন্য দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।)
Comment