বুনিয়াদি যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি বিশুদ্ধ চিন্তার অধিকারী হতে হবে
প্রিয় ভাই ও বোন!
হৃদয়ের ক্ষতে পট্টি লাগানো হয় না, পট্টির প্রয়োজন দেখা দেয় শরীরের বাহিরের যখমে, কেন বলছি এ কথা? ভুল কিছু বলিনি তো! না না সত্যই বলিছি।
তো আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো তা আমার তোমার সকলের প্রয়োজন,
..সবার আগে আমাকে তোমাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, প্রথম স্তরটা অতিক্রম করতে হবে, চিন্তার প্রথম বুনিয়াদটা আগে মজবুত করতে হবে, জীবনে কিছু ধাপ সুন্দরভাবে অতিক্রম করতে হবে, তারপর তুমি আমি সুন্দর একটি জীবন গড়তে পারবো।
তুমি স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারো জীবনের বিস্তৃত পরিধির উপযোগী যে কোন স্বপ্ন।
তুমি ইসরাইল, আমেরিকা ও ইউরুপের(ইউরেোপের) দম্ভকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে চাও! ভালো কিন্তু কথা হলো তুমি চাইবে আর হয়ে যাবে জীবনটা এত সহজ, এত সস্তা! তা কিন্তু নয়।
যেকোনো বিষয়ে সবার আগে যা জরুরী তা হলো প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করা। কারণ যোগ্যতা হলো এমন একটি ভবন, যার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন মজবুত বুনিয়াদ, যা গড়ে ওঠে মাটির নিচে। যা কেউ কোনদিন দেখতে পায়না। জীবনের এই বুনিয়াদি অংশটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তোমার জীবনেও যেকোনো বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে মজবুত বুনিয়াদের। আর সেই মজবুত বুনিয়াদের জন্য প্রয়োজন
কঠোর ও নিরলস পরিশ্রম, সঠিক ধ্যান-ধারণা, স্বচ্ছ ও ফ্রেশ একটি মনের। নিঁখুত একটি পথের।
আসুন এ বিষয়ে একটু পর্যালোচনা করি, তাহলে তাত্মিক বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবেঃ যার মাধ্যমে আমি তুমি উপকৃত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
★★ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ_______
তাঁর লিখিত ঐতিহাসিক গ্রন্থ, সহীহ বোখারীর প্রথম অধ্যায়ের শুরুর হাদিস এনেছেন ফিকিরের, আর শেষ অধ্যায়ের শেষ হাদিস এনেছেন জিকিরের।
কেন তিনি এমনটা করলেন? শুরুর হাদিস ফিকিরের আর শেষ হাদীস জিকিরের, অবশ্যই এখানে একটা নিগূঢ় রহস্য রয়েছে, যা আমাদের ক্ষুদ্র মানসপটে আচ করতে পারিনি।
বিভিন্ন তাশরিহ বীদগণ এভাবেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ
এক.
আবুল ফজল মুহাম্মাদ বিন তাহেরের মতে জিকির অর্থাৎ বুনিয়াদ মজবুত করতে হলে শুধু যোগ্যতা অর্জন করলেই চলবে না, ফিকির তথা বিশুদ্ধ চিন্তার অধিকারী হতে হবে।
দুই.
আল্লামা আলবানী কতৃক একাডেমির কয়েকটি শরাহ গ্রন্থে পাওয়া যায়, জিকির দ্বারা উদ্দেশ্য বুনিয়াদি যোগ্যতা অর্জন করা। আর ফিকির দ্বারা উদ্দেশ্য বিশুদ্ধ চিন্তা অধিকারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা । আর একটা আরেকটার সম্পূরক। কেই যদি সঠিক ফিকিরের দ্বার রক্ষা না করে সে গোমরাহী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল,
তাদের অন্তর থেকে দ্বীনের আযমত ও আহাম্মিয়াত দিন দিন কমতে থাকে। একপর্যায়ে দ্বীন তাদের কাছে এলোমেলো হয়ে যায়।
তিন.
আমার সম্মানিত উস্তাদ, উম্মাহর শফিক ও দরদি বন্ধু আল্লামা নাবিল আহমাদ হাফিজাহুল্লাহকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি একই উত্তর দেন, তবে একটু ভিন্ন আকারে, জিকিরের হাদিস দ্বারা উদ্দেশ্য বুনিয়াদি যোগ্যতা ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতা অর্জন করা। আর ফিকিরের হাদিস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যক্তি বুনিয়াদি যোগ্যতা ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে বা পারবে তার প্রতিটি কাজ, প্রতিটি কথা, প্রতিটি আচরণ, প্রতি উচ্চারণ, প্রতিটি ইশারা বিশুদ্ধ ও বাস্তবসম্মত হবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মানশা অনুযায়ী হবে।
চার.
শাইখ খালেদ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
এর ব্যাখ্যাটি ছিলো বেশ চমৎকার, বুখারী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর কিতাবে যুদ্ধের আলোচনাগুলো ভেবে ভেবে, তাত্ত্বিক ও সহীহ দলীলের মাধ্যমে এনেছেন, এবং এমনভাবে উল্লেখ করেছেন যেন তিনি নিজ চোখে দেখে দেখে ফিকির করে করে তুলে ধরেছেন। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়, বুনিয়াদি ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতার স্বরুপ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
তৃতীয় পয়েন্টে ফিকিরের উদ্দেশ্য হলো, প্রথম ধাপ তথা বুনিয়াদি যোগ্যতা ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতা অর্জন হলে, ফিকিরের দ্বারা সকল কর্ম ও কথা বাস্তবসম্মত হবে, যা পবিত্র দুটি গ্রন্থেরই চাহিদা।
হে রব! তুমি আমাদের জিকিরের যোগ্যতা ও ফিকিরের যোগ্যতা অর্জন করার তাওফীক দান করো। আমাদের দিলের তামান্না ও আকাংখা শাহাদাতের মৃত্যু নসীব করো। আমিন। আমিন।
প্রিয় ভাই ও বোন!
হৃদয়ের ক্ষতে পট্টি লাগানো হয় না, পট্টির প্রয়োজন দেখা দেয় শরীরের বাহিরের যখমে, কেন বলছি এ কথা? ভুল কিছু বলিনি তো! না না সত্যই বলিছি।
তো আজকে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো তা আমার তোমার সকলের প্রয়োজন,
..সবার আগে আমাকে তোমাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, প্রথম স্তরটা অতিক্রম করতে হবে, চিন্তার প্রথম বুনিয়াদটা আগে মজবুত করতে হবে, জীবনে কিছু ধাপ সুন্দরভাবে অতিক্রম করতে হবে, তারপর তুমি আমি সুন্দর একটি জীবন গড়তে পারবো।
তুমি স্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারো জীবনের বিস্তৃত পরিধির উপযোগী যে কোন স্বপ্ন।
তুমি ইসরাইল, আমেরিকা ও ইউরুপের(ইউরেোপের) দম্ভকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে চাও! ভালো কিন্তু কথা হলো তুমি চাইবে আর হয়ে যাবে জীবনটা এত সহজ, এত সস্তা! তা কিন্তু নয়।
যেকোনো বিষয়ে সবার আগে যা জরুরী তা হলো প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করা। কারণ যোগ্যতা হলো এমন একটি ভবন, যার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন মজবুত বুনিয়াদ, যা গড়ে ওঠে মাটির নিচে। যা কেউ কোনদিন দেখতে পায়না। জীবনের এই বুনিয়াদি অংশটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তোমার জীবনেও যেকোনো বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে মজবুত বুনিয়াদের। আর সেই মজবুত বুনিয়াদের জন্য প্রয়োজন
কঠোর ও নিরলস পরিশ্রম, সঠিক ধ্যান-ধারণা, স্বচ্ছ ও ফ্রেশ একটি মনের। নিঁখুত একটি পথের।
আসুন এ বিষয়ে একটু পর্যালোচনা করি, তাহলে তাত্মিক বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবেঃ যার মাধ্যমে আমি তুমি উপকৃত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
★★ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ_______
তাঁর লিখিত ঐতিহাসিক গ্রন্থ, সহীহ বোখারীর প্রথম অধ্যায়ের শুরুর হাদিস এনেছেন ফিকিরের, আর শেষ অধ্যায়ের শেষ হাদিস এনেছেন জিকিরের।
কেন তিনি এমনটা করলেন? শুরুর হাদিস ফিকিরের আর শেষ হাদীস জিকিরের, অবশ্যই এখানে একটা নিগূঢ় রহস্য রয়েছে, যা আমাদের ক্ষুদ্র মানসপটে আচ করতে পারিনি।
বিভিন্ন তাশরিহ বীদগণ এভাবেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ
এক.
আবুল ফজল মুহাম্মাদ বিন তাহেরের মতে জিকির অর্থাৎ বুনিয়াদ মজবুত করতে হলে শুধু যোগ্যতা অর্জন করলেই চলবে না, ফিকির তথা বিশুদ্ধ চিন্তার অধিকারী হতে হবে।
দুই.
আল্লামা আলবানী কতৃক একাডেমির কয়েকটি শরাহ গ্রন্থে পাওয়া যায়, জিকির দ্বারা উদ্দেশ্য বুনিয়াদি যোগ্যতা অর্জন করা। আর ফিকির দ্বারা উদ্দেশ্য বিশুদ্ধ চিন্তা অধিকারী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা । আর একটা আরেকটার সম্পূরক। কেই যদি সঠিক ফিকিরের দ্বার রক্ষা না করে সে গোমরাহী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল,
তাদের অন্তর থেকে দ্বীনের আযমত ও আহাম্মিয়াত দিন দিন কমতে থাকে। একপর্যায়ে দ্বীন তাদের কাছে এলোমেলো হয়ে যায়।
তিন.
আমার সম্মানিত উস্তাদ, উম্মাহর শফিক ও দরদি বন্ধু আল্লামা নাবিল আহমাদ হাফিজাহুল্লাহকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি একই উত্তর দেন, তবে একটু ভিন্ন আকারে, জিকিরের হাদিস দ্বারা উদ্দেশ্য বুনিয়াদি যোগ্যতা ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতা অর্জন করা। আর ফিকিরের হাদিস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যে ব্যক্তি বুনিয়াদি যোগ্যতা ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে বা পারবে তার প্রতিটি কাজ, প্রতিটি কথা, প্রতিটি আচরণ, প্রতি উচ্চারণ, প্রতিটি ইশারা বিশুদ্ধ ও বাস্তবসম্মত হবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের মানশা অনুযায়ী হবে।
চার.
শাইখ খালেদ মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
এর ব্যাখ্যাটি ছিলো বেশ চমৎকার, বুখারী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর কিতাবে যুদ্ধের আলোচনাগুলো ভেবে ভেবে, তাত্ত্বিক ও সহীহ দলীলের মাধ্যমে এনেছেন, এবং এমনভাবে উল্লেখ করেছেন যেন তিনি নিজ চোখে দেখে দেখে ফিকির করে করে তুলে ধরেছেন। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়, বুনিয়াদি ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতার স্বরুপ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
তৃতীয় পয়েন্টে ফিকিরের উদ্দেশ্য হলো, প্রথম ধাপ তথা বুনিয়াদি যোগ্যতা ও বিশুদ্ধ চিন্তার যোগ্যতা অর্জন হলে, ফিকিরের দ্বারা সকল কর্ম ও কথা বাস্তবসম্মত হবে, যা পবিত্র দুটি গ্রন্থেরই চাহিদা।
হে রব! তুমি আমাদের জিকিরের যোগ্যতা ও ফিকিরের যোগ্যতা অর্জন করার তাওফীক দান করো। আমাদের দিলের তামান্না ও আকাংখা শাহাদাতের মৃত্যু নসীব করো। আমিন। আমিন।
Comment