মুমিনবান্দা কখনো অর্থের গোলাম হয় না
প্রিয় ভাই ও বোন!
পৃথিবীতে এমন কিছু লোক আছে যারা অর্থের গোলাম, দিনার ও দিরহামের গোলাম। এ ধরনের লোকদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদদুআ করেছেন আর বলেছেন, দিনার-দিরহাম ও পোশাক-পরিচ্ছদ পুজারির জন্য ধ্বংস! যদি তাকে তা দেয়া হয় তবে খুশি থাকে । আর যদি না দেয়া হয় তবে অসন্তুষ্ট হয়।
আর যারা আত্মত্যাগী, তাদের প্রশংসা করে বলেন যে, সুসংবাদ তো সেই ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহর পথে ধুলাবালিযুক্ত দুটি পায়ে, এলোমেলো চুলে, ঘোড়ার লাগাম ধরে জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকে। তাকে পাহারার জন্য সেনাদলের সামনে বা পেছনে যেখানেই নিযুক্ত করা হোক না কেন, সে সেখানেই নিযুক্ত থেকে পাহারা দিয়ে যায়। এ ধরনের লোকেরা কখনো দুনিয়ার দিকে তাঁকায় না। দুনিয়া তাদের নিকট এলে তা তাদের হাতের মাঝেই থাকে। হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারে না। দুনিয়া তাদের লক্ষ্যে পৌঁছার মাধ্যম; লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নয়। তারা জীবনধারণের জন্য খায়। খাওয়ার জন্য জীবন ধারণ করে না। এরই ছোট্ট একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরছি,
একদা শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ তাঁর এক মুসলিম বোনের কাছে গেলেন এবং জিহাদের বিল-মালের প্রসঙ্গে ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ খুলে তার সামনে রাখলেন তখন ঐ বোনটি চেক বের করে আট মিলিয়ন রিয়াল লিখে দিলেন।
তার এই দানের কথা শুনে পরিবারের লোকেরা ছুঁটে এলো এবং বললো, আরে বেচারী- তুমি কি পাগল! একেবারেই এতগুলো অর্থ দিয়ে দিলে। আরে তুমি এটা করলে কি? একটুও চিন্তা-ভাবনা করলে না?
নারীরা না দেয়ার জন্য নানাভাবে বুঝাতে লাগলো আর পুরুষরা লাগলো তার স্বামীর পিছনে । অবশেষে তার বোন দ্বিধা-দ্বন্ধে পড়ে গেল। কেউ কেউ বলতে লাগলো তোমার ভবিষ্যৎ আছে, তোমার সন্তানদের ভবিষ্যত আছে, আবার কেউ কেউ বলতে লাগলো, তুমি ফ্লাটবাসা ভাড়া নিয়ে থাকো। কমছে কম এক মিলিয়ন দিয়ে একটি বাড়ি বানিয়ে নিতে পারো তো! এভাবে সবাই বোঝাতে লাগলো।
অবশেষে সত্যিই তার বোন শায়খ উসামার কাছে এসেছে এক মিলিয়ন নিয়ে তা দিয়ে বাড়ি বানাবে ।
শায়খ উসামাকে বললো, ভাই! তুমি আমাকে তা থেকে এক মিলিয়ন রিয়াল দিয়ে দাও। আমি তা দিয়ে বাড়ি তৈরি করবো।
শায়খ উসামা বললেন, হে আমার বোন ! আল্লাহর শপথ করে বলছি। তুমি এখান থেকে এক রিয়ালও নিয়ো না । তুমি তো ফ্ল্যাটে আরাম-আয়েশে, সুখে-শান্তিতে বসবাস করছো, কষ্ট-ক্লান্তি তোমাকে ছুঁতে পারে না, ক্ষুধার যন্ত্রণা কি জিনিস তা তুমি অনুভব করতে পারো না, আর তুমি তো অঢেল সম্পত্তির মালিক । অথচ তুমি আফগানের দিকে তাঁকাও! ফিলিস্তিনের দিকে তাঁকাও! তারাও তো মানুষ! না খেয়ে মরছে, থাকার জন্য তাবু পর্যন্ত পাচ্ছে না।
হে বোন! মসজিদ মাদরাসা ও ফকির-মিসকিনকে সাহায্য করার মত হাজারো লোক আছে। কিন্তু তাদেরকে সাহায্য করবে কে? হাজারো লোকের মাঝে আমার আর তোমার মত গুঁটি কয়েকজন লোকও যদি তাদের সাহায্য করতো তাহলে তারা প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতো।
প্রিয় ভাই ও বোন!
শহীদ ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, যারা দুনিয়া বিমুখ লোক দেখতে চায়। তারা যেন শাইখ ওসামার দিকে তাঁকায়। আমি আল্লাহর নিকট দুআ করি শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহর জন্য। আমার দু'চোখ তার মত মানুষ দেখেনি। হজ্ব ও ওমরা শেষে যখন আমি তার বাড়িতে যেতাম, কখনো গিয়ে তার বাড়িতে চেয়ার-টেবিল দেখিনি।অথচ শাইখ উসামার বেশ অর্থকরী রয়েছে। তাঁর ব্যবসায় জর্ডান বা মিশরের কোন কর্মচারীর বাড়ি তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর সুন্দর।
তা সত্ত্বেও তিনি আফগান মুজাহিদদের জন্য, আফগান জিহাদের জন্য সমস্ত সম্পদ লিখে দিয়েছেন, সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তায়ালার যিনি আমাকে এই মহান ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করিয়েছেন।
শহীদ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন ,
অথচ এই ওসামা যখন তোমার সাথে বসবে তখন তোমার মনে হবে যে, সে একজন প্রকৃত খাদেম। মাশাল্লাহ। যেমন ভদ্র তেমন সাহসী। যেমন দুরন্তর তেমন বাকপটু, যেমন দুনিয়াবিমুখ তেমন আখেরাতমুখী।
সুতরাং হে দিনার দিরহাম ও অর্থের গোলাম!
তোমরা শাইখ উসামার থেকে থেকে শিক্ষা নাও,
যদি পরকালে নাজাত পেতে চাও।
প্রিয় ভাই ও বোন!
পৃথিবীতে এমন কিছু লোক আছে যারা অর্থের গোলাম, দিনার ও দিরহামের গোলাম। এ ধরনের লোকদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদদুআ করেছেন আর বলেছেন, দিনার-দিরহাম ও পোশাক-পরিচ্ছদ পুজারির জন্য ধ্বংস! যদি তাকে তা দেয়া হয় তবে খুশি থাকে । আর যদি না দেয়া হয় তবে অসন্তুষ্ট হয়।
আর যারা আত্মত্যাগী, তাদের প্রশংসা করে বলেন যে, সুসংবাদ তো সেই ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহর পথে ধুলাবালিযুক্ত দুটি পায়ে, এলোমেলো চুলে, ঘোড়ার লাগাম ধরে জিহাদের জন্য প্রস্তুত থাকে। তাকে পাহারার জন্য সেনাদলের সামনে বা পেছনে যেখানেই নিযুক্ত করা হোক না কেন, সে সেখানেই নিযুক্ত থেকে পাহারা দিয়ে যায়। এ ধরনের লোকেরা কখনো দুনিয়ার দিকে তাঁকায় না। দুনিয়া তাদের নিকট এলে তা তাদের হাতের মাঝেই থাকে। হৃদয়ে প্রবেশ করতে পারে না। দুনিয়া তাদের লক্ষ্যে পৌঁছার মাধ্যম; লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নয়। তারা জীবনধারণের জন্য খায়। খাওয়ার জন্য জীবন ধারণ করে না। এরই ছোট্ট একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরছি,
একদা শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ তাঁর এক মুসলিম বোনের কাছে গেলেন এবং জিহাদের বিল-মালের প্রসঙ্গে ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ খুলে তার সামনে রাখলেন তখন ঐ বোনটি চেক বের করে আট মিলিয়ন রিয়াল লিখে দিলেন।
তার এই দানের কথা শুনে পরিবারের লোকেরা ছুঁটে এলো এবং বললো, আরে বেচারী- তুমি কি পাগল! একেবারেই এতগুলো অর্থ দিয়ে দিলে। আরে তুমি এটা করলে কি? একটুও চিন্তা-ভাবনা করলে না?
নারীরা না দেয়ার জন্য নানাভাবে বুঝাতে লাগলো আর পুরুষরা লাগলো তার স্বামীর পিছনে । অবশেষে তার বোন দ্বিধা-দ্বন্ধে পড়ে গেল। কেউ কেউ বলতে লাগলো তোমার ভবিষ্যৎ আছে, তোমার সন্তানদের ভবিষ্যত আছে, আবার কেউ কেউ বলতে লাগলো, তুমি ফ্লাটবাসা ভাড়া নিয়ে থাকো। কমছে কম এক মিলিয়ন দিয়ে একটি বাড়ি বানিয়ে নিতে পারো তো! এভাবে সবাই বোঝাতে লাগলো।
অবশেষে সত্যিই তার বোন শায়খ উসামার কাছে এসেছে এক মিলিয়ন নিয়ে তা দিয়ে বাড়ি বানাবে ।
শায়খ উসামাকে বললো, ভাই! তুমি আমাকে তা থেকে এক মিলিয়ন রিয়াল দিয়ে দাও। আমি তা দিয়ে বাড়ি তৈরি করবো।
শায়খ উসামা বললেন, হে আমার বোন ! আল্লাহর শপথ করে বলছি। তুমি এখান থেকে এক রিয়ালও নিয়ো না । তুমি তো ফ্ল্যাটে আরাম-আয়েশে, সুখে-শান্তিতে বসবাস করছো, কষ্ট-ক্লান্তি তোমাকে ছুঁতে পারে না, ক্ষুধার যন্ত্রণা কি জিনিস তা তুমি অনুভব করতে পারো না, আর তুমি তো অঢেল সম্পত্তির মালিক । অথচ তুমি আফগানের দিকে তাঁকাও! ফিলিস্তিনের দিকে তাঁকাও! তারাও তো মানুষ! না খেয়ে মরছে, থাকার জন্য তাবু পর্যন্ত পাচ্ছে না।
হে বোন! মসজিদ মাদরাসা ও ফকির-মিসকিনকে সাহায্য করার মত হাজারো লোক আছে। কিন্তু তাদেরকে সাহায্য করবে কে? হাজারো লোকের মাঝে আমার আর তোমার মত গুঁটি কয়েকজন লোকও যদি তাদের সাহায্য করতো তাহলে তারা প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারতো।
প্রিয় ভাই ও বোন!
শহীদ ডঃ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ বলতেন, যারা দুনিয়া বিমুখ লোক দেখতে চায়। তারা যেন শাইখ ওসামার দিকে তাঁকায়। আমি আল্লাহর নিকট দুআ করি শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহর জন্য। আমার দু'চোখ তার মত মানুষ দেখেনি। হজ্ব ও ওমরা শেষে যখন আমি তার বাড়িতে যেতাম, কখনো গিয়ে তার বাড়িতে চেয়ার-টেবিল দেখিনি।অথচ শাইখ উসামার বেশ অর্থকরী রয়েছে। তাঁর ব্যবসায় জর্ডান বা মিশরের কোন কর্মচারীর বাড়ি তাঁর বাড়ি থেকে প্রচুর সুন্দর।
তা সত্ত্বেও তিনি আফগান মুজাহিদদের জন্য, আফগান জিহাদের জন্য সমস্ত সম্পদ লিখে দিয়েছেন, সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ তায়ালার যিনি আমাকে এই মহান ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করিয়েছেন।
শহীদ ড.আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ বলেন ,
অথচ এই ওসামা যখন তোমার সাথে বসবে তখন তোমার মনে হবে যে, সে একজন প্রকৃত খাদেম। মাশাল্লাহ। যেমন ভদ্র তেমন সাহসী। যেমন দুরন্তর তেমন বাকপটু, যেমন দুনিয়াবিমুখ তেমন আখেরাতমুখী।
সুতরাং হে দিনার দিরহাম ও অর্থের গোলাম!
তোমরা শাইখ উসামার থেকে থেকে শিক্ষা নাও,
যদি পরকালে নাজাত পেতে চাও।
Comment