মুমিন বান্দা কেন তার জীবনকে নিয়ে পরিকল্পনা করবে?
প্রিয় ভাই ও বোন!
কদিন যাবৎ মনের দুয়ারে বারবার উকিজুকি মারছে,
একটি বিষয় নিয়ে ফিকির করার, কিন্তু সে ফুরসত হয়ে উঠছে না, কিন্তু আজ আর কোন খাব দেখাবো না, শুনিয়েই ফেলি আত্মার কিছু আকুতিঃ আর তা হলো জীবনের প্রতিটি কাজে ও কর্মে পরিকল্পনা করা।
পরিকল্পনার অর্থ হচ্ছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার উপর পথ চলা । লাগামহীন জীবন-যাপন থেকে পরিত্রাণ পাওয়া। যে পথ ধরে অতি অল্প সময়ে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব । পরিকল্পনা করা হলো নবীদের আদত, মুমিন বান্দার সিফাত, বীরপুরুষ ও সাহসী ব্যক্তিদের জীবনাদর্শ।
আসুন এ বিষয়ে একটু পর্যালোচনা করি, নিজের বিশ্বাসকে পাকাপোক্ত করার জন্যঃ-
★★রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের ৪৭টি যুদ্ধের সূক্ষ্ম, দূরদর্শী, সুন্দর ও মার্জিত পরিকল্পনার কথাগুলো শুনলে পৃথিবীর অনেক বড় বড় মনীষি ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা মুহূর্তের মধ্যে কল্পনার রাজ্যে ঢুকে পড়ে । মেঘময় দিনেও রক্তিম সূর্যের হাতছানি দেখতে পায়।
আর যে ব্যক্তি তার উত্তম পরিকল্পনার কথাগুলো শুনেছে, সেই ব্যক্তি তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবে ভূষিত করতে বাধ্য হয়েছে । তাছাড়া পৃথিবীর ঐতিহাসিক ঘটনা ও শ্রেষ্ঠ বিষয়াদির আবিষ্কার ও নির্মাণের পেছনে রয়েছে সুন্দর পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট প্লান।
পরিকল্পনা বাস্তবতাকে কাছে টেনে আনে। মানবের লক্ষ্যে পৌঁছার পথকে সহজ ও নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখায়। ভবিষ্যৎ জীবনের অর্জন বর্তমান জীবনেই ধরা ছোঁয়ার নাগালে চলে আসে। পরিকল্পনা হলো সফলতার ভূমিকা স্বরূপ ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
জীবনের যে কোন মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার প্রধান উপকরণ হলো পরিকল্পনা বা সুনির্দিষ্ট প্লান। কারণ অপরিকল্পিত কাজে সময়ের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না। অথচ সময় অপচয় করা কোনো মুমিন বান্দার আদর্শ নয় । মুমিন বান্দা মানেই সময় ও নিরাপত্তার প্রতি ব্রতী হওয়া।
আপনি কি অনুধাবন করতে পারেন?
জীবনে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে সবচাইতে বড় অবদান হলো পরিকল্পনায় ব্যর্থ হওয়া। কোন লক্ষ্য স্থির করতে না পারা, নির্ণয় করতে না পারা । অথচ যে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য পরিকল্পনা হলো অত্যাবশ্যক । আর ব্যক্তি জীবনের পরিকল্পনা সমাজের অবকাঠামো পরিবর্তনে, সমাজের চরিত্র আবর্তনে যথার্থ ভূমিকা রাখে।
প্রিয় ভাই ও বোন !
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন!
পৃথিবীর অনুন্নত দেশগুলোর মানুষ পরিকল্পনাহীন জীবন যাপন করে। তাদের জীবনে নেই কোন সুনির্দিষ্ট প্লান। নেই কোন সুন্দর ও মার্জিত পরিকল্পনা । নেই জীবনের কোন ডিজাইন, সফল মাঝির ইতিহাস তারা যুগ যুগ ধরে কিতাবের পাতায় পড়ে, জীবনের পাতায় সংযোগ করে না। সফলতার জন্য যে সুক্ষ্ম ও তীক্ষ্ম আর্টিস্ট ব্যক্তি হতে হয়, এ যেন রুপ কথার গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে তাদের প্রত্যেকের জীবন বনের পশু পাখির মতো লক্ষ্যহীনভাবে ছুটছে। ছুটছে তো ছুটছেই অশ্বারোহীকেও...
আর উন্নত দেশগুলোর মানুষ জীবনের প্রত্যেকটি কাজে সুনির্দিষ্ট (ক্লো) মেনে চলছে। শৃঙ্খলাকে জীবন পথের পাথেয় বানিয়ে নিয়েছে। যার ফলে তারা ক্রমাগত উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মন-মস্তিষ্ক প্রফুল্ল হয়ে উঠছে, মন-দিল স্বচ্ছ হয়ে উঠছে, যার দরুন রবের সান্নিধ্য লাভেরও আশা জাগ্রত হচ্ছে,
কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে পুরাই উল্টো।
প্রিয় ভাই ও বোন!
বাস্তবতার দাবী আমাকে আপনাকে নির্দিধায় মাথা পেতে মেনে নিতে হবে,
আজ কাফেরদের পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে সূদুর, বিস্তর
শৃঙ্খলাবদ্ধ, অবকাঠামোর দিক থেকে মজবুত।
তাদের পরিকল্পনার সীমারেখা ঐদিনই সমাপ্ত হবে যেদিন তারা সকল মুসলমানকে ধর্মান্তরিত করতে পারবে । তারা মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার জন্য অব্যাহত ও নিখুঁত পরিকল্পনা করছে।
★★তারা প্রতি বছর এমন কিছু এজেন্ট তৈরি করছে, যাদের কাজ শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা। আরেক দল, এমন কিছু এজেন্ট তৈরি করছে , যাদের কাজ শুধু মুসলমানদের ব্রেন-ওয়াশ করা। আরেকদল, এমন কিছু এজেন্ট তৈরি করছে, যাদের কাজ শুধু মুসলমানদেরকে মনস্তাত্তিকভাবে হারিয়ে ফেলা। যাতে তারা যুদ্ধে যাবার আগেই নিজেদের ঘরে পরাজিত হয়ে যায়।
কত সূক্ষ্ম কৌশল! কত সুক্ষ্ম চালাকি! তারা এমন হাজারো এজেন্ট তৈরি করছে। আর মুরতাদ ও তাগুত সরকার তাদের পিছনে কোটি কোটি মিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছে। এমনকি তারা ধর্মের লেবাস ধারণ করে ঐশী গ্রন্থ নিয়ে গবেষণাও করছে এবং তার থেকে সার নির্যাস বের করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে।
প্রিয় ভাই ও বোন!
নিশ্চয়ই অব্যাহত চেষ্টা ও ধারাবাহিক পরিকল্পনা মানুষকে সফলতার সুউচ্চ শীখড়ে পৌঁছিয়ে দেয়। অব্যাহত চেষ্টা ও সঠিক পরিকল্পনা মুমিনের মনোবল ও আত্মনির্ভরশীলতার মাঝে সাহস যোগায়। শক্তি সঞ্চার করে, বল তৈয়্যার করে, হতাশা ও নিরাশাকে দূরে ঠেলে দেয়। সফলতার মানচিত্র আঁকার আশা জাগ্রত করে।
পাষাণ আত্মা কি কখনো এর জবাব দিতে পারবে,
যখন রব এ নেয়ামতগুলোর কথা স্বরণ করিয়ে দিবেন?
রবের পক্ষ থেকে আসমানী এত আয়োজন কার জন্য?
রবের পক্ষ থেকে দুনিয়াবী এত সৌন্দর্য কার জন্য? মেঘের আল্পনা, চাঁদের জোসনা, এই সমীকরণ কার জন্য? শূন্যের শীতল হাওয়া, নদীর এই ভারী গর্জন কার জন্য? সমুদ্রের জলপ্রপাত, সবুজ শ্যামল পাহাড়ের শিহরণ সৃষ্টিকারী এই শীতল পানি কার জন্য?
বান্দা! শুধুই তোমার জন্য, শুধুই তোমার জন্য,
তোমার রব তোমার জন্য এত কিছু করেছে পরিকল্পনাহীন? না, না, অবশ্যই তাঁর আবদের জন্য।
এখানে উদ্দেশ্য হলো মানুষ, মুমিনবান্দা।
হে আমার ভাই!
যদি তোমার সামনে দুটি পথ আসে, ত্যাগের ও ভোগের ; তুমি ত্যাগের পথ গ্রহণ করো। কারণ ত্যাগ ও ভোগ দুটোই অতীত হয়ে যাবে, থাকবে শুধু পরিণতি। কারণ নিয়তির অমোঘ বিধান, কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়, তুমি দুনিয়া হারাও, নিশ্চিত পরকাল পাবে।
তুমি সময় ও সমাজের গতি যদি বুঝতে না পারো তাহলে জীবনের চলমান কাফেলায় প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারবে না। তাই সময়ের স্পন্দন ও সমাজের রুপরেখার গতিপ্রগতি ও পরিকল্পনা নিয়ে তোমাকে জানতে হবে, বুঝতে হবে, অনুধাবন করতে হবে, কারণ তুমিই তো একমাত্র ওয়াদাকৃত ব্যক্তি, তুমি হবে ওরাসাতুল আম্বিয়া।
প্রিয় ভাই ও বোন!
কদিন যাবৎ মনের দুয়ারে বারবার উকিজুকি মারছে,
একটি বিষয় নিয়ে ফিকির করার, কিন্তু সে ফুরসত হয়ে উঠছে না, কিন্তু আজ আর কোন খাব দেখাবো না, শুনিয়েই ফেলি আত্মার কিছু আকুতিঃ আর তা হলো জীবনের প্রতিটি কাজে ও কর্মে পরিকল্পনা করা।
পরিকল্পনার অর্থ হচ্ছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার উপর পথ চলা । লাগামহীন জীবন-যাপন থেকে পরিত্রাণ পাওয়া। যে পথ ধরে অতি অল্প সময়ে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব । পরিকল্পনা করা হলো নবীদের আদত, মুমিন বান্দার সিফাত, বীরপুরুষ ও সাহসী ব্যক্তিদের জীবনাদর্শ।
আসুন এ বিষয়ে একটু পর্যালোচনা করি, নিজের বিশ্বাসকে পাকাপোক্ত করার জন্যঃ-
★★রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের ৪৭টি যুদ্ধের সূক্ষ্ম, দূরদর্শী, সুন্দর ও মার্জিত পরিকল্পনার কথাগুলো শুনলে পৃথিবীর অনেক বড় বড় মনীষি ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা মুহূর্তের মধ্যে কল্পনার রাজ্যে ঢুকে পড়ে । মেঘময় দিনেও রক্তিম সূর্যের হাতছানি দেখতে পায়।
আর যে ব্যক্তি তার উত্তম পরিকল্পনার কথাগুলো শুনেছে, সেই ব্যক্তি তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানবে ভূষিত করতে বাধ্য হয়েছে । তাছাড়া পৃথিবীর ঐতিহাসিক ঘটনা ও শ্রেষ্ঠ বিষয়াদির আবিষ্কার ও নির্মাণের পেছনে রয়েছে সুন্দর পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট প্লান।
পরিকল্পনা বাস্তবতাকে কাছে টেনে আনে। মানবের লক্ষ্যে পৌঁছার পথকে সহজ ও নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখায়। ভবিষ্যৎ জীবনের অর্জন বর্তমান জীবনেই ধরা ছোঁয়ার নাগালে চলে আসে। পরিকল্পনা হলো সফলতার ভূমিকা স্বরূপ ।
প্রিয় ভাই ও বোন!
জীবনের যে কোন মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার প্রধান উপকরণ হলো পরিকল্পনা বা সুনির্দিষ্ট প্লান। কারণ অপরিকল্পিত কাজে সময়ের সঠিক ব্যবহার সম্ভব হয় না। অথচ সময় অপচয় করা কোনো মুমিন বান্দার আদর্শ নয় । মুমিন বান্দা মানেই সময় ও নিরাপত্তার প্রতি ব্রতী হওয়া।
আপনি কি অনুধাবন করতে পারেন?
জীবনে ব্যর্থ হওয়ার পিছনে সবচাইতে বড় অবদান হলো পরিকল্পনায় ব্যর্থ হওয়া। কোন লক্ষ্য স্থির করতে না পারা, নির্ণয় করতে না পারা । অথচ যে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য পরিকল্পনা হলো অত্যাবশ্যক । আর ব্যক্তি জীবনের পরিকল্পনা সমাজের অবকাঠামো পরিবর্তনে, সমাজের চরিত্র আবর্তনে যথার্থ ভূমিকা রাখে।
প্রিয় ভাই ও বোন !
একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন!
পৃথিবীর অনুন্নত দেশগুলোর মানুষ পরিকল্পনাহীন জীবন যাপন করে। তাদের জীবনে নেই কোন সুনির্দিষ্ট প্লান। নেই কোন সুন্দর ও মার্জিত পরিকল্পনা । নেই জীবনের কোন ডিজাইন, সফল মাঝির ইতিহাস তারা যুগ যুগ ধরে কিতাবের পাতায় পড়ে, জীবনের পাতায় সংযোগ করে না। সফলতার জন্য যে সুক্ষ্ম ও তীক্ষ্ম আর্টিস্ট ব্যক্তি হতে হয়, এ যেন রুপ কথার গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে তাদের প্রত্যেকের জীবন বনের পশু পাখির মতো লক্ষ্যহীনভাবে ছুটছে। ছুটছে তো ছুটছেই অশ্বারোহীকেও...
আর উন্নত দেশগুলোর মানুষ জীবনের প্রত্যেকটি কাজে সুনির্দিষ্ট (ক্লো) মেনে চলছে। শৃঙ্খলাকে জীবন পথের পাথেয় বানিয়ে নিয়েছে। যার ফলে তারা ক্রমাগত উন্নতির দিকে এগোচ্ছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মন-মস্তিষ্ক প্রফুল্ল হয়ে উঠছে, মন-দিল স্বচ্ছ হয়ে উঠছে, যার দরুন রবের সান্নিধ্য লাভেরও আশা জাগ্রত হচ্ছে,
কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোর ক্ষেত্রে পুরাই উল্টো।
প্রিয় ভাই ও বোন!
বাস্তবতার দাবী আমাকে আপনাকে নির্দিধায় মাথা পেতে মেনে নিতে হবে,
আজ কাফেরদের পরিকল্পনাগুলো হচ্ছে সূদুর, বিস্তর
শৃঙ্খলাবদ্ধ, অবকাঠামোর দিক থেকে মজবুত।
তাদের পরিকল্পনার সীমারেখা ঐদিনই সমাপ্ত হবে যেদিন তারা সকল মুসলমানকে ধর্মান্তরিত করতে পারবে । তারা মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার জন্য অব্যাহত ও নিখুঁত পরিকল্পনা করছে।
★★তারা প্রতি বছর এমন কিছু এজেন্ট তৈরি করছে, যাদের কাজ শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা। আরেক দল, এমন কিছু এজেন্ট তৈরি করছে , যাদের কাজ শুধু মুসলমানদের ব্রেন-ওয়াশ করা। আরেকদল, এমন কিছু এজেন্ট তৈরি করছে, যাদের কাজ শুধু মুসলমানদেরকে মনস্তাত্তিকভাবে হারিয়ে ফেলা। যাতে তারা যুদ্ধে যাবার আগেই নিজেদের ঘরে পরাজিত হয়ে যায়।
কত সূক্ষ্ম কৌশল! কত সুক্ষ্ম চালাকি! তারা এমন হাজারো এজেন্ট তৈরি করছে। আর মুরতাদ ও তাগুত সরকার তাদের পিছনে কোটি কোটি মিলিয়ন অর্থ ব্যয় করছে। এমনকি তারা ধর্মের লেবাস ধারণ করে ঐশী গ্রন্থ নিয়ে গবেষণাও করছে এবং তার থেকে সার নির্যাস বের করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে।
প্রিয় ভাই ও বোন!
নিশ্চয়ই অব্যাহত চেষ্টা ও ধারাবাহিক পরিকল্পনা মানুষকে সফলতার সুউচ্চ শীখড়ে পৌঁছিয়ে দেয়। অব্যাহত চেষ্টা ও সঠিক পরিকল্পনা মুমিনের মনোবল ও আত্মনির্ভরশীলতার মাঝে সাহস যোগায়। শক্তি সঞ্চার করে, বল তৈয়্যার করে, হতাশা ও নিরাশাকে দূরে ঠেলে দেয়। সফলতার মানচিত্র আঁকার আশা জাগ্রত করে।
পাষাণ আত্মা কি কখনো এর জবাব দিতে পারবে,
যখন রব এ নেয়ামতগুলোর কথা স্বরণ করিয়ে দিবেন?
রবের পক্ষ থেকে আসমানী এত আয়োজন কার জন্য?
রবের পক্ষ থেকে দুনিয়াবী এত সৌন্দর্য কার জন্য? মেঘের আল্পনা, চাঁদের জোসনা, এই সমীকরণ কার জন্য? শূন্যের শীতল হাওয়া, নদীর এই ভারী গর্জন কার জন্য? সমুদ্রের জলপ্রপাত, সবুজ শ্যামল পাহাড়ের শিহরণ সৃষ্টিকারী এই শীতল পানি কার জন্য?
বান্দা! শুধুই তোমার জন্য, শুধুই তোমার জন্য,
তোমার রব তোমার জন্য এত কিছু করেছে পরিকল্পনাহীন? না, না, অবশ্যই তাঁর আবদের জন্য।
এখানে উদ্দেশ্য হলো মানুষ, মুমিনবান্দা।
হে আমার ভাই!
যদি তোমার সামনে দুটি পথ আসে, ত্যাগের ও ভোগের ; তুমি ত্যাগের পথ গ্রহণ করো। কারণ ত্যাগ ও ভোগ দুটোই অতীত হয়ে যাবে, থাকবে শুধু পরিণতি। কারণ নিয়তির অমোঘ বিধান, কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়, তুমি দুনিয়া হারাও, নিশ্চিত পরকাল পাবে।
তুমি সময় ও সমাজের গতি যদি বুঝতে না পারো তাহলে জীবনের চলমান কাফেলায় প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারবে না। তাই সময়ের স্পন্দন ও সমাজের রুপরেখার গতিপ্রগতি ও পরিকল্পনা নিয়ে তোমাকে জানতে হবে, বুঝতে হবে, অনুধাবন করতে হবে, কারণ তুমিই তো একমাত্র ওয়াদাকৃত ব্যক্তি, তুমি হবে ওরাসাতুল আম্বিয়া।
Comment