অর্পিত দায়িত্ব থেকে কেন আমরা অব্যহতি চাচ্ছি?
হে প্রিয় তাওহিদী জনতা!
★★গোটা মুসলিম ভূখন্ডে যখন মুসলিম নিধন চলছে, অন্যায়-অবিচার যখন নিত্যদিনের শোভা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা যখন ঠুনকো বিষয়ে পরিণত হয়েছে, মুসলমানের সোনালী ইতিহাসগুলোকে যখন গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে, ইসলামের ফরজ বিধান গুলোকে যখন অবজ্ঞার চোখে দেখা হচ্ছে, মুসলমানের ঈমান আমলের এই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মুসলিম নিধন ও আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে হাতিয়ার উচিয়ে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বের দাবিদার।
শুধু তাই নয়, যে সময় গুজরাটের মুসলমানদেরকে আগুনে পুড়ে মারা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি মুসলমানদেরকে বুলডোজার দিয়ে পিষে মারা হচ্ছে, মায়ানমারের মুসলমানদেরকে আগুনে পুড়ে কাবাব বানানো হচ্ছে, আজ কাশ্মীরে ঝিলাম নদী মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত! আরাকানের নাফ নদী মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত! বাংলার পথঘাট শহীদি ভাইদের রক্তে সিঞ্চিত!
আর ঠিক সেই মুহুর্তেই আরাকানের রোহিঙ্গা তরুণীরা নাসাকা হায়েনাদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে, আসাম, গুজরাট ও দিল্লীর মুসলিম বোনদের ইজ্জত হরণ করা হচ্ছে,
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম বাংলায় রাসূলকে নিয়ে কটাক্ষ্য করা হচ্ছে, ডাস্টবিনে কোরআন নিক্ষিপ্ত করা হচ্ছে, বাংলার ওলিতে-গলিতে, পথে ঘাটে মুসলিম জনতাকে বেইজ্জতি করা হচ্ছে, আলেম-উলামাদেরকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, পর্দানিশীন মা-বোনদের অপমানিত করা হচ্ছে, রাসূলের সুন্নাহ দাঁড়ি আর পাঞ্জাবীর সাথে বেয়াদবি করা হচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের এই ক্লান্তিলগ্নে মুসলমানদের মুক্তির একমাত্র উপায় হলো কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
★হে প্রিয় তাওহিদী জনতা!
বাংলার শহীদি ভাইদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই, আঘাতপ্রাপ্ত মুসলিমদের দুঃখ লাগব হতে না হতেই, আহত তরুণদের শরীরে বিদ্ধ বুলেটের চিহ্ন মুছতে না মুছতেই আবারো আঘাতপ্রাপ্ত হৃদপিণ্ডে ধারালো খঞ্জরগুলো বারবার বসিয়ে দিচ্ছে।
হে প্রিয় তাওহিদী জনতা! রবের দরবারে কি জবাব দিবো আমরা, রবের সামনে মুখ উচিয়ে কথা বলবো কিভাবে আমরা? যদি প্রশ্ন করা হয়, আমি বলেছি কানের বদলে কান, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, হত্যার বিপরীতে হত্যা, কিন্তু তোমরা করলে কি, হত্যার বিপরীতে শ্লোগান, হত্যার বিপরীতে অবরোধ, হত্যার বিপরীতে তাগুতের সামনে নতশীর। আমি কি তোমাদের সত্য পথ ও সঠিক অবস্থানের কথা বাতলে দেয়নি? আমি কি তোমাদের উত্তম পন্থা দেখিয়ে দেয়নি?
কেন তোমরা আমার কুরআনের প্রতি অবিচার করলে?
কুরআনের পাখিগুলোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তোমরা এর বদলা নিলে না কেনো? কুরআনের সাথীগুলোকে হেনস্তা করা হয়েছে, তোমরা তাকে উত্তমাধ্যম দিলে না কেনো? কুরআনের আলেমকে অপমান করা হয়েছে, তোমরা এর প্রতিশোধ নিলে না কেনো?
★★হে আমার বান্দা!
সালাতই কি শুধু ইবাদত, তরবারি চালানো কি ইবাদত নয়? জাকাতই কি শুধু ইবাদত, তীরন্দাজী আর অশ্বরোহী হওয়া কি ইবাদত নয়? হ্বজ আর রোযাই কি শুধু ইবাদত, তাগুত মুরতাদের শায়েস্তা করা কি ইবাদত নয়?★★
হে প্রিয় ভাই! তখন কী জবাব দিবো আমরা, কী উত্তর দিবো আমরা, রবের ধমক খাওয়ার শক্তি তো আমাদের নেই, রবের পক্ষ হতে শাস্তি গ্রহণ করার যোগ্যতা তো আমাদের নেই।
যদি রব এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন,
তারা তাদের হত্যা, অপমান, আর সেচ্ছাচারিতার কারণে অপরাধী হয়েছে, আর তোমরা অপরাধী হয়েছো তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে, কারণ তোমরা জানতে একজনের শাস্তি থেকে একশজন জীবন পায়,
তোমরা যেহেতু তাদের {সীমালঙ্ঘনকারীদের} প্রতিহত কর নাই সুতরাং তোমরাই বাকি একশজনের হত্যাকারী, তখন আমাদের অবস্থা কি হবে, আমাদের পরিণতি কি হবে?
হে রব! তোমার কাছে পানাহ চাই! আশ্রয় চাই!
তুমি তো বিচার দিবসের মালিক আবার তুমি ক্ষমারও মালিক।
★★হে প্রিয় তাওহিদী জনতা!
আল্লাহ আপনাকে ওয়ালী বানিয়ে পাঠিয়েছেন, আল্লাহ আপনাকে সাহায্যকারী বানিয়ে পাঠিয়েছেন, সুতরাং কেন আপনি আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চাচ্ছেন? কিসের আশায়, কিসের নেশায়?
এ দায়িত্ব তো বিচারের সাথে সম্পৃক্ত, এ দায়িত্ব তো রবের পুরস্কারের সাথে সম্পৃক্ত, এ দায়িত্ব তো জান্নাত পাওয়ার সাথে সম্পৃক্ত, এ দায়িত্ব তো জাহান্নাম থেকে মুক্তির সাথে সম্পৃক্ত, সুতরাং আপনি কী হাতছাড়া করছেন ভেবে দেখেছেন কি একবার? নিজের অস্তিত্বই কি বিলীন করে দিবেন? আরে ভাই! তাতো বিলীন হবার নয়, অনন্তকাল চিরকাল বয়ে চলবে। পারবে তো দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে? পারবে তো কঠিন যন্ত্রণা ভোগ করতে?
★★অবশ্যই, অবশ্যই
লা জবাব হয়ে যাবো আমরা, সুতরাং সময় থাকতে কুরআনের হাকিকত বুঝার চেষ্টা করুন, সময় থাকতে কুরআনের মাকসাদ নিয়ে ফিকির করুন, সময় থাকতে কুরআনের গভীরতা অনুধাবন করতে শিখুন।
যদি নাই পারো,,
তাহলে কিতমানকারী না হয়ে তোমাকে হতে হবে মুবাশ্বির আর মুনযির যিনি ভালোবাসা আর ভালোআশা নিয়ে সেচ্ছাচারির দম্ভকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবেন, সীমালঙ্ঘনকারীর সীমান্তকে নাসতেনাবুদ করে দিবেন,
আর অহংকারীর অহংকারের টুটিকে চিপে ধরবেন।
আর এ ব্যাপারে সমাজের, রাষ্ট্রের চাহদ থাকুক বা না থাকুক আপনি আপনার অর্পিত দায়িত্ব পূরণ করবেন কারণ আপনি সত্য হলে একাই একটি জামাত। ★★হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু
হে প্রিয় তাওহিদী জনতা!
★★গোটা মুসলিম ভূখন্ডে যখন মুসলিম নিধন চলছে, অন্যায়-অবিচার যখন নিত্যদিনের শোভা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা যখন ঠুনকো বিষয়ে পরিণত হয়েছে, মুসলমানের সোনালী ইতিহাসগুলোকে যখন গঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে, ইসলামের ফরজ বিধান গুলোকে যখন অবজ্ঞার চোখে দেখা হচ্ছে, মুসলমানের ঈমান আমলের এই দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মুসলিম নিধন ও আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে হাতিয়ার উচিয়ে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বের দাবিদার।
শুধু তাই নয়, যে সময় গুজরাটের মুসলমানদেরকে আগুনে পুড়ে মারা হচ্ছে, ফিলিস্তিনি মুসলমানদেরকে বুলডোজার দিয়ে পিষে মারা হচ্ছে, মায়ানমারের মুসলমানদেরকে আগুনে পুড়ে কাবাব বানানো হচ্ছে, আজ কাশ্মীরে ঝিলাম নদী মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত! আরাকানের নাফ নদী মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত! বাংলার পথঘাট শহীদি ভাইদের রক্তে সিঞ্চিত!
আর ঠিক সেই মুহুর্তেই আরাকানের রোহিঙ্গা তরুণীরা নাসাকা হায়েনাদের দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে, আসাম, গুজরাট ও দিল্লীর মুসলিম বোনদের ইজ্জত হরণ করা হচ্ছে,
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম বাংলায় রাসূলকে নিয়ে কটাক্ষ্য করা হচ্ছে, ডাস্টবিনে কোরআন নিক্ষিপ্ত করা হচ্ছে, বাংলার ওলিতে-গলিতে, পথে ঘাটে মুসলিম জনতাকে বেইজ্জতি করা হচ্ছে, আলেম-উলামাদেরকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে, পর্দানিশীন মা-বোনদের অপমানিত করা হচ্ছে, রাসূলের সুন্নাহ দাঁড়ি আর পাঞ্জাবীর সাথে বেয়াদবি করা হচ্ছে, মুসলিম বিশ্বের এই ক্লান্তিলগ্নে মুসলমানদের মুক্তির একমাত্র উপায় হলো কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
★হে প্রিয় তাওহিদী জনতা!
বাংলার শহীদি ভাইদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই, আঘাতপ্রাপ্ত মুসলিমদের দুঃখ লাগব হতে না হতেই, আহত তরুণদের শরীরে বিদ্ধ বুলেটের চিহ্ন মুছতে না মুছতেই আবারো আঘাতপ্রাপ্ত হৃদপিণ্ডে ধারালো খঞ্জরগুলো বারবার বসিয়ে দিচ্ছে।
হে প্রিয় তাওহিদী জনতা! রবের দরবারে কি জবাব দিবো আমরা, রবের সামনে মুখ উচিয়ে কথা বলবো কিভাবে আমরা? যদি প্রশ্ন করা হয়, আমি বলেছি কানের বদলে কান, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, হত্যার বিপরীতে হত্যা, কিন্তু তোমরা করলে কি, হত্যার বিপরীতে শ্লোগান, হত্যার বিপরীতে অবরোধ, হত্যার বিপরীতে তাগুতের সামনে নতশীর। আমি কি তোমাদের সত্য পথ ও সঠিক অবস্থানের কথা বাতলে দেয়নি? আমি কি তোমাদের উত্তম পন্থা দেখিয়ে দেয়নি?
কেন তোমরা আমার কুরআনের প্রতি অবিচার করলে?
কুরআনের পাখিগুলোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তোমরা এর বদলা নিলে না কেনো? কুরআনের সাথীগুলোকে হেনস্তা করা হয়েছে, তোমরা তাকে উত্তমাধ্যম দিলে না কেনো? কুরআনের আলেমকে অপমান করা হয়েছে, তোমরা এর প্রতিশোধ নিলে না কেনো?
★★হে আমার বান্দা!
সালাতই কি শুধু ইবাদত, তরবারি চালানো কি ইবাদত নয়? জাকাতই কি শুধু ইবাদত, তীরন্দাজী আর অশ্বরোহী হওয়া কি ইবাদত নয়? হ্বজ আর রোযাই কি শুধু ইবাদত, তাগুত মুরতাদের শায়েস্তা করা কি ইবাদত নয়?★★
হে প্রিয় ভাই! তখন কী জবাব দিবো আমরা, কী উত্তর দিবো আমরা, রবের ধমক খাওয়ার শক্তি তো আমাদের নেই, রবের পক্ষ হতে শাস্তি গ্রহণ করার যোগ্যতা তো আমাদের নেই।
যদি রব এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন,
তারা তাদের হত্যা, অপমান, আর সেচ্ছাচারিতার কারণে অপরাধী হয়েছে, আর তোমরা অপরাধী হয়েছো তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে, কারণ তোমরা জানতে একজনের শাস্তি থেকে একশজন জীবন পায়,
তোমরা যেহেতু তাদের {সীমালঙ্ঘনকারীদের} প্রতিহত কর নাই সুতরাং তোমরাই বাকি একশজনের হত্যাকারী, তখন আমাদের অবস্থা কি হবে, আমাদের পরিণতি কি হবে?
হে রব! তোমার কাছে পানাহ চাই! আশ্রয় চাই!
তুমি তো বিচার দিবসের মালিক আবার তুমি ক্ষমারও মালিক।
★★হে প্রিয় তাওহিদী জনতা!
আল্লাহ আপনাকে ওয়ালী বানিয়ে পাঠিয়েছেন, আল্লাহ আপনাকে সাহায্যকারী বানিয়ে পাঠিয়েছেন, সুতরাং কেন আপনি আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চাচ্ছেন? কিসের আশায়, কিসের নেশায়?
এ দায়িত্ব তো বিচারের সাথে সম্পৃক্ত, এ দায়িত্ব তো রবের পুরস্কারের সাথে সম্পৃক্ত, এ দায়িত্ব তো জান্নাত পাওয়ার সাথে সম্পৃক্ত, এ দায়িত্ব তো জাহান্নাম থেকে মুক্তির সাথে সম্পৃক্ত, সুতরাং আপনি কী হাতছাড়া করছেন ভেবে দেখেছেন কি একবার? নিজের অস্তিত্বই কি বিলীন করে দিবেন? আরে ভাই! তাতো বিলীন হবার নয়, অনন্তকাল চিরকাল বয়ে চলবে। পারবে তো দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে? পারবে তো কঠিন যন্ত্রণা ভোগ করতে?
★★অবশ্যই, অবশ্যই
লা জবাব হয়ে যাবো আমরা, সুতরাং সময় থাকতে কুরআনের হাকিকত বুঝার চেষ্টা করুন, সময় থাকতে কুরআনের মাকসাদ নিয়ে ফিকির করুন, সময় থাকতে কুরআনের গভীরতা অনুধাবন করতে শিখুন।
যদি নাই পারো,,
তাহলে কিতমানকারী না হয়ে তোমাকে হতে হবে মুবাশ্বির আর মুনযির যিনি ভালোবাসা আর ভালোআশা নিয়ে সেচ্ছাচারির দম্ভকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিবেন, সীমালঙ্ঘনকারীর সীমান্তকে নাসতেনাবুদ করে দিবেন,
আর অহংকারীর অহংকারের টুটিকে চিপে ধরবেন।
আর এ ব্যাপারে সমাজের, রাষ্ট্রের চাহদ থাকুক বা না থাকুক আপনি আপনার অর্পিত দায়িত্ব পূরণ করবেন কারণ আপনি সত্য হলে একাই একটি জামাত। ★★হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু
Comment