Announcement

Collapse
No announcement yet.

Transcript┇রামাদানে বোনদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা┇Shaikh Tamim Al Adnani┇Salihat

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Transcript┇রামাদানে বোনদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা┇Shaikh Tamim Al Adnani┇Salihat

    ﺑﺴــــــــــﻢﷲﺍﻟﺮﺣﻤﻦﺍلرﺣﻴﻢ️

    রামাদানে বোনদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা┇Shaikh Tamim Al Adnani┇Salihat


    নাহমাদুহু ওয়ানুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম আম্মাবাদ!

    একটি সফল রমাদানের জন্য পরিবারের নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত তাদের বাদ দিয়ে একটি সুন্দর ও সফল রমাদানের কথা চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, মুসলিম নারীরা কিভাবে রমাদান কাটাবেন এ বিষয়ে খুব কমই আলোচনা হয়। ফলে সঠিক নির্দেশনার অভাবে তারা রমাদানের মহা মূল্যবান সময়টুকু যথাযথ ভাবে কাটাতে পারেন না। আজ আমরা বোনদের সাথে রামাদান বিষয়ক ১০ টি বিশেষ নির্দেশনা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো, ইন শা আল্লাহ্।

    ❑ প্রিয় বোন!

    রমাদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এক মহা নেয়ামত! এ মাসে অজস্র রহমত নাযিল হয়, গুনাহগারদের তওবা কবুল করা হয়, অসংখ্য ভাগ্যবান বান্দাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

    সহীহ্ বুখারীতে এসেছে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

    ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সাওয়াবের আশায় রমাদানের সাওম পালন করে তার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’’

    সুনানে তিরমিজিতে বর্ণিত একটি সহীহ্ হাদিসে এসেছে, রমাদানের প্রথম রাত যখন শুরু হয় তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ঘোষক ঘোষণা করেন:

    ‘‘হে কল্যাণের প্রত্যাশী! সামনে অগ্রসর হও, হে গুনাহের ইচ্ছা পোষণকারী! গুনাহ থেকে বিরত হও, আর আল্লাহর পক্ষ থেকে এই মাসে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দেয়া হয়।’’

    প্রিয় বোন! গত বছর এমন অনেকেই আপনার সঙ্গে রমাদানের সাওম পালন করেছেন। অথচ এই রমাদানে তারা অন্ধকার কবরে একাকী শুয়ে আছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনার উপর কত বড় ইহসান করেছেন! আপনাকে আরো একটি রমাদান উপহার দিয়েছেন! তাওবা করার এবং জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য আরো একটি সুন্দর সুযোগ দিয়েছেন। এ মহান নেয়ামতের জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা চাই এবং রামাদানের এই মহা নিয়ামতকে যথাযথভাবে কদর করা চাই। অফুরন্ত এই কল্যাণের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানো চাই।

    ❑ প্রিয় বোন! রামাদান হলো ইখলাছ শেখার মাস, সবর শেখার মাস, তাকওয়া শেখার মাস, এই মাসে আপনি আপনার নিয়তকে কেবল আল্লাহর জন্য খালিছ করে নিবেন। আপনার সকল এবাদত, সকল আমল একমাত্র আল্লাহ তা'আলার জন্য নিবেদিত হবে।

    সহীহ্ বুখারী ও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদীসে কুদসীতে এসেছে: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,

    ‘‘সওম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি আমলই তার নিজের জন্য। কিন্তু সওম কেবল আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দিবো।’’

    সওমকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বিশেষ করে নিজের জন্য বলার কারন হলো সওমে রিয়া ও লোক দেখানোর সুযোগ নেই, কেননা এটি আল্লাহ ও বান্দার মাঝে গোপন একটি রহস্য। সে কেবল আল্লাহর ভয়েই পানাহার থেকে বিরত থাকে। চাইলে মানুষের অগোচরে সে পানাহার করতে পারে, এখান থেকে ইখলাছের শিক্ষা পাওয়া যায়। সবর ও তাকওয়ার শিক্ষা পাওয়া যায়।

    ❑ প্রিয় বোন!

    শুরু থেকেই দৃঢ় ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন- পুরো রমাদান মাস আপনি আল্লাহর ইবাদতে কাটাবেন। অনর্থক সময় বরবাদ না করে জিকির-আজকার, তওবা-ইস্তেগফার ও তিলাওয়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখবেন।

    ❑ রমাদানে বোনদোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল, রমাদানের মাসায়েল ও আহকাম শেখা। সাওমের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব, আদব ইত্যাদি শিখা খুবই জরুরী। যাতে সাওমের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজটি যথাযথ ভাবে আদায় করা সম্ভব হয়।

    সবচেয়ে বড় কথা হল বোনদের জন্য বিশেষ কিছু অবস্থা আছে, যখন তারা রোজা রাখতে পারে না। এ বিষয়ে আলাদা কিছু আহকাম আছে। কখন রোজা রাখবে, কখন রোজা রাখতে পারবে না, কখন পবিত্র হবে, কাজা কিভাবে করতে হবে, কাফফারা কখন ওয়াজিব হয়- এ ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা আছে। মায়ের কাছ থেকে, স্বামীর সাহায্য নিয়ে, কোনো আলীমার কাছ থেকে বা এই বিষয়ে লেখা বই পড়ে কিংবা অন্য যে কোন ভাবে এসব মাসআলা শিখে নিতে হবে।

    ❑ প্রিয় বোন!

    রমাদানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সময় মত সালাত আদায় করা। পুরো মাসে এক ওয়াক্ত সালাতও যেনো কাজা না হয়। ফরজ এর পাশাপাশি কিছু নফলও আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।

    বিশেষ করে প্রতিদিন সেহেরির খাবার তৈরীর জন্য একটু আগে-ভাগে উঠে দু-চার রাকাত তাহাজ্জুদ আদায় করুন। কতক্ষন আর লাগবে, চার রাকাত নামাজ পড়তে! একটু হিম্মত করলেই সম্ভব। রমাদানে যদি তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেন এটি হবে রমাদান থেকে পাওয়া আপনার সুন্দর একটি উপহার। আর গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিদিন তারাবী আদায় করুন। তারাবীর জন্য একটি সময় নির্ধারিত করুন। এখন থেকে নিয়ত করুন একদিনও তারাবি মিস করবেন না।

    ❑ প্রিয় বোন!

    রমাদানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো, কুরআন তিলাওয়াত, রমাদানে পুরো কুরআন অন্তত একবার হলেও খতম করার চেষ্টা করুন। কোন কোন সময়ে তিলাওয়াত করবেন তা ঠিক করে ফেলুন। প্রতিদিন অন্তত এক পারা তিলাওয়াত করুন। রমাদান মাসে এক খতম কুরআন তিলাওয়াত করতে না পারা দুর্ভাগ্যের ব্যাপার।

    মুসনাদে আহমাদে এসেছে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

    ‘সওম ও কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। সওম বলবে, হে আমার রব! আমি দিনের বেলায় তাকে পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা পূরণ করতে দেইনি, আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। আর কুরআন বলবে, আমি রাতের বেলায় তাকে ঘুমাতে দেইনি, আপনি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। তাদের সুপারিশ কবুল করা হবে।’’

    ❑ প্রিয় বোন!

    রমাদানের একটি মৌলিক আমল হলো, তাওবা ও ইস্তেগফার। হাদীসে এসেছে, রমাদান মাস পেয়েও যে নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারেননি তাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদদোয়া করেছেন। সুতরাং একটু চিন্তা করে দেখুন বিষয়টি কত স্পর্শকাতর। তাই রমাদান জুড়ে আপনার চেষ্টা থাকবে আপনার অতীত জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমা করিয়ে নেওয়া। যখনই সুযোগ পান নির্জনে আল্লাহর দরবারে হাত তুলুন, কাঁদুন-রোনাজারি করুন। নিশ্চই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

    ❑ প্রিয় বোন! রমাদান সওমের মাস, সবরের মাস, ত্যাগের মাস। এটি মোটেও খাওয়া দাওয়ার মাস নয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হল, অনেক পরিবারে রমাদান আসে খাওয়া দাওয়ার মাস হিসেবে। এই মাসে পরিবারের নারীরা রান্না ঘর থেকে বের হওয়ার সময়ই যেন পাননা। দিন ও রাতের বড় একটি অংশ তারা কাটিয়ে দেন রান্নাঘরে। রকমারি খাবারের আয়োজনে।

    ❑ প্রিয় বোন! রমাদান নানা আইটেমের রং-বেরংয়ের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার জন্য নয়। পুরো বছরে মাত্র চারটি সপ্তাহ। ত্রিশটি দিন। এই মূল্যবান সময়কে এভাবে রান্নাঘরে বরবাদ করলে আপনি আর কখন নিজের আখিরাত নিয়ে চিন্তা করবেন! কখন তিলাওয়াত করবেন! কখন নির্জনে গিয়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলবেন!

    ❑ প্রিয় বোন! ইফতার ও সেহরিতে সুস্বাদু-পুষ্টিকর দু-একটি আইটেমই কি যথেষ্ট নয়? ইবাদতের মাসে কেন খাওয়া দাওয়ার এই বিলাসিতা! এ ব্যাপারে আপনার স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করুন। রান্নাঘরের সময়টিকে কমিয়ে আনুন। আল্লাহ আপনাকে তৌফিক দিন।

    অনেক বোন আবার মন খারাপ করেন, রামাদানে স্বামী ও সন্তানদের পরিচর্যায় ইফতার ও সাহরির আয়োজনে তাদের অনেক সময় চলে যায়। তারা পুরুষদের মত ইবাদত করার সুযোগ পান না।

    ❑ প্রিয় বোন! আপনার এই চিন্তা সঠিক নয়। আপনি যে স্বামী সন্তানদের পরিচর্যা করছেন, ইফতার ও সাহরির আয়োজনে কষ্ট করছেন। এগুলো আপনার ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আপনি কেবল নিয়ত করলেই হবে। আপনার প্রস্তুতকৃত খাবার খেয়ে আপনার স্বামী ও সন্তান সাওম পালন করছেন। এ সাওয়াবের কোনো তুলনা হয় না।

    সুতরাং কাজ করার সময় সাওয়াবের নিয়ত করতে ভুলবেন না। আর রান্নাঘরের কাটানো সময় গুলো একটু বিচক্ষণতার সাথে ব্যয় করুন। কাজ করতে করতে মুখে আল্লাহর যিকির জারি রাখুন। কোনো শাইখের রমাদান বিষয়ক বয়ান একটু উঁচু শব্দে ছেড়ে দিন। কাজ করতে করতে বয়ান শুনুন। ইন শা আল্লাহ এতে আপনার রান্নাঘরের সময়টুকু থেকে আপনি দ্বিগুণ সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন।

    ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লাহ্ কত সুন্দরই না বলেছেন,

    "আমল ও নিয়ত সম্পর্কে সচেতন লোকদের অভ্যাস গুলো ইবাদত, আর গাফিল লোকদের ইবাদত গুলো অভ্যাস’’

    ❑ প্রিয় বোন! সওম মানে কেবল পেটকে অনাহারে রাখা নয়। বরং সওম মানে সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। শুধু পেট নয়, চোখ-হাত-পা-জিহ্বা সবগুলোকে সওম পালন করান। চোখের হেফাজত করুন। জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, চোগলখোরি, ঝগড়া-বিবাদ সবকিছু পরিহার করুন।

    সহীহ বুখারীতে এসেছে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

    ‘‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি তার পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।’’

    ❑ প্রিয় বোন! রমাদানের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হলো, সাদাকাহ্। স্বামী ও সন্তানদের মাধ্যমে আশপাশের গরিব পরিবারগুলো খোঁজ-খবর নিন। তারা ঠিকমতো সেহেরি ও ইফতার করতে পারছে কিনা খেয়াল করুন। আপনার স্বামী ও সন্তানদের সাদাকার প্রতি উৎসাহ দিন।

    ❑ প্রিয় বোন! রমাদানে পরিবারে আপনার ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কেবল নিজে সময়ের হেফাজত করবেন সময়কে কাজে লাগাবেন এমনটি নয়। বরং পরিবারের সবার ইবাদতের দিকেও আপনার খেয়াল রাখতে হবে।

    স্বামী ও সন্তানদের সালাতের কথা স্মরণ করিয়ে দিন। আযানের পর তাদের মসজিদের দিকে রওনা করিয়ে দিন। তাদেরকে নফল সালাত ও জিকির-আজকারের তাগিত দিন। ইন শা আল্লাহ তাদের আমলের সমপরিমাণ সওয়াব আল্লাহ আপনাকেও দান করবেন।

    পরিশেষ দোয়া করি, আল্লাহ আমাদের মুমিন বোনদের সুন্দর ও সফলভাবে রমাদান অতিবাহিত করার তাওফীক দিন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
    সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা পোস্টকারী ভাইয়ের মেহনতকে কবুল করুন ও উত্তম জাযা দান করুন।

    মাশা আল্লাহ, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী একটি উপকারী পোস্ট। আমাদের সকলের উচিত- তা আমাদের মাহরাম মহিলাদের নিকট শেয়ার করা।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আমাদের মু’মিনা বোনদের সুন্দর ও সফলভাবে রমাদান অতিবাহিত করার তাওফীক দিন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by munshi abdur rahman View Post
      আল্লাহ তা‘আলা পোস্টকারী ভাইয়ের মেহনতকে কবুল করুন ও উত্তম জাযা দান করুন।
      আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন। ওয়া ইয়্যাকা আইদ্বন মুহতারাম ভাইজান।

      আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আমাদের মু’মিনা বোনদের সুন্দর ও সফলভাবে রমাদান অতিবাহিত করার তাওফীক দিন। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন।
      আমীন সুম্মা আমীন।
      সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ, শেয়ার করার মত একটি পোস্ট। জাযাকাল্লাহ
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X