অশান্ত হৃদয় প্রশান্তির খোঁজে!
হে আমার যুবক ভাই!
রাত যত গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করছে। মানুষের কোলাহল ভেসে বেড়াচ্ছে নির্জন আঁধারে। একঝাঁক বনুহাস কাঁদছে শোকে। পাখিরা ঘুমিয়ে পড়েছে পলকের ভিতর মুখ রেখে। ফুলেরাও ঘুমিয়ে আছে নিঃশব্দ রাতের কোলে। নদীর ঢেউগুলো থেমে গেছে বন্দরে বন্দরে। কিন্তু থেমে যায়নি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বীর মুজাহিদীনদের অশ্রুঝরা কান্না আর রোনাজারি। কেউ দন্ডায়মান হয়ে, কেউ পাশ্বশয়ন করে, আবার কেউ সালাতে ডুকরে ডুকরে কেঁদেই যাচ্ছে প্রভুর সান্নিধ্যপরশের এক টুকরো শিশিরের শীতল ছোঁয়া পাবার জন্য। কিন্তু আমি আপনি কি তাই করছি, প্রভুর সান্নিধ্য হাসিলের এক পলশা নিয়ামকের জন্য?
★★জীবনের জড়তার জোয়ারে এখনো ভেসে আছি। সন্ধ্যার ঘনঘোর আঁধারের অতলায় এখনো ডুবে আছি। ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে ফিরে আসতে চায়না মন। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে আলো ধরতে চায়না অন্তর।★★
প্রিয় যুবক ভাই!
নিশ্চিয় আপনার দিলেও একথার সায় দেয় যে..রাতেরও শেষ আছে, ক্লান্তিরও অবসান আছে। জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে আছড়ে পরা দ্বীপের কূলে, বাঁধতে হবে নোঙ্গরের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে।
আজকের কথাগুলো একটু অচেনা, তাই না? কিন্তু দরকারি। মনে হবে নতুন, কিন্তু ভীষণ ভাবনার উদ্রেককারী।
★মানুষের জীবন একটি সফরের ন্যায়। এর শুরু হয় মায়ের কোল হতে, শেষ হয় কবরে। এর প্রতি বছর যেন এক একটি মঞ্জিল। মাস ও দিনগুলো যেন এক একটি মাইল ও তার চিহ্ন বিশেষ। তার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস যেন এক একটি পদক্ষেপ।★
আচ্ছা যুবক ভাই! তুমি কি জানো?
ইতিহাস কেন দ্বীন দরদী ও জন দরদী যুবকদের নিয়ে লুকোচুরি খেলে? জীবনের মূল্য দেয়া যুবকগুলোকে কেন তাঁর বুকে ঠায় দেয়? তাদের সাথে তার কি এত সখ্যতা? কি এত মমতা? আজ পর্যন্ত এ রহস্যটাই উদঘাটন করতে পারলাম না।
তুমি কি যেন বলতে চাচ্ছো? বলো. বলো. শুনি!
আমি মনযোগ দিয়ে শুনছি। তুমি বলতে থাকো,,
★★আমি সবে মাত্র মাদরাসাতুল মদিনায় ভর্তি হয়েছি। সব তালেবানে উলুমের চেহারায় কেমন জানি নুরানি দ্যুতি, জীবনের প্রতি কেমন জানি আকাশ ছোঁয়া উচ্চাশা। সবার হাতে কলমে সাহিত্যের দুরন্ত জাদু। এমন পরিস্থিতিতে আমার মেঘাচ্ছন্ন আকাশে উদয় হয়েছে জীবনের প্রতি মায়া। হন্যে হয়ে তালাশ করছি জীবনের মূল্য। তবে একটু ভিন্নরকম। সব সাহিত্যের চেয়ে আলাদা এক সাহিত্য।
এরই মাঝে একদিন চোখ পড়লো আলী নদবীর জীবনের পাতায়, চোখ একটু এগিয়ে যেতেই উদঘাটন করে ফেললো আপনার রহস্যের কথা।
ও আচ্ছা; তাই! তাড়াতাড়ি শুনিয়ে ফেলো।
অসারতা আর পেরেশানি ভাগ বসাবার আগেই।
★★তুমি একজন আল্লাহর সৈনিক।
তুমি সত্যের জন্য লড়াই করবে। বাতিলের সাথে মোকাবেলা করবে। তাহলে তুমি কি মনে করো যে, তোমার পথ হবে কুসুমাস্তীর্ণ? তুমি শুধু ফুলের পাপড়ি মাড়িয়ে এগিয়ে যাবে সম্মুখ পানে! সবুজ ঘাসের গালিচা পারিয়ে এগিয়ে যাবে মানযিলে মাকসাদে!
না, না তাতো হবে না। আল্লাহর পথের সৈনিক যারা তাদের পথ হয় চড়াই উতরাই, বড় দুর্গম, কণ্টকাকীর্ণ। তাদের পায়ে শুধু কাঁটা ফোটে আর ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরে। তবুও তাদের পথ চলা থামেনা। তবুও তারা এগিয়ে যায় লক্ষ্যের পানে।
সুতরাং হে তরুন! হে যুবক!
তোমাকে হতে হবে অকুতোভয়। জিহাদের ময়দানে তোমার বুক থেকে যতবেশি রক্ত ঝরবে, তোমার অন্তর থেকে যতবেশি রক্তক্ষরণ হবে, আল্লাহর দ্বীন ততবেশি যিন্দা হবে। নির্জন রাতে জায়নামাযে তোমার চোখ থেকে যতবেশি অশ্রু ঝরবে। আসমান থেকে আল্লাহর মদদ ততবেশি নেমে আসবে।★★
সুতরাং পথের কাটা দেখে ভয় পেওনা। বাতিলের হুংকার শুনে দমে যেওনা। তোমার তাকবীর ধ্বনিতে মিসমার হয়ে যাবে বাতিলের দুর্গ। তোমার পদাঘাতে উল্টে যাবে ফেরাউনের তখত তাউস। তুমি যদি মূসার মতো হিম্মত করো আর আল্লাহর গায়েবী মদদ এর উপর ভরসা করো।
ঐযে শোনো আল্লাহর দ্বীন ফরিয়াদ করে ডাকছে, এখনো কাটবে না তোমার গাফলতের ঘুম?এখনো পড়বে না উমর আর খালিদের ইতিহাস? এখনো শুনবে না দুর্বল আর মাজলুমের আত্মচিৎকার?
★★ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়,,
তুমি বিন কাসিম ও বিন যিয়াদের উত্তরসূরী। সালাহুদ্দিন আয়ূবীর প্রতিভা লালনকারী উত্তরাধীকারী। তোমাদের অতীতের বাস্তবতা দেখে সত্যিই যুবকরা বিমোহিত।
তার একটুখানি ঝলক,,
তলোয়ারের ঝনঝনানি, গিরিপথে ছুঁটে আসা অশ্বারোহীর শা শা আওয়াজ, তিরন্দাজের বাকা চাহনী আর পাহাড়ের বুক চিরে আসা মুসাফিরের রক্তিম অবয়ব এর দৃশ্য দেখে মৃত্যু তার আসল রহস্য ভুলে যায়। হুশ ফিরে আসার পূর্বেই যুবক তার জীবনের একটি মূল উদ্দেশ্য হাছিল করে নেয়। শহিদী মৃত্যু,,
পরক্ষণেই তার আফসোসের কোন অন্ত থাকে না।
কারণ মৃত্যুও একটি সার্থপর বস্তু। সে চায় না যে, কোন যুবক তাঁর রবের সান্নিধ্য হাছিল করুক, তাঁর রবের দিদার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করুক, প্রিয় হাবিবের আনুগত্যে জীবনকে ধন্য করুক, ভয় আর দুরাশা কাটিয়ে নির্ভীক হয়ে উঠুক, সালেহীন ও শুহাদাদের কাতারে শামিল হোক।
★★সুতরাং আমি চাই এসবের মায়াজাল ছিন্ন করে সূর্যের লাল আভার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে, সমুদ্রের উপড়ে পড়া ঢেউয়ের সাথে নিভীর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে, পূর্ণিমার চাদের জোসনার সাথে পাল্লা দিয়ে আঁধারের অবসান ঘটাতে, বীরের বীরত্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে মানব সত্তাকে ফুটিয়ে তুলতে, নির্ভীকের নির্ভীকতার সাথে লড়াই করে সাদিকীনদের দল ভারি করতে!★★
তাদের কাছে দহন যন্ত্রণা, কহন কাহিনি, অনুযোগ-অভিযোগ, একঘেয়েমি-আলসেয়েমির কোন স্থান নেই। তাদের শ্লোগান একটাই অন্ধকারকে দূরে ঠেলে দাও আলোকে গ্রহণ করে নাও। তাই বন্ধুত্ব করলে তাদের সাথেই করা উচিৎ। জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আর কোন অভিলাষ থাকবে না। চাওয়া-পাওযায় কোন প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে না।
★আহ! আমি তো দেখছি,
তোমার দহন যন্ত্রণা আমার চেয়েও বেশি। তোমার হৃদয়ের আকুতিগুলো আরো বেশি স্পর্শকাতর। তোমার বুকে জমানো ব্যথাগুলো তাড়া করিয়ে বেড়াচ্ছে সারাক্ষণ। মনে হচ্ছে উম্মাহর দিলের ক্ষত তোমাকে আচ্ছন্ন করে আছে! তোমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে!
হে প্রিয় যুবক ভাই!
পরকালের স্বার্থে আমিও হয়ে উঠতে চাই আরো বড় স্বার্থপর, তুচ্ছ দুনিয়ার সাথে দীপ্তকন্ঠে ঘোষনা করতে চাই বারাআত।
★ইয়া রব! এ অশান্ত হৃদয়কে শান্ত করে দাও। ইয়া আল্লাহ! এ পাপকৃষ্ট আত্মাকে ইমান ও ইলমের আলোয় সুশোভিত করে দাও। ইয়া মালিক! এ মোহরাঙ্কিত জীবনকে মহিমান্বিত করে দাও।
হে আমার যুবক ভাই!
রাত যত গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করছে। মানুষের কোলাহল ভেসে বেড়াচ্ছে নির্জন আঁধারে। একঝাঁক বনুহাস কাঁদছে শোকে। পাখিরা ঘুমিয়ে পড়েছে পলকের ভিতর মুখ রেখে। ফুলেরাও ঘুমিয়ে আছে নিঃশব্দ রাতের কোলে। নদীর ঢেউগুলো থেমে গেছে বন্দরে বন্দরে। কিন্তু থেমে যায়নি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বীর মুজাহিদীনদের অশ্রুঝরা কান্না আর রোনাজারি। কেউ দন্ডায়মান হয়ে, কেউ পাশ্বশয়ন করে, আবার কেউ সালাতে ডুকরে ডুকরে কেঁদেই যাচ্ছে প্রভুর সান্নিধ্যপরশের এক টুকরো শিশিরের শীতল ছোঁয়া পাবার জন্য। কিন্তু আমি আপনি কি তাই করছি, প্রভুর সান্নিধ্য হাসিলের এক পলশা নিয়ামকের জন্য?
★★জীবনের জড়তার জোয়ারে এখনো ভেসে আছি। সন্ধ্যার ঘনঘোর আঁধারের অতলায় এখনো ডুবে আছি। ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে ফিরে আসতে চায়না মন। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে আলো ধরতে চায়না অন্তর।★★
প্রিয় যুবক ভাই!
নিশ্চিয় আপনার দিলেও একথার সায় দেয় যে..রাতেরও শেষ আছে, ক্লান্তিরও অবসান আছে। জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে আছড়ে পরা দ্বীপের কূলে, বাঁধতে হবে নোঙ্গরের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে।
আজকের কথাগুলো একটু অচেনা, তাই না? কিন্তু দরকারি। মনে হবে নতুন, কিন্তু ভীষণ ভাবনার উদ্রেককারী।
★মানুষের জীবন একটি সফরের ন্যায়। এর শুরু হয় মায়ের কোল হতে, শেষ হয় কবরে। এর প্রতি বছর যেন এক একটি মঞ্জিল। মাস ও দিনগুলো যেন এক একটি মাইল ও তার চিহ্ন বিশেষ। তার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস যেন এক একটি পদক্ষেপ।★
আচ্ছা যুবক ভাই! তুমি কি জানো?
ইতিহাস কেন দ্বীন দরদী ও জন দরদী যুবকদের নিয়ে লুকোচুরি খেলে? জীবনের মূল্য দেয়া যুবকগুলোকে কেন তাঁর বুকে ঠায় দেয়? তাদের সাথে তার কি এত সখ্যতা? কি এত মমতা? আজ পর্যন্ত এ রহস্যটাই উদঘাটন করতে পারলাম না।
তুমি কি যেন বলতে চাচ্ছো? বলো. বলো. শুনি!
আমি মনযোগ দিয়ে শুনছি। তুমি বলতে থাকো,,
★★আমি সবে মাত্র মাদরাসাতুল মদিনায় ভর্তি হয়েছি। সব তালেবানে উলুমের চেহারায় কেমন জানি নুরানি দ্যুতি, জীবনের প্রতি কেমন জানি আকাশ ছোঁয়া উচ্চাশা। সবার হাতে কলমে সাহিত্যের দুরন্ত জাদু। এমন পরিস্থিতিতে আমার মেঘাচ্ছন্ন আকাশে উদয় হয়েছে জীবনের প্রতি মায়া। হন্যে হয়ে তালাশ করছি জীবনের মূল্য। তবে একটু ভিন্নরকম। সব সাহিত্যের চেয়ে আলাদা এক সাহিত্য।
এরই মাঝে একদিন চোখ পড়লো আলী নদবীর জীবনের পাতায়, চোখ একটু এগিয়ে যেতেই উদঘাটন করে ফেললো আপনার রহস্যের কথা।
ও আচ্ছা; তাই! তাড়াতাড়ি শুনিয়ে ফেলো।
অসারতা আর পেরেশানি ভাগ বসাবার আগেই।
★★তুমি একজন আল্লাহর সৈনিক।
তুমি সত্যের জন্য লড়াই করবে। বাতিলের সাথে মোকাবেলা করবে। তাহলে তুমি কি মনে করো যে, তোমার পথ হবে কুসুমাস্তীর্ণ? তুমি শুধু ফুলের পাপড়ি মাড়িয়ে এগিয়ে যাবে সম্মুখ পানে! সবুজ ঘাসের গালিচা পারিয়ে এগিয়ে যাবে মানযিলে মাকসাদে!
না, না তাতো হবে না। আল্লাহর পথের সৈনিক যারা তাদের পথ হয় চড়াই উতরাই, বড় দুর্গম, কণ্টকাকীর্ণ। তাদের পায়ে শুধু কাঁটা ফোটে আর ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরে। তবুও তাদের পথ চলা থামেনা। তবুও তারা এগিয়ে যায় লক্ষ্যের পানে।
সুতরাং হে তরুন! হে যুবক!
তোমাকে হতে হবে অকুতোভয়। জিহাদের ময়দানে তোমার বুক থেকে যতবেশি রক্ত ঝরবে, তোমার অন্তর থেকে যতবেশি রক্তক্ষরণ হবে, আল্লাহর দ্বীন ততবেশি যিন্দা হবে। নির্জন রাতে জায়নামাযে তোমার চোখ থেকে যতবেশি অশ্রু ঝরবে। আসমান থেকে আল্লাহর মদদ ততবেশি নেমে আসবে।★★
সুতরাং পথের কাটা দেখে ভয় পেওনা। বাতিলের হুংকার শুনে দমে যেওনা। তোমার তাকবীর ধ্বনিতে মিসমার হয়ে যাবে বাতিলের দুর্গ। তোমার পদাঘাতে উল্টে যাবে ফেরাউনের তখত তাউস। তুমি যদি মূসার মতো হিম্মত করো আর আল্লাহর গায়েবী মদদ এর উপর ভরসা করো।
ঐযে শোনো আল্লাহর দ্বীন ফরিয়াদ করে ডাকছে, এখনো কাটবে না তোমার গাফলতের ঘুম?এখনো পড়বে না উমর আর খালিদের ইতিহাস? এখনো শুনবে না দুর্বল আর মাজলুমের আত্মচিৎকার?
★★ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়,,
তুমি বিন কাসিম ও বিন যিয়াদের উত্তরসূরী। সালাহুদ্দিন আয়ূবীর প্রতিভা লালনকারী উত্তরাধীকারী। তোমাদের অতীতের বাস্তবতা দেখে সত্যিই যুবকরা বিমোহিত।
তার একটুখানি ঝলক,,
তলোয়ারের ঝনঝনানি, গিরিপথে ছুঁটে আসা অশ্বারোহীর শা শা আওয়াজ, তিরন্দাজের বাকা চাহনী আর পাহাড়ের বুক চিরে আসা মুসাফিরের রক্তিম অবয়ব এর দৃশ্য দেখে মৃত্যু তার আসল রহস্য ভুলে যায়। হুশ ফিরে আসার পূর্বেই যুবক তার জীবনের একটি মূল উদ্দেশ্য হাছিল করে নেয়। শহিদী মৃত্যু,,
পরক্ষণেই তার আফসোসের কোন অন্ত থাকে না।
কারণ মৃত্যুও একটি সার্থপর বস্তু। সে চায় না যে, কোন যুবক তাঁর রবের সান্নিধ্য হাছিল করুক, তাঁর রবের দিদার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করুক, প্রিয় হাবিবের আনুগত্যে জীবনকে ধন্য করুক, ভয় আর দুরাশা কাটিয়ে নির্ভীক হয়ে উঠুক, সালেহীন ও শুহাদাদের কাতারে শামিল হোক।
★★সুতরাং আমি চাই এসবের মায়াজাল ছিন্ন করে সূর্যের লাল আভার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে, সমুদ্রের উপড়ে পড়া ঢেউয়ের সাথে নিভীর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে, পূর্ণিমার চাদের জোসনার সাথে পাল্লা দিয়ে আঁধারের অবসান ঘটাতে, বীরের বীরত্বের সাথে প্রতিযোগিতা করে মানব সত্তাকে ফুটিয়ে তুলতে, নির্ভীকের নির্ভীকতার সাথে লড়াই করে সাদিকীনদের দল ভারি করতে!★★
তাদের কাছে দহন যন্ত্রণা, কহন কাহিনি, অনুযোগ-অভিযোগ, একঘেয়েমি-আলসেয়েমির কোন স্থান নেই। তাদের শ্লোগান একটাই অন্ধকারকে দূরে ঠেলে দাও আলোকে গ্রহণ করে নাও। তাই বন্ধুত্ব করলে তাদের সাথেই করা উচিৎ। জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আর কোন অভিলাষ থাকবে না। চাওয়া-পাওযায় কোন প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে না।
★আহ! আমি তো দেখছি,
তোমার দহন যন্ত্রণা আমার চেয়েও বেশি। তোমার হৃদয়ের আকুতিগুলো আরো বেশি স্পর্শকাতর। তোমার বুকে জমানো ব্যথাগুলো তাড়া করিয়ে বেড়াচ্ছে সারাক্ষণ। মনে হচ্ছে উম্মাহর দিলের ক্ষত তোমাকে আচ্ছন্ন করে আছে! তোমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে!
হে প্রিয় যুবক ভাই!
পরকালের স্বার্থে আমিও হয়ে উঠতে চাই আরো বড় স্বার্থপর, তুচ্ছ দুনিয়ার সাথে দীপ্তকন্ঠে ঘোষনা করতে চাই বারাআত।
★ইয়া রব! এ অশান্ত হৃদয়কে শান্ত করে দাও। ইয়া আল্লাহ! এ পাপকৃষ্ট আত্মাকে ইমান ও ইলমের আলোয় সুশোভিত করে দাও। ইয়া মালিক! এ মোহরাঙ্কিত জীবনকে মহিমান্বিত করে দাও।
Comment