অস্ত্রের সংস্পর্শ পেতে আমি খুব ভালবাসি
প্রিয় যুবক ভাই!
মানুষের জীবনে কতজন কত সাহিত্যের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়। আজকে আপনাদের সব সাহিত্যের চেয়ে আলাদা এক সাহিত্যের কথা শুনাবো। এমন সাহিত্য পড়ে সাহিত্যক হওয়ার যোগ্যতা সবার ভাগ্যে জুটে না। তবে তাঁদের পাঠক হওয়ার জন্য অবশ্যই কোন অর্জনের প্রয়োজন হয় না। তেমনই একজন সাহিত্যিক যাকে আমরা চিনি বাগদান স্নাইপার হিসেবে। মজার বিষয় হলো তিনি ভাষা সাহিত্যের কথা রসিয়ে রসিয়ে বলতে না পারলেও অস্ত্র সাহিত্যের কথা কষিয়ে কষিয়ে বুঝানোর দিক থেকে ছিলেন দারুণ পারদর্শী। তার জীবনের সুন্দর একটি অনুভূতি-
★★আমি সবেমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছি। এরই মাঝে একদিন বাবার কাছে বায়না ধরলাম আমাকে পিস্তল কিনে দেবার জন্য। বাবা তার ছেলের আবদার রক্ষা করলেন। এই ছোট্ট অস্ত্রটি এখন আমার জীবনের অমূল্য সম্পদ। যখনই অস্ত্রটি হাতে নেই একটু সান্নিধ্য গ্রহণ করার জন্য তখন আমার অন্তর জগতে যে ভাব ও ভাবনার সৃষ্টি হয়, এমন কোনো শব্দ আমার জানা নেই যা দ্বারা অন্তরের সে ভাব ও ভাবনা প্রকাশ করা সম্ভব। মনে হয় এ শুধু একান্তে অনুভব করার বিষয়। নিজেকে তখন বড় সমৃদ্ধ মনে হয়। নিজেকে বড় সাহসী লাগে। হয়ত এর ট্রিগার কোনদিন চেপে দেখি নাই। তাঁকে শুধু সাঁজিয়ে রেখেছি। আর মাঝেমধ্যে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। মহব্বতের নজরে, ভালোবাসার দৃষ্টিতে, তাতেই যেন আমার হৃদয় ও আত্মা কোন অদৃশ্যলোক থেকে আলো গ্রহন করতে থাকে। অন্তহীন এক আলোর স্রোতে আমার সর্বস্বত্তা যেন অবগাহন করতে থাকে। সুতরাং একটু চিন্তা করুন তো! যাদের অস্ত্র হাতে তাকবীর ধ্বনিতে ময়দান প্রকম্পিত হয়ে উঠে তাদের অনুভূতির কথা! সম্ভব নয়!!
তখনই স্পষ্ট অনুভব করি পরম সত্তার পক্ষ হতে ঝিরঝির করে মমতা ও করুণার এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞার শিশির বর্ষিত হচ্ছে । তাতে আমি সিক্ত হই এবং স্নাত হই! তাতে আমি আপ্লুত হই এবং উদ্বেলিত হই!
★★অস্ফুট পর্দায় যখনই কোন মুজাহিদ ভাইয়ের ট্রিগার চাপার দৃশ্য দেখি, সৈন্য সারিতে অস্ত্র কাঁধে উপচে পড়া নলের ডগাগুলো দেখি। মেশিনগান আর শটগানের সারিবহরের সৌন্দর্যে অধমের এ দৃষ্টি আটকে যায়। তখনই মনে হয় অস্ত্র ছাড়া একজন তরুণের জীবন জীবনই নয়।
ভেতর থেকে মানবসত্ত্বা উঁকি মেরে বলছে, এ নল তো উম্মাহর জীবনকে সমৃদ্ধ করে দেয়। ফিকির- আফকারে, যিকির-আযকারে, লাযিয-লাযযাতে। সেই সাথে অস্ত্রের অনুভূতি ও আকুতির কথাগুলোও বলতে ভুলে যায়নি।
★অস্ত্রের অনুভূতিঃ
আমি যখন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে মিলিত হই আমার অন্তর জগতে তখন বহুমুখী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হৃদয়ের সরোবরে তখন যেন তারুণ্য শক্তির অজস্র স্রোত এসে মিলিত হয়। বিশেষ করে গহীন বনে যখন সে আমাকে বহন করে নিয়ে চলে, পাহাড়ের গিরিপথে আর আর উপত্যকাগুলোতে তখন অপূর্ব এক অনুভুতি আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
★অস্ত্রের আকুতিঃ
আমি তরুণকে জানাই সশদ্ধ সালাম। তার মাধ্যমে আমি সম্মানিত হই। আর আমার মাধ্যমে সে সম্মানিত হয়। দুজন দুজনকে ছাড়া কেমন জানি পালকহীন ময়ূরের মত। মাঝি ব্যতিত নৌকা, নৌকা ছাড়া মাঝি। অন্তঃশূন্যহীন অবস্থা।
পালকসহ ময়ূরের কথা ভাবুন তো! কত সুন্দর তাই না! মাঝিসহ নৌকার কথা চিন্তা করুন তো! কত মসৃণ! পাল তুলে নৌকা চালাচ্ছে। আমিও তো সে কথায় বলছি, আমি ছাড়া তরুণ তরুণই নয় আর তরুণ ব্যতিত আমার অস্তিত্ব অস্তিত্বই নয়।
★আমাকে আপন করে নিয়ে উমর, আবু বক্কর, আলী ঠকেনি বরং সম্মানিতই হয়েছে। আমাকে বন্ধু বানিয়ে খালিদ, ইবনে খালদুন আর সালাহুদ্দিন পরাজিত হয়নি বরং মর্যাদার অধিকারীই হয়েছে। আমার সাথে পরিচয় হয়ে বিন কাসেম, বিন যিয়াদ আর বিন লাদেন লাঞ্ছিত হয়নি বরং ইতিহাসও তাদের আপন করে নিয়েছে। আমার সঙ্গ নিয়ে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আইমান, আসেম, ইমরান। আমাকে দিয়েই উমর মোল্লায় আর নুরুদ্দীন জঙ্গিতে রুপান্তরিত হয়েছে। আর তুমি কিনা আমাকে বন্ধু বানাতে হীনমন্যতায় ভোগছ?
যার আঘাতে বাতিলের মসনদ তুলোধুনো হয়, যার উত্তাপে তাগুতের সংসদ ছারখার হয়, যার গুলিতে শত্রুর কারসাজি এলোমেলো হয়। তাকেই তোমরা চিনতে পারছো না? এত এক অদ্ভুত ব্যাপার। তবে তোমাদের আচরণে আমি বিন্দু পরিমাণও ক্ষুদ্ধ নই। কিন্তু আমি আশ্চর্য হই! হতভম্ব হই! এত লাঞ্ছিত, এত নির্যাতিত, এত গুম, এত হত্যা হবার পরও কেন তারা আমার সঙ্গ নেয় না। কালের বিবর্তনে, সময়ের আবর্তনে কতবার জ্বলসে উঠেছি। আবারো জ্বলসে উঠার অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি। কিন্তু কেউ পাত্তায় দেয় না।
★★বরাবরের মত সব যুগেই আমি পুলকিত হই! শত্রুর নিয়ন্ত্রণে আমার পদচারণা দেখে। কি আর করার! নিয়তির লিখা। তারপরও তোমাদের হুশ ফিরবে বলে সে আশায় ক্ষণেক্ষণে চেয়ে থাকি।
অতীত ইতিহাস তো আমাকে বারবার এমন শিক্ষায় দিতে চাচ্ছে যে, মুসলিম সন্তানরা অস্ত্রের নলের আগার জান্নাত দেখে। অস্ত্রের নলের আগায় রিযিক তালাশ করে। অস্ত্রের নলের আগায় শাহাদাতের মর্যাদা খোঁজে বেড়ায়। কিন্তু আমি তা গ্রহণ করতে পারছিলাম না। কারণ আমি হলাম ভীষণ ভীতু। কারুপষতার ঝড় আমাকে জাপটে ধরেছিলো।
★কিন্তু এখন আর কোন ভয় হয় না।
কারণ তাকের মধ্যে সাঁজিয়ে রাখা ছোট্ট অস্ত্রটি আমাকে বশ করে ফেলেছে। শিখিয়ে ফেলেছে শক্তি ছাড়া কারো উপর দয়ার পরবশ হওয়া যায় না। নাদান মনে করা হয়।
জলন্ত প্রমাণঃ আমাদের অবস্থাই দেখুন! রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে সিজদার স্থান। লাশের সারির স্তুপে ভরে ফেলছে কবরস্থান। আহতের ককিয়ে উঠার গুনগুনানিতে ভারি হচ্ছে আসমান। তবুও আমাদের প্রতি তাদের কোন শোকবার্তা নেই। কারণ আজ তাদের অস্ত্রের শক্তির কাছে আমরা নত।
★★আল্লাহ তাদের মনের কথাটা বলে দিয়েছেন, তারা চায়, আমরা মসজিদ মাদ্রাসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ে পেরেশান হয়ে যাই। নারী আর বাড়ি নিয়ে আনন্দে ডুবে যাই। আর তারা আমাদের(মুসলিমদের) উপর রাতের শেষ প্রহরে ক্লিন মিশন চালাক। তাই আল্লাহ সতর্ক করে বলে দিয়েছেন- যেন আমরা সতর্ক থাকি এবং অস্ত্র ধারণ করি।
কিন্তু কে শুনে কার কথা! কে মানে কার আদেশ! আমরা আমাদের মতই। জাহেলদের পথ আঁকড়ে ধরে বসে আছি। উদ্ভান্তের ন্যায় একই স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছি হাজার বছর ধরে। তবুও পরিত্রাণের পথ খোঁজার ফুরসত হয়না।
★★আমি বলি কি! এমন ইলম শিখে কি লাভ যা উম্মাহর কোন কাজে আসে না! এমন নেতা হয়ে কি ফায়দা যা নির্যাতিতদের নিয়ে ভাবার সুযোগ হয় না! এমন রাহবার হওয়ার কি দরকার যা দুর্বলদের পথ দেখাতে পারে না! এমন ইমাম আর দায়ী হওয়ার কি প্রয়োজন যারা মা ও বোনের রক্তের মূল্য বুঝেনা। তাদের জন্য অস্ত্র তুলে ধরতে সাহস করতে পারেনা।
প্রিয় যুবক ভাই!
আমার ছোট্র অস্ত্রটির আকুতির কথা শুনলে তোমার হৃদয় রাজ্যে রীতিমত ঝড় উঠে যাবে।
ভগ্ন হৃদয়কে এফোড় ওফোড় করে দিবে। ক্ষতবিক্ষত অন্তরকে সে খুব করে বুঝাতে পারে।
আমার তখন কান্না পায়। তার সামনে না কাঁদলেও প্রায়ই একা একা কাঁদি। নফসের সাথে বুঝাপড়া করি। অবশেষে নফস এ সিন্ধান্তে উপনীত হলো যে, সে অস্ত্র সাহিত্যে পারদর্শী হবে। তাই আমিও অস্ত্রের সংস্পর্শ পেতে খুব ভালোবাসি।
★★হে আমার যুবক ভাই!
সেই ছোট্ট বয়স থেকেই ছোট্ট অস্ত্রের প্রেমে আজ তিনি অস্ত্রের কবি হয়ে উঠেছেন। অস্ত্রের সাহিত্যক হয়ে উঠেছেন। ইতিহাস তাকে নাম দিয়েছে বাগদাদ স্নাইপার। আর তিনি এতই পারদর্শী ছিলেন যে, দশটি নিশানার মধ্যে দশটিই ভেদ করে ফেলতে পারতেন। শত্রু কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও তার মাথার খুলি বাতাসে উড়ে যেতো।
পরিমার্জনাকৃতঃ
প্রিয় যুবক ভাই!
মানুষের জীবনে কতজন কত সাহিত্যের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়। আজকে আপনাদের সব সাহিত্যের চেয়ে আলাদা এক সাহিত্যের কথা শুনাবো। এমন সাহিত্য পড়ে সাহিত্যক হওয়ার যোগ্যতা সবার ভাগ্যে জুটে না। তবে তাঁদের পাঠক হওয়ার জন্য অবশ্যই কোন অর্জনের প্রয়োজন হয় না। তেমনই একজন সাহিত্যিক যাকে আমরা চিনি বাগদান স্নাইপার হিসেবে। মজার বিষয় হলো তিনি ভাষা সাহিত্যের কথা রসিয়ে রসিয়ে বলতে না পারলেও অস্ত্র সাহিত্যের কথা কষিয়ে কষিয়ে বুঝানোর দিক থেকে ছিলেন দারুণ পারদর্শী। তার জীবনের সুন্দর একটি অনুভূতি-
★★আমি সবেমাত্র প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছি। এরই মাঝে একদিন বাবার কাছে বায়না ধরলাম আমাকে পিস্তল কিনে দেবার জন্য। বাবা তার ছেলের আবদার রক্ষা করলেন। এই ছোট্ট অস্ত্রটি এখন আমার জীবনের অমূল্য সম্পদ। যখনই অস্ত্রটি হাতে নেই একটু সান্নিধ্য গ্রহণ করার জন্য তখন আমার অন্তর জগতে যে ভাব ও ভাবনার সৃষ্টি হয়, এমন কোনো শব্দ আমার জানা নেই যা দ্বারা অন্তরের সে ভাব ও ভাবনা প্রকাশ করা সম্ভব। মনে হয় এ শুধু একান্তে অনুভব করার বিষয়। নিজেকে তখন বড় সমৃদ্ধ মনে হয়। নিজেকে বড় সাহসী লাগে। হয়ত এর ট্রিগার কোনদিন চেপে দেখি নাই। তাঁকে শুধু সাঁজিয়ে রেখেছি। আর মাঝেমধ্যে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। মহব্বতের নজরে, ভালোবাসার দৃষ্টিতে, তাতেই যেন আমার হৃদয় ও আত্মা কোন অদৃশ্যলোক থেকে আলো গ্রহন করতে থাকে। অন্তহীন এক আলোর স্রোতে আমার সর্বস্বত্তা যেন অবগাহন করতে থাকে। সুতরাং একটু চিন্তা করুন তো! যাদের অস্ত্র হাতে তাকবীর ধ্বনিতে ময়দান প্রকম্পিত হয়ে উঠে তাদের অনুভূতির কথা! সম্ভব নয়!!
তখনই স্পষ্ট অনুভব করি পরম সত্তার পক্ষ হতে ঝিরঝির করে মমতা ও করুণার এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞার শিশির বর্ষিত হচ্ছে । তাতে আমি সিক্ত হই এবং স্নাত হই! তাতে আমি আপ্লুত হই এবং উদ্বেলিত হই!
★★অস্ফুট পর্দায় যখনই কোন মুজাহিদ ভাইয়ের ট্রিগার চাপার দৃশ্য দেখি, সৈন্য সারিতে অস্ত্র কাঁধে উপচে পড়া নলের ডগাগুলো দেখি। মেশিনগান আর শটগানের সারিবহরের সৌন্দর্যে অধমের এ দৃষ্টি আটকে যায়। তখনই মনে হয় অস্ত্র ছাড়া একজন তরুণের জীবন জীবনই নয়।
ভেতর থেকে মানবসত্ত্বা উঁকি মেরে বলছে, এ নল তো উম্মাহর জীবনকে সমৃদ্ধ করে দেয়। ফিকির- আফকারে, যিকির-আযকারে, লাযিয-লাযযাতে। সেই সাথে অস্ত্রের অনুভূতি ও আকুতির কথাগুলোও বলতে ভুলে যায়নি।
★অস্ত্রের অনুভূতিঃ
আমি যখন তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের সঙ্গে মিলিত হই আমার অন্তর জগতে তখন বহুমুখী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হৃদয়ের সরোবরে তখন যেন তারুণ্য শক্তির অজস্র স্রোত এসে মিলিত হয়। বিশেষ করে গহীন বনে যখন সে আমাকে বহন করে নিয়ে চলে, পাহাড়ের গিরিপথে আর আর উপত্যকাগুলোতে তখন অপূর্ব এক অনুভুতি আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখে।
★অস্ত্রের আকুতিঃ
আমি তরুণকে জানাই সশদ্ধ সালাম। তার মাধ্যমে আমি সম্মানিত হই। আর আমার মাধ্যমে সে সম্মানিত হয়। দুজন দুজনকে ছাড়া কেমন জানি পালকহীন ময়ূরের মত। মাঝি ব্যতিত নৌকা, নৌকা ছাড়া মাঝি। অন্তঃশূন্যহীন অবস্থা।
পালকসহ ময়ূরের কথা ভাবুন তো! কত সুন্দর তাই না! মাঝিসহ নৌকার কথা চিন্তা করুন তো! কত মসৃণ! পাল তুলে নৌকা চালাচ্ছে। আমিও তো সে কথায় বলছি, আমি ছাড়া তরুণ তরুণই নয় আর তরুণ ব্যতিত আমার অস্তিত্ব অস্তিত্বই নয়।
★আমাকে আপন করে নিয়ে উমর, আবু বক্কর, আলী ঠকেনি বরং সম্মানিতই হয়েছে। আমাকে বন্ধু বানিয়ে খালিদ, ইবনে খালদুন আর সালাহুদ্দিন পরাজিত হয়নি বরং মর্যাদার অধিকারীই হয়েছে। আমার সাথে পরিচয় হয়ে বিন কাসেম, বিন যিয়াদ আর বিন লাদেন লাঞ্ছিত হয়নি বরং ইতিহাসও তাদের আপন করে নিয়েছে। আমার সঙ্গ নিয়ে এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আইমান, আসেম, ইমরান। আমাকে দিয়েই উমর মোল্লায় আর নুরুদ্দীন জঙ্গিতে রুপান্তরিত হয়েছে। আর তুমি কিনা আমাকে বন্ধু বানাতে হীনমন্যতায় ভোগছ?
যার আঘাতে বাতিলের মসনদ তুলোধুনো হয়, যার উত্তাপে তাগুতের সংসদ ছারখার হয়, যার গুলিতে শত্রুর কারসাজি এলোমেলো হয়। তাকেই তোমরা চিনতে পারছো না? এত এক অদ্ভুত ব্যাপার। তবে তোমাদের আচরণে আমি বিন্দু পরিমাণও ক্ষুদ্ধ নই। কিন্তু আমি আশ্চর্য হই! হতভম্ব হই! এত লাঞ্ছিত, এত নির্যাতিত, এত গুম, এত হত্যা হবার পরও কেন তারা আমার সঙ্গ নেয় না। কালের বিবর্তনে, সময়ের আবর্তনে কতবার জ্বলসে উঠেছি। আবারো জ্বলসে উঠার অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছি। কিন্তু কেউ পাত্তায় দেয় না।
★★বরাবরের মত সব যুগেই আমি পুলকিত হই! শত্রুর নিয়ন্ত্রণে আমার পদচারণা দেখে। কি আর করার! নিয়তির লিখা। তারপরও তোমাদের হুশ ফিরবে বলে সে আশায় ক্ষণেক্ষণে চেয়ে থাকি।
অতীত ইতিহাস তো আমাকে বারবার এমন শিক্ষায় দিতে চাচ্ছে যে, মুসলিম সন্তানরা অস্ত্রের নলের আগার জান্নাত দেখে। অস্ত্রের নলের আগায় রিযিক তালাশ করে। অস্ত্রের নলের আগায় শাহাদাতের মর্যাদা খোঁজে বেড়ায়। কিন্তু আমি তা গ্রহণ করতে পারছিলাম না। কারণ আমি হলাম ভীষণ ভীতু। কারুপষতার ঝড় আমাকে জাপটে ধরেছিলো।
★কিন্তু এখন আর কোন ভয় হয় না।
কারণ তাকের মধ্যে সাঁজিয়ে রাখা ছোট্ট অস্ত্রটি আমাকে বশ করে ফেলেছে। শিখিয়ে ফেলেছে শক্তি ছাড়া কারো উপর দয়ার পরবশ হওয়া যায় না। নাদান মনে করা হয়।
জলন্ত প্রমাণঃ আমাদের অবস্থাই দেখুন! রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে সিজদার স্থান। লাশের সারির স্তুপে ভরে ফেলছে কবরস্থান। আহতের ককিয়ে উঠার গুনগুনানিতে ভারি হচ্ছে আসমান। তবুও আমাদের প্রতি তাদের কোন শোকবার্তা নেই। কারণ আজ তাদের অস্ত্রের শক্তির কাছে আমরা নত।
★★আল্লাহ তাদের মনের কথাটা বলে দিয়েছেন, তারা চায়, আমরা মসজিদ মাদ্রাসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ব্যবসা-বানিজ্য নিয়ে পেরেশান হয়ে যাই। নারী আর বাড়ি নিয়ে আনন্দে ডুবে যাই। আর তারা আমাদের(মুসলিমদের) উপর রাতের শেষ প্রহরে ক্লিন মিশন চালাক। তাই আল্লাহ সতর্ক করে বলে দিয়েছেন- যেন আমরা সতর্ক থাকি এবং অস্ত্র ধারণ করি।
কিন্তু কে শুনে কার কথা! কে মানে কার আদেশ! আমরা আমাদের মতই। জাহেলদের পথ আঁকড়ে ধরে বসে আছি। উদ্ভান্তের ন্যায় একই স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছি হাজার বছর ধরে। তবুও পরিত্রাণের পথ খোঁজার ফুরসত হয়না।
★★আমি বলি কি! এমন ইলম শিখে কি লাভ যা উম্মাহর কোন কাজে আসে না! এমন নেতা হয়ে কি ফায়দা যা নির্যাতিতদের নিয়ে ভাবার সুযোগ হয় না! এমন রাহবার হওয়ার কি দরকার যা দুর্বলদের পথ দেখাতে পারে না! এমন ইমাম আর দায়ী হওয়ার কি প্রয়োজন যারা মা ও বোনের রক্তের মূল্য বুঝেনা। তাদের জন্য অস্ত্র তুলে ধরতে সাহস করতে পারেনা।
প্রিয় যুবক ভাই!
আমার ছোট্র অস্ত্রটির আকুতির কথা শুনলে তোমার হৃদয় রাজ্যে রীতিমত ঝড় উঠে যাবে।
ভগ্ন হৃদয়কে এফোড় ওফোড় করে দিবে। ক্ষতবিক্ষত অন্তরকে সে খুব করে বুঝাতে পারে।
আমার তখন কান্না পায়। তার সামনে না কাঁদলেও প্রায়ই একা একা কাঁদি। নফসের সাথে বুঝাপড়া করি। অবশেষে নফস এ সিন্ধান্তে উপনীত হলো যে, সে অস্ত্র সাহিত্যে পারদর্শী হবে। তাই আমিও অস্ত্রের সংস্পর্শ পেতে খুব ভালোবাসি।
★★হে আমার যুবক ভাই!
সেই ছোট্ট বয়স থেকেই ছোট্ট অস্ত্রের প্রেমে আজ তিনি অস্ত্রের কবি হয়ে উঠেছেন। অস্ত্রের সাহিত্যক হয়ে উঠেছেন। ইতিহাস তাকে নাম দিয়েছে বাগদাদ স্নাইপার। আর তিনি এতই পারদর্শী ছিলেন যে, দশটি নিশানার মধ্যে দশটিই ভেদ করে ফেলতে পারতেন। শত্রু কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও তার মাথার খুলি বাতাসে উড়ে যেতো।
পরিমার্জনাকৃতঃ
Comment