আঙ্কেল আমার রোযা কি ভেঙ্গে যাবে?
_______★ফিলিস্তিনের গাজা শহরের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মুসলমান ও মুজাহিদীনদের সেবা করে আসছিলেন। তারই ছোট্ট এক অভিব্যক্তি-
আমি আমার জীবনের বোমার আঘাতপ্রাপ্ত শত শত মুহূর্ষ রোগীকে দেখেছি। কিন্তু এমন রোগী কখনো দেখিনি। 8/9 বছর বয়সী এক ছেলে বোমার আঘাতে আহত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে আনা হলো। তার অবস্থা এমন ছিল যে তার ভেতরের সবকিছু ফেটে বাইরে চলে এসেছে।
কিন্তু আমি ছেলেটাকে যতবার দেখছিলাম ততবারই অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বুক ফেটে কান্না আসছিল। এত রোগীর মাঝে তার প্রতি কেমন জানি আলাদা এক মায়া জন্মালো। একটু পর পর গিয়ে দেখি। ফ্লোরে পড়ে আছে। তারচেয়ে মুহূর্ষ রোগীর সংখ্যা আরো বেশি। সবাই কাতরাচ্ছে। কিন্তু সে নিথর নিস্তব্ধ মনে যিকির করে যাচ্ছে।
★এরই মধ্যে ছেলেটি হঠাৎ আমায় জিজ্ঞাসা করে বসলো। ডাক্তার আংকেল! আমার ভিতরের সবকিছু বের হয়ে আসছে । আমি তো খুব পেরেশান আছি একটা বিষয় নিয়ে। ডাক্তার সাহেব ভাবলেন সে কি আর বলবে- এইতো বলবে ডাক্তার সাহেব আমাকে আপনি বাঁচান। আমি তো মরে যাচ্ছি।★★
ডাক্তার সাহেব কি যেন ভেবে চলে গেলেন। একটুপর ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন- বাবা তুমি কি নিয়ে চিন্তিত আছো? বলতো শুনি- ছেলেটি উত্তরে বললো- আংকেল আপনি তো দেখতেই পাচ্ছেন আমার ভিতরের সবকিছু ফেটে বের হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার আংকেল আমার রোযা কি ভেঙ্গে যাবে? ডাক্তার সাহেব বলেন- একথা শুনার পর আমি কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। আমার দু চোখ কান্নায় ফেটে যাচ্ছে। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে। ইমানী ফুয়ারার-ইমানী চেতনার-ইমানী সতেজতার সুভাস ছড়িয়ে পড়েছে আমার চারদিকে।
★★আমি থাকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। অনেক দৌড়ঝাঁপ করলাম। আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করলাম। কিন্তু একথা বলেই সে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিলো। তার রুহ প্রশান্তির রাজ্যে হন্যে হয়ে ছুঁটে গেলো। যেখানে পাহাড়ের কলতান। ঝরনার বহমান ধারা। স্নিগ্ধ পুবালি হাওয়া। শিশির ছোঁয়া ঘাসের আলতো আলতো স্পর্শের শূন্য ছায়া তাকে সুস্থ করে তুলবে।
তার এ মৃত্যু মুহূর্তের কথাটা আমার অন্তরে প্রচন্ডভাবে রেখাপাত করলো। যা আমি কোন ভাবেই ভুলতে পারছিলাম না। অপরাধবোধ কেমন যেনো আমাকে সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায়। তার যিকিরের নিভু নিভু মায়াবী কন্ঠটা ভেসে আসে ক্ষণেক্ষণে। মাঝেমধ্যে হাসপাতালের ফ্লোরে অপলক তাকিয়ে থাকি।
★★হে আল্লাহ! আপনি তাকে জান্নাতের সুউচ্চ বালাখানায় আসিন করুন। জান্নাতী নেয়ামতগুলো তাঁর জন্য উন্মুক্ত করে দিন। জান্নাতে সবুজ পাখি হিসাবে ঘুরে বেড়ানোর তাওফীক দিন। আর জালিমদের হাতগুলোকে ধ্বংস করে দিন। আমিন! আমিন!!
_______★ফিলিস্তিনের গাজা শহরের একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মুসলমান ও মুজাহিদীনদের সেবা করে আসছিলেন। তারই ছোট্ট এক অভিব্যক্তি-
আমি আমার জীবনের বোমার আঘাতপ্রাপ্ত শত শত মুহূর্ষ রোগীকে দেখেছি। কিন্তু এমন রোগী কখনো দেখিনি। 8/9 বছর বয়সী এক ছেলে বোমার আঘাতে আহত হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে আনা হলো। তার অবস্থা এমন ছিল যে তার ভেতরের সবকিছু ফেটে বাইরে চলে এসেছে।
কিন্তু আমি ছেলেটাকে যতবার দেখছিলাম ততবারই অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বুক ফেটে কান্না আসছিল। এত রোগীর মাঝে তার প্রতি কেমন জানি আলাদা এক মায়া জন্মালো। একটু পর পর গিয়ে দেখি। ফ্লোরে পড়ে আছে। তারচেয়ে মুহূর্ষ রোগীর সংখ্যা আরো বেশি। সবাই কাতরাচ্ছে। কিন্তু সে নিথর নিস্তব্ধ মনে যিকির করে যাচ্ছে।
★এরই মধ্যে ছেলেটি হঠাৎ আমায় জিজ্ঞাসা করে বসলো। ডাক্তার আংকেল! আমার ভিতরের সবকিছু বের হয়ে আসছে । আমি তো খুব পেরেশান আছি একটা বিষয় নিয়ে। ডাক্তার সাহেব ভাবলেন সে কি আর বলবে- এইতো বলবে ডাক্তার সাহেব আমাকে আপনি বাঁচান। আমি তো মরে যাচ্ছি।★★
ডাক্তার সাহেব কি যেন ভেবে চলে গেলেন। একটুপর ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন- বাবা তুমি কি নিয়ে চিন্তিত আছো? বলতো শুনি- ছেলেটি উত্তরে বললো- আংকেল আপনি তো দেখতেই পাচ্ছেন আমার ভিতরের সবকিছু ফেটে বের হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার আংকেল আমার রোযা কি ভেঙ্গে যাবে? ডাক্তার সাহেব বলেন- একথা শুনার পর আমি কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। আমার দু চোখ কান্নায় ফেটে যাচ্ছে। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে। ইমানী ফুয়ারার-ইমানী চেতনার-ইমানী সতেজতার সুভাস ছড়িয়ে পড়েছে আমার চারদিকে।
★★আমি থাকে বাচাঁনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। অনেক দৌড়ঝাঁপ করলাম। আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করলাম। কিন্তু একথা বলেই সে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিলো। তার রুহ প্রশান্তির রাজ্যে হন্যে হয়ে ছুঁটে গেলো। যেখানে পাহাড়ের কলতান। ঝরনার বহমান ধারা। স্নিগ্ধ পুবালি হাওয়া। শিশির ছোঁয়া ঘাসের আলতো আলতো স্পর্শের শূন্য ছায়া তাকে সুস্থ করে তুলবে।
তার এ মৃত্যু মুহূর্তের কথাটা আমার অন্তরে প্রচন্ডভাবে রেখাপাত করলো। যা আমি কোন ভাবেই ভুলতে পারছিলাম না। অপরাধবোধ কেমন যেনো আমাকে সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায়। তার যিকিরের নিভু নিভু মায়াবী কন্ঠটা ভেসে আসে ক্ষণেক্ষণে। মাঝেমধ্যে হাসপাতালের ফ্লোরে অপলক তাকিয়ে থাকি।
★★হে আল্লাহ! আপনি তাকে জান্নাতের সুউচ্চ বালাখানায় আসিন করুন। জান্নাতী নেয়ামতগুলো তাঁর জন্য উন্মুক্ত করে দিন। জান্নাতে সবুজ পাখি হিসাবে ঘুরে বেড়ানোর তাওফীক দিন। আর জালিমদের হাতগুলোকে ধ্বংস করে দিন। আমিন! আমিন!!
Comment