এসো যুবক ভাই নববী চরিত্রে সুশোভিত হই
প্রিয় ভাই ও বোন!
আল্লাহর হুকুমে মানুষ এই পৃথিবীতে আসে এবং নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এখানে বাস করে। তারপর চির বিদায় নিয়ে চলে যায়। জন্ম ও মৃত্যুর মাধ্যমে আসা যাওয়ার মাঝেই হলো মানুষের দুনিয়ার জীবন। কিছু মানুষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায়। সবার ভালোবাসা ও ভালোআশার জায়গায় স্থান করে নেয়। নেক নজর ও নেক দুআয় তাদের ভাসমান আত্মা শামিল হয়ে যায়।
কিছু শব্দ, কিছু বাক্য, মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে। যেমনঃ তোমার কল্যাণ হোক, তোমার উপর শান্তির বারিধারা বর্ষিত হোক। আল্লাহ তোমাকে হায়াতে তায়্যিবা, আমলে ছালেহা, রিযকে ওয়াছি দান করুন।
আবার কিছু বাগধারাও শ্লোগানে পরিণত হয়।যেমনঃ সে মহা চরিত্রের অধিকারী, অমুক মহা দানশীল, অমুক খুবই বিনয়ী, অমুক খুব সাহসী, অমুক কুরাইশ বংশের ছেলে।
আবার কিছু আচরণও উপাধিতে ভূষিত করে। যেমন আল-আমিন, সিদ্দিকীকে আকবর, আবু হানিফা, আবু হুরায়রা, আবু দুজানা ইত্যাদি আরো অসংখ্য।
এ সবগুলোই শব্দ-বাক্য, বাগধারা ও লকব মানুষের ভালোবাসা-ভালোআশায় ঘোষিত হয় তাদের কাজ-কর্মের নথি হিসেবে। তাদের আচার-আচরণ, বেশ-ভোষা, হৃদ্ধতা ও চরিত্রের উপর নির্ভর করে।
তাদের মৃত্যুতে সবাই শোকাহত হয়। সবাই মর্মাহত হয়। কারো চোখে অশ্রু ঝরে। কারো চোখ পানিতে ছলছল করে। আবার কারো বুকে চিনচিন ব্যাথা উঠে। কারো মৃত্যুতে আসমান বুক ফেটে কান্নাই করে দেয়। কান্নার ধরণঃ কখনো ঝিরঝির বৃষ্টি, কখনো মুষলধারে আবার কখনো মুখভার করে শীতল হাওয়া। কারণ আজ থেকে আসমানের দিকে নেক দৃষ্টির মাত্রা কমে যাবে।
বৃক্ষরাজিগুলো নুইয়ে পড়ে। কারণ আজ থেকে আযাবের মাত্রা একটু বেড়ে যাবে। যেহেতু রহমত আসার মাত্রাও কমে গেছে।
ফেরেশতাদের মন হুহু করে কেঁদে উঠে। তাদের উঠানেই চলে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার বিরহ বেদনা। কারণ আজ থেকে আর আমল আসমানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা হবে না। হলেও তার সংখ্যা কমে গেলো। আমল কে কার আগে নিযে যাবে এই পথে ভাঙ্গন ধরেছে।
এরাই হলো আহলোল্লাহ, হিজবুল্লাহ, আওলিয়া আল্লাহ, আসহাবুল মাইমানাহ, আসহাবুল ইয়ামিন, আসহাবুল জান্নাহ ও মুমিনবান্দা।
আবার কিছু মানুষ,
সবার ঘৃণা ও অশ্রদ্ধার পাত্র হয়। তিরস্কারের বস্তুতে পরিণত হয়। দুনিয়ায় তাদের বসবাস অন্যদের বিষাদ করে তুলে। বাকা চাহনি আর চোখ রাঙানি তাদের জন্য আবশ্যক করে নেয়। তাদের কথাবার্তা আর হাঁটাচলা ঘিনঘিন করে তুলে অন্তরকে। বোবা প্রাণীগুলো উৎপেতে থাকে আত্ম অভিশাপ দেয়ার জন্য। জড়বস্তুগুলো তাদের অবস্থানের কথা টের পেলেই কাচুমাচু শুরু করে দেয়। উদ্ভিদগুলো স্বার্থহীন ছাঁয়া দিয়ে যায় রবের আদেশ পালনার্থে।
তারা যখন মরে তখন সবকিছুই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। হাফ ছেড়ে যেন প্রাণে বেঁচে যায়। মৃত্যু নদের কিণার থেকে বেঁচে থাকার দুয়ারে ফিরে আসে। এতই অভিশপ্ত হয়ে উঠে।
আর এরাই হলো হিজবুশ শায়তন, আসহাবুল মাশআমাহ, আসহাবুশ শিমাল, আসহাবুন্নার, মুনাফিক, মুরতাদ ও কাফের।
যুবক ভাই!
এ দুটো অবস্থার ভিত্তি কি জানো?এর ভিত্তি হলো ইমান, আখলাক ও চরিত্র। আজকে শুধু আখলাক ও চরিত্রের মুযাকারা করবো।
মানুষ যদি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সবাই থাকে আপন করে নেয়। আর আপন করে নেয়ার ধরণগুলো তুমি দেখলেই। আর যদি মন্দ চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সবাই তাকে অশ্রদ্ধাও ঘৃণা করে। শত্রু ভেবে দূরে ঠেলে দেয়।
প্রিয় যুবক ভাই!
জগতের বুকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছেঃ
নিঃসন্দেহে আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।
সূরা নুন, আয়াত নং ৪
প্রিয় হাবিব ছিলেন সত্যবাদী ও ওয়াদারক্ষাকারী তাই আমাদের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বণিতা সকলকে সত্য ও ওয়াদারক্ষার মহৎ গুণ অর্জন করতে হবে।
প্রিয় নবীজি ছিলেন শ্রেষ্ঠ দানশীল ও আমানতদার তাই আমাদেরকে দানশীলতা-আমানতদারিতার গুণ অর্জন করতে হবে।
প্রিয় রাসূল ছিলেন সুমিষ্ট ভাষী, স্পষ্টভাষী সুতরাং আমাদের কথায় ও কাজে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমাদের নবীজি অশ্লীলতা পছন্দ করতেন না অশ্লীলতার চিন্তাও করতেন না। সুতরাং আমাদের যাবতীয় অশ্লীলতা পরিহার করার সাধনা করতে হবে।
আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কারো মনে কষ্ট দেননি সুতরাং তার উম্মত হিসেবে আমাদেরও কর্তব্য কথায় ও কাজে, আচরণ ও উচ্চারণে কারো মনে কষ্ট না দেয়া। আমাদের নবীজি ছিলেন ময়দানের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ও জায়নামাযে উৎকৃষ্ট ইবাদাত গুজার সুতরাং আমাদেরও হতে হবে ময়দানের শ্রেষ্ট সৈনিক আর জায়নামাযে বিনয়ী বান্দা। আমাদের নবীজি ছিলেন সাহাবিদের সাথে সরল আর শত্রুদের সঙ্গে কৌশলী আমাদেরও হতে হবে অপর মুমিনবান্দার সাথে এমন ছিফাতের অধিকারী । বাড়ির চারপাশ কাফেরদের মহড়া, রাসূল তাঁর নিজের বিছানায় আলীকে শুইয়ে দিলেন। তিনিও চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
হলো কি শেষে? বিষয়টা এমন হলো না সারাদিন সিংহ ভেবে শিয়ালকে আটকিয়ে রাখার মতো। সারারাত বোমা ভেবে প্লাস্টিকের খেলনার বলকে পাহারা দেয়ার মতো। স্বর্ণের বালার আশায় রাত কাটিয়ে সকালে শুনে এমিটিসনের চেইন দিবে।
অবস্থাটাই না কেমন হবে? কাফেদের অবস্থা তারচেয়ে বেশি আকার ধারণ করেছিলো। কারণ পুরো গুষ্টিই নির্ঘুম। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে কৌশল করেছেন। তাদের বুঝতেই দেননি। চিন্তা করেন তো কতটা কৌশলী ছিলেন? ভাবা যায়,,
যুবক ভাই! এবার আসুন আসল কথায় ফিরে আসি। সবগুণ মিলিয়েই চরিত্র হয়। একটা আরেকটার সাথে উৎপুতভাবে জড়িত। সবগুণ অর্জন করলে কিন্তু একটা গুণের যোগ্যতা অর্জনের আশাও করলে না। দিলে জাগ্রতও হলো না আর আমলও করা হলো না।
যেমন দরুনঃ যোদ্ধা -মুজাহিদ-হবার কথাই বলি। তা করার ইচ্ছা বা হবার ইচ্ছা অনেকেরই অন্তরে জাগ্রত হয় না। অথচ দেখুন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ষেত্রে তখনই মহাচরিত্রের অধিকারী বলা হয়েছে যখন সবগুণ গুলোই বাস্তবে তাঁর মধ্যে বিদ্যমান ছিলো।
এখন আপনিই বলুন! যোদ্ধা হওয়া ছাড়া মহাচরিত্রের অধিকারী হওয়া যায় কিনা? যা উবাই ইবনে সাসূল, কাব ইবনে আশরাফের ক্ষেত্রে হয়নি আপনার ক্ষেত্রে হয়ে যাবে? বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাদের মধ্যে সব গুণই ছিলো। মহাচরিত্রের অধিকারী আর মহামুনাফিকের লিডার পার্থক্যই হয়েছে যুদ্ধ-জিহাদ আর মুজাহিদ হবার প্রসঙ্গে।
মোদ্দাকথা..
যারা মুমিনবান্দা তাদের কর্তব্য হলো জীবনের প্রতিটি স্তরে নবীজির প্রতিটি চরিত্র অনুসরণ করা।
তাঁর তেইশ বছরের নিখুঁত মানচিত্রের একজন আদর্শিক মুসাফির হওয়া। মূসা ও খিজিরের প্রশ্ন চরিত্রের বিন্দু পরিমাণ ভাব না দেখানো। কারণ শরীয়তের প্রত্যেকটি বিধানেই কল্যাণ নিহিত। যা আজ বিজ্ঞানের চর্ম চোখে প্রমাণিত। সুতরাং প্রিয় হবার জন্যে নববী চরিত্রে সুশোভিত হওয়া। তাহলে আমরা দুনিয়াতে যেমন সবার প্রিয় হবো তেমনি আখেরাতে আল্লাহর কাছে প্রিয় হবো।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আল্লাহর হুকুমে মানুষ এই পৃথিবীতে আসে এবং নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এখানে বাস করে। তারপর চির বিদায় নিয়ে চলে যায়। জন্ম ও মৃত্যুর মাধ্যমে আসা যাওয়ার মাঝেই হলো মানুষের দুনিয়ার জীবন। কিছু মানুষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায়। সবার ভালোবাসা ও ভালোআশার জায়গায় স্থান করে নেয়। নেক নজর ও নেক দুআয় তাদের ভাসমান আত্মা শামিল হয়ে যায়।
কিছু শব্দ, কিছু বাক্য, মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে। যেমনঃ তোমার কল্যাণ হোক, তোমার উপর শান্তির বারিধারা বর্ষিত হোক। আল্লাহ তোমাকে হায়াতে তায়্যিবা, আমলে ছালেহা, রিযকে ওয়াছি দান করুন।
আবার কিছু বাগধারাও শ্লোগানে পরিণত হয়।যেমনঃ সে মহা চরিত্রের অধিকারী, অমুক মহা দানশীল, অমুক খুবই বিনয়ী, অমুক খুব সাহসী, অমুক কুরাইশ বংশের ছেলে।
আবার কিছু আচরণও উপাধিতে ভূষিত করে। যেমন আল-আমিন, সিদ্দিকীকে আকবর, আবু হানিফা, আবু হুরায়রা, আবু দুজানা ইত্যাদি আরো অসংখ্য।
এ সবগুলোই শব্দ-বাক্য, বাগধারা ও লকব মানুষের ভালোবাসা-ভালোআশায় ঘোষিত হয় তাদের কাজ-কর্মের নথি হিসেবে। তাদের আচার-আচরণ, বেশ-ভোষা, হৃদ্ধতা ও চরিত্রের উপর নির্ভর করে।
তাদের মৃত্যুতে সবাই শোকাহত হয়। সবাই মর্মাহত হয়। কারো চোখে অশ্রু ঝরে। কারো চোখ পানিতে ছলছল করে। আবার কারো বুকে চিনচিন ব্যাথা উঠে। কারো মৃত্যুতে আসমান বুক ফেটে কান্নাই করে দেয়। কান্নার ধরণঃ কখনো ঝিরঝির বৃষ্টি, কখনো মুষলধারে আবার কখনো মুখভার করে শীতল হাওয়া। কারণ আজ থেকে আসমানের দিকে নেক দৃষ্টির মাত্রা কমে যাবে।
বৃক্ষরাজিগুলো নুইয়ে পড়ে। কারণ আজ থেকে আযাবের মাত্রা একটু বেড়ে যাবে। যেহেতু রহমত আসার মাত্রাও কমে গেছে।
ফেরেশতাদের মন হুহু করে কেঁদে উঠে। তাদের উঠানেই চলে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার বিরহ বেদনা। কারণ আজ থেকে আর আমল আসমানে নিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা হবে না। হলেও তার সংখ্যা কমে গেলো। আমল কে কার আগে নিযে যাবে এই পথে ভাঙ্গন ধরেছে।
এরাই হলো আহলোল্লাহ, হিজবুল্লাহ, আওলিয়া আল্লাহ, আসহাবুল মাইমানাহ, আসহাবুল ইয়ামিন, আসহাবুল জান্নাহ ও মুমিনবান্দা।
আবার কিছু মানুষ,
সবার ঘৃণা ও অশ্রদ্ধার পাত্র হয়। তিরস্কারের বস্তুতে পরিণত হয়। দুনিয়ায় তাদের বসবাস অন্যদের বিষাদ করে তুলে। বাকা চাহনি আর চোখ রাঙানি তাদের জন্য আবশ্যক করে নেয়। তাদের কথাবার্তা আর হাঁটাচলা ঘিনঘিন করে তুলে অন্তরকে। বোবা প্রাণীগুলো উৎপেতে থাকে আত্ম অভিশাপ দেয়ার জন্য। জড়বস্তুগুলো তাদের অবস্থানের কথা টের পেলেই কাচুমাচু শুরু করে দেয়। উদ্ভিদগুলো স্বার্থহীন ছাঁয়া দিয়ে যায় রবের আদেশ পালনার্থে।
তারা যখন মরে তখন সবকিছুই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। হাফ ছেড়ে যেন প্রাণে বেঁচে যায়। মৃত্যু নদের কিণার থেকে বেঁচে থাকার দুয়ারে ফিরে আসে। এতই অভিশপ্ত হয়ে উঠে।
আর এরাই হলো হিজবুশ শায়তন, আসহাবুল মাশআমাহ, আসহাবুশ শিমাল, আসহাবুন্নার, মুনাফিক, মুরতাদ ও কাফের।
যুবক ভাই!
এ দুটো অবস্থার ভিত্তি কি জানো?এর ভিত্তি হলো ইমান, আখলাক ও চরিত্র। আজকে শুধু আখলাক ও চরিত্রের মুযাকারা করবো।
মানুষ যদি উত্তম চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সবাই থাকে আপন করে নেয়। আর আপন করে নেয়ার ধরণগুলো তুমি দেখলেই। আর যদি মন্দ চরিত্রের অধিকারী হয় তাহলে সবাই তাকে অশ্রদ্ধাও ঘৃণা করে। শত্রু ভেবে দূরে ঠেলে দেয়।
প্রিয় যুবক ভাই!
জগতের বুকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী হলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পবিত্র কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছেঃ
নিঃসন্দেহে আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী।
সূরা নুন, আয়াত নং ৪
প্রিয় হাবিব ছিলেন সত্যবাদী ও ওয়াদারক্ষাকারী তাই আমাদের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ-বণিতা সকলকে সত্য ও ওয়াদারক্ষার মহৎ গুণ অর্জন করতে হবে।
প্রিয় নবীজি ছিলেন শ্রেষ্ঠ দানশীল ও আমানতদার তাই আমাদেরকে দানশীলতা-আমানতদারিতার গুণ অর্জন করতে হবে।
প্রিয় রাসূল ছিলেন সুমিষ্ট ভাষী, স্পষ্টভাষী সুতরাং আমাদের কথায় ও কাজে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমাদের নবীজি অশ্লীলতা পছন্দ করতেন না অশ্লীলতার চিন্তাও করতেন না। সুতরাং আমাদের যাবতীয় অশ্লীলতা পরিহার করার সাধনা করতে হবে।
আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কারো মনে কষ্ট দেননি সুতরাং তার উম্মত হিসেবে আমাদেরও কর্তব্য কথায় ও কাজে, আচরণ ও উচ্চারণে কারো মনে কষ্ট না দেয়া। আমাদের নবীজি ছিলেন ময়দানের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ও জায়নামাযে উৎকৃষ্ট ইবাদাত গুজার সুতরাং আমাদেরও হতে হবে ময়দানের শ্রেষ্ট সৈনিক আর জায়নামাযে বিনয়ী বান্দা। আমাদের নবীজি ছিলেন সাহাবিদের সাথে সরল আর শত্রুদের সঙ্গে কৌশলী আমাদেরও হতে হবে অপর মুমিনবান্দার সাথে এমন ছিফাতের অধিকারী । বাড়ির চারপাশ কাফেরদের মহড়া, রাসূল তাঁর নিজের বিছানায় আলীকে শুইয়ে দিলেন। তিনিও চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
হলো কি শেষে? বিষয়টা এমন হলো না সারাদিন সিংহ ভেবে শিয়ালকে আটকিয়ে রাখার মতো। সারারাত বোমা ভেবে প্লাস্টিকের খেলনার বলকে পাহারা দেয়ার মতো। স্বর্ণের বালার আশায় রাত কাটিয়ে সকালে শুনে এমিটিসনের চেইন দিবে।
অবস্থাটাই না কেমন হবে? কাফেদের অবস্থা তারচেয়ে বেশি আকার ধারণ করেছিলো। কারণ পুরো গুষ্টিই নির্ঘুম। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে কৌশল করেছেন। তাদের বুঝতেই দেননি। চিন্তা করেন তো কতটা কৌশলী ছিলেন? ভাবা যায়,,
যুবক ভাই! এবার আসুন আসল কথায় ফিরে আসি। সবগুণ মিলিয়েই চরিত্র হয়। একটা আরেকটার সাথে উৎপুতভাবে জড়িত। সবগুণ অর্জন করলে কিন্তু একটা গুণের যোগ্যতা অর্জনের আশাও করলে না। দিলে জাগ্রতও হলো না আর আমলও করা হলো না।
যেমন দরুনঃ যোদ্ধা -মুজাহিদ-হবার কথাই বলি। তা করার ইচ্ছা বা হবার ইচ্ছা অনেকেরই অন্তরে জাগ্রত হয় না। অথচ দেখুন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ষেত্রে তখনই মহাচরিত্রের অধিকারী বলা হয়েছে যখন সবগুণ গুলোই বাস্তবে তাঁর মধ্যে বিদ্যমান ছিলো।
এখন আপনিই বলুন! যোদ্ধা হওয়া ছাড়া মহাচরিত্রের অধিকারী হওয়া যায় কিনা? যা উবাই ইবনে সাসূল, কাব ইবনে আশরাফের ক্ষেত্রে হয়নি আপনার ক্ষেত্রে হয়ে যাবে? বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাদের মধ্যে সব গুণই ছিলো। মহাচরিত্রের অধিকারী আর মহামুনাফিকের লিডার পার্থক্যই হয়েছে যুদ্ধ-জিহাদ আর মুজাহিদ হবার প্রসঙ্গে।
মোদ্দাকথা..
যারা মুমিনবান্দা তাদের কর্তব্য হলো জীবনের প্রতিটি স্তরে নবীজির প্রতিটি চরিত্র অনুসরণ করা।
তাঁর তেইশ বছরের নিখুঁত মানচিত্রের একজন আদর্শিক মুসাফির হওয়া। মূসা ও খিজিরের প্রশ্ন চরিত্রের বিন্দু পরিমাণ ভাব না দেখানো। কারণ শরীয়তের প্রত্যেকটি বিধানেই কল্যাণ নিহিত। যা আজ বিজ্ঞানের চর্ম চোখে প্রমাণিত। সুতরাং প্রিয় হবার জন্যে নববী চরিত্রে সুশোভিত হওয়া। তাহলে আমরা দুনিয়াতে যেমন সবার প্রিয় হবো তেমনি আখেরাতে আল্লাহর কাছে প্রিয় হবো।
Comment