সকল প্রশংসা আল্লাহর তাআলার জন্য। যিনি আমাদেরকে জিহাদের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক যোদ্ধা নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম এর উপর। এবং তাঁর পরিবার ও সকল সাথিদের উপর। অতঃপর……
দুআ গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। আমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে আল্লাহর কাছে দুআ করি।
নামাযের পর মাসনুন দুআ পড়ি। সকাল-সন্ধাও আমরা আযকার পড়ি।
এপর আমরা হাত উঠিয়ে শেষ রাতে আল্লাহর কাছে দুআ করি। আবার নফল নামাযে সিজদায়ে কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত দুআ করি।
আমরা হাত উঠিয়ে শেষ রাতে নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে দুআ করতে পারি। নিচে দুআর একটি নমুনা দেওয়া হলো-এভাবে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুপাতে আল্লাহর কাছে দুআ করতে পারি।
নামাযের পর মাসনুন দুআ পড়ি। সকাল-সন্ধাও আমরা আযকার পড়ি।
এপর আমরা হাত উঠিয়ে শেষ রাতে আল্লাহর কাছে দুআ করি। আবার নফল নামাযে সিজদায়ে কুরআন-সুন্নাহয় বর্ণিত দুআ করি।
আমরা হাত উঠিয়ে শেষ রাতে নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে দুআ করতে পারি। নিচে দুআর একটি নমুনা দেওয়া হলো-এভাবে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুপাতে আল্লাহর কাছে দুআ করতে পারি।
দুআর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা-
ইয়া রব্বুল আলামিন! ইয়া আরহামার রহিমিন!
ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার গুনাহগার বান্দা,নাফারমান বান্দা,পাপিষ্ঠ বান্দা। গুনাহের বোঝা মাথায় নিয়ে আপনার দরবারে হাত তুলেছি। দয়া করে,মায়া করে জীবনের সব গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন। জীবনের সব গুনাহগুলো মাফ করে দিন।
ইয়া আল্লাহ! আমিতো আপনাকে রব বলে স্বীকার করি এবং আপনারই আনুগত্য করি। আমি তাগুতকে অস্বীকার করেছি এবং আপনার উপর ইমান এনেছি। আপনি ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত অন্য কোন মাবুদ নেই। আপনি আগেও ছিলেন,এখনও আছেন এবং যখন কেউ থাকবে না তখনও আপনি থাকবেন। আপনাকে কেউ সৃষ্টি করেনি। আপনাকে কেউ জন্ম দেয়নি এবং আপনিও কাউকে জন্ম দেননি। আপনি অমুখাপেক্ষী।
আপনি আসমানের মালিক। জমিনের মালিক। সকল সৃষ্টি আপনারই।
আপনি আদম আলাইহিস সাল্লাম এর রব। যাকে আপনি প্রথম মানুষ হিসাবে এবং প্রথম নবি হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।
আপনি মুসা আলাইহিস সাল্লাম এর রব। যাকে আপনি অবাধ্য ফিরআউনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন পানির উপর রাস্তা তৈরী করে দিয়ে।
আপনি ইবরাহিম আলাইহিস সাল্লাম এর রব। যাকে আপনি আপনার বন্ধু বলে সমোন্ধন করেছেন। যাকে আপনি আমাদের পিতা বানিয়েছেন। যাকে আদরের সন্তান কুরবানি করার আদেশ দিয়েছেন আর সে আপনার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
আপনি ইসা আলাইহিস সাল্লাম এর রব। যাকে আপনি আসমানে তুলে নিয়েছেন।
আপনি সর্বশ্রেষ্ট নবি ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রব। যাকে আপনি শেষ নবি হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। যার পরে আর কোন নবি নেই। যাকে আপনি স্বশরীরে আসমানে তুলে নিয়েছেন। আপনার দিদার লাভে ধন্য করেছেন। জান্নাত ও জাহান্নাম দেখিয়েছেন। যাকে আপনি হাশরের দিন শাফায়াত করার অধিকার দিবেন।
দুনিয়ার সব মানুষ আপনার ইবাদাত করলে আপনার রাজত্ব বা ক্ষমতা বাড়বে না। আর দুনিয়ার সব মানুষ যদি আপনার নাফারমানি করে তবে আপনার রাজত্ব বা ক্ষমতার এক চুল পরিমানও কমবে না।
আপনার কাছে দুনিয়ার দাম যদি মশার ডানা পরিমান হতো তবে আপনি কোন কাফেরকে এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।
আপনি জান্নাত ও জাহান্নামের মালিক। আপনি আমাদের হাশরের ময়দানে একত্রিত করবেন এবং হিসাব নিকাশ নিবেন।
আপনি জান্নাতিদের জান্নাতে সব রকমের নেয়ামত দিবেন। যা কোন চোখ দেখেনি,কোন কান শোনেনি এবং কোন মানব হৃদয় কল্পনাও করতে পারেনি।
এরপরও আপনি জান্নাতিদের আরো বড় নেয়ামত দিবেন। তা হলো আপনার দিদার।
নিজের গুনাহ মাফের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! আমি জীবনে অনেক গুনাহ করে ফেলেছি। শিরক-বিদআত,কুফর-কুসংস্কার,কবিরা-সগিরা,প্রকাশ্য-গোপন,জেনে-বুঝে,না জেনে-না বুঝে,ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক গুনাহ করে ফেলেছি। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনাহ করেছি,নফসের কুমন্ত্রনায় পড়ে গুনাহ করেছি,জিন শয়তান ও মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে গুনাহ করেছি।
আপনি জীবনে অনেক ভুল করে ফেলেছি। আমি গুনাহের কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি গুনাহের কারণে লজ্জিত। আমি আর গুনাহ করবো না। আপনি আমাকে মাফ করে দিন। আমার গুনাহগুলো নেকি দ্বারা ভরপুর করে দিন।
ইয়া আল্লাহ! আমি জানি আপনি ছাড়া মাফ করনে ওয়ালা কেউ নেই। একমাত্র আপনিই মাফ করতে পারেন। সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করেই দিন।
ইয়া আল্লাহ! আপনিতো বলেছেন,বান্দা আমার রহমত থেকেই নিরাশ হয়ো না। আপনিতো আপনার রহমত থেকে নিরাশ হতে বারণ করেছেন। হাদিস থেকে জানি যে,বান্দা যখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়,আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দেয়। আমি হাদিস থেকে এও জানি যে,তাওবা করলে আপনি খুশি হন।
ও আল্লাহ! ও আমার মালিক! আমিতো আপনারই বান্দা। আপনিতো আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমার ভুলের দিকে না তাকিয়ে আপনার রহমতের দিকে তাকিয়ে আমার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দিন। আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন।
সন্তান যখন অপরাধ করে মায়ের কাছে ক্ষমা চায়,মা সন্তাকে ক্ষমা করে দেয়। আর যদি সন্তার অপরাধ করে মায়ের পা ধরে কান্না করে ক্ষমা চায়,মাও কেঁদে দেয় এবং সন্তানকে মাফ করে দেয়।
ও আল্লাহ! ঐ মায়ের চেয়ে লক্ষ কোটি গুন দয়া মায়া আপনার বেশি। আমি এই গভীর রাতে আপনার কাছে কান্না করে ক্ষমা চাচ্ছি,আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমাকে মাফ করে দিন। আমার গুনাহের কারনে আপনার উপর অসন্তুষ্ট হইয়েন না। আপনি ছাড়া যে আমার আর কেউ নেই।
ইয়া আল্লাহ! জীবনে মিথ্যা বলেছি,আমানতের খেয়ানত করেছি,গালি-গালাজ করেছি,গিবত করেছি,মানুষের মনে কষ্ট দিয়েছি,আপনার নাফারমানি করেছি। আল্লাহ আপনি সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন।
আমি জীবনে আর গুনাহ করবো ন। গুনাহের ভয় আমার অন্তরে বদ্ধমূল করে দিন। গুনাহের উপকরন থেকে দূরে রাখেন। আপনি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাউফিক দান করেন। কেননা,আপনার তাউফিক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
শিরকের গুনাহ থেকে হেফাজত করেন। বিদাআতের গুনাহ থেকে হেফাজত করেন। কুফর থেকে হেফাজত করেন। নিফাক থেকে হেফাজত করেন। মুনাফিকদের অন্তর্ভূক্ত করিয়েন না।
রিয়া মুক্ত ইবাদাত করার তাউফিক দিন। আমাকে আপনি ইখলাস দান করেন। ইখলাস নিয়ে সব কাজ করার তাউফিক দিন।
মৃত মানুষের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! আদম আলাইহিস সাল্লাম থেকে এই পর্যন্ত যত মুসলমান নর-নারী অন্ধকার কবরে শায়িত। সকলকে আপনি ক্ষমা করে দিন। সকলের জীবনের সব গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন। দুনিয়াতে থাকাকালে তাঁরা যে ভুল করেছে,তা আপনি ক্ষমা করে দিন। তাঁদের জন্য জান্নাতের ফায়সালা করে দিন। কবরে জান্নাতের বিছানা বিছিয়ে দিন,জান্নাতের পোষাক পরিয়ে দিন,তাঁদের কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন।
যারা দুনিয়াতে নেক সন্তান রেখে যেতে পারেনি-তাঁদের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! যারা দুনিয়াতে সন্তান বা নেক সন্তান রেখে যেতে পারেনি। তাঁদেরকেও আপনি মাফ করে দিন। কেয়ামত পর্যন্ত মাফ করে দিন। জান্নাতের ফায়সালা করে দিন।
মৃত আত্মীয় স্বজনদের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! আমার দাদা-দাদিকে আপনি মাফ করে দিন। তাঁদের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দিন। তাঁদের উত্তরসূরী হয়ে দরখাস্ত করছি-তাঁদের ভুলক্রুটি ক্ষমা করে দিন। তাঁদের জন্য জান্নাতের ফায়সালা করে দিন।
আমার আত্মীয়-স্বজন,পাড়া প্রতিবেশি,বন্ধু-বান্ধব যারা অন্ধকার কবরে ঘুমিয়ে আছে। সবাইকে আপনি মাফ করে দিন। কেয়ামত পর্যন্ত মাফ করে দিন।
দুনিয়ার সব মুসলিমদের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! পৃথিবীর সকল মুসলমানদেরকে আপনি মাফ করে দিন। সকলের জীবনের সব গুনাহগুলো আপনি ক্ষমা করে দিন। সকলকে আপনার খাঁটি বান্দা হিসাবে কবুল করে নিন। সকলকে ঋণ থেকে মুক্তি দান করেন। সকলের পেরেশানী দূর করে দিন। সকলের জন্য উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করে দিন। সকলকে গুনাহ থেকে দূরে রাখেন । নেক কাজ করার তাউফিক দিন। ইমান নিয়ে কবরে যাওয়ার তাউফিক দিন। সকলকে ফরজ জিহাদ আদায় করার তাউফিক দিন। সকলকে শিরক-বিদআত,কুফর-কুসংস্কার থেকে হেফাজত করেন। সকলকে রিয়া মুক্ত ইবাদাত করার তাউফিক দিন। সকলকে ইখলাস দান করেন।
মাজলুম মুসলিমদের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! বিশ্বের সকল মাজলুম মুসলিমদের আপনি হেফাজত করেন। জালিমের জুলুম থেকে হেফাজত করেন। যারা অসুস্থ ও দূর্বল তাঁদের আপনি পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন। তাঁদের জন্য উত্তম রিজিকের ব্যবস্থা করে দিন। তাঁদেরকে আপনার খাঁটি বান্দা হিসাবে কবুল করে নিন।
খাস করে কাশ্মীর,ইয়েমেন,ইরাক,সোমালিয়া ইত্যাদি অঞ্চলের মাজলুম মুসলিমদেরকে আপনি মাফ করে দিন। তাঁদের আপনি সাহায্য করেন। তাঁদের যা কিছু প্রয়োজন আপনি ব্যবস্থা করে দিন।
মুজাহিদ ভাইদের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! বিশ্বের সকল মুজাহিদ ভাইদেরকে আপনি মাফ করে দিন। তাঁদের জীবনের সব গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন। জিহাদের পথে ইস্তিকামাত দান করেন। যা কিছু প্রয়োজন আপনি ব্যবস্থা করে দিন। ইখলাস ও তাকওয়া দান করেন। রিয়া মুক্ত ইবাদত করার তাউফিক দিন। তাঁদের পরিবারকে আপনি হেফাজত করেন। তাঁদের পরিবারের জিম্মাদার আপনি হয়ে যান। তাঁদের পরিবারে যা কিছু প্রয়োজন আপনি ব্যবস্থা করে দিন।
মুজাহিদ ভাইদের মা-বাবাকে সবর করার তাউফিক দিন। তাঁদের জীবনের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন।
মুজাহিদ ভাইদের সন্তানদেরকে আপনি কবুল করে নিন। খাঁটি মুসলমান মুজাহিদ হিসাবে কবুল করে নিন।
মুজাহিদ ভাইদের স্ত্রীদেরকে মাফ করে দিন। সবর করার তাউফিক দিন।
নিজের জীবিত মা-বাবার জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! আমার মা-বাবাকে আপনি মাফ করে দিন। তাঁদের জীবনের সব গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন। ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্টে করেছে আমার জন্য । তাঁদের আপনি আপনার খাঁটি বান্দা-বান্দি হিসাবে কবুল করে নিন। তাঁদেরকে দ্বীনের সহিহ বুঝ দান করুন। বেশি বেশি নেক আমল করার তাউফিক দিন। তাঁদেরকে শহিদদের মা-বাবা হিসাবে কবুল করেন। তাঁদেরকে আমার মুয়াফেক বানিয়ে দিন। মুখালেফ বানায়েন না।
তাঁদেরকে ইখলাস ও তাকওয়া দান করেন। রিয়া মুক্ত ইবাদাত করার তাউফিক দিন। নিরাপত্তা দান করেন। ইমান নিয়ে মৃত্যু বরণ করার তাউফিক দিন।
ছোটকালে তাঁরা যেমন আদর করে আমাকে বড় করেছে। তাঁদেরকে আপনার রহমতের আদর দিয়ে ঘিরে রাখেন।
মৃত মা-বাবার জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! আমার মা-বাবা দুনিয়া ছেড়ে আজ কবরের বাসিন্দা। জানি না কেমন আছে? ও আল্লাহ আপনি আমার মা-বাবাকে মাফ করে দিন। তাঁদের জীবনের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। কেয়ামত পর্যন্ত মাফ করে দিন। আমি তাঁদের সন্তান হয়ে দরখাস্ত করছি-তাঁদেরকে মাফ করে দিন। তাঁদের কবরকে জান্নাতের বাগান বানিয়ে দিন।
দুনিয়াতে আমার জন্য কষ্ট করেছে। নিজেরা ভাল খানা না খেয়ে আমাকে খায়িয়েছে। নিজেরা ভাল পোষাক না পরে আমাকে পরিয়েছে। আমাকে আপনার ইবাদাত করা শিখিয়েছে। ইলমে দ্বীন শিক্ষা দিয়েছে। আদব-কায়দা শিক্ষা দিয়েছে। ও আল্লাহ আপনি তাঁদের সদকায়ে জারিয়ার সাওয়াব দান করুন।
ইসলামি ইমারাত আফগানিস্তানের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! ইসলামি ইমারাত আফগানিস্তানকে আপনি শক্তিশালী করে দিন। জিহাদের জন্য মুজাহিদদের যা যা প্রয়োজন আপনি ব্যবস্থা করে দিন। কাফেরদের শক্তিকে আপনি শেষ করে দিন। আপনি রাশিয়াকে পরাজিত করেছেন। আমেরিকায়েও পরাজিত করেছেন। নিশ্চয়ই সকল ক্ষমতা আপনার। আপনি মুজাহিদদের আদর্শিক ভাবে জয়ী থাকার তাউফিক দিন। ইসলামি ইমারাতের আমির-উমারাদেরকে আপনি কবুল করে নিন।
গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য দুআ-
ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য কবুল করুন। আমাদের ভূমিকে আপনি হিন্দের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে দিন। তাগুতদেরকে আপনি ধ্বংস করে দিন। মুসলিম উম্মাহকে ওয়ালা বারা,হাকিমিয়্যাহ,কিতাল মাল মুরতাদ দ্বীন এবং আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করা এ সকল আকিদাগুলো বুঝার এবং বাস্তবায়ন করার তাউফিক দিন।
দায়ি ভাইদেরকে আপনি কবুল করুন। তাঁদেরকে ইসলাহ দান করেন। মাসউল-মামুর সবাইকে কবুল করুন।
মিডিয়ার ভাইদেরকে আপনি কবুল করুন। তাঁদেরকে ইসলাহ দান করেন। মাসউল-মামুর সবাইকে কবুল করুন।
সকল বিভাগের সকল ভাইদেরকে কবুল করুন। নিরাপত্তা দান করুন। আমাদের শাইখদের নিরাপত্তা দান করুন। বিশেষ করে তামিম আল আদনানিকে আপনি নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করে রাখুন।
আমাদেরকে ভূমিকে জিহাদের উপযোগী করে দিন। যোগ্য দায়ি,যোগ্য মাসউল,যোগ্য মিডিয়া কর্মী,যোগ্য সাংবাদিক,যোগ্য আলিমসহ যে বিভাগে যা দরকার আপনি ব্যবস্থা করে দিন।
সকলকে ইখলাস নিয়ে কাজ করার তাউফিক দিন। রিয়া মুক্ত ইবাদাত করার তাউফিক দিন। মুনাফিকি থেকে হেফাজত করেন।
যাঁরা আনসার ও ডোনার হিসাবে কাজ করছে,সবাইকে আপনি কবুল করে নিন। সাহাবাদের সাথে জান্নাতে দাখিল করিয়েন। তাঁদের ধন সম্পদে,মেধা ও মননে বারাকাহ দান করুন।
হে আল্লাহ! আপনার খাজানায় কোন কিছুর কমতি নেই। আমার দুআখানি আপনি কবুল করেন। যা চেয়েছি,তা দান করেন। আর যা চাইতে পারিনি,তবে আমাদের দরকার তাও আমাদের দান করুন। আমাদের পথে মৃত্যু পর্যন্ত কবুল করুন। এবং শাহাদাদের অমিয় সুধা পান করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার তাউফিক দিয়েন। জান্নাতের সবুজ পাখি হিসাবে কবুল করেন। আমিন। ইয়া রব্বাল আলামিন।
Comment