Announcement

Collapse
No announcement yet.

জায়নামাযের আত্মচিৎকার!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জায়নামাযের আত্মচিৎকার!

    জায়নামাযের আত্মচিৎকার!

    যুবক ভাই!
    ★আর কতকাল ভুল করে ভুল রাস্তায় হেঁটে বেড়াবে উদভ্রান্তের মত। তারচেয়ে বরং এসো পবিত্র জায়নামাযে। এক পলশা পবিত্র বাতাস এসে শীতল পরশ বুলিয়ে দিবে তোমার স্নিগ্ধ মুখটাতে।

    ★বাহিরে চেয়ে দেখো! আকাশের তারাগুলো মিটিমিটি আলোতে ঝলমল করছে। এ দেখে মেঘমালা মিটমিট করে হাসছে। চাঁদের চারদিকে তারাকাদের ছন্দে ছন্দে রবের গুর্ণকির্তন গাওয়া দেখে মেঘের আল্পনায় তারাও রব রব বলে মুখরিত করে তুলছে। তুমিও একটু জানয়ামাযে আসো তাদের মিলনমোহনায় শরীক হতে।

    ★সমুদ্রের অথৈ বালিরাশিয়ে তাকিয়ে থাকো। দেখবে তোমার চোখ চিলিমিলি করে উঠছে। কণিকাগুলো কেমন যেনো প্রাণছুঁয়া দৃষ্টিতে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে। আফসোস করছে। ইশ! যদি আমরা সর্বশেষ্ঠ প্রাণী হতাম। কতই না ভালো হতো! তবুও তারা রবের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলে যায় না। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই জোয়ার বাটায় সেজদায় লুটিয়ে পড়ে। এযে ডুব দেয় পৃথিবীর অপর এক দ্বীপে গিয়ে ভেসে উঠে। মানবকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। যাতে জায়নামাযে আমার তোমার কৃতজ্ঞতার সেজদাটাও এত দীর্ঘ হয়।


    ★তুমি উত্তাল সাগরের তরঙ্গমালার দিকে চেয়ে দেখো। চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। দুটানায় পড়ে যাবে। এভাবে কেউ রবের যিকির করে? এত জুসের সাথে! এত গম্ভীর্যতার সাথে! শা শা আওয়াজে গুঞ্জরন করে তুলছে বুকে ধারণ করা দ্বীপগুলোকে। মাঝে মধ্যে বড় বড় ঢেউ দ্বীপের কিণারে এসে আছড়ে পড়ে রবের বাণী নিয়ে ঝুম ঝুম স্বরে। তারাও কিন্তু তোমাকে দেখিয়ে বলছে আমরা তুচ্ছ ঢেউ হয়েও রবকে ভুলিনি। কৃতজ্ঞতায় আত্মনিমগ্ন থাকি। শুধু তোমার ইবাদাতে উৎসাহ দিতে। তোমরা যেন রবকে ভুলে না যাও। সুতরাং তুমিও রবের কৃতজ্ঞতা রক্ষায় জায়নামাযে দাঁড়িয়ে পড়ো।

    ★শৈশব এখন আমার থেকে অনেক দূরে, অন্তত ২২বছর দূরে। জায়নামাযের আত্মচিৎকার শুনে যেতে বাধ্য হচ্ছি । শৈশবের অনেক কিছুই এখন আমার কাছে অস্পষ্ট ও দুসর। এত দূর না দেখা যায় না চেনা যায়। তবে শৈশবের কিছু কথা এখনো মনে পড়ে। ছোট বেলার বড় বন্ধু। আমার বয়স ৭ তাঁর বয়স ১৩। তবে দেখতে খুব সরু। সাদামাটা ভদ্র ছেলে।

    ★তার দাদাভাই তাকে সালার বস্তা দিয়ে একটা জায়নামায বানিয়ে দিয়েছেন। কাঁধে করে নিয়ে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতো। আযান দিলেই মসজিদে দৌঁড়ে ছুঁটতো। ঐসময়টাতে মসজিদ ছিলো টাইলস করা। সবাই টাইলসে দাঁড়াতো আর সে দাঁড়াতো তার সালার বস্তার জায়নামাযে। অনবরত নামায পড়তেই থাকতো। দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যেতো। এলাকার মহিলারা তাকে উদাহরণ বানাতো আর নিজের ছেলে মেয়েকে বকাঝকা করতো তার মতো হতে। একটা সময় ঐ এলাকার প্রায় বাচ্চাদের হাতে এ জায়নামাযগুলো দেখা যেতো। ২০১৫ সালের শেষের দিকে ছেলেটা জায়মানাযে সেজদারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।


    কত বড় সৌভাগ্য তার! রবের দরবারে হিসাব নিকাশের পথ কতটা মসৃণ তার! জায়নামায তার সাথিকে নাজাতের পথ আরেক ধাপ এগিয়ে দিলো। বাকিটা আল্লাহর ফায়সালায়।

    ★যুবক ভাই দিলে কি খায়েশ জাগে না! জায়নামাযে একটু দাঁড়িয়ে, একটু রুকু করে, একটু সিজদায় গিয়ে প্রভুর সাথে নির্জনে খানিকটা কথা বলার। পারিবারিক-সামাজিক- সমস্যা সমাধানের জন্য জায়নামায তোমার উত্তম হিতাকাঙ্ক্ষী। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা স্যালুশনের জন্য ন্যায়ের রক্ষক। রবের সাথে তোমার নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে। দয়াময়ের একান্ত সাক্ষাতে তোমার মনোবাসনা পূরণ করতে।

    ★হে যুবক ভাই! তুমি সন্তুষ্টচিত্রে ও সন্তোষভাজন হয়ে আমার কাছে ফিরে এসো। অতপর তোমার প্রিয় বন্ধুদের কাতারে অন্তর্ভুক্ত হও। তারা তোমার অপেক্ষা করছে। জানো! তারা কারা? তারা হলো ময়দানের অতন্দ্রপ্রহরী মুজাহিদ ভায়েরা। তোমার নিরাপত্তার জন্য, তোমার শান্তির জন্য, তোমার অধিকার আদায়ের জন্য তারা সবকিছুকে বিসর্জন দিচ্ছেন সুতরাং তুমি কি একটু পারবে না জায়নামাযে প্রভুর সাক্ষাতে তাদের আকুতিগুলো তুলে ধরতে? রব উত্তরে বলবেন-আমার বান্দা আমার প্রশংসা করছে। আবার আমার বান্দা আমার গুণকির্তন গাইছে। এভাবে বলতেই থাকবেন। যুবক ভাই! তুমি কি চাওনা জায়নামাযে দাঁড়িয়ে রবের সাথে এই মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলতে?

    ★ভিষন্ন মনে আবার মাঝে মাঝে তৃপ্তির ঢেকুর ছাঁড়ি। কারণ মুজাহিদ ভাইয়েরা একটু হলেও আমার আকুতি রক্ষা করছে। তারা সামান্য হলেও আমার ব্যথা অনুভব করছে। পথে-ঘাটে.পাহাড়ে-ময়দানে-মরুভূমিতে সবজায়গায় আমার শরণাপন্ন হয়। বিশেষ করে আমার অন্তরটা তখন ধুমড়ে-মুচড়ে যায় যখন তারা রাতের শেষ প্রহরে সালাতে রবকে শুনিয়ে শুনিয়ে কান্না করে। রবকে শুনিয়ে শুনিয়ে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে। আর তোমাদের চাওয়া পাওয়ার জন্য রবের দরবারে তাদের রোনাজারি দেখে।

    তাদের চোখের ফোঁটা ফোঁটা অশ্রুতে ভিজে যায় আমার গাঁ। এতে আমার হৃদয় প্রশান্ত হয়। শুরু হয় দেহে কাঁপুনি। তাই অন্তর খোলে দুআ করতে থাকি সারাক্ষণি। সুতরাং তুমিও জায়নামাযের সঙ্গী হও। তোমাকে নিয়েই থাকবে আমার কল্পনা জল্পনা। তোমাকে উদ্দেশ্য করেই বুনবো জান্নাতী রঙিণ স্বপ্ন।

  • #2
    মাশা আল্লাহ।
    অনেক সুন্দর লিখা। আল্লাহ তায়ালা ভাইয়ের লিখায় বারাকাহ দিন।উম্মাহর খেদমতে কবুল করুন।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ্ খুব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় ভাই! আল্লাহ তায়া-লা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন, আমিন।

      Comment


      • #4
        Originally posted by বালাকোটের ময়দান View Post
        মাশা আল্লাহ।
        অনেক সুন্দর লিখা। আল্লাহ তায়ালা ভাইয়ের লিখায় বারাকাহ দিন।উম্মাহর খেদমতে কবুল করুন।
        ওগো দয়াময় প্রভু! তোমার দ্বীনের জন্য কবুল করে নাও।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Rumman Al Hind View Post
          জাযাকাল্লাহ্ খুব সুন্দর লিখেছেন প্রিয় ভাই! আল্লাহ তায়া-লা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন, আমিন।
          দুআর মুহতাজ হে প্রিয়।

          Comment


          • #6
            সুতরাং তুমিও জায়নামাযের সঙ্গী হও। তোমাকে নিয়েই থাকবে আমার কল্পনা জল্পনা। তোমাকে উদ্দেশ্য করেই বুনবো জান্নাতী রঙিণ স্বপ্ন।
            আল্লাহ আমাদেরকে কবুল করুন। আমীন
            ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আমি অধমকে কবুল করুন।

              Comment

              Working...
              X