Announcement

Collapse
No announcement yet.

দাসত্বের এ জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে চাই

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দাসত্বের এ জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে চাই

    দাসত্বের এ জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে চাই

    প্রিয় যুবক ভাই!
    জীবনের দীর্ঘ পথ তো পাড়ি দেওয়া হয়ে গেলো কিন্তু জীবনের গন্তব্যে পৌঁছার আয়োজন করা কি সম্পন্ন হল? মাঝেমধ্যে এ প্রশ্নটি আমার সামনে জ্বলন্ত হরফে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। তখন আমি কোন উত্তর খুঁজে পাইনা। যে উত্তর চিন্তায় আসে তাতে আমি নিজেই সন্তুষ্ট হতে পারিনা। আমার ভিতরের সত্তাই যেন আমাকে তিরস্কার করে বলে তুমি নিজেই নিজেকে প্রতারণা করতে চাও? এভাবে কেন নিজের কাছে নিজে ছোট হও?

    সত্যি কথা বলতে! তখন লজ্জায় মাথা নিচু করে থাকি! মুখটা ভার করে হাসি! অজানা হতাশা তখন আমাকে এমন ভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলে যে তা থেকে মুক্ত হওয়ার কোন উপায় আর খুঁজে পাইনা।

    শৈশব থেকেই শুনে আসছি- মানুষ অভ্যাসের দাস। কিন্তু এটা যে এত বড় শত্রু হয়ে আমার জীবনে প্রকাশ পাবে কখনো কল্পনাও করিনি। পরিষ্কার বুঝতে পারছি- আমার কিছু কিছু অভ্যাস আমার জীবনে বড় বড় ক্ষতি ও ব্যর্থতা ডেকে আনছে। অভ্যাসগুলো পরিবর্তনের উপায় খুঁজি; অভ্যাসের দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি; অভ্যাসের জঞ্জাল থেকে বাঁচার জন্য ফিকির করি, কিন্তু...!

    মাঝে মধ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই যে, আজকেই দ্বীনের বিধান পালনে ব্রতী হবো। সব ধরনের নেকামি ছেড়ে পালোয়ান হয়ে উঠবো। আমলের ক্রমধারায় দেহ-মনে সতেজতা ফিরে আনবো। নিরঙ্কুশতার সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তুলবো। ভাই ভুলে গেছেন? আমি কিন্তু অভ্যাসের দাস।

    আবার সময়ের পালাবদলে নিজের কাছে জিম্মি হয়ে যাই। আজকে থেকেই জিহাদের বিধান আঁকড়ে ধরবো। জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। উম্মাহর অধিকার ফিরিয়ে আনবো। নিজে তো জাগতে পারিই না। এমনকি মুজাহিদ ভাইদের আহবান নামক এলার্মের কড়া আওয়াজও আমাকে জাগাতে পারে না। এমনো হয় যে, মাঝে মধ্যে এ কথা ভুলেই যাই। আমার জীবন তাহলে সুন্দর হবে কিভাবে? আমার চরিত্র তাহলে উন্নত হবে কিভাবে? ভুলে গেছেন ভাই! আমি কিন্তু অভ্যাসের দাস।

    আবার উম্মাহর কিছু কান্না কিছু আহাজারি কিছু রোনাজারি জাগিয়ে তুলে ভেতরের চেতনাকে। সে অনেক মশওয়ারা করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, আজ থেকেই অস্ত্রের নলকে তাক করবে! স্নাইপার সেঁজে কার্যকরি টিকা পুষ করবে। তবে কোন মুসলমানের পেট-পিঠে না। কুফফার লিডারদের কলিজায়। ইহুদী রাঘব বোয়ালদের মাথার খুলিতে। তাগুত-মুরতাদদের গলার নলিতে। কিন্তু ভাই ভুলে গেছেন! আমি কিন্তু অভ্যাসের দাস।

    এদিকে আবার সমাজের বাক স্বাধীনতার নষ্টামী। অশ্লীলতা আর শীলতহানির ছড়াছড়ি। ধর্মের নামে তাগুতের গোলামীর কার্বার দেখে হতভম্ব না হয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। আঙ্গুল না উঠিয়েই চোঁখ কচলাতে থাকি। অদৃশ্য সত্তা ধমকের স্বরে আওয়াজ তুলে- যুবক ভাই! সমাজের এ লাগামকে একটু টেনে ধর না! কিন্তু আমি তো আমিই। কারণ আমি অভ্যাসের দাস।

    চরম বাস্তবতা হলো
    জীবনের চলার পথে ব্যর্থতার কাঁটাবন অতিক্রম করে সফলতার সবুজ উদ্যানে যদি প্রবেশ করতে চাই তাহলে নিদ্রাকারতা ও অবহেলার এই যে অভ্যাস! এর দাসত্ব থেকে মুক্ত হতেই হবে! মুক্ত হতেই হবে! এর জঞ্জাল থেকে পরিত্রাণ পেতেই হবে! নোঙর গাড়তে হবে ফি কুলুবিহিম মারয এর মত। খতামাল্লাহু আলা কুলুবিহিমের মত।[১]

    তাহলে আলোর দ্যুতি ছড়বে বনি আদমের শিরায় শিরায়। শয়তানের দুষ্কৃতি বন্ধ হবে উম্মাতে মুহাম্মাদীর জোড়ায় জোড়ায়। ইলমের ফোয়ারা জারি হবে ফাতাত-শাবাবদের কলবে কলবে।

    প্রিয় যুবক ভাই!
    এ পথের একজন সফল রাহবারের নাম শুনবে! যার হুকুমতের সূর্য কান্দাহার থেকে উদয় হয়ে কাবুল পর্যন্ত আলোকোজ্জ্বল করে তুলেছিলো।
    তিনি হলেন মোল্লা উমর রাহিমাহুল্লাহ। তাকাব্বালাল্লাহুন নুবালা ওয়াশ শুহাদা।[২]

    আরেকজনের কথা না বললে অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে। যার হুকুমতের সূর্য আফগান থেকে আরাকান পর্যন্ত বলবৎ হতে চলছে। সেই অগ্রনায়ক যিনি শত সহস্র যুবকদের অভিভাবক প্রতিম শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ। তাকাব্বালাল্লাহুল ওজামা ওয়াশ শুহাদা।[৩]

    কালের ইতিহাস যেন কলঙ্কিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখাও এ উম্মাহর কর্তব্য। তাই আরেকজনের নাম তার কাছে জমা না দিয়ে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করতে চাচ্ছি না। যার হুকুমতের সূর্য খোরাসানের পশ্চিম দিগন্তে আর হিন্দের পূর্ব দিগন্তে ছুটে চলছে। ইনশাআল্লাহ! ইনশাআল্লাহ!! অচিরেই খিলাফাহ কায়েম হবে। তিনি হলেন শাইখ আইমান আল-জাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ । তাকাব্বালাল্লাহু ফি সাবিলিহি।[৪]

    প্রিয় যুবক ভাই!
    প্রবঞ্চনা করো না নিজের সাথে। শোন রব কি বলছেন-তাদেরকে সতর্ক করে দাও আসন্ন দিন সম্পর্কে, যখন দুঃখে কষ্টে তাদের প্রাণ কন্ঠাগত হবে। যালিমদের জন্যে কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না, যার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। সুতরাং এ অভ্যাস যেনো আমাদের প্রাণ কন্ঠাগতের কারণ না হয়। বরং সাদিকীনদের আত্মদুআয় শামিল হয়। তাদের খুলুক ও নুযূলের ছিফাতে রুপান্তরিত হয়।[৫]


    প্রমাণাদিঃ
    ১. সূরা বাকারা, আয়াত নং ৭ ও ১০
    ২.সত্যান্বেষী পথিকের পাথেয়, পৃষ্ঠা নং ১৭২
    ৩.শাহাদাত প্রেয়সী মুসাফির, পৃষ্ঠা নং১৩
    ৪.উম্মাহ নিউজ, সংখ্যা-
    ৫.সূরা মুমিন, আয়াত নং ১৮।

  • #2
    হে আল্লাহ, আমাদেরকে দাসত্বের এ জঞ্জাল থেকে মুক্তি দান করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by abu ahmad View Post
      হে আল্লাহ, আমাদেরকে দাসত্বের এ জঞ্জাল থেকে মুক্তি দান করুন। আমীন
      আমিন আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন।

      Comment

      Working...
      X