উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান কোথায়?
★আফসোস! মুহাম্মাদ নাম ধারণ করে আজ কেউ কেউ উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার 'সঠিক' অবস্থান কোথায় সেই সবক নতুন করে শেখাতে চাচ্ছে। তারা বলতে চায়, গাযওয়া নয়, গাযী নয়, শাহাদাত নয়, শহীদ নয় এবং জিহাদ ও মুজাহিদ নয় তোমাদের সঠিক অবস্থান। একুশ শতকের বাস্তবতায় এগুলো তোমাদের আজ ভুলে যেতে হবে, তাতেই কল্যাণ!
★তোমাদের সঠিক অবস্থান হলো ইহুদি-মার্কিন তাবেদারি! তোমাদের সঠিক অবস্থান হলো আল-কুদুস থেকে সরে আসা! মুসলিম ভূখণ্ডগুলো কাফেরদের হাতে তুলে দেয়া! তোমাদের সঠিক অবস্থান হলো ' শতাব্দীর সেরা চুক্তি মেনে নিয়ে নেকড়ের সামনে শান্তশিষ্ট মেষশাবকের আচরণ করা।
★এই যদি হয় উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান তাহলে অতীতে নূরুদ্দীন জঙ্গী যা করেছিলো তা ভুল ছিলো! ছালাহুদ্দীন গাযী লকব ভুল ছিলো! বীর কাসেমের দুরদর্শীপূর্ণ হামলা অপরাধ ছিলো! উমর ইবনুল খাত্তাবের বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধার করা অন্যায় ছিলো! এটাই যদি হয় উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান তাহলে ঐ যে শামের দুয়ারে ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই হবে,আর বলা হবে 'আমার পিছনে এক ইহুদী লুকিয়ে আছে, ওকে ধরো, আর কতল করো, এটা কি তাহলে ভুল?
★হে জীবন সফরে আত্মভোলা পথিক!
জীবনকে যদি ফানা'র জুলমত থেকে বাকা'র আলোতে আনতে চাও তাহলে মৃত্যুপূর্ব জীবনকে যাপন করতে হবে মৃত্যুপরবর্তী জীবনের কথা মনে রেখে। তখন দু'দিনের জীবনেও পাবে অনন্ত জীবনের শান্তি ও প্রশান্তি। দু'দিনের জীবন আঁধারে ঘেরা। পথ সামান্য, গন্তব্য অনন্তের ঠিকানায়। পথ চলার জন্য আলো চাই। সঠিক অবস্থান চাই। কোথায় পাবো অনন্তের গন্তব্যে পৌঁছার আলো?★★
সেই আলোরই সন্ধান পেতে উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার আজকের সঠিক করণীয় কি তা জানতে হলে বুঝতে হলে, ভালোভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে ঐ সমস্ত অতন্দ্রপ্রহরীদের পথ যারা সিরাতুল মুসতাকিমের পথকে পেশা ও নেশা বানিয়েছেন।
প্রিয় ভাই ও বোন!
প্রতিটি মুসলমানের একক সম্পদ হলো ঈমান। যাকে সযত্নে আগলে রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। আর নবাগত প্রজন্মের এই সম্পদকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রত্যেক দায়িত্বশীলদের কর্তব্য। যেমন অভিভাবক সন্তান বড় হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সম্পদ সংরক্ষণ করতে থাকে।
আজ বিশ্বময় পশ্চিমা ও ভ্রান্ত মতের জাল ছড়িয়ে দিয়ে নব প্রজন্মের ঈমানকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেই জাল থেকে তাদেরকে বাঁচাতে হলে আমাদের মজবুত ভাবে লেগে থাকতে হবে সময়ের সেরা দাঈদের সাথে। [[মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ]]
★প্রিয় ভাই ও বোন!
হৃদয়ের গভীরে, অনেক গভীরে, যেখানে কারো প্রবেশ ঘটে না। এমনকি নিজেরও একটু উঁকি দিয়ে দেখার সুযোগ হয়না। হৃদয়ের সেই গভীর অতলান্ত থেকে একটি ইচ্ছা, একটি আকুতি বহুদিন থেকে লালন করে এসেছি। জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে বীর মুজাহিদীনদের জীবনচরিত তুলে ধরবো ছোট্ট এই কলমটি দিয়ে কিতাবের পাতায়। কেন তুলে ধরবো জানো? তাদের জীবনের পাতায় আঁকা আছে উম্মাতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান।
তবে সবকথা নয়, কিছু কথা। সব আকুতি নয়, একটু আকুতি আর পূর্ণ হক আদায় করে লিখতে পারা খুব কম উত্তরসূরীর পক্ষেই সম্ভব তাই শুধু কিছু কথা; এমন কিছু কথা যেখানে আমাদের বীর মুজাহিদীন ভাইদের নির্ঝর হাসি যেমন আছে, তেমনি আছে তাদের চোখের গড়িয়ে পড়া অশ্রু। সেই হাসিতে, সেই অশ্রুতে হয়ত মিশে আছে আমাদের কিছু হাসি, কিছু অশ্রু।
আসলে তাদের সাথে আমাদের জীবনটা হাসিতে অশ্রুতে এমনই জড়িয়ে আছে, আলাদা করা সম্ভব নয়। কেন লিখতে চাই ভাইদের জীবনের বিরত্বগাঁথা কথাগুলো? এটা বোধহয় স্বভাবেরই আকুতি। কারণ তাতে যে রয়েছে উম্মাতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান। তাই যুগে যুগে দেশে দেশে অনেকেই লিখেছেন এই অতন্দ্রপ্রহরীদের তেজদীপ্ত জীবনকথা। আমিও তুলে ধরতে চাই, তবে সময়ের বাকে বাকে। সুযোকের ফাঁকে ফাঁকে। হয়ত তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানুষগুলোর একটু আধটু দোয়া আমার জন্য বয়ে আনবে পরকালে নাজের কিছু প্রাপ্তি! কিছু করুণা!! আর এটাই মুক্তির জন্য যথেষ্ট।
তেমনই একজন ইতিহাসের এক প্রদীপ্ত মনীষা। তাসাওউফের জগতে যিনি পথিকৃত। আত্মশুদ্ধির যে সুমিষ্ট নহর তিনি প্রবাহিত করেছেন শত বছর অবধি মানুষ তা থেকে আঁজলা ভরে পান করছে। শতাব্দীর পর উদিত শতাব্দীতে পৃথিবীর বিদ্বান ব্যক্তিগণ যাকে স্মরণ করছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে। মানুষ ও মানবতার জন্য যার ছিল আকুণ্ঠ ভালোবাসা।
★পাশ্চাত্যের জনৈক বিদগ্ধ পন্ডিত ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে কয়েকজন ইসলামী স্কলারদের লেকচার ও জীবনচরিতের ব্যাপারে মন্তব্য করে বলেছেন, ইসলাম সম্পর্কে আমি যথেষ্ট বুদ্ধিবৃত্তিক অধ্যয়ন করেছি। তাতে আমার বুদ্ধি ও চিন্তা প্রভাবিত হয়েছে, কিন্তু অন্তর বিগলিত হয়নি। তারপর মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনী অধ্যয়ন করেছি, যার আবেদন ছিলো বুদ্ধির পরিবর্তে আমার হৃদয়ের প্রতি। যার মায়া ছিলো আমার শরীরের পরিবর্তে অন্তরের প্রতি।
একটা সময় আমি আমার নিজেকে বারবার প্রশ্ন করতাম যে, এমন পুতপবিত্র চরিত্রের কোন মানুষ বর্তমান দুনিয়াতে আছে কি? বা থাকতে পারে? বা তাঁর ছোঁয়ার কিছু স্পর্শ। তাঁর কিছু সিফাতের নমুনা। তাঁর মমতার কিছু নিদর্শন। তাঁর সংস্পর্শের কিছু আচরণ-উচ্চারণ। অবশ্যই থাকার কথা। তালাশ করতে শুরু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ পেয়েও গেলাম।
★আব্দুল্লাহ আযযাম ও তাঁর সাথীদের দেখার পর আমার বিশ্বাস হলো যে, তাঁরাই হলেন আমাদের যুগের নবীজীবনের বাস্তব নমুনা। তখন আমার সমস্ত দ্বিধা দূর হলো। সঠিক অবস্থান পেয়ে গেলাম এবং আমি ইসলাম গ্রহণ করলাম।
হে প্রিয় যুবক ভাই! আমরাও তো পারি চেষ্টা করতে নবীজীবনের বাস্তব নমুনা বহনকারী এই শিংহসার্দুলদের কিছু ছাঁয়া গ্রহণ করার! আমাদের সঠিক অবস্থান খোঁজে পেতে তাদের জীবন কর্মকে আঁকড়ে ধরার। আমাদের দেখে যেন রাসূল খুশি হয়ে এ কথা বলেন-
আরে! তোমার তো মুফলিহুনদের অনুগামী, আরে! তোমরা তো সাদিকীনদের অনুস্বারী। আরে! তোমরা তো শুহাদের পথচারী। তোমাদের পুরষ্কার তো আমার রব নিজ হাতে দেবেন আর আমি তোমাদের হাউজে কাওসারে তৃপ্তিসহকারে পানি পান করাবো। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!!
★আফসোস! মুহাম্মাদ নাম ধারণ করে আজ কেউ কেউ উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার 'সঠিক' অবস্থান কোথায় সেই সবক নতুন করে শেখাতে চাচ্ছে। তারা বলতে চায়, গাযওয়া নয়, গাযী নয়, শাহাদাত নয়, শহীদ নয় এবং জিহাদ ও মুজাহিদ নয় তোমাদের সঠিক অবস্থান। একুশ শতকের বাস্তবতায় এগুলো তোমাদের আজ ভুলে যেতে হবে, তাতেই কল্যাণ!
★তোমাদের সঠিক অবস্থান হলো ইহুদি-মার্কিন তাবেদারি! তোমাদের সঠিক অবস্থান হলো আল-কুদুস থেকে সরে আসা! মুসলিম ভূখণ্ডগুলো কাফেরদের হাতে তুলে দেয়া! তোমাদের সঠিক অবস্থান হলো ' শতাব্দীর সেরা চুক্তি মেনে নিয়ে নেকড়ের সামনে শান্তশিষ্ট মেষশাবকের আচরণ করা।
★এই যদি হয় উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান তাহলে অতীতে নূরুদ্দীন জঙ্গী যা করেছিলো তা ভুল ছিলো! ছালাহুদ্দীন গাযী লকব ভুল ছিলো! বীর কাসেমের দুরদর্শীপূর্ণ হামলা অপরাধ ছিলো! উমর ইবনুল খাত্তাবের বাইতুল মাকদিস পুনরুদ্ধার করা অন্যায় ছিলো! এটাই যদি হয় উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান তাহলে ঐ যে শামের দুয়ারে ইহুদিদের সঙ্গে লড়াই হবে,আর বলা হবে 'আমার পিছনে এক ইহুদী লুকিয়ে আছে, ওকে ধরো, আর কতল করো, এটা কি তাহলে ভুল?
★হে জীবন সফরে আত্মভোলা পথিক!
জীবনকে যদি ফানা'র জুলমত থেকে বাকা'র আলোতে আনতে চাও তাহলে মৃত্যুপূর্ব জীবনকে যাপন করতে হবে মৃত্যুপরবর্তী জীবনের কথা মনে রেখে। তখন দু'দিনের জীবনেও পাবে অনন্ত জীবনের শান্তি ও প্রশান্তি। দু'দিনের জীবন আঁধারে ঘেরা। পথ সামান্য, গন্তব্য অনন্তের ঠিকানায়। পথ চলার জন্য আলো চাই। সঠিক অবস্থান চাই। কোথায় পাবো অনন্তের গন্তব্যে পৌঁছার আলো?★★
সেই আলোরই সন্ধান পেতে উম্মতে মুহাম্মাদিয়্যার আজকের সঠিক করণীয় কি তা জানতে হলে বুঝতে হলে, ভালোভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে ঐ সমস্ত অতন্দ্রপ্রহরীদের পথ যারা সিরাতুল মুসতাকিমের পথকে পেশা ও নেশা বানিয়েছেন।
প্রিয় ভাই ও বোন!
প্রতিটি মুসলমানের একক সম্পদ হলো ঈমান। যাকে সযত্নে আগলে রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। আর নবাগত প্রজন্মের এই সম্পদকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রত্যেক দায়িত্বশীলদের কর্তব্য। যেমন অভিভাবক সন্তান বড় হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সম্পদ সংরক্ষণ করতে থাকে।
আজ বিশ্বময় পশ্চিমা ও ভ্রান্ত মতের জাল ছড়িয়ে দিয়ে নব প্রজন্মের ঈমানকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেই জাল থেকে তাদেরকে বাঁচাতে হলে আমাদের মজবুত ভাবে লেগে থাকতে হবে সময়ের সেরা দাঈদের সাথে। [[মুজাহিদ ফি সাবিলিল্লাহ]]
★প্রিয় ভাই ও বোন!
হৃদয়ের গভীরে, অনেক গভীরে, যেখানে কারো প্রবেশ ঘটে না। এমনকি নিজেরও একটু উঁকি দিয়ে দেখার সুযোগ হয়না। হৃদয়ের সেই গভীর অতলান্ত থেকে একটি ইচ্ছা, একটি আকুতি বহুদিন থেকে লালন করে এসেছি। জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে বীর মুজাহিদীনদের জীবনচরিত তুলে ধরবো ছোট্ট এই কলমটি দিয়ে কিতাবের পাতায়। কেন তুলে ধরবো জানো? তাদের জীবনের পাতায় আঁকা আছে উম্মাতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান।
তবে সবকথা নয়, কিছু কথা। সব আকুতি নয়, একটু আকুতি আর পূর্ণ হক আদায় করে লিখতে পারা খুব কম উত্তরসূরীর পক্ষেই সম্ভব তাই শুধু কিছু কথা; এমন কিছু কথা যেখানে আমাদের বীর মুজাহিদীন ভাইদের নির্ঝর হাসি যেমন আছে, তেমনি আছে তাদের চোখের গড়িয়ে পড়া অশ্রু। সেই হাসিতে, সেই অশ্রুতে হয়ত মিশে আছে আমাদের কিছু হাসি, কিছু অশ্রু।
আসলে তাদের সাথে আমাদের জীবনটা হাসিতে অশ্রুতে এমনই জড়িয়ে আছে, আলাদা করা সম্ভব নয়। কেন লিখতে চাই ভাইদের জীবনের বিরত্বগাঁথা কথাগুলো? এটা বোধহয় স্বভাবেরই আকুতি। কারণ তাতে যে রয়েছে উম্মাতে মুহাম্মাদিয়্যার সঠিক অবস্থান। তাই যুগে যুগে দেশে দেশে অনেকেই লিখেছেন এই অতন্দ্রপ্রহরীদের তেজদীপ্ত জীবনকথা। আমিও তুলে ধরতে চাই, তবে সময়ের বাকে বাকে। সুযোকের ফাঁকে ফাঁকে। হয়ত তাদের জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া মানুষগুলোর একটু আধটু দোয়া আমার জন্য বয়ে আনবে পরকালে নাজের কিছু প্রাপ্তি! কিছু করুণা!! আর এটাই মুক্তির জন্য যথেষ্ট।
তেমনই একজন ইতিহাসের এক প্রদীপ্ত মনীষা। তাসাওউফের জগতে যিনি পথিকৃত। আত্মশুদ্ধির যে সুমিষ্ট নহর তিনি প্রবাহিত করেছেন শত বছর অবধি মানুষ তা থেকে আঁজলা ভরে পান করছে। শতাব্দীর পর উদিত শতাব্দীতে পৃথিবীর বিদ্বান ব্যক্তিগণ যাকে স্মরণ করছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে। মানুষ ও মানবতার জন্য যার ছিল আকুণ্ঠ ভালোবাসা।
★পাশ্চাত্যের জনৈক বিদগ্ধ পন্ডিত ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে কয়েকজন ইসলামী স্কলারদের লেকচার ও জীবনচরিতের ব্যাপারে মন্তব্য করে বলেছেন, ইসলাম সম্পর্কে আমি যথেষ্ট বুদ্ধিবৃত্তিক অধ্যয়ন করেছি। তাতে আমার বুদ্ধি ও চিন্তা প্রভাবিত হয়েছে, কিন্তু অন্তর বিগলিত হয়নি। তারপর মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনী অধ্যয়ন করেছি, যার আবেদন ছিলো বুদ্ধির পরিবর্তে আমার হৃদয়ের প্রতি। যার মায়া ছিলো আমার শরীরের পরিবর্তে অন্তরের প্রতি।
একটা সময় আমি আমার নিজেকে বারবার প্রশ্ন করতাম যে, এমন পুতপবিত্র চরিত্রের কোন মানুষ বর্তমান দুনিয়াতে আছে কি? বা থাকতে পারে? বা তাঁর ছোঁয়ার কিছু স্পর্শ। তাঁর কিছু সিফাতের নমুনা। তাঁর মমতার কিছু নিদর্শন। তাঁর সংস্পর্শের কিছু আচরণ-উচ্চারণ। অবশ্যই থাকার কথা। তালাশ করতে শুরু করলাম। আলহামদুলিল্লাহ পেয়েও গেলাম।
★আব্দুল্লাহ আযযাম ও তাঁর সাথীদের দেখার পর আমার বিশ্বাস হলো যে, তাঁরাই হলেন আমাদের যুগের নবীজীবনের বাস্তব নমুনা। তখন আমার সমস্ত দ্বিধা দূর হলো। সঠিক অবস্থান পেয়ে গেলাম এবং আমি ইসলাম গ্রহণ করলাম।
হে প্রিয় যুবক ভাই! আমরাও তো পারি চেষ্টা করতে নবীজীবনের বাস্তব নমুনা বহনকারী এই শিংহসার্দুলদের কিছু ছাঁয়া গ্রহণ করার! আমাদের সঠিক অবস্থান খোঁজে পেতে তাদের জীবন কর্মকে আঁকড়ে ধরার। আমাদের দেখে যেন রাসূল খুশি হয়ে এ কথা বলেন-
আরে! তোমার তো মুফলিহুনদের অনুগামী, আরে! তোমরা তো সাদিকীনদের অনুস্বারী। আরে! তোমরা তো শুহাদের পথচারী। তোমাদের পুরষ্কার তো আমার রব নিজ হাতে দেবেন আর আমি তোমাদের হাউজে কাওসারে তৃপ্তিসহকারে পানি পান করাবো। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!!
Comment