মেয়েদের ফিতনা থেকে সালাফরা যেভাবে নিজেদের আত্মরক্ষা করতেন!
মোহাম্মদ বিন সীরীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
আল্লাহর কসম! আব্দুল্লাহর আম্মু (তার স্ত্রী) ছাড়া আমি অন্য কোন মহিলার দিকে দৃষ্টি দেইনি।
জাগ্রতাবস্থায়ও না আর ঘুমন্তাবস্থায়ও না।
স্বপ্নে আমি কোন মহিলাকে দেখলে মনে করছি, এটাতো আমার জন্য হালাল না। অতঃপর তার থেকে আমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছি। (সাহমু ইবলিস ওয়া কাওছিহ)
.
রাবী বিন খায়ছাম রাহিমাহুল্লাহ তার দৃষ্টিকে অবনত রাখতেন। আর মহিলাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম কালে নিজের চোখকে একদম নীচে নামিয়ে রাখতেন, তখন মহিলারা মনে করতো তিনি অন্ধ। অতঃপর তারা আল্লাহর কাছে অন্ধত্ব থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয়প্রার্থনা করত। (যাম্মুল হাওয়া, ৮০)
.
আতা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমাকে যদি বাইতুল মালের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে আমি বিশ্বস্ত হতে পারব। তবে কুৎসিত বিকৃত দাসীর ক্ষেত্রেও আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করি না।
ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যই বলেছেন।
(সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৫/৮৭-৮৮)
.
আহনাফ বিন ক্বাইস রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তোমরা আমাদের বৈঠকগুলোতে খাবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করা থেকে বিরত থাকবে। আমি ঐ ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, যে নিজের লজ্জাস্থান ও পেটের বিবরণ দেয়। (সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৪/৯৪)।
.
সাঈদ বিন মুসাইয়িব রাহিমাহুল্লাহুর বয়স ৮৪ বছর, তখন তার এক চোখ নষ্ট, আরেকটির দৃষ্টিশক্তিও একেবারে দুর্বল, এমতাবস্থায় তিনি বললেন, আমার কাছে নারীর চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর আর কিছু নেই।
(সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)
.
অন্যত্র তিনি বলেন,
আমি নিজের উপর নারীকে ভয়ের মত অন্য কোন কিছুকে এত ভয় পাই না।
তারা বললেন, হে আবু মুহাম্মদ! আপনার মত বুড়ো মানুষ তো আর মহিলাদেরকে চাইবে না, আর না মহিলারা আপনাকে চাইবে।
তিনি বললেন, সেটাই আমি তোমাদের বলছি।
(কেউ কাউকে চাইবে না, তারপরও আমার এত ভয়)
অথচ সে সময় তিনি ছিলেন ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন বৃদ্ধ এক লোক। (সিয়ারু আলামীন নুবালা, ৪/২৩৭)
.
আল -আলা বিন যিয়াদ (রাহঃ) বলেন,
কোন মেয়ের উড়নার উপর যেন তোমার দৃষ্টি না পড়ে।
কারণ এই দৃষ্টিই অন্তরে কামনা-বাসনা জাগিয়ে তুলে।
(আহমাদ, যুহুদ, ৩১১)।
.
আবু হাকীম রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
হাসসান বিন আবু সিনান একদিন ঈদগাহে গেলেন।
অতঃপর ঈদগাহ থেকে ফিরলে তার স্ত্রী তাকে বললেন, আজ কতইনা সুন্দরী রমণীকে তুমি অবলোকন করেছ।
বারবার একই কথা বলার পর তিনি বললেন, তোমার জন্য আফসোস!
বাড়ি থেকে বের হয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত আমি আমার বুড়ো আঙুলের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম।
(ইবনু আবী দুনইয়া, আল-ওরাআ, ৬)
.
ওয়াক্বী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা সুফিয়ান সাওরীর সাথে ঈদের দিন বের হলাম।
তিনি বললেন, আজ আমাদের সর্বপ্রথম কাজ হলো, আমরা আমাদের দৃষ্টি অবনত রাখবো।
(ইবনু আবী দুনইয়া, আল-ওরাআ, ৭২)
.
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
যখন তোমার পাশ দিয়ে কোন মহিলা অতিক্রম করবে তখন তোমার দু'চোখে নিচে নামিয়ে নিবে, যতক্ষণ না সে তোমাকে অতিক্রম করে চলে যায়।
(ইবনু আবী দুনইয়া, আল-ওরাআ, ৭২)
[সংগৃহীত]
Comment