স্মৃতির তাঁকগুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখি!
★★প্রিয় যুবক ভাই!
অনেক দিন তো হলো। মন বলছে- স্মৃতির তাঁকগুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখি! আপনি আমাকে একটু সঙ্গ দিন যাতে আমার মাঝে বিরক্তিভাব না আসে। অল্প সময়ে দেখা শেষ করে ফিরে আসবো ইনশাআল্লাহ। প্রথমেই যার কথা মনে পড়ছে তিনি হলেন শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ। স্মৃতির তাঁকের একেবারে মাঝ বরাবর বীরদর্পনে শাইখ রাহিমাহুল্লাহর চরিত্রগুলো সেঁজে আছে । শতাব্দীর তাঁকের একেবারে শুরু তাঁকগুলোই দখল করে ভেসে আছে। যে কারোই চোঁখে পড়বে।★
হৃদয়ের কোণে কেন জানি তাঁর নাম নিতেই একটুখানি ক্ষত হয়ে গেলো। তাঁর চরিত্রের হিম শীতল পানিতে ডুব দিলে কেন জানি ফিরে আসতে চায় না মন। ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে পাহাড় আর উপত্যকা পাড়ি দেয়া মানুষটাকে কেন জানি মনে হয় দরদী মুসাফির। তুরাবোরা আর জালালাবাদের কাহিনী গুলো হৃদয়ের সাগরে রীতিমতো তুলে ঝড়।।
★দশ দশটি বছর পেরিয়ে গেলো। কিন্তু শাইখ রাহিমাহুল্লাহর স্মৃতিগুলো যুবকদের মনিকোঠায় রয়ে গেলো। কেন তাঁর প্রতি এত দরদ উদ্যেলিত হয়! কেন তাঁর প্রতি এত মায়া জন্ম নেয় ! তিনি তো আমার রক্তের কেউ না। তিনি তো আমার আত্মীয়েরও আত্মীয় না। বংশের বাতিঘর বা নিভু নিভু জোনাকিও না। তাহলে তিনি কে? ★
এতটুকুই জানি! তিনি উম্মাহর শফিক ও মুশফিক একজন রাহবার। উম্মাহর যুবকদের ময়দানের একজন গার্জিয়ান। আরব আর আজমীদের রণাঙ্গনের একজন যোগানদার। বিসর্জনদাতাদের সেরাদের সেরা একজন আইডল।
যার ইমানের তেজ দ্বীপকুলে অবস্থিত আমেরিকার উচু টাওয়ারে চলে গেছে। যার ইমানের অগ্নিলাভা তছনছ করে দিয়েছে বিশ্বের দম্ভকে। যার ইমানের প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে হিন্দের মানচিত্রে।
আমার মনে আছে★
এক সাক্ষাৎকারে শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ শাইখ উসামার জীবনে তুলে ধরেছিলেন। মনে হয়েছে এক আগন্তুক কতগুলো ফুটন্ত লালআভাযুক্ত গোলাপ আমার হাতে দিয়েই উধাও হয়ে গেলো। যতবার শুনেছি ততবারই এমন মনে হয়েছে।[০]
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ বলেন-শাইখ রাহিমাহুল্লাহ এর সাথে আমি তুরাবোরা পাড়ি দেয়ার সময় তাঁকে আরো বেশি আপন করে নিয়েছি। একেবারে কাছ থেকে অনুভব করেছি। দীর্ঘ সফরে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। শাইখ বেশ অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাঁর প্রেশার লো হয়ে যেতো তাই তিনি সাথে থাকা কাঁচা লবন মুখে পুড়ে দিতেন। আমরা এ দৃশ্য দেখে হা করে তাকিয়ে থাকতাম।[০]
★শাইখ রাহিমাহুল্লাহর জীবনের এই অন্তিম মুহূর্তের কষ্ট আর ত্যাগগুলো আমাকে পদে পদে সাহস যোগিযেছে । দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্য যে সুখগুলোকে অক্সিজেন আর দুখগুলোকে পরকালের পাথেয় বানাতে হয় তা আমি শিখেছি তাঁর কাছ থেকেই।
তাঁর জোড়া চোখগুলো দেখলে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারবেন উম্মাহর প্রতি তাঁর দরদ কতটুকু। মুচকি হাসি আর করুন চাহনিই বলে দেয় তিনি ছিলেন ন্যায়ের রক্ষক আর বাতিলের রক্ত পিপাসু। হকের ঝান্ডাধারী আর তাগুতের কল্লা ফওতকারী।
শাইখ রাহিমাহুল্লাহ অত্যন্ত মেধা ও বুদ্ধি ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অন্তর কুরআনের ঐ সমস্ত আয়াতের প্রতি ধাবিত হয়েছে যেখানে সচরাচর কোন ব্যক্তি চোখ বোলাতে চায়না।
★আল্লাহ বলেছেন-
যারা ইমান এনেছে এবং হিজরত করেছে এবং নিজ জান-মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। তাদের মর্তবা আল্লাহর নিকট অনেক বেশি। আর তারাই সফল। শাইখ এ আয়াতের যথাযথ কদর করেছেন।[১]
অন্যত্র বলেছেন- ওজর ছাড়া ঘরে বসে থাকা মুমিন আর ময়দানে লড়ে যাওয়া মুমিন সমান নয়।
শাইখ লড়ে যাওয়া মুমিনের প্রথম কাতারে থাকার অনবদ্য চেষ্টা চালিয়েছেন।[২]
ভিন্ন ভিন্ন আয়াতে এসেছে★
যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে তারাই হলো প্রকৃত মুমিন। তারাই হলো সাদিকীন। ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাদের সমান কেউ হতে পারবে না। তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন। এসব গুলোর শ্রেণীবিন্নাস করার জন্য শাইখ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্তে ছুটে চলেছেন।[৩]
হে আল্লাহ! আপনি শাইখকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে আসিন করুন। শুহাদাদের রাজ্যে অবাধ বিচরণের পথ তৈরি করুন। হুর-পরীদের মিলনমেলায় তাঁর কৃতিত্বকে অমর করে দিন। আমিন! আমিন!! ইয়া রাব্বাল আলামিন।
প্রমাণাদিঃ
০.আন-নাসর মিডিয়ার এক ভিডিও ক্লিপ থেকে
০.আন-নাসর মিডিয়ার এক ভিডিও ক্লিপ থেকে
১.সূরা তাওবা-আয়াত নং ২০
২.সূরা নিসা-আয়াত নং ৯৫
৩.কুরআনের বিভিন্ন অংশে
★★প্রিয় যুবক ভাই!
অনেক দিন তো হলো। মন বলছে- স্মৃতির তাঁকগুলো একটু নেড়েচেড়ে দেখি! আপনি আমাকে একটু সঙ্গ দিন যাতে আমার মাঝে বিরক্তিভাব না আসে। অল্প সময়ে দেখা শেষ করে ফিরে আসবো ইনশাআল্লাহ। প্রথমেই যার কথা মনে পড়ছে তিনি হলেন শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ। স্মৃতির তাঁকের একেবারে মাঝ বরাবর বীরদর্পনে শাইখ রাহিমাহুল্লাহর চরিত্রগুলো সেঁজে আছে । শতাব্দীর তাঁকের একেবারে শুরু তাঁকগুলোই দখল করে ভেসে আছে। যে কারোই চোঁখে পড়বে।★
হৃদয়ের কোণে কেন জানি তাঁর নাম নিতেই একটুখানি ক্ষত হয়ে গেলো। তাঁর চরিত্রের হিম শীতল পানিতে ডুব দিলে কেন জানি ফিরে আসতে চায় না মন। ঝুম ঝুম বৃষ্টিতে পাহাড় আর উপত্যকা পাড়ি দেয়া মানুষটাকে কেন জানি মনে হয় দরদী মুসাফির। তুরাবোরা আর জালালাবাদের কাহিনী গুলো হৃদয়ের সাগরে রীতিমতো তুলে ঝড়।।
★দশ দশটি বছর পেরিয়ে গেলো। কিন্তু শাইখ রাহিমাহুল্লাহর স্মৃতিগুলো যুবকদের মনিকোঠায় রয়ে গেলো। কেন তাঁর প্রতি এত দরদ উদ্যেলিত হয়! কেন তাঁর প্রতি এত মায়া জন্ম নেয় ! তিনি তো আমার রক্তের কেউ না। তিনি তো আমার আত্মীয়েরও আত্মীয় না। বংশের বাতিঘর বা নিভু নিভু জোনাকিও না। তাহলে তিনি কে? ★
এতটুকুই জানি! তিনি উম্মাহর শফিক ও মুশফিক একজন রাহবার। উম্মাহর যুবকদের ময়দানের একজন গার্জিয়ান। আরব আর আজমীদের রণাঙ্গনের একজন যোগানদার। বিসর্জনদাতাদের সেরাদের সেরা একজন আইডল।
যার ইমানের তেজ দ্বীপকুলে অবস্থিত আমেরিকার উচু টাওয়ারে চলে গেছে। যার ইমানের অগ্নিলাভা তছনছ করে দিয়েছে বিশ্বের দম্ভকে। যার ইমানের প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে হিন্দের মানচিত্রে।
আমার মনে আছে★
এক সাক্ষাৎকারে শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ শাইখ উসামার জীবনে তুলে ধরেছিলেন। মনে হয়েছে এক আগন্তুক কতগুলো ফুটন্ত লালআভাযুক্ত গোলাপ আমার হাতে দিয়েই উধাও হয়ে গেলো। যতবার শুনেছি ততবারই এমন মনে হয়েছে।[০]
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিজাহুল্লাহ বলেন-শাইখ রাহিমাহুল্লাহ এর সাথে আমি তুরাবোরা পাড়ি দেয়ার সময় তাঁকে আরো বেশি আপন করে নিয়েছি। একেবারে কাছ থেকে অনুভব করেছি। দীর্ঘ সফরে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। শাইখ বেশ অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাঁর প্রেশার লো হয়ে যেতো তাই তিনি সাথে থাকা কাঁচা লবন মুখে পুড়ে দিতেন। আমরা এ দৃশ্য দেখে হা করে তাকিয়ে থাকতাম।[০]
★শাইখ রাহিমাহুল্লাহর জীবনের এই অন্তিম মুহূর্তের কষ্ট আর ত্যাগগুলো আমাকে পদে পদে সাহস যোগিযেছে । দুনিয়ায় বেঁচে থাকার জন্য যে সুখগুলোকে অক্সিজেন আর দুখগুলোকে পরকালের পাথেয় বানাতে হয় তা আমি শিখেছি তাঁর কাছ থেকেই।
তাঁর জোড়া চোখগুলো দেখলে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারবেন উম্মাহর প্রতি তাঁর দরদ কতটুকু। মুচকি হাসি আর করুন চাহনিই বলে দেয় তিনি ছিলেন ন্যায়ের রক্ষক আর বাতিলের রক্ত পিপাসু। হকের ঝান্ডাধারী আর তাগুতের কল্লা ফওতকারী।
শাইখ রাহিমাহুল্লাহ অত্যন্ত মেধা ও বুদ্ধি ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর অন্তর কুরআনের ঐ সমস্ত আয়াতের প্রতি ধাবিত হয়েছে যেখানে সচরাচর কোন ব্যক্তি চোখ বোলাতে চায়না।
★আল্লাহ বলেছেন-
যারা ইমান এনেছে এবং হিজরত করেছে এবং নিজ জান-মাল দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। তাদের মর্তবা আল্লাহর নিকট অনেক বেশি। আর তারাই সফল। শাইখ এ আয়াতের যথাযথ কদর করেছেন।[১]
অন্যত্র বলেছেন- ওজর ছাড়া ঘরে বসে থাকা মুমিন আর ময়দানে লড়ে যাওয়া মুমিন সমান নয়।
শাইখ লড়ে যাওয়া মুমিনের প্রথম কাতারে থাকার অনবদ্য চেষ্টা চালিয়েছেন।[২]
ভিন্ন ভিন্ন আয়াতে এসেছে★
যারা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে তারাই হলো প্রকৃত মুমিন। তারাই হলো সাদিকীন। ইবাদাতের ক্ষেত্রে তাদের সমান কেউ হতে পারবে না। তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন। এসব গুলোর শ্রেণীবিন্নাস করার জন্য শাইখ পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্তে ছুটে চলেছেন।[৩]
হে আল্লাহ! আপনি শাইখকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে আসিন করুন। শুহাদাদের রাজ্যে অবাধ বিচরণের পথ তৈরি করুন। হুর-পরীদের মিলনমেলায় তাঁর কৃতিত্বকে অমর করে দিন। আমিন! আমিন!! ইয়া রাব্বাল আলামিন।
প্রমাণাদিঃ
০.আন-নাসর মিডিয়ার এক ভিডিও ক্লিপ থেকে
০.আন-নাসর মিডিয়ার এক ভিডিও ক্লিপ থেকে
১.সূরা তাওবা-আয়াত নং ২০
২.সূরা নিসা-আয়াত নং ৯৫
৩.কুরআনের বিভিন্ন অংশে
Comment