আমাদের দেশের যুবসমাজের একটি বৈশিষ্ট্য হলো তারা রাতের বেলা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সজাগ থাকে। সাধারণত এই সময়টা তারা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে কাটায়। অনেকে আছে সারা রাত গেম খেলে, গেম স্ট্রিমও করে অনেকে। জেনারেল লাইন থেকে যারা দ্বীনের পথে আসে তারাও এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না। এমনকি যারা মাদ্রাসা থেকে ফারেগ হয়ে নিয়মিত ভাবে ফেসবুক চালানো শুরু করে তাদের অনেকের মধ্যেও এই অভ্যাসটি চলে আসে। আমার কাছে অত্যন্ত খারাপ লাগে যখন দেখি একজন মানুষ অন্যদেরকে দ্বীনের পথে ডাকছে, তাদেরকে সঠিক চিন্তাধারা ও মতাদর্শ শেখানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদেরকে আত্মশুদ্ধির ব্যাপারে কিছু বলছে না। এমনকি সে নিজেও ব্যক্তিগত জীবনে নিয়মমাফিক চলছে না। কোন কোন দ্বাঈর ক্ষেত্রে দেখি তারা বিকালের পর থেকে সারা রাত দুয়েক ঘণ্টা পর পর এটা সেটা পোস্ট করেন, তাদের টাইমলাইনে ঘুরলে দেখা যায় কিছুক্ষণ পর পর এটা সেটা পোস্ট। কিন্তু সকালের টাইমগুলোতে তাদের কোন পোস্ট থাকে না। দুপুর বারটার আগ পর্যন্ত তাদেরকে অনলাইনে পাওয়া যায় না। সত্যিই এটি খুব আফসোসের একটি বিষয়।
এক সময় আমাদের দেশে গানের ক্যাসেট এলো, আর এলো মোবাইল, এফএম রেডিওতে আয়োজন করা হত নানা রকম চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠান। রেডিওর অনুষ্ঠানগুলোতে শ্রোতারাও অনেক সময় যুক্ত হতে পারতো। তখন থেকেই মূলত এই সমস্যাটা একটা জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। রাত জাগা তো বটেই, সবচেয়ে সাংঘাতিক বিষয় হলো এর মাধ্যমে সমাজে ব্যাপক হারে নারী পুরুষ হারাম সম্পর্কের কালচার ছড়িয়ে পড়ে। দশ বছর আগেও যা সমাজে নিন্দনীয় ছিল তাকে আম বানিয়ে দেওয়া হলো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বানিয়ে দেওয়া হলো মেরী স্টোপস। যেন হারাম সম্পর্ক করতে করতে যদি কেউ কখনো একটা এক্সিডেন্ট করে বসে তাহলে সহজে গর্ভপাত করে যেন বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়া যায় তাই এই আয়োজন। আমরা এই বিষয়ে অন্য আরেক সময় আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
মানুষ দ্বীন শিখবে কাদের কাছ থেকে? নিশ্চয়ই আলেম ও দ্বাঈদের থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন দাওয়াতের ভালো সুফল দেখা গিয়েছে। তাহলে যারা অনলাইনে দাওয়াতের কাজ করেন তাদের উপর এর গুরুদায়িত্ব বর্তেছে। মানুষকে বিশেষভাবে যুবসমাজকে সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্ব তাদেরই। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা নিজেরাও ব্যক্তিগত জীবনে নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলেন না। একটি শক্তিশালী প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে নিয়মানুবর্তিতার দিকে ফোকাস করতে হবে। অনেকের মনে একটা প্রচ্ছন্ন ধারণা আছে যে ডিসিপ্লিন মানা হয়তো বাধ্যতামূলক নয়। তারা জীবনকে অটোপাইলট মোডে ছেড়ে দেন। প্রকৃতপক্ষে একজন ডিসিপ্লিনহীন মানুষ শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে, সে কখনো একজন বলিষ্ঠ মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। মানসিকভাবেও সে চৌকস হয়ে উঠতে পারে না। সারাক্ষণ কিছু না কিছু ভুল করতে থাকে এবং আধ্যাত্মিক ভাবেও সে দুর্বল হয়ে পরে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সে অত বেশি অনুভব করতে পারে না। সে তখন এক ধরনের স্থূল জীবনযাপন করতে থাকে। এর মধ্যে রবের ভালোবাসা অনুভূত হয় না।
সঠিক সময়ে ঘুমানো ও সঠিক সময়ে জেগে ওঠা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ডিসিপ্লিনের একটি অংশ। বলা যায় এটিই হলো সবচেয়ে বড় অংশ। কারণ এর দ্বারাই সারা দিনের অন্যান্য কাজগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। আমি মনে করি একজন মানুষের উচিত রাত নয়টা বাজে ঘুমাতে যাওয়া। অনেকে একে বাড়াবাড়ি বলে মনে করতে পারে। কারণ ঢাকা শহর বা এই জাতীয় স্থানগুলোতে রাত নয়টা মানে হলো অনেকটা সন্ধ্যার মত। এত তাড়াতাড়ি সাধারণত মানুষ ঘুমিয়ে অভ্যস্ত নয়। তবে এটিই হলো ঘুমের সঠিক সময়। আর ঘুম থেকে ওঠা উচিত রাত তিনটা বাজে। এই লাইফস্টাইল আমি শিখেছিলাম আমার হোস্টেলের বড় ভাইদের কাছ থেকে। যখন তারা আমাকে রাত তিনটা বাজে ওঠার কথা বলেছিলেন তখন আমি ভাবলাম এটা তো অত্যন্ত কঠিন। তারপরও মনে মনে প্রস্তুত হয়েছিলাম এইজন্য যে সামনে তো বোর্ড পরীক্ষা। এখন একটু কষ্ট করলে সমস্যা নেই। কিন্তু যখনই আমি এই নিয়ম এপ্লাই করা শুরু করলাম তখন মনে হলো এটা মোটেও কঠিন নয়। কেউ যদি এশার নামায পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে তার জন্য রাত তিনটা বাজে ওঠা মোটেই কঠিন নয়, বরং স্বাভাবিক হয়ে যায়। রাতে নয়টার মধ্যে ঘুমাতে পারলে রাত তিনটার পর চাইলেও আর ঘুম আসা সম্ভব নয়। একা একাই জেগে ওঠা সম্ভব। তারপর ইমিডিয়েট চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে পড়ালেখার জন্যও দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়। শরীরে এক ধরনের শক্তি অনুভূত হয় এবং সারাদিনের রুটিন মেনে চলা সহজ হয়।
তবে অনেকে বলে যে, ভাই চাইলেও তো ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব নয়। অনেক সময় চেষ্টা করলেও ঘুমানো সম্ভব হয় না। এর জন্য আসলে দায়ী হলো কোন কায়িক শ্রম না করা। যারা প্রতিদিন এক্সারসাইজ করে তারা চাইলে অতি সহজেই ঘুমিয়ে পরতে পারে। অনিদ্রা সমস্যা থাকে সাধারণত তাদের যারা কোন পরিশ্রমের কাজ না করে। একজন ছাত্রের উচিত নিয়মিত এক্সারসাইজ করা। তাহলে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো থাকে, শিখন ক্ষমতা বেড়ে যায়। নিয়মিত এক্সারসাইজের দ্বারা অনিদ্রা সমস্যা দূর হয়। সাধারণ অবস্থায় প্রতিদিন আধা ঘণ্টা এক্সারসাইজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি মিলিটারি ট্রেনিংয়ের মত কোন বিষয় নয় বা ইদাদের পর্যায়েও পড়ে না। এতটুকু এক্সারসাইজ দরকার শুধু সুস্থ থাকার জন্য ও ব্রেইনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। সাউন্ড বডি ও সাউন্ড মাইন্ড অর্জনের জন্য এতটুকু শরীর চর্চা প্রয়োজনীয়। তাছাড়া ঘুমের আগে গোসল করে নিলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরা সহজ হয়।
আরেকটি বিষয় হলো ঘুমানোর সময় কোনমতেই আশেপাশে মোবাইল রাখা ঠিক হবে না। এটা ঘুমের ব্যাঘাত তো ঘটাবেই পাশাপাশি মোবাইলের রেডিয়েশন মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই প্রয়োজন না পরলে মোবাইল কখনোই একজন মানুষের কাছে রাখা উচিত নয়। একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে অপছন্দের বিষয় হওয়া উচিত মোবাইল। বিশেষভাবে এর ক্ষতিসমূহ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত আছি। তা সত্ত্বেও মোবাইলই এখন হয়ে উঠেছে আমাদের সবচেয়ে কাছের বস্তু। আমাদের এই সকল অভ্যাস অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত।
এক সময় আমাদের দেশে গানের ক্যাসেট এলো, আর এলো মোবাইল, এফএম রেডিওতে আয়োজন করা হত নানা রকম চিত্তাকর্ষক অনুষ্ঠান। রেডিওর অনুষ্ঠানগুলোতে শ্রোতারাও অনেক সময় যুক্ত হতে পারতো। তখন থেকেই মূলত এই সমস্যাটা একটা জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। রাত জাগা তো বটেই, সবচেয়ে সাংঘাতিক বিষয় হলো এর মাধ্যমে সমাজে ব্যাপক হারে নারী পুরুষ হারাম সম্পর্কের কালচার ছড়িয়ে পড়ে। দশ বছর আগেও যা সমাজে নিন্দনীয় ছিল তাকে আম বানিয়ে দেওয়া হলো। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বানিয়ে দেওয়া হলো মেরী স্টোপস। যেন হারাম সম্পর্ক করতে করতে যদি কেউ কখনো একটা এক্সিডেন্ট করে বসে তাহলে সহজে গর্ভপাত করে যেন বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়া যায় তাই এই আয়োজন। আমরা এই বিষয়ে অন্য আরেক সময় আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
মানুষ দ্বীন শিখবে কাদের কাছ থেকে? নিশ্চয়ই আলেম ও দ্বাঈদের থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন দাওয়াতের ভালো সুফল দেখা গিয়েছে। তাহলে যারা অনলাইনে দাওয়াতের কাজ করেন তাদের উপর এর গুরুদায়িত্ব বর্তেছে। মানুষকে বিশেষভাবে যুবসমাজকে সঠিক পথ দেখানোর দায়িত্ব তাদেরই। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা নিজেরাও ব্যক্তিগত জীবনে নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলেন না। একটি শক্তিশালী প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে নিয়মানুবর্তিতার দিকে ফোকাস করতে হবে। অনেকের মনে একটা প্রচ্ছন্ন ধারণা আছে যে ডিসিপ্লিন মানা হয়তো বাধ্যতামূলক নয়। তারা জীবনকে অটোপাইলট মোডে ছেড়ে দেন। প্রকৃতপক্ষে একজন ডিসিপ্লিনহীন মানুষ শারীরিকভাবে দুর্বল থাকে, সে কখনো একজন বলিষ্ঠ মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। মানসিকভাবেও সে চৌকস হয়ে উঠতে পারে না। সারাক্ষণ কিছু না কিছু ভুল করতে থাকে এবং আধ্যাত্মিক ভাবেও সে দুর্বল হয়ে পরে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সে অত বেশি অনুভব করতে পারে না। সে তখন এক ধরনের স্থূল জীবনযাপন করতে থাকে। এর মধ্যে রবের ভালোবাসা অনুভূত হয় না।
সঠিক সময়ে ঘুমানো ও সঠিক সময়ে জেগে ওঠা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ডিসিপ্লিনের একটি অংশ। বলা যায় এটিই হলো সবচেয়ে বড় অংশ। কারণ এর দ্বারাই সারা দিনের অন্যান্য কাজগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়। আমি মনে করি একজন মানুষের উচিত রাত নয়টা বাজে ঘুমাতে যাওয়া। অনেকে একে বাড়াবাড়ি বলে মনে করতে পারে। কারণ ঢাকা শহর বা এই জাতীয় স্থানগুলোতে রাত নয়টা মানে হলো অনেকটা সন্ধ্যার মত। এত তাড়াতাড়ি সাধারণত মানুষ ঘুমিয়ে অভ্যস্ত নয়। তবে এটিই হলো ঘুমের সঠিক সময়। আর ঘুম থেকে ওঠা উচিত রাত তিনটা বাজে। এই লাইফস্টাইল আমি শিখেছিলাম আমার হোস্টেলের বড় ভাইদের কাছ থেকে। যখন তারা আমাকে রাত তিনটা বাজে ওঠার কথা বলেছিলেন তখন আমি ভাবলাম এটা তো অত্যন্ত কঠিন। তারপরও মনে মনে প্রস্তুত হয়েছিলাম এইজন্য যে সামনে তো বোর্ড পরীক্ষা। এখন একটু কষ্ট করলে সমস্যা নেই। কিন্তু যখনই আমি এই নিয়ম এপ্লাই করা শুরু করলাম তখন মনে হলো এটা মোটেও কঠিন নয়। কেউ যদি এশার নামায পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে তার জন্য রাত তিনটা বাজে ওঠা মোটেই কঠিন নয়, বরং স্বাভাবিক হয়ে যায়। রাতে নয়টার মধ্যে ঘুমাতে পারলে রাত তিনটার পর চাইলেও আর ঘুম আসা সম্ভব নয়। একা একাই জেগে ওঠা সম্ভব। তারপর ইমিডিয়েট চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে পড়ালেখার জন্যও দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়। শরীরে এক ধরনের শক্তি অনুভূত হয় এবং সারাদিনের রুটিন মেনে চলা সহজ হয়।
তবে অনেকে বলে যে, ভাই চাইলেও তো ঘুমিয়ে পড়া সম্ভব নয়। অনেক সময় চেষ্টা করলেও ঘুমানো সম্ভব হয় না। এর জন্য আসলে দায়ী হলো কোন কায়িক শ্রম না করা। যারা প্রতিদিন এক্সারসাইজ করে তারা চাইলে অতি সহজেই ঘুমিয়ে পরতে পারে। অনিদ্রা সমস্যা থাকে সাধারণত তাদের যারা কোন পরিশ্রমের কাজ না করে। একজন ছাত্রের উচিত নিয়মিত এক্সারসাইজ করা। তাহলে ব্লাড সার্কুলেশন ভালো থাকে, শিখন ক্ষমতা বেড়ে যায়। নিয়মিত এক্সারসাইজের দ্বারা অনিদ্রা সমস্যা দূর হয়। সাধারণ অবস্থায় প্রতিদিন আধা ঘণ্টা এক্সারসাইজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি মিলিটারি ট্রেনিংয়ের মত কোন বিষয় নয় বা ইদাদের পর্যায়েও পড়ে না। এতটুকু এক্সারসাইজ দরকার শুধু সুস্থ থাকার জন্য ও ব্রেইনের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। সাউন্ড বডি ও সাউন্ড মাইন্ড অর্জনের জন্য এতটুকু শরীর চর্চা প্রয়োজনীয়। তাছাড়া ঘুমের আগে গোসল করে নিলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরা সহজ হয়।
আরেকটি বিষয় হলো ঘুমানোর সময় কোনমতেই আশেপাশে মোবাইল রাখা ঠিক হবে না। এটা ঘুমের ব্যাঘাত তো ঘটাবেই পাশাপাশি মোবাইলের রেডিয়েশন মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই প্রয়োজন না পরলে মোবাইল কখনোই একজন মানুষের কাছে রাখা উচিত নয়। একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে অপছন্দের বিষয় হওয়া উচিত মোবাইল। বিশেষভাবে এর ক্ষতিসমূহ সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত আছি। তা সত্ত্বেও মোবাইলই এখন হয়ে উঠেছে আমাদের সবচেয়ে কাছের বস্তু। আমাদের এই সকল অভ্যাস অবশ্যই পরিবর্তন করা উচিত।
Comment