চরিত্রের গুণগত মান যেমন হওয়া চাই
হে প্রিয় আপনাকে বলছি!
উম্মাহর হৃদয়ের কৃষক যারা তারা তো হবে মৌমাছির ন্যায়। মৌমাছির গুণাবলি অসাধারণ। যার দরুন সয়ং(স্বয়ং) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর কথা পবিত্র কুরআনে উদাহরণস্বরুপ(উদাহরণস্বরূপ) তুলে ধরেছেন। তার থেকে শিক্ষা নেয়ার যাবতীয় উপায়-উপকরণ রেখে দিয়েছেন।
তাদের পরিচয়। তারা কিভাবে মধু আহরণ করে।
কোথা থেকে আহরণ করে। কোন কোন ফুল ফলের সাথে তাদের ভারি মিষ্টি বন্ধুত্ব। ফুলের সুভাস আর মৌমাছির পুনপুনানি আওয়াজের অদৃশ্য দৃশ্যপটের ছোট্ট বাহারি আলোচনা। সূরাতুন নাহল-সুযোগে সবাই পড়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।
তারা সাধারণ কোনো ফুল ফল থেকে মধু আহরণ করে না। সাধারণত মানুষ প্রকৃতির যেসব ফুল ফল ছোঁয় না। মুখে নিতে চায় না। কারণ মানুষ সমাজের রেওয়াজের বেড়াজালে আবদ্ধ। সমাজ যা চায়না মানুষ কেন জানি সেটা মুখে নিতে চায় না। কিন্তু সেগুলো হারাম জিনিসও না।
মৌমাছি ঠিক তেমনি মিষ্টি সুগন্ধি হিমছড়ির এক অপূর্ব মিলনমেলার আয়োজন না থাকলে সেগুলোর কাছে ভিরতে(ভিড়তে) চায় না। ভিরলেও(ভিড়লেও) ক্ষণিকের জন্য। সে খুব উচ্চাবিলাশী(বিলাসী)। সৌখিন মানুষের ন্যায়। বলতে পারেন রীতিনীতির প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল। শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে বদ্ধ পরিপক্ব।
তাদের মধু আহরণের ডিজাইন দেখলে আপনিও মুগ্ধ হবেন। চেয়ে দেখেন তো! আরে কি বলছি? এখানে তো সে নেই। তার অনুপস্থিতিই উপস্থিতি।
তারা এ ফুল থেকে অফুল। উড়ছে উড়ছে উড়ছে না। একটু নিচু একটু উঁচু। ফুল তাদের চিনিমিনি(ছিনিমিনি) এ খেলা আর সখ্যতা দেখে তার সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়।আর মৌমাছিও ফুলের ঢগায় আলতু করে ছোঁয়ে তার আসল মাকসাদ হাসিল করে নেয়। মিষ্টি রস।
কিন্তু মাছি! তারা কোন কিছুর পরওয়াই করে না। কোন কিছুর তোয়াক্কাই করে না। ভালো নাকি মন্দ। ক্ষতি নাকি উপকারী। পেলেই হলো। দেখলেই শুরু হলো তার চাঞ্চলতা। নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর জিনিসের সাথে তার অবাধ মেলামেশা।তবে মৌমাছি এসব থেকে একেবারেই নিরঙ্কুশ।
তাদের গুণগত মান যেমন শান-শওকত তেমন। আহরণের যোগ্যতা যেমন চাখার প্রখরতা তেমন। তাদের মনের চাহিদাই কেমন যেন পূত-পবিত্র। একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কেমন যেন অপূর্ব এক দৃষ্টান্ত।
হে প্রিয় আপনাকে বলছি!
আমরা মুজাহিদীনরা হলাম উম্মাহর হৃদয়ের কৃষক। আমাদের মৌমাছির যাবতীয় (গুণাবলি) নিয়েই তাদের হৃদয়ের ভূমির কর্ষন(কর্ষণ) কাজ শুরু করতে হবে। শক্ত তক্ত হৃদয়গুলোকে উর্বর করতে হবে। চাষ উপযোগী করে তুলবে হবে। পরম মমতার সঙ্গে। দরদের সাথে। উদারতার সাথে। যত্ন পরিচর্যার মন-মানসিকতা নিয়ে।
সুতরাং এজন্য আমাদের চরিত্রের গুণগত মান হতে হবে মৌমাছির ন্যায়। শরীয়াহ গর্হিত কাজে হাত দেয়া যাবে না। শরীয়াহ অনুমোদিত কাজ থেকে মুখ ফেরানো যাবে না। অশ্লীল-অন্যায় কাজ করা তো দূরের কথা কল্পনাও যেন আমাদের জন্য বিরাট ভুল। ক্ষমা অযোগ্য অপরাধ।
চরিত্রের মান যেন মাছির মত না হয়। সালাতও পড়লাম সুদও খেলাম। যাকাতও দিলাম এতিমের মাল আত্মসাৎ করলাম। জিহাদও করলাম গুনাহেও লিপ্ত থাকলাম। মুখে বলি মুসলমান, কাজে থাকে শুধু কুফর আর কুফর। মুখে বলি দ্বীন, কাজে থাকে শুধু বদদ্বীন আর বদদ্বীন।
হে প্রিয় আবারো আপনাকেই বলছি!
এত শত উদাহরণ। এত শত উপকরণ। তারপরও কেন আমরা সাধারণ? নবীদের কিসসা-ওলীদের কাহিনি(কাহিনী)-মুজাহিদীনদের চরিত্র কেন হয়না আমাদের জীবণউপকরণ? তুমি কি চাওনা নবীদের সুপারিশ পেতে! মুমিনদের সঙ্গ পেতে! সাদিকীনদের সাহচর্য লাভ করতে! শুহাদাদের রাজ্যে অবাধ বিচরণ করতে!
তাহলে ফিরে এসো কুরআনের নীড়ে। হাদিসের করতলে। সাহাবীদের ছাঁয়াতলে(ছায়াতলে)। মুজাহিদীনদের আশ্রয়তলে এবং ছোট্ট ছোট্ট এ পাদটীকা থেকে নাও শিক্ষা হয়ে যাবে তোমার জীবনে দীক্ষা।
হে প্রিয় আপনাকে বলছি!
উম্মাহর হৃদয়ের কৃষক যারা তারা তো হবে মৌমাছির ন্যায়। মৌমাছির গুণাবলি অসাধারণ। যার দরুন সয়ং(স্বয়ং) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর কথা পবিত্র কুরআনে উদাহরণস্বরুপ(উদাহরণস্বরূপ) তুলে ধরেছেন। তার থেকে শিক্ষা নেয়ার যাবতীয় উপায়-উপকরণ রেখে দিয়েছেন।
তাদের পরিচয়। তারা কিভাবে মধু আহরণ করে।
কোথা থেকে আহরণ করে। কোন কোন ফুল ফলের সাথে তাদের ভারি মিষ্টি বন্ধুত্ব। ফুলের সুভাস আর মৌমাছির পুনপুনানি আওয়াজের অদৃশ্য দৃশ্যপটের ছোট্ট বাহারি আলোচনা। সূরাতুন নাহল-সুযোগে সবাই পড়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।
তারা সাধারণ কোনো ফুল ফল থেকে মধু আহরণ করে না। সাধারণত মানুষ প্রকৃতির যেসব ফুল ফল ছোঁয় না। মুখে নিতে চায় না। কারণ মানুষ সমাজের রেওয়াজের বেড়াজালে আবদ্ধ। সমাজ যা চায়না মানুষ কেন জানি সেটা মুখে নিতে চায় না। কিন্তু সেগুলো হারাম জিনিসও না।
মৌমাছি ঠিক তেমনি মিষ্টি সুগন্ধি হিমছড়ির এক অপূর্ব মিলনমেলার আয়োজন না থাকলে সেগুলোর কাছে ভিরতে(ভিড়তে) চায় না। ভিরলেও(ভিড়লেও) ক্ষণিকের জন্য। সে খুব উচ্চাবিলাশী(বিলাসী)। সৌখিন মানুষের ন্যায়। বলতে পারেন রীতিনীতির প্রতি খুব শ্রদ্ধাশীল। শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে চলতে বদ্ধ পরিপক্ব।
তাদের মধু আহরণের ডিজাইন দেখলে আপনিও মুগ্ধ হবেন। চেয়ে দেখেন তো! আরে কি বলছি? এখানে তো সে নেই। তার অনুপস্থিতিই উপস্থিতি।
তারা এ ফুল থেকে অফুল। উড়ছে উড়ছে উড়ছে না। একটু নিচু একটু উঁচু। ফুল তাদের চিনিমিনি(ছিনিমিনি) এ খেলা আর সখ্যতা দেখে তার সর্বস্ব বিলিয়ে দেয়।আর মৌমাছিও ফুলের ঢগায় আলতু করে ছোঁয়ে তার আসল মাকসাদ হাসিল করে নেয়। মিষ্টি রস।
কিন্তু মাছি! তারা কোন কিছুর পরওয়াই করে না। কোন কিছুর তোয়াক্কাই করে না। ভালো নাকি মন্দ। ক্ষতি নাকি উপকারী। পেলেই হলো। দেখলেই শুরু হলো তার চাঞ্চলতা। নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতর জিনিসের সাথে তার অবাধ মেলামেশা।তবে মৌমাছি এসব থেকে একেবারেই নিরঙ্কুশ।
তাদের গুণগত মান যেমন শান-শওকত তেমন। আহরণের যোগ্যতা যেমন চাখার প্রখরতা তেমন। তাদের মনের চাহিদাই কেমন যেন পূত-পবিত্র। একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কেমন যেন অপূর্ব এক দৃষ্টান্ত।
হে প্রিয় আপনাকে বলছি!
আমরা মুজাহিদীনরা হলাম উম্মাহর হৃদয়ের কৃষক। আমাদের মৌমাছির যাবতীয় (গুণাবলি) নিয়েই তাদের হৃদয়ের ভূমির কর্ষন(কর্ষণ) কাজ শুরু করতে হবে। শক্ত তক্ত হৃদয়গুলোকে উর্বর করতে হবে। চাষ উপযোগী করে তুলবে হবে। পরম মমতার সঙ্গে। দরদের সাথে। উদারতার সাথে। যত্ন পরিচর্যার মন-মানসিকতা নিয়ে।
সুতরাং এজন্য আমাদের চরিত্রের গুণগত মান হতে হবে মৌমাছির ন্যায়। শরীয়াহ গর্হিত কাজে হাত দেয়া যাবে না। শরীয়াহ অনুমোদিত কাজ থেকে মুখ ফেরানো যাবে না। অশ্লীল-অন্যায় কাজ করা তো দূরের কথা কল্পনাও যেন আমাদের জন্য বিরাট ভুল। ক্ষমা অযোগ্য অপরাধ।
চরিত্রের মান যেন মাছির মত না হয়। সালাতও পড়লাম সুদও খেলাম। যাকাতও দিলাম এতিমের মাল আত্মসাৎ করলাম। জিহাদও করলাম গুনাহেও লিপ্ত থাকলাম। মুখে বলি মুসলমান, কাজে থাকে শুধু কুফর আর কুফর। মুখে বলি দ্বীন, কাজে থাকে শুধু বদদ্বীন আর বদদ্বীন।
হে প্রিয় আবারো আপনাকেই বলছি!
এত শত উদাহরণ। এত শত উপকরণ। তারপরও কেন আমরা সাধারণ? নবীদের কিসসা-ওলীদের কাহিনি(কাহিনী)-মুজাহিদীনদের চরিত্র কেন হয়না আমাদের জীবণউপকরণ? তুমি কি চাওনা নবীদের সুপারিশ পেতে! মুমিনদের সঙ্গ পেতে! সাদিকীনদের সাহচর্য লাভ করতে! শুহাদাদের রাজ্যে অবাধ বিচরণ করতে!
তাহলে ফিরে এসো কুরআনের নীড়ে। হাদিসের করতলে। সাহাবীদের ছাঁয়াতলে(ছায়াতলে)। মুজাহিদীনদের আশ্রয়তলে এবং ছোট্ট ছোট্ট এ পাদটীকা থেকে নাও শিক্ষা হয়ে যাবে তোমার জীবনে দীক্ষা।
Comment